নারীর জীবনে মারাত্মক ভুল-১
লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ০৩ মার্চ, ২০১৪, ১১:২৮:৩৭ রাত
পৃথিবীতে মানুষ সংক্ষিপ্ত হায়াতের পথ পরিক্রমায় অনেক সময় ভুল করে বসে। তন্মধ্যে কিছু ভুল এমন মারাত্মক পরিনতি ডেকে আনে,যা তার জীবন-যৌবনকে বরবাদ করে দেয়, তার ইহ-পরকালকে ধ্বংস করে দেয়। তাই জীবন পথে সর্বদা হুঁশিয়ার ও সতর্ক থেকে পা ফেলতে হবে। বিশেষ করে নারীদের জীবনে এমন কিছু ক্ষেত্র আছে যা অত্যন্ত নাজুক। এক্ষেত্রে তার ভুল সারাজীবনের গ্লানি ও দুঃখ-দুর্ভোগ বয়ে আনবে। সেই ভুল ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে-
১. বিয়েপূর্ব প্রেম বিনোদনঃ একমাত্র বিবাহের পরেই স্মামী-স্ত্রীর প্রেম-ভালোবাসা বৈধ হয়। বিবাহের পূর্বে যে কোন ধরনের প্রেম-ভালোবাসা সম্পূর্ন অবৈধ ও নাজায়িয। অথচ দুঃখজনক যে, বর্তমান সমাজে সেই অবৈধ প্রেম-ভালোবাসা মহামারীর আকার ধারণ করেছে। আর তার পরিণতিও অধিকাংশ সময় হচ্ছে অত্যন্ত মারাত্মক ও ভয়াবহ। ভাবতে অবাক লাগে, বর্তমানে ফিৎনার জামানায় যেখানে ঔরশজাত কন্যা পর্যন্ত জন্মদাতা পিতার এবং পুত্রবধু আপন শশুরের যৌন লালসার ছোবল থেকে রেহাই পাচ্ছেনা,তাহলে কিসের টানে এবং কোন নিরাপত্তার নিশ্চয়তায় সম্পুর্ণ বেগানা যুবক-যুবতী নির্জন স্থানে সহাবস্থান ও প্রেমালাপ করে? বলতে কি,বিয়েপূর্ব প্রেমের উদ্দেশ্যই হলো - অবৈধ নষ্টামী ও যৌন নোংরামী। অবৈধ প্রেম- ভালোবাসার পরিণতিতে নারী জীবনে অপূরণীয় ক্ষতির বান নেমে আসে। সতীত্বই নারীর কৃতিত্ব” এ মহামূল্যবান বাণীতে তখন দাগ পড়ে যায়। ফলে দেখা যায়, দুনিয়া ভরা সম্পদ প্রাপ্তির আকর্ষণীয় প্রলোভনে প্রমিকের সাথে উক্ত প্রমিকার বিবাহ হলেও এক সময় প্রমিক স্বামী প্রমিকা স্ত্রীর চারিত্রিক সততায় দৃঢ় বিশ্বাষী হতে ব্যর্থ হয়ে পরস্পরকে সন্দেহের বাঁকা চোখে দেখতে থাকে। এতে তাদের দাম্পত্য জীবনে ফাটল ঘরে। এভাবে প্রায়ই ভালোবাসার বিয়ে দাম্পত্য জীবনের মধ্যমাংশে এসে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তা ছাড়াও প্রমে রোগাক্রান্ত নারীর অন্যত্র বিয়ে হলে,তার মন কুরসীতে অন্যপুরুষের দখলদারিত্ব থাকার ফলে , বৈধ স্বামী গ্রহণ করা তার অগ্নিকণা গলধঃকরণ সমতুল্য মনে হয়। স্বামী ও সংসারকে সে তখন ভাবে এক জ্বলন্ত অগ্নি। এভাবে নব সংসারের প্রতি হীনমন্যতা,উদাসীনতা ও অমনোযোগিতার কারণে প্রতি কদমে নতুন বিপদের সম্মুখিন হতে হয় তাকে। তারপর নেমে আসে তার জীবনে অশেষ গ্লানী ও বিপর্যয়। মোটকথা, অবৈধ প্রেম-ভালোবাসার প্রতিফল হচ্ছে দুনিয়াতে লাণ্ছনা-অপমান,হৃদয়ে স্মৃতির দংশন এবং অদৃশ্য অননে দহন, আর পরকালীন জীবনে কঠিন আযাবের সম্মুখিন হওয়া।
২.সংসার বিভাজনের প্রচেষ্টাঃ দাম্পত্য জীবনের সূচনা লগ্ন হতেই নারী তার স্বামীকে নিকট হতে নিকটতর পেয়ে থাকে। একজন আত্মসচেতন পুরুষ স্বীয় স্ত্রীসহ জনক-জননী , ভ্রাতা-ভগ্নি অর্থ্যাৎ সংসারের সকল সদস্যদের শান্তি , নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কঠোর পরিশ্রমে আত্মনিয়োগ করে। সংসার সুখের পথে চললে আনন্দ পায় হৃদয়ে। প্রত্যেক স্বামীরই নিজ স্ত্রীর প্রতি বিশেষ লক্ষ থাকে। তথাপিও কতিপয় কৃপণ ও হিংসুক স্ত্রীর নিকট স্বামীর উপার্জিত অর্থ-সম্পদ তার মা-বাবা, ও ভাই-বোনের সংসারে ব্যয় করা অসহনীয় হয়ে উঠে।এতে তার হৃদয় গহ্বরে কালো অগ্নি দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে । নিজেকে সর্বদা অস্থিরতায় রাখে। এরপর একসময় সে স্বামীকে নিজ নিয়ন্ত্রণে বেঁধে সকল উপার্জিত অর্থ দ্বারা নিজ থলে পরিপূর্ণ করার চিন্তা করতে থাকে। এ পন্থায় উত্তির্ণ হওয়ার জন্য সে পরিবারের অন্যান্যদের বিরুদ্ধে সত্য মিথ্যায় তৈরি রসালো বচন স্বামী কর্ণে নিয়মিত পৌছাতে থাকে। সেই সাথে স্বামীকে ভবিষ্যতের সোনালী দিবসের স্বপ্ন এবং সুখী কুটির গড়ার মিষ্ট পরামর্শ দিয়ে সংসার পৃথক করার প্রচেস্টা অব্যাহত রাখে। ওদিকে উক্ত হীন উদ্দেশ্য সাধনে সে সর্বদা ঝগড়া-বিবাদ করে যায়। এভাবে চলতে চলতে এককালে সু লক্ষী,স্ত্রীর সু-কন্ঠা কান্নার সুর এবং হরিণী নয়ন কোণে সাগরের লোনা পানি দর্শনে স্বামী সিংহের মিজাজ কড়া হয়ে যায়। ফলে বধুর জীবনে শান্তি আনয়নে মাতা-পিতার সংসার ত্যাগ করতে বাধ্য হয় সে। নারীর কারণেই পৃথক করে সে ভাই-বোনদেরকে।
বিষয়: বিবিধ
১৭৫৮ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকাল্লাহ খাইরান!
মন্তব্য করতে লগইন করুন