আত্মতৃিপ্তর সুখ...
লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:৩২:০৩ রাত
ছবির মত সুন্দর ছোট্ট একটা বাড়ি।না...না.... ইটপাথরের তৈরী নয়।খাঁটি বাঁশ আর ছন দিয়ে তৈরী বাড়ি।বাড়িতে ২টা মাত্র ঘর।একটিতে গরু থাকে।অন্য ঘরটির ২টি রুম।যার একটিতে থাকে মাসুম ও সালেহা।আর অন্যটিতে থাকেন ফজিলা বেগম। ফজিলা বেগম মাসুমের আম্মা।আর সালেহা মাসুমের স্ত্রী।তাদের ৩ জনের ছোট্ট একটা সংসার।ছোট্ট ঘরটির চালের উপরে একটি গাছের অংশবিশেষ দূর থেকেও দেখা যায়।সকালে যখন ঐ গাছ এর ফাঁক দিয়ে সকালের সূর্যটা উঁকি মারে তখন ঠিক ছবির মতই মনে হয়।পাশেই একটা তাল গাছ অতন্দ্র প্রহরীর মত কালের সাক্ষী হয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে। ছোট্ট ঘরটির ছনের চালে সুখে শান্তিতে বসবাস করে একজোড়া চড়ুই পাখি।ঐ চড়ুই পাখির মতই ঐ ঘরে বাস করে আরো ৩টি প্রাণী।তারাও চড়ুইদের থেকে কম সুখী নয়।সালেহা গ্রামের একজন আদর্শ বৌ এর প্রতিচ্ছবি।সে তার শ্বাশুড়ি ফজিলা বেগমকে খুব সম্মান করে।ফজিলা বেগমও ছেলের বৌকে খুব ভালোবাসেন।তাদের বউ শ্বাশুড়ির সম্পর্ক একটা ভালোবাসার বন্ধন দ্বারা আবদ্ধ। মাসুম একজন রিক্সাচালক।সারাদিনের মাথার ঘাম পায়ে ফেলা পরিশ্রমের বিনিময়ে উপার্জিত টাকা দিয়ে চাল,ডাল কিনে সে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরে।তারপর রান্নাবান্না হয়। রাতে খাওয়ার পর কোন কোন দিন আকাশের বুক ভেদ করে ঝলসানো রুটির মত বড় একটা চাঁদ ওঠে।সেই দিনগুলোতে ফজিলা বেগম ছেলে ও বৌমার সাথে উঠানে মাদুর পেতে বসেন।তিনি অতীতের গল্প শুরু করেন।তখন তাকে দেখলে মনে হয় তিনি অন্য এক যুগে প্রবেশ করেছেন।অ...তী....ত এর সাগরে তারা হারিয়ে যান।এভাবেই তাদের রাত পার হয়ে যায়...... প্রকৃত অর্থে সুখের জন্য টাকা পয়সার দরকার হয় না।ফজিলা বেগমের ছোট্ট ছনের কুটিরে যে সুখ বিরাজ করে সে সুখ কোটিপটির ঘরে খুঁজে পাওয়া দায়।ফজিলা বেগমের সুখ যে অত্মতৃপ্তির সুখ।সে যে অল্পতেই তৃপ্ত।এই সুখ কোটিপতির ঘরে থাকবে কীভাবে....??? এই সুখকে কোটিপতির ঘরে রাখতে গেলে সুখ যে দম বন্ধ হয়ে মারা যাবে।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৮ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার facebook লিংকটা পেতে পারি?
http://www.facebook.com/sajalahmed01
মন্তব্য করতে লগইন করুন