বইয়ের সাথে বন্ধুত্ব--১

লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০১:৩৭:০৫ দুপুর

বই মানুষের ভালো বন্ধু। মানব জীবনের অভ্যাস গুলোর মধ্যে পাঠ্যাভাস অন্যতম।আপনার মন খারাপ? কিছুই ভালো লাগছেনা?নিঃসঙ্গতার গ্রাসে নিমজ্জিত? প্রচন্ড মানসিক যন্ত্রনার মধ্যে জীবন কাটাতে হচ্ছে। জীবনে যখন এ ধরনের সমস্যা এসে হাজির হয়, যখন কোনো সমাধান পাওয়া যায় না। তখন আপনার পাশে বন্ধু হয়ে দাঁড়াতে পারে বই ।

একবিংশ শতাব্দির স্যাটেলাইট যুগে ছেলে মেয়েরা টিভি দেখা,আড্ডা দেয়ার প্রতি যতটুকু উৎসাহী,বই পড়ার প্রতি ততটা নয়। ঘন্টার পর ঘন্টা টিভির সামনে বসে সময় পার করে দিচ্ছে। আড্ডা দিয়ে সময় কাটাচ্ছে। কিন্তু একটি বই হাতে নিলে ১০ মিনিট স্থির থাকতে পারছেনা। আমরা আশপাশে তাকালে সেটাই দেখি। তবে আগামীতে একটা সুখী,সমৃদ্ধ এবং শিক্ষিত জাতি পেতে আজকের তরুণ প্রজন্মের হাতে বই তুলে দেয়ার বিকল্প নেই। তরুণদের বইয়ের প্রতি ভালোবাসা বা বন্ধুত্ব তৈরির বিষয়ে যা করতে হবে।

অভ্যাস হোক পরিবার থেকেই : পরিবারই হল মানুষের জীবনে প্রথম এবং গুরুত্ব পূর্ণ স্কুল। নৈতিক-সামাজিক যত ধরনের গুণাবলি আছে সবকিছুর শিক্ষাই হতে হবে পরিবার থেকে। ছোট্টবেলা থেকেই সন্তানের হাতে তুলে দিতে হবে বই।একটি সৃষ্টিশীল বই আপনার সন্তানের মনোজগতকে প্রভাবিত করবে। আলোড়িত করবে ভেতরের জগতকে প্রচন্ডভাবে । বয়স অনুযায়ী বইগুলো সন্তানের হাতে নিয়মিত তুলে দিতে হবে। খেলাধুলা,পারিবারিক বিনোদনের পশাপাশি মনের বিকাশের জন্যে বইয়ের বিকল্প নেই। প্রতিদিনই শিশুর সঙ্গে কিছু না কিছু পড়ার চেষ্টা করুন। পড়ার জন্যে এমন কোনো বিষয় বেছে নিন যা শিশুর সঙ্গে সঙ্গে আপনারও ভালো লাগবে। বই পড়তে আপনার সন্তানকে উৎসাহীত করুন।আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বইয়ের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে সবার আগে অভিবাবকদের এগিয়ে আসতে হবে। বই পড়ার জন্য নিজে এবং সন্তান কিংবা ছোট ভাই বোনদের জন্য অবসর সময় বা ছুটির দিনগুলোকে বেছে নিন।একটা গল্প বা উপন্যাস পড়ে আপনার ভালো না লাগার মানেই কি দুনিয়ার সব বই একই রকম একঘেয়ে বিরক্তিকর? কাজেই বই পড়াকে অর্থহীন বলার আগে কয়েক রকম বই বই পড়ে দেখতে পরামর্শ দিন আপনার সন্তানকে। তার কাছ থেকে জেনে নিন কোন বইটি পড়তে ভালো লাগছে। তারপর সেরকম আরও কিছু বই কিনে দিন তাকে পড়ার জন্যে। ছোটবেলা থেকেই ছেলে মেয়েদের ভালো মননশীল বইয়ের প্রতি উৎসাহী করে তোলা উচিত। তাদের একটা কথা বুঝিয়ে বলুন, পড়ার বিকল্প নেই। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয় সাহিত্য,রাজনীতি,সমাজ, বিখ্যাত ব্যাক্তিদের জীবনি, বিষয়ভিত্তিক বই পড়তে ধীরে ধীরে আগ্রহী করে তুলুন।

বিষয়: বিবিধ

১০৪৯ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

171937
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০৩
বুড়া মিয়া লিখেছেন : একা একা বই পড়ায় অনেক সময় নষ্ট হয় আসলে।

যেমন ধরে আমি ১৫০০ পৃষ্ঠার একটা বই পড়বো, প্রতিদিন ৫০ পৃষ্ঠা করে আমার সেটা শেষ করতে লাগবে ৩০ দিন। এক্ষেত্রে কো-অপারেশন করে নিলে মানে – ১৫ জনের কটা গ্রুপ থাকবে ২ দিনে একেকজন ১০০ পৃষ্ঠা করে পড়বে, এবং পরের ৩ দিনে একেকজন গ্রুপের অন্যদেরকে আলোচনার মাধ্যমে সে-সমস্ত পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু জানাবে, এভাবে আমরা ১৫ জনই ৩০ দিনের বদলে ৫ দিনে বইটা হজম করতে পারি, সামাজিকতাও বিদ্যমান থাকবে, জানা-শোনা মানুষের সংখ্যাও বাড়বে, গ্রুপ সমালোচনায় নতুন কিছু বের হয়েও আসবে – এরকম অনেক কিছু।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২২
125761
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : আমি আপনার সাথে একমত। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য
171947
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৪০
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : বিজ্ঞানসম্মত ও কার্যকরী আইডিয়া, এভাবে আমরা বই পড়তে পারি। ধন্যবাদ পোস্টদাতা ও মন্তব্যকারীকে।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৫
125762
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : এই প্রথম আপনি আমার পোস্টে মন্তব্য করলেন। খুব খুশি হলাম। ধন্যবাদ
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:০৪
125986
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : ধন্যবাদ ইশতিয়াক ভাই, আপনার গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে মন্তব্য করতে পারায়। আপনার জন্য দোয়া রইল।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:০৮
126024
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ বড় ভাই। দোয়া করবেন যেন ভালো কিছু করতে পারি।
171963
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:০৪
ইক্লিপ্স লিখেছেন : দারুণ বলেছেন। বই পড়ার কোন বিকল্প নেই।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৯
125764
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : আরে আপু! আমি ভুল দেখছিনা তো? আপনি আমার পোস্টে মন্তব্য করেছেন! খুব খুশি হলাম আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
172236
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:৫৯
ভিশু লিখেছেন : সুন্দর কথা, ভালো লেখা...Thumbs Up Rose
শুভকামনা রইলো...Happy Good Luck
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১০
126025
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : ধন্যবাদ ভিশু ভাই। দোয়া করবেন আমার জন্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File