সবাই তো আর একরকম না?
লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ২৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৭:২০:০৫ সন্ধ্যা
আমাদের পাশের বাসার অ্যান্টির এক মেয়ে ক্লাস সিক্সে পড়ে। কিছুদিন আগে অ্যান্টি তার মেয়ের জন্য অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়া এক পোলাকে টিচার হিসেবে রাখলেন।
প্রথমে কয়েকদিন ঠিক থাকলেও কিছুদিন ধরে উনি লক্ষ করলেন, ওই টিচার আসলে আর যেতে চায় না। স্টুডেন্টের সাথে গল্প জুড়ে দেয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যেখানে কেউ এক ঘণ্টাই ঠিকমতো পড়াতে চায় না সেখানে দেখা যেত ছেলেটা আড়াই তিন ঘণ্টা বসে আছে।
এরপর অ্যান্টি ওই পোলারে বিদায় করে দেয়... ।
এদের জন্যই আমাদের মতো পাবলিকদের রিপুটেশন খারাপ হয়। এরা গিয়ে মেয়ে স্টুডেন্টের সাথে লাইন মারে... আরে ভাই গেছস পড়াইতে ওইটা ঠিকমতো কর... আর লাইন মারতে চাইলে অন্য মেয়ে খুঁজে বের কর। স্টুডেন্টের সাথে ক্যামনে? তাও ক্লাস সিক্সের মেয়ে!!!
এদের জন্যই অভিভাবকরা এখন মেয়েদের জন্য ছেলে টিচার রাখতে চায় না... রাখলেও এমন ভাবে তাকায় যেন টিচার একটা লুইচ্চা...। লুইচ্চা যে নাই তা না, কিন্তু এরা তো নগণ্য সংখ্যক। এদের কারণে আমাদের মতো সাধাসিধে পাবলিকের টিউশনি মাইর যায়। সবাই এখন মেয়ে পড়ানোর জন্য মেয়ে টিচার খুঁজে... । কেন খুঁজে বুঝতেই পারছেন...
লুল ভাইয়ারা প্লিজ লুইচ্চামি বন্ধ করেন কিংবা মেয়ে পড়াতে গিয়ে নিজেকে কন্ট্রোলে রাখেন।স্টুডেন্টকে স্টুডেন্টের দৃষ্টিতে দেখেন। আর অভিভাবকরা দয়া করে আমাদের মতো সাধাসিধে পাবলিকদের কথা চিন্তা করবেন।
বিষয়: বিবিধ
১২২৫ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এখানে খুব ভালো ছেলেও লুইচ্চা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করা যায় না। ...
এখানে খুব ভালো ছেলেও লুইচ্চা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করা যায় না। ...
এক – এক বন্ধু তার স্ত্রীকে নিয়ে মার্কেটে গেছে ঘুরতে, সেখানে কথায় কথায় ঝগড়া বাইধা বন্ধুর বউ বন্ধুর গালে ঠাস কইরা থাপ্পড় মারছে – আশে পাশের সমস্ত পুরুষরা মুখ বুইজা হাইসা উড়াইয়া দিলো, কেউ তার সাহায্যে আসলো না, এবং বন্ধুও কোন প্রতিবাদ করে নাই বলে পরে জানতে পারলাম!
দুই – আরেক বন্ধু সেও তার স্ত্রীকে নিয়ে ৫০ গজ দূরের পাশের আরেক মার্কেটে গেছে অন্য আরেক দিন, সেখানেও তাদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বন্ধু তার স্ত্রীর গালে ঠাস কইরা একটা থাপ্পর মারছে এবং সাথে সাথে তার স্ত্রীর কান্নাকাটিতে আশে পাশের পুরুষ সব আইসা বন্ধুর উপর চড়াও হইছে এবং সে বন্ধু সাহায্যের জন্য আমাদের ফোন দিছে শেষ পর্যন্ত, এখানে বন্ধুর স্ত্রী কান্নাকাটির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাইছে বলে পরে জানতে পারছি!
দুইটাই বাস্তব ঘটনা – এখানে চারিত্রিক পার্থক্যগুলো খেয়াল করেন, প্রথম বন্ধু মাইর খাইছে প্রতিবাদ করে নাই, এবং নিজেদের ব্যাপারে অন্যদের নাক গলানো পছন্দ করে নাই; দ্বীতিয় বন্ধুর স্ত্রী মাইর খাইছে আবার চিল্লাচিল্লি করছে, মানে সে তার স্বামীকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে মানুষ জড়ো করার জন্য চিল্লাইলো; আর পুরুষ মানুষগুলো দেখেন – ভিন জাতি নারীর সাহায্যে এগিয়ে এসেছে সামান্য চিল্লাচিল্লির কারণে, কিন্তু স্বজাতীয় পুরুষের সাহায্যের বদলে হাসি উপহার দিয়ে তার মাইর খাওয়াকে সিনেমাটিক একটা ব্যাপার মনে করে এড়িয়ে গেছে!
আসুন সবাই আমরা সম্মিলিতভাবে নারীদের নিয়মমাফিক সহনশীল পরিমাণে মাইর-ধইর এর কালচার গড়ে তুলি - ভুল করলেই সহনশীল পরিমাণ মাইর দিবো আমরা – বুঝাইলেও যদি বুঝ না মানে, কিন্তু যা খুশী তা তাদের করতে দেয়া যাইতে পারে না! এভাবে সমাজ বদলানো ছাড়া কোন উপায় নাই! আর এটা না করলে আমরা আমাদের পরবর্তী পুরুষ জাতিকে ছলনাময়ী নারীদের তোপের মুখে রেখে যাবো।
একান্ত প্রয়োজনীয় ছাড়া সমস্ত ক্ষেত্রেই নারী এবং পুরুষকে আলাদা করে রাখাটাই শ্রেয়, হোক সেটা শিক্ষা কিংবা কর্মক্ষেত্রে – কারণ অধিকাংশ পুরুষরা বদমাইশ আর অধিকাংশ নারীতা তার চাইতেও বড় বদমাইশ এবং তাদের বান্দ্রামীর চরিত্র চরম। তাই বদমাইশীমুক্ত সমাজ গড়তে চাইলে আলাদা করে রাখার কোন বিকল্প নাই!
মন্তব্য করতে লগইন করুন