হ্যাঁ, আপনাকেই বলছি। পড়ে দেখুন
লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ৩০ মার্চ, ২০১৪, ০১:০৩:৪০ রাত
....আজ মসজিদ থেকে বের হবার সময় কিছু ছেলেকে দেখলাম অসহায় চোখে ঠিক মসজিদের সামনে দাড়িয়ে আছে। চোখগুলো ছলছল করছিল তাদের। আমি একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম ভাইয়া কি হল??
তার আগে বলে নেই আজ মসজিদে সায়মা ও তার মায়ের জন্যে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। মিলাদে অংশ নেবার পর যা দেখলাম আসলে তা দেখার জন্যে প্রস্তুত ছিলাম না। বেশিরভাগ মানুষের মিলাদের প্রতি কোন মনযোগ ছিল না। আসল ব্যাপার টা আমি পরে বের করতে পারলাম যে আসলে আজ সায়মার পরিবার থেকে অসহায় দুস্থ মানুষদের ও মসজিদের মুসুল্লিদের তবারক বিতরণ করা হবে।
প্রায় ৮৫% মানুষের মনযোগ সেই তবারককে ঘিরে। দেবার সময় কি কাড়াকাড়ি তা আর বললাম না।
যাই হোক আমার কাউকে ছোট করার কোন উদ্দেশ্য নিয়ে আজ লিখছি না। আমার শুধু সেই ৮৫% মানুষের উদ্দেশ্যে একটি কথা বলার তা হল আচ্ছা আমরা কি আমাদের এই লোভী ও নিজের জন্যে আগে ভাবার মতন ব্যাপার গুলো কি পরিহার করতে পারি না?? কেন আমরা আজ আগে নিজের জন্যে ভাবি???
আমরা কি একটু চেষ্টা করতে পারি না আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গীটা পরিবর্তন করতে?? পারি না?? আগে নিজেরটা না ভেবে একটু সেই ছলছল চোখে তাকিয়ে থাকা সেই ছেলেটির জন্যে ভাবি না!!! আমাদের কি নেই আমরা কয় বেলা না খেয়ে থাকি বলুন?? তারা এক্সে দিনের পর দিন না খেয়ে পার করে আমাদের কি উচিৎ না তাদের দিকে স্নেহ ও মমতার চোখে তাকাতে??
মসজিদের তবারক খুবই ছোট একটা ব্যপার হয়ত অনেকেই বলতে পারেন যে এটা নিয়ে বলার মত কি আছে??
আছে অনেক কিছু আছে। আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গী বদলাতে পারে অনেক কিছু আমাদের এই স্বার্থপর মনোভাব ধীরে ধীরে আনছে আমার দেশেরর বিপর্যয়। আজ দেশের জন্যে একটা কিছু করতে গেলে ৭৫ ভাগ মানুষ ভাবে যে কি লাভ?? কেন?? আমার কি হবে এমন করলে??
জানি আমরা পারি না ভাবতে আমাদের স্বার্থের উর্ধ্বে চিন্তা করতে কিন্তু একটু কি পারি না বদলাতে ১৬ কোটি মানুষের একটু একটূ বদলে যাওয়া ভাব আনতে পারে আমূল পরিবর্তন। আমার পক্ষেও একেবারে বদলে যাওয়া সহজ না। কারণ আজ আমিও ওই ৮৫% মানুষের পরিবেশে বাস করি। কিন্তু আমার এই কথা বলা হল আমার পরিবর্তনের প্রমাণ।
আমরা চাইলে সব পারি!!!! সব!!!! আমরাও একদিন উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে এই পৃথিবীর বুকে জায়গা করে নিব।
যদি আমরা আগে দেশের জন্যে ভাবি,সত্যি বিশ্বাস করুন আমরা পারব। আসুন না একটু বদলাই, আসুন না!!!.....আমরাই পারব!!...
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৭ বার পঠিত, ৩৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"যদি আমরা আগে দেশের জন্যে ভাবি" দেশ বিষয়টা জাতিয়তার সাথে জড়িত,গোত্রপ্রীতি বা আসাবিয়াহ এর সাথে জড়িত। যার আলাদা পতাকা, আলাদা জাতিয়তা আলাদা ও সার্বভৌম ভুখন্ড, বর্ডার ইত্যাদির সাথে জড়িত যা ইসলামি ভ্রাতৃত্বের প্রতি সরাসরি আঁঘাত করে। বরং বাংলা অঞ্চলে বসবাসরত মানুষগুলো নিয়ে ভাবাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর হ্যা! আরেকটা বিষয় "মিলাদ" জিনিসটা ইসলামী আকিদার সাথে সাংঘর্ষিক।
অনেক ধন্যবাদ
পিলাচ
এমন সময় এলো মুসাফির গায়ে-আজারির চিন্
বলে‘বাবা, আমি ভুকা ফাকা আছি আজ নিয়ে সাত দিন!’
তেরিয়াঁ হইয়া হাঁকিল মোল্লা-“ভ্যালা হ’ল দেখি লেঠা,
ভুখা আছ মর গো-ভাগাড়ে গিয়ে! নামাজ পড়িস বেটা?”
ভুখারী কহিল, ‘না বাবা!’ মোল্লা হাঁকিল – তা’ হলে শালা
সোজা পথ দেখ!’ গোস্ত-রুটি নিয়া মসজিদে দিল তালা!
ভুখারী ফিরিয়া চলে,
চলিতে চলিতে বলে-
“আশিটা বছর কেটে গেল, আমি ডাকিনি তোমায় কভু,
আমার ক্ষুদার অন্ন তা’বলে বন্ধ করোনি প্রভু
তব মসজিদ মন্দিরে প্রভু নাই মানুষের দাবী,
মোল্লা-পুরুত লাগায়েছে তার সকল দুয়ারে চাবী!”এমন সময় এলো মুসাফির গায়ে-আজারির চিন্
বলে ‘বাবা, আমি ভুকা ফাকা আছি আজ নিয়ে সাত দিন!’
তেরিয়াঁ হইয়া হাঁকিল মোল্লা - “ভ্যালা হ’ল দেখি লেঠা,
ভুখা আছ মর গো-ভাগাড়ে গিয়ে! নামাজ পড়িস বেটা?”
ভুখারী কহিল, ‘না বাবা!’ মোল্লা হাঁকিল – তা’ হলে শালা
সোজা পথ দেখ!’ গোস্ত-রুটি নিয়া মসজিদে দিল তালা!
ভুখারী ফিরিয়া চলে,
চলিতে চলিতে বলে-
“আশিটা বছর কেটে গেল, আমি ডাকিনি তোমায় কভু,
আমার ক্ষুদার অন্ন তা’বলে বন্ধ করোনি প্রভু
তব মসজিদ মন্দিরে প্রভু নাই মানুষের দাবী,
মোল্লা-পুরুত লাগায়েছে তার সকল দুয়ারে চাবী!”
মন্তব্য করতে লগইন করুন