গল্প শুধু গল্পই নয়!

লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ০৩ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৯:১৭:০০ সকাল

একটা গল্প বলি....

একজন গৃহ শিক্ষক খুব ছোট একটি বাচ্চাকে বাসায়

গিয়ে পড়াতো। অনেক যত্ন নিয়ে এক মাস পড়ানো শেষে যখন

বাচ্চার বাবার কাছে বেতন চাইলো তখন বাবা বাচ্চাকে বই

নিয়ে A B C D পড়তে বলল। বাচ্চা ঠিক মতো বলতে পারল না।

বাবা এবার রেগে গিয়ে টিউটরকে বকাঝকা করল এবং বেতন

দিলো না।

বলল, আগে বাচ্চাকে শেখাও তারপর বেতন পাবে। টিউটরের

অনেক মন খারাপ হলো। টিউটর আরো একমাস পড়ালো। মাস

শেষে আবার বাবার সামনে নিয়ে গেলো। বাবা বইতে A

দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলো এটা কি?

বাচ্চা উত্তর দেয় এটা জেড। B জিজ্ঞেস

করলে বলে এটা ওয়াই। মানে সব উল্টাপাল্টা।

টিউটর বলল, আমাকে বেতন দিতে হবে না। যে প্যাচ

লাগিয়ে দিয়ে গেলাম সেটা ছুটাতে অন্য টিচারের কাছে আরো ৬

মাস প্রাইভেট পড়াতে হবে।

বর্তমান রাজনীতিতে ধর্ম এবং মুক্তিযুদ্ধকে মুখোমুখি দাড়

করিয়ে দেয়া হয়েছে। এমন

একটা পরিস্থিতি সৃস্টি হয়েছে যে মুক্তিযুদ্ধের

কথা বলবে সে ধর্ম বিরোধী আর যে ধর্মের

কথা বলবে সে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী।

অথচ ধর্ম যদি আমার মাথা হয় তবে মুক্তিযুদ্ধ আমার দেহ।

কোনটাকেই অস্বীকার করার জো নেই। অথচ

কি শেখাচ্ছি আমাদের নতুন প্রজন্মকে?

