**** ডিভোর্স দ্বারা সমাজ নষ্ট হয় ****

লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ২৯ মে, ২০১৪, ০২:২৫:১৪ দুপুর

তালাকের ক্ষমতা পুরুষের হাতে থাকার দ্বারা মানুষের মঙ্গল হয়েছে। অন্যথায় প্রচলিত পারিবারিক আইনে যেভাবে ডিভোর্স বেড়ে গিয়ে সমাজে অশান্তি নেমে আসছে, তাতে আশংকা হচ্ছে - অচিরেই এ পরিবারগুলো আমেরিকানদের মতো ছন্নছাড়া হয়ে যাবে। যেখানে সন্তানরা পাবেনা মায়ের আদর কিংবা বাবার স্নেহ- ভালোবাসা। সেসব দেশে মহিলারা সন্তান রেখেই স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে অপর পুরুষের হাত ধরে চলে যায়। এতে ভোগান্তি ও দুর্দশা এসে পড়ে সন্তানদের ঘাড়ে।

অপরপক্ষে পুরুষরা সংসারের শান্তির কথা চিন্তা করে স্ত্রী বদমেজাজী হলেও তাকে তালাক দেন না।

আর তালাক ধর্মস্বীকৃত হলেও তালাক না দেয়ার ব্যাপারে রাসূলের (সঃ) অসংখ্য হাদীস রয়েছে।

দুনিয়ার ইন্তিজাম সুষ্ঠুভাবে সমাধার জন্য সৃষ্টিগতভাবে পুরুষদেরকে চিন্তাশক্তি বেশী দেয়া হয়েছে, অপরদিকে সংসার পরিচালনার প্রয়োজনে নারীদেরকে আবেগ বেশী দেয়া হয়েছে। আর তালাকের ব্যাপারে আবেগের চেয়ে বিবেকের প্রয়োগ বেশী প্রয়োজন। তাই তালাক দেয়ার ক্ষমতা পুরুষদেরকে দেয়া হয়েছ।

তা না করে যদি তালাকের ক্ষমতা সরাসরি নারীদেরকে দেয়া হত, তাহলে নারীরা পরিস্থিতির সামান্য চাপেও দিনে কতবার যে তালাকের ক্ষমতা প্রয়োগ করত এবং সাজানো সংসার ধ্বংস করত, তার ইয়ত্তা থাকত না।

আর যদি তালাকের ক্ষমতা নারী-পুরুষ উভয়কে দেয়া হত, তাহলেতো তালাকের পরিমাণ অসম্ভব হারে বেড়ে যেত এবং অকল্পনীয় মাত্রায় সংসার ধ্বংস হতে থাকত- যা সমাজে বিরাট সমস্যা হয়ে দেখা দিত।

তালাকের ক্ষমতা শুধুমাত্র স্বামীর হাতে। কিন্তু আমাদের দেশে অনেক মেয়ে দেশের আইনের ফাঁকে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে অন্যত্র বিবাহ বসে। এভাবে দেশে যিনা-ব্যভিচার ছড়াচ্ছে।

মহান আল্লাহ তালাকের ক্ষমতা শুধুই পুরুষদেরকে দিয়ে এসব সংকট থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করেছেন। তাই আল্লাহ প্রদত্ত তালাকের এ বিধান যথোপযোগী ও যথার্থ।

