জীবন সঙ্গীনিকে হত্যা করার প্রতিবাদে খুনিকে কাঁচা চিবিয়ে খেলেন স্বামী

লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ১৩ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৬:১৭:২৬ সন্ধ্যা

আফ্রিকার একজন নরখাদক এক মুসলিম বাসযাত্রীকে কাঁচা চিবিয়ে খেয়েছেন। মোবাইলে তোলা তার মানুষ ভক্ষণের এই পৈশাচিক দৃশ্যটি ভার্চুয়াল জগতে আলোড়ন তুলেছে।

বিরল এই ঘটনাটি ঘটেছে আফ্রিকার সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সংক্ষেপে কার নামক দেশটির রাজধানী শহর বানগুইতে। ওয়ানদজা মাগলোয়ের নামের ওই খ্রিস্টান নরখাদক তার গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যার প্রতিশোধ নিতেই নাকি এ কাণ্ড করেছেন বলে বিবিসিতে প্রচারিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার বিবিসিতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়,, জনা বিশেক খ্রিস্টান যুবক বানগুই শহরে একজন মুসলিম যাত্রীকে বাস থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনে। এরপর তাকে প্রচণ্ড মারধোর করে এবং তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ সময় হামলাকারীদের একজন তার তার পা ছিড়ে গোগ্রাসে খেতে শুরু করে।

এ নরখাদকের নাম ওয়ানদজা মাগলোয়ের। তবে সে নিজেকে ‘পাগলা কুকুর’ বলতেই বেশি পছন্দ করে। তার দাবি, নিহত ব্যক্তি একজন খুনী। সে ওয়ানদজার গর্ভবতী স্ত্রী, শাশুড়ি এবং তার বাচ্চাকে হত্যা করেছিলো।

ওয়ানদজা বিবিসি প্রতিনিধিকে জানায়, ঘটনার দিন সে ওই লোকটিকে একটি মিনিবাসে দেখতে পেয়ে তার পিছু নেয়। ধীরে ধীরে তার সঙ্গে আরো কয়েকজন যোগ দেয়। সবমিলিয়ে ২০ জন খ্রিস্টান যুবক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাসটিকে ধাওয়া করে।

এরপর তারা বাসের গতিরোধ করে ওই মুসলিম ধর্মাবলম্বীকে বাস থেকে জোর করে নামিয়ে আনে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করে এবং লাশের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এ ঘটনা পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমগুলোতে গুরুত্বের সহকারে প্রচার করা হয়। জেন সিলভেস্ট্রে নামক এক প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান,‘হামলাকারীদের একজনকে দেখলাম নিহতের একটি হাত ছিঁড়ে নিয়ে পাউরুটি দিয়ে খেতে শুরু করেছে।

এ দেখে ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকে বমি করতে শুরু করে। কেউ কেউ ভয়ে কাঁদতে থাকে।’

অলিয়েন গবাবোবু নামক এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে দ্য সানডে টেলিগ্রাফকে জানায়, একজনকে লাশের মাথাটি ছিঁড়ে কাগজে মুড়ে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। মনে হচ্ছিলো সেও খাওয়ার জন্যই মাথাটি নিয়ে গেছে। আর ভিডিও ফুটেজে ‘ম্যাড ডগ’কে মানুষটির পা কামড়ে খেতে দেখা যায়।

সানডে টেলিগ্রাফের মতে মাত্র একজন নয়, একাধিক লোক মানুষের মাংস খাওয়ার মতো এই পাশবিক কাজে অংশ নিয়েছিলো। একজন সাহায্য কর্মীর বরাত দিয়ে পত্রিকাকে আরো জানায়, ‘এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা।

হামলাকারীরা আগে থেকেই তাদের সঙ্গে দিয়াশলাই নিয়ে এসেছিল। এটি দিয়েই তারা তাকে হত্যা করার পর আগুনে পুড়িয়ে খেয়ে নেয়।’ সে সময় উপস্থিত জনতার কেউই নিরস্ত্র লোকটিকে বাঁচাতে বা নরখাদকদের নিহতের মাংস খাওয়া রুখতে এগিয়ে আসেননি।

প্রসঙ্গত, কারে গত ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া খ্রিস্টান-মুসলিম দাঙ্গায় এক হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে।

http://www.dailysokal.com/?p=16944

জাতিগত সংঘর্ষের জের ধরে গত শুক্রবার দেশটির মুসলিম প্রেসিডেন্ট মাইকেল দিগতোদিয়া পদত্যাগ করেছেন। তিনি ছিলেন খ্রিস্টান জনগোষ্ঠি অধ্যুষিত কারের প্রথম মুসলিম শাসক।

বিষয়: বিবিধ

১০৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File