এভাবে চলতে থাকলে ঠিকই ওরা যে কোন

একটাকে বেছে নেবে এবং অন্যটিকে ঘৃনা করবে।

ভবিষ্যতে দুটোকে একসাথে স্বীকার করার

মতো পরিস্থিতি থাকবে না, বর্তমানেও নেই। নিজ

স্বার্থে যারা ধর্ম এবং মুক্তিযুদ্ধকে নগ্ন ভাবে ব্যাবহার

করছে তারা নিক্ষিপ্ত হবে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে।

বিষয়: সাহিত্য

১১৭৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

158612
০৩ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : এর জন্য দায়ী ইসলামবিদ্বেশি বাম ও মডারেট ডেমোক্রেটিক ইসলামিস্টরা। বামরা ১৯৬০ থেকেই এদেশকে আলাদা করার চিন্তাতে ছিল।তখন পশ্চিমবঙ্গেও নকশালরা কাজ করছিল। বামরা যখন দেখল এদেশে জাতিয়তাবাদ ও গণতন্ত্র নিয়ে পরিস্হিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে তখন তাদের টার্গেট ছিল "এদেশ স্বাধীন করে সমাজতন্ত্র কায়েম করবে"। তাই তারা তাদের লক্ষ্যে ছিল অটুট। মুক্তিযুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছে তাদের অধিকাংশই ছিল সাধারণ মানুষ। রাজনীতির সাথে তাদের তেমন সংশ্লিষ্টতা ছিলনা। চোখের সামনে গণহত্যা, আপন মানুষকে হারানোর ক্ষোভ থেকেই তারা যুদ্ধে গিয়েছিল কোন তন্ত্র-মন্ত্র নিয়ে তারা মাথা ঘামাতো না।মেজর জলিল তার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইতে তাই প্রশ্ন করেছেন: মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি দেখেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা নামাজ পড়ে,কোরান পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়েছেন। তাদের মাঝে ইসলাম বিরোধীতার লেশ ছিলনা অথচ আজ এমন কি হল যে, মুক্তিযুদ্ধ মানেই ইসলাম এর নাম-নিশানা মুছে ফেলতে হবে? যুদ্ধের পর বাম মনিসিংহরা সরকারী পদে আসার পর তাই নিজেদের পরিকল্পনা মাফিক ইসলাম মুক্ত করণের কাজ শুরু করে। এবং নিজেদের লক্ষ্যকে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বলে প্রচার করে। আর আজ বামেরাই দেশের মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করে ফলে তাদের জয়জয়কার। আর মডারেট ডেমোক্রাট ইসলামিস্টরাই দায়ী পাকিস্তানে এত জটিলতার জন্মের পেছনে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ঠ্রের জন্ম দেয়ার উদ্দেশ্যই ছিল উপমহাদেশের মুসলিমদের বিভক্ত করা। পাকিস্তানের জন্ম হয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। ভারত স্বাধীনতার বেশ কয়েক বছর আগেই শিক্ষানীতি, সংবিধান, ভাষা ইত্যাদি সমস্যা গুলোর সমাধান করে ফেলেছিল। তখন শিয়া মুহাম্মদ আলী জিন্নাহকে ব্রিটিশরা প্রশ্ন করেছিল তোমাদের সংবিধান কি হবে? সে উত্তর দিয়েছিল: কুরান এন্ড সুন্নাহ। কিন্তু সে নিজেই ছিল সেকুলার ফলে পাকিস্তানের মুসলিমরা সেই কোরান সুন্নাহ এর সংবিধান কোনদিন চোখেও দেখেনি। সে এদেশে সেকুলারিজম কায়েম করেছিল। গণতান্ত্রিক একাধিক দল এদেশে জন্ম নেয়। যা ঐক্য ধ্বংশের প্রথম পদক্ষেপ ছিল।
" সূরা হামিম: ১০, পারা ২৬:-- "মুসলিমরা পরস্পর ভাই ভাই" " আল ইমরান: ১০৩: তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়োনা। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্বরণ কর: তোমরা ছিলে পরস্পর শত্রু এবং তিনি তোমাদের হৃদয়ে প্রীতির সঞ্চার করেন, ফলে তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে। তোমরা তো অগ্নিকুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হইতে তোমাদিগকে রক্ষা করিয়াছেন। এইরূপে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাহার নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃত করেন যাহাতে তোমরা সৎ পথ পাইতে পার। ১০৪: তোমাদের মধ্যে এমন একদল হউক যাহারা কল্যাণের দিকে আহবান করিবে এবং সৎকার্যের নির্দেশ দিবে ও অসৎকার্যে নিষেধ করিবে, ইহারাই সফলকাম। ১০৫: তোমরা তাহাদের মত হইও না যাহারা তাহাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসিবার পর বিচ্ছিন্ন হইয়াছে ও নিজেদের মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি করিয়াছে। তাহাদের জন্য মহাশাস্তি রহিয়াছে।"
কিন্তু পরিতাপের বিষয় পাকিস্তানে মডারেট ইসলামিক মুভমেন্টের জন্ম দেয়া হয় কিছু মডারেট ইসলামিস্টদের মাধ্যমে।উদাহরণ:জামায়াত, মুসলিম। তারা গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ইসলামকে একিভূত করে নতুন রাজনৈতিক তত্ত্ব দাড় করান। ফলে ইসলামের বিপরীতে যে সেকুলার গণতন্ত্র পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠা করা হয় তাকে কেন্দ্র করে এসব মডারেট ইসলামিক পার্টি ও সাধারণ গণতান্ত্রিক দলগুলো পাকিস্তানের মুসলিমদের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব নষ্ট করে দেয় এবং তাদের বিভক্ত করে নানা দলে ও মতে। অন্যদিকে সামরিক বাহিনী তাতে আরো ঘি ঢালে। জিন্নাহ নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি করে ভাষা প্রশ্নে: সে উর্দূকে রাষ্ঠ্রভাষা করতে চায় এবং বাংলা ভাষাকে বাংলা অক্ষরের বদলে আরবি হরফে লেখার জন্য প্রচেষ্টা চালায়।অন্যদিকে চাকরি ক্ষেত্রে ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধায় বঞ্চনার দরুণ পাকিস্তান রাষ্ঠ্রে জন্ম নেয় বাঙ্গালী ও পাকিস্তানি জাতিয়তাবাদ। অথচ ইসলামে জাতীয়তাবাদের সামান্যতম স্হান নেই। কিন্তু মডারেট ইসলামিস্টরা পাকিস্তানী জাতিয়তাবাদকে মুসলমানিত্ব বলে প্রচার করতে থাকে। যার পেছনে কোন কুরান-সুন্নাহ নির্ভর সমর্থন ছিলনা। বর্তমান পাকিস্তানের নিরীহ মানুষ, আলেম, মাদ্রাসার ছাত্রদের উপর পাক শাসক ও সেনাবাহিনীর গণহত্যা,নির্যাতন এবং নিজ দেশের মানুষকে জঙ্গী বলে মার্কিনিদের হাতে তুলে দেয়া এবং জঙ্গী দমনের নামে সিমান্তে মার্কিন ড্রোন দিয়ে মানুষ হত্যা দেখলেই বোঝা যায় "একাত্তরে তাদের আচরণ কেমন ছিল?" এ কথাও সত্যি আজ মডারেট ইসলামি দলের কিছু নেতার বিরুদ্ধে যেভাবে গণহত্যা, ধর্ষনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয় তা অনেকাংশে মিথ্যা বা বিতর্কিত তবে পাশাপাশি এটিও সত্যি তখন পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার পক্ষে অবস্হান নিলেও তারা গণহত্যা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধেও স্পষ্ট অবস্হান নিতে ব্যার্থ হয়েছিল বা সুবিধাবাদি মানষিকতার জন্য তারা চুপ ছিল যা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য না। আবার এটাও সত্যি ৩০ লাখ, না ৩লাখ এ ইতিহাস নিয়েও ৪৩ বছর ধরে আমাদের মাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। কাজেই মুনাফিক পাক শাসক, সেনাবাহিনীর ব্যার্থতা থেকে জন্ম নেয়া মডারেট ইসলামিস্ট ও বামদের যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল তা আজ তাদের মাঝে সীমাবদ্ধ নেই বরং সিংহভাগ মানুষের চেতনা ও ধর্মীয় অনুভূতিকে চরমভাবে আঁঘাত করে চলেছে। এ যুদ্ধ এত সহজে থামবার না।
০৩ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৩০
113475
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : অনেক কিছু জানতে পারলাম । ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File