বিষয়: বিবিধ

১২৯৫ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

228007
২৯ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:০১
নোমান২৯ লিখেছেন :
|ভালো লাগলো| অনেক ধন্যবাদ|
৩০ মে ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
175067
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
228034
২৯ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৪০
হতভাগা লিখেছেন : বিয়ে করেছেন ? নিকাহনামার ১৮ নং অপশনটি দেখে নিয়েন ।
৩০ মে ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
175068
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : এখন নিকাহনামা কই পামু?? কি লিখা আছে ওখানে?
228093
২৯ মে ২০১৪ রাত ০৮:৩৬
আফরা লিখেছেন : আপনার বিষয়টা ভাল ছিল কিন্তু আপনি একতরফা ভাবে মেয়েদের দোষ গেয়েছেন ।
৩০ মে ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
175070
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : আমি দুঃখিত আপিজান। ডিভোর্সের ব্যাপারটা যেহেতু নারীদের তাই হয়তো একটু বেশী বিরুধীতা হয়ে গেছে।
স্বামীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা নেই স্ত্রীর। আর স্বামীকে কখনো তালাক দেয়া যায় না। এটা একটা হাস্যকর ব্যাপারও বটে। যারা ইসলামের বিধান উপেক্ষা করে স্বামীকে তালাক দিয়ে পর পুরুষকে গ্রহণ করেছে ,তারা জাহান্নামের কাজ করেছে। আর ডিভোর্সের বিরোধীতা করতে গিয়ে আমাকে ঐ রকম নারীদের বিরোধীতা করতে হয়েছে। ধন্যবাদ
228229
৩০ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৫১
মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) লিখেছেন : না, মানুষ হিসেবে মেয়েদেরও অধিকার আছে আর সেটা পুরুষের সমান।
৩০ মে ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
175071
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : কিন্তু ইসলাম সেটা বলেনি। ইসলামের বিধান মতে তালাকের ক্ষমতা স্ত্রীর নেই। এতদসত্ত্বেও যে স্ত্রীরা স্বামীকে তালাক (ডিভোর্স) দিয়ে অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে , তাদের পূর্বের স্বামী থেকে তালাক হচ্ছে না। তাই অন্যত্র বিবাহও সহীহ হচ্ছে না। যার কারণে তাদের মেলামেশা সব হারাম ও যিনা হচ্ছে।
প্রচলিত পারিবারিক আইনের কোন কোন ধারা আর ইসলামের বিধান তালাক পরস্পর বিরোধী। যেমন, তালাক কার্যকর হওয়ার ধরণ, মেয়েদের কর্তৃক স্বামীদেরকে তালাব বা ডিভোর্স প্রভৃতি।
আল্লাহর বিধানের বিপরীত কোন মানুষের বিধান গ্রহণীয় হতে পারে না। আবার এখানে হালাল-হারামের প্রশ্ন জড়িত।
আল্লাহ পুরুষের ঙানকে করে দিয়েছেন বিবেকময় ও সমৃদ্ধশালী। পুরুষ উত্তেজনা অবস্থায় সিদ্ধান্ত নেয় ধীরগতীতে। আর নারী সিদ্ধান্ত নেয় দ্রুত।
তালাকের ক্ষমতা যেহেতু শুধু স্বামীকে দেয়া হয়েছে , তাই সরকারি আইনে সরাসরি স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক বা ডিভোর্স দেয়ার নিয়ম বাতিল করতে হবে। সেক্ষেত্রে স্বামী কর্তৃক স্ত্রী নির্যাতিত হলে, আর তালাক ব্যতীত কোন সমাধানের পথ খোলা না থাকলে এবং অত্যাচারী স্বামীও স্ত্রীকে তালাক দিতে না চাইলে , এমন অবস্থায় আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার ব্যবস্থা ইসলামে রয়েছে।
সুতরাং ইসলামের বিধান কার্যকর করলে কোন সংকট হবে না। বরং ইসলামের বিধান কার্যকর না করাই সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তাই এ ব্যাপারে আমাদের সাবধানতা ও সতর্কতা জরুরী।
০৩ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:৪১
176677
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : ঠিকই কইছেন মশাই, মানুষ হিসেবে বেডিগোও সমান অধিকার আছে। তাগোরো অধিকার আছে তালাক দেওনের। হের লিগ্যাই তো ত্যাজলিমা নাসরিনরা দাবী করছে পুরুষদের অধিকারের বিপরীতে হেতারগো লিগ্যাও চারডা নুনু ভোগ করণের অধিকার দিতে অইবো।
সমস্যা অইলো অন্যহানে। হেইদিন আমাগো বেরসিক এক প্রতিবেশী এক্কান বাস্তব কাহানীর বয়ান হুনাইছিল। তার সদ্য বিবাহিতা শালী হানিমুন উপলক্ষে তার বাসাতে দাওয়াত খেতে এসেই গ্যাড়াকলে পইড়া গেল।
দাওয়াত খাওয়া শেষে প্রবল ঝড়বৃষ্টির শুরু হওনের কারণে হেতারা ঘর থেইক্যা বাইর হইতে হারলো না। দরজা জানালা সব বন্ধ কইরা হুজতার ভিত্রেই অবস্থান। হঠাৎ বেডাটার হিস্যুর বেগ আইয়া পড়লো। জানালাডা একটু বেশী উচু হওনের লিগ্যা বৌয়ের কাধের উপ্রে উঠেই জানালা দিয়ে হিস্যুর কামডা সাইরাইলো।
একটু পর হেতের বেডিডার হিস্যুর বেগ আইলো। অহন বৌয়ের পালা। নারী পুরুষ সমান অধিকার হিসেবে স্বামীর কাধে উঠেই বৌ শুরু করলো হিস্যু। এবার আসল খেলা জমে উঠেছে।
বৌয়ের হিস্যুতেই স্বোয়ামী বেডাটার হাফ গোসল হয়ে গেলো।
ইহাকেই বলা হয় নারী-পুরুষের সমান অধিকার।
228290
৩০ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৩৭
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : তালাকের ক্ষমতা পুরুষের হাতে থাকার দ্বারা মানুষের মঙ্গল হয়েছে
ইসলামে কি মেয়েরা তালাক দেয়ার অধিকার নেই? অবশ্যই আছে। বিষয়টি আরও পরিস্কার হওয়া প্রয়োজন। ধন্যবাদ।
৩০ মে ২০১৪ দুপুর ০২:০১
175080
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : তালাক দেওয়ার ক্ষমতা শুধুই স্বামীর , এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে কাবিননামায় যদি স্বামীর পক্ষ থেকে অনুমোদন করা হয় যে, স্ত্রীর তালাক গ্রহণের অধিকার থাকবে, তাহলে তখন সে স্ত্রী চাইলে সেই অধিকার প্রয়োগ করে এ স্বামীকে ত্যাগ করে ইদ্দত পালনের পর অন্যত্র বিবাহ বসতে পারবে।
কাজেই শরীয়ত যে শুধুই স্বামীকে তালাক দেয়ার ক্ষমতা দিয়েছে, এক্ষেত্রে স্ত্রী অধিকার হারাচ্ছে না। বরং সে চাইলে স্বামীর থেকে সেই অধিকার আদায় করে নিতে পারে। ধন্যবাদ
228561
৩১ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৩৮
টাংসু ফকীর লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
229710
০২ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৬
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : লেখাটা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো লেগেছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File