দাদী-নাতনীর সংলাপ-২
লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ০৯ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:৩৪:৪৪ রাত
প্রথম পর্ব- http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/7622/estiak/42187
নাতবৌ : মনে সাধ আছে সত্য, কিন্তু ওরা যে ……………।
দাদী : থামো। তুমি যে কিন্তুর কথা বলতে চাচ্ছ , আসল কিন্তু সেটা নয়, আসল কিন্তু অন্যখানে। তোমাকে আমি কী বুঝাবো? তুমি নিজেই বি.এ পাশ , আবার মাষ্টারের স্ত্রী । কিন্তু তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে - তুমি মুসলমানের আকীদা-বিশ্বাষ সম্পর্কে ভালো জাননা। শোনো, মুসলমান হওয়া বা মুসলমান থাকার জন্য ইসলামের সকল বিধান স্বীকার করা এবং মেনে নেয়া ফরজ। কিন্তু কাফের বা ইসলাম থেকে খারেজ হওয়ার জন্য ইসলামের যে কোনো একটি বিধান অস্বীকার করাই যথেষ্ট।
যেমন- কেউ যদি মুখে কালেমা পড়ে এবং অন্তরে বিশ্বাষ করে, অথচ নামায-রোযা ঠিকমত পালন করেনা, কিন্তু এগুলোকে আল্লাহর বিধান হিসাবে স্বীকার করে, তাহলে সে ফাসিক হবে ঠিক , কিন্তু তাকে কাফির বলা যাবে না।
অথচ কেউ যদি ইসলামের কোনো বিধানকে অস্বীকার করে বা আল্লাহর একমাত্র ক্ষমতার সাথে অন্য কাউকে শরীক করে, তাহলে তার ঈমানই থাকবে না।
শোনো ,ইসলামের আকীদা হল- অন্যকিছুর মত কাউকে সন্তান দেয়া বা না দেয়ার কিংবা কাকে কটা দেয়া হবে - তার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর হাতে। কোনো মানুষেরই বিন্দুমাত্র ক্ষমতা নেই কাউকে শুধু সন্তান কেন, কোনো কিছুই দেয়া বা না দেয়ার। পৃথিবীতে ভাল-মন্দ যা কিছু হয়, তা কেবল আল্লাহ পাকের ইচ্ছা ও নির্দেশ মাফিকই হয়।
এই কালকেই এক হাদীসের কিতাবে পড়লাম - শয়তানের মূল এবং প্রধান উদ্দেশ্য হলো মানুষের ঈমান নষ্ট করে দেয়া। কারণ সে যদি কারো ঈমান নষ্ট করে দিতে পারে , তাহলেই ব্যাস- সে ব্যক্তি যত নেক আমলই করুকনা কেন , তাতে কোনো কাজ হবে না। সব বিফল হয়ে যাবে।
সন্তান নেয়া বা না নেয়া এ কথাটি বলা কুফর ও শিরকের অন্তর্ভুক্ত। কেননা এ কথা দ্বারা এটা বুঝানো হয় যে, সন্তান নেয়া বা না নেয়ার ক্ষমতা সম্পুর্ন বান্দার হাতে। কেউ চাইলে নিল , কেউ চাইলনা তাহলে নিল না, অথবা যার যে কটা ইচ্ছা সে কটা নিল। অথচ মানুষের এমন কোনো ক্ষমতাই নেই। এমন হলে তার অর্থ দাঁড়াবে- বান্দা আল্লাহর ক্ষমতার অংশীদার , যা শিরকের পর্যায়ভূক্ত (নাউযুবিল্লাহ)
নাতবৌ : কিন্তু দাদী, সবাই তো নিজ নিজ ইচ্ছায় বাচ্চা নিচ্ছে। এই যে আমি নিজেই একটা বাচ্চা নিয়েছি আর নেব না।
দাদী : এটাই তো মহা অন্যায় কথা, একদম ভূল ধারণা । আল্লাহ পাক যাকে যে কটা সন্তান দিবেন তার সে কটাই হবে। চাই সে যতধরনের পদ্ধতিই অবলম্বন করুক না কেন।
চলবে............
বিষয়: বিবিধ
১০৯১ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন