বুঝা সত্ব্যেও তারা অবুঝ
লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ৩০ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৮:২৩:৫৮ সকাল
ঠিক সকাল ৭টা হবে| ফজরের নামাজ পড়েই সোজা লেপের নিচে সুয়ে সুয়ে"দুরবীন" নাটকটা দেখতেছিলাম| হঠাৎ কলিং বেলের শব্দ| এত্ত সকাল সকাল আবার কে আসলো...আমাদের জমিদার বুয়া ত ৯টা না বাজলেআসে না|তাহলে এই সাত সকালে এইটা কে আসলো....জোরপুর্বক অনিচ্চা স্বত্যে ও লেপটাকে এক ঝাপটাই দেহের উপর থেকে সরিয়ে ফেললাম| এখন শরীরে থাকতে বলতে,সাদা পাতলা গেন্জিটা এবং ফোর কোয়ার্টার প্যান্ট টা| বিরক্তিকর ভাবে দরজাটা খুললাম| খুলেই ৫টন ওজনের একটা টাষ্কি খায়লাম।আরেহৃ, এতো স্বয়ং আকাশ থেকে নেমে আসা পরি| খুব মায়াবি তার চোথের দৃ্ষ্টি। অনেক্ষন তার চোখ থেকে চোখ সরাতে পারলাম না| কখন যে তাকে নিয়ে স্বপ্নে বিভর হয়ে গেছি তা টেরই পাইনি| হঠাৎ টের পেলাম তার মিষ্টির মুখের,সুললিত কন্ঠের মন মাতানো একখান হাসিতে|দেখি ঐ মাইয়া আমার বডির নিচের দিকেতাকিয়ে খিলখিল করে হাসতেছে| ব্যাপারটা বুঝার জন্যে নিচে খেয়াল করলাম|C C C . . . ..................আমার প্যান্টাতো দেখি যথাস্থান থেকে নেমে দেহের কোনো এক বেরিকেটে আটকে আছে|সর্বনাশ !!!এই মাইয়া তো আমার সবকিছু....তারাহুরা করে এক ঝটকায় প্যান্টা সরাৎ করে যথাস্থানে আনলাম| বললাম,এই মেয়ে কে আপনি? কি চাই এত্তসকাল সকাল? ত ঐ মাইয়া তো দেহি আমার কথায় কর্ণপাত না করে হো হো করে হাসকেই আছে।দেখি সোজা কথায় কাজ হবে না|তাই একটা ঝারি দিলাম,এই যে মেয়ে কথা বলছেন না যে|এইবার মেয়েটি যা বললো তার জন্যে আমি একটু ও প্রস্তুত ছিলাম না| সে বললো, স্যার আমি চাঁদনি| আম্মা আমারে পাঠাইলো,আপনার নাকি খুব জর! আম্মা ও গত রাত্তে এখান থেকে গিয়ে জ্বর ও ঠান্ডায় ভুগছে|আপনি নাকি এখানে একা থাকেন|আপনার আব্বু আম্মু নাকি দেশের বাড়িতে থাকেন| আপনাকে এই অবস্থায় একা রাখলে যদি কোনো সমস্যা হয় তাই আম্মা আমারে পাঠাইলো|তার কথা শুনে আমার মনের ভীতর এখন হাজারো চিন্তা|সব চিন্তার অবশান ঘটিয়ে মেয়েটিকে বললাম,তুমি দাড়াও আমি ভীতর থেকে আসতেছি| আমার মানিব্যাগ থেকে ৭০০ টা টাকা তার হাতে দিয়ে বললাম,নাও এই টাকা গুলি গিয়ে তোমার আম্মুকে দিবে|যেনঅসুধ কিনে খায়| আর আমার কথা বলবে যে আমি এখন সুস্থ আছি(যদিও অসুস্থইছিলাম)| তোমাকে থাকা লাগবে না|তুমি যাও।আর তোমার আম্মা যতদিন সুস্থ না হচ্ছে ততদিন আসার দরকার নেই| মেয়েটি টাকা গুলো নিয়ে চলে গেল|আমি তার পথপানে চেয়ে থাকলাম|আবার হাজারো চিন্তা এসে আমাকে আকৃষ্ট করলো-এই মেয়েটার বয়স কত হবে? খুবজোর ১২ কিংবা ১৩? আমার কেয়ার টেকার রুপালি আন্টির মেয়ে সে| এখানে আমি একা থাকি বলে আব্বু ওকে আমার কেয়ারের জন্যে রেখেছিল|আন্টি একদিন বলেছিল যে তার একটা মেয়ে আছে| রাজশাহী PN স্কুলে পড়ে| এইবার jsc দিবে| ক্লাশের secound student সে|এত গুলা গুন থাকা স্বত্যে ও তার স্থান কোথায়? ভাবতে খুব কষ্ট লাগে|তার মা কি এটা বুঝে না, যে নির্জন বাড়িতে একজন যুবক ছেলের কাছে একটা সুন্দরি তরুনি মেয়েটাকে তার কেয়ার টেকার হিসেবে পাঠালে কি অবস্থা হতে পারে! তারা সব বুঝে| বুঝা স্বত্যে ও তারা অবুঝ।কারন কি?কারন হচ্ছে তারাগরিব,অসহায়,অভাবি,বড়লোকের দাস|হয়তো আজ মেয়েটাকে না পাঠালে তার চাকরিটাই যাবে| কত কষ্ট করে চাকরিটা জোগিয়েছে| চাকরিটা গেলে তনা খেয়ে মরতে হবে|এই চাকরিটাই তাদের সম্বল|তাদের আশা|তাদের ভরসা।আমরা যারা বড়লোক নামের কিছু কুলাঞ্জার আছি তারা সবসময় ওদের অসহায়ের সুযোগ নিয়ে থাকি| তাদের বিপদ দেখলেই হুট করে উদায় হই তাদেরসামনে|নিজেকে তাদের বিপদ উদ্ধারের ভগবান বলে দাবি করি|তার পর ব্যাশ...হয়ে গেলাম আমরা তাদের ভগবানএখন ভগবান যা বলবে তাই তাদেরকে শুনতে হবে| ব্যাশ ভগবানের কাজ শেষ| এখন ঐ মানুষ রুপি ভগবানদের দাবি কি জানেন?তারা খুব ভদ্র একটা দাবি করবে| তবেদাবিটা খুব বড় না|just আজ রাত্রে আমার বাড়িতে আসলেই হবে|তার পর কি হল?আর কি বলা লাগবে?আমি তা মনে করিনা....................
বিষয়: বিবিধ
১২২৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ নাহ , তারা জানে যে এই একজন যুবক ছেলে খুবই নীতিবান , ধার্মিক - সর্বপরি ভাল ছেলে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন