নারীর জীবনে মারাত্মক ভুল-২
লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ০৪ মার্চ, ২০১৪, ১০:৫৮:০৫ রাত
শেষে দেখা যায়, সন্তান থাকে পৃথক গৃহে অথবা শহরের সু-উচ্চ বিলাস বহুল বাড়ীতে,আর বৃদ্ধ মাতা-পিতা ও ছোট ভাই-বোন দিনাতিপাত করে গাঁয়ের ভগ্ন কুঠিরে। এরপর সেই ছেলে মাতা-পিতার নিত্য চাহিদা পূরনে অনীহা প্রদর্শন করতে থাকে। উপরুন্ত বধুর প্ররোচনায় নানা বিরুপ পদক্ষেপ গ্রহণের দরুন মাতা-পিতার হৃদয় ছিদ্র হয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে যায়। এরপর অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, স্ত্রীর এভাবে মাতা-পিতার কোল থেকে তার সন্তানকে ছিনিয়ে নেয়াটা আল্লিাহ সহ্য করেননা। ফলে অচিরেই স্ত্রীর বুক থেকে স্বামীকে ছিনিয়ে নিয়ে মায়ের সন্তান ছিনতাইয়ের ব্যথার স্বাদ আস্বাদন করান। সেই বিধবা জীবন যে কত বিষাদময় , তা একমাত্র ভুক্তভোগীই উপলব্ধি করতে পারে। লোভে পাপ,পাপে মৃত্যু অথবি অতি চালাকের গলায় দড়ির ন্যায় এভাবে বধু সেসব কার্যকলাপের জন্য ইহ-পরকালে দায়ী হওয়ার পাশাপাশি তার জীবনও শেষ পর্যন্ত অন্ধকারে তলিয়ে যায়। অতএব, বধুরা হুশিয়ার! ৩. স্বামীগৃহ ত্যাগ করাঃ পরিবারের সকল সদস্য একত্রে বসবাস করলেও রুচি , মেজাজ, স্বভাব-চরিত্র ও ব্যাক্তিগত গুণাবলী প্রত্যেকের আলাদা হয়ে থাকে। তাই পারস্পরিক মেলামেশায় ভুল-ভ্রান্তি ও মতের অমিল হওয়া স্বাভাবিক। মূলতঃ সেই ব্যাপারটুকুকে অস্বাভিক ও মহা অপরাধ ভাবলেই সূত্রপাত হয় ঝগড়া-ফাসাদের। তাই বিষাক্ত কাঁটাগ্রথিত পাহাড়ী পথ অতিক্রমে পথচারী যেমনি কঠোর সতর্কতায় পদচারণা করে, একজন গৃহবধুকেও বাক্যকাঁটার আঘাত এড়িয়ে চলতে হয় সংসারে। বুদ্ধিমত্তার আলোকে ধৈর্যশীলা রুপে নিজকে উপস্থাপন করতে হয়। কিন্তু অনেক বদমেজাজী ও অহংকারী বউয়েরা সংসারে বিন্দু বিসর্গ পীড়ণে অসহ্য হয়ে কথায় কথায় স্বামীর নিকট তালাক চায়। অনেকে ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে তর্কে লিপ্ত হয়ে এক পর্যায়ে পিত্রালয়ে চলে যায়। অবশ্য নারীর এমন স্পর্ধা প্রদর্শনের পেছনে প্ররোচকদের ভুমিকাই বেশী থাকে। অথচ সেই উপদেশদাতারা এর ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া কিছুই বহণ করেনা এবং সৃষ্ট পরিস্থিতির প্রতিফল সম্পূর্ণ ভোগ করতে হয় স্ত্রীকেই। মনে রাখা দরকার- তালাক কামনা যত সহজ, পুনঃ স্বামী গ্রহণ তত কঠিন। তেমনিভাবে স্বামীগৃহ ত্যাগ করা যত সহজ, সেখানে প্রত্যাবর্তন তত সহজ নয়। তাই তো অনেক সময় এসব ক্ষেত্রে নারীর স্বামীগৃহে পুনঃ পদার্পন সম্ভব হয়না। ফলে অবহেলিত জীবন বরণ করতে হয় মরণ নাগাদ। তাই নারীদের এ ব্যাপারে সাবধান ও সতর্ক থাকা কর্তব্য।
৪ । গর্ভধারণে অনীহা প্রকাশঃ ‘আধুনিক’ নামের পঁচা চিন্তাধারার দেমাগ সম্পন্ন দম্পতি বিয়ের প্রথম ২/৩ বছর সন্তান নিতে নারাজ থাকে। তাদের ধারণা , বিয়ের বয়স হলেও সন্তান নেয়ার বয়স হয়নি। আবার ভাবে , অল্প বয়সে সন্তান নিলে , সাস্থ ভেঙ্গে পড়বে,সুখি সংসার ও সমৃদ্ধি অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে ইত্যাদি। অনেকে মনে করে তাড়াতাড়ি সন্তান নিলে তাদের এসময়ের সুখ-সম্ভোগ বাধাগ্রস্ত হবে। এরুপ লক্ষ রেখেই বিয়ের পরপর জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের নামে নবজাতক হত্যার যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন করতে থাকে তারা। যা গুরুতর অন্যায় ও মারাত্মক অপরাধ। তারপর দেখা যায়, গর্ভ ধারণের প্রতিবন্ধকতা সত্বেও যদি গর্ভাশয়ে ভ্রুণের সৃষ্টি হয়ে যায়, তাহলে আগন্তুক মানব সন্তানকে গর্ভেই নষ্ট করার জন্যে তারা ব্যতি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মারাত্মক ঔষধ সেবন , প্রসবদ্বারে নানা গাছ-গাছালির শিকড়-বাকল ব্যবহার এবং এমআরসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে সন্তান নষ্ট করে ফেলা হয়। এটা প্রকারান্তে মানুষ হত্যারই নামান্তর। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন-“ তোমরা দারিদ্রের ভয়ে সন্তানদেরকে হত্যা করোনা। তাদের এবং তোমাদের আমিই রিযিক দিয়ে থাকি। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মারাত্মক অপরাধ। ” সূরাহ বানী ইসরাইল, ৩১ উল্লেখিত কার্যকলাপের একপর্যায়ে অনেক নারী কুধারণার বশবর্তী হয়ে সন্তান দানের সকল মাধ্যম নষ্ট করে ফেলে। সন্তানকে ঝামেলা মনে করে তারা নিজ হাতেই বন্ধ্যাত্ব গ্রহণ করে। এরপর কোন কারণে পরবর্তীতে যখন সন্তান নিতে ইচ্ছা হয়, তখন শত চেষ্টার পরও সন্তানের মুখ দেখা সম্ভব হয়না। আর এ কারণে তখন তার জীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠে। আর পরকালীন শাস্তি তো আছেই। অতএব, নারীরা সাবধান! এভাবে আল্লাহর নাফরমানীর পথে গিয়ে দ্বীন-দুনিয়া বরবাদ করবেন না।নারীর জীবনে মারাত্মক ভুল-১http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/7622/estiak/39806" target="_blank" target="_blank" rel="nofollow">নারীর জীবনে মারাত্মক ভুল-১Click this link
বিষয়: বিবিধ
১৬৭৩ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন