দয়া করে পড়ার অনুরোধ রইল¤¤ ছোট কিংবা বড় ভাইয়া কিংবা আপু সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলছি;;;;;
লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৯:১৩:১৭ সকাল
ইসলামে পোশাকের
আটটি মূলনীতি;
১.পোশাক-পরিচ্ছদ
টাইট বা আঁটসাঁট
হওয়া চলবে না। অর্থাৎ
পোশাক
হতে হবে ঢিলে ঢালা।
এমন পোশাক পরিধান
করা যাবে না,যে পোশাক
পরিধান করার পরও
লজ্জাস্থানের অবয়ব
বোঝা যায়। রাসূলুল্লাহ
সা: ওই সব লোকদের
অভিসম্পাত করেছেন
যারা পোশাক পরার
পরও উলঙ্গ থাকে। ২.এমন
পাতলা বা ফিনফিনে কাপড়
পড়া যাবে না যে কাপড়
পরার পরও লজ্জাস্থান
দেখা যায়। ৩.নারী-
পুরুষের এবং পুরুষ-
নারীর পোশাক পরিধান
করা যাবে না। এখন
অনেক ছেলেদের
দেখা যায়
যারা হাতে বিভিন্ন
রকমের বালা পরিধান
করে, কানে দুল
দেয়,গলায়
মালা বা চেইন
পরে,পাঞ্জাবির
সাথে ওড়না পরে ইত্যাদি।
অন্য
দিকে মেয়েরা তাদের
নিজস্ব পোশাক
পরিধানের
পরিবর্তে জিন্সের
প্যান্ট,টিশার্ট, স্কিন
টাইট
গেঞ্জি,পাঞ্জাবি ইত্যাদি পরিধানকরছে।
রাসূলুল্লাহ সা: ওই
সবপুরুষকে লা’নত
করেছেন যারা নারীর
বেশ ধারণকরে এবং ওই
সব নারীকে লা’নত
করেছেন যারা পুরুষের
বেশ ধারণ করে।
৪.পুরুষের স্বর্ণের
অলঙ্কার পরা যাবে না।
স্বর্ণ পুরুষের জন্য
হারাম। অনেক
ছেলেদের দেখা যায়
গলায় স্বর্ণের চেইন
ব্যবহার করে।
হাতে স্বর্ণের
আংটি পরে। বিশেষ
করে বিয়েতে মেয়ে পক্ষ
ছেলেকে স্বর্ণের
আংটি ও গলার চেইন
দেয়। হজরত আবু
হুরাইয়া রা:
থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন রাসূল
সা:পুরুষকে স্বর্ণের
আংটি পরতে নিষেধ
করেছেন।শুধু আংটি নয়,
পুরুষের জন্য স্বর্ণের
যেকোনো অলঙ্কার
হারাম। ৫.পুরুষের
রেশমি কাপড় পরিধান
করা যাবে না।
এটা পুরুষের জন্য
হারাম।রাসূলুল্লাহ সা:
ইরশাদ করেছেন,
যে ব্যক্তি দুনিয়াতে রেশমি কাপ
পরিধান
করবে আখেরাতে তার
জন্য কোনো অংশ নেই।
অন্য
একটি হাদিসে ইরশাদ
হয়েছে,রেশমি কাপড়
দুনিয়াতে কাফেরদের
জন্য আর মুমিনদের জন্য
পরকালে। ৬.বিজাতীয়
পোশাক পরিধান
করা যাবে না। অন্য
ধর্মাবলম্বীদের
নির্ধারিত ধর্মীয়
প্রতীক ব্যবহার
করে এমন পোশাক
পরিধান করা জায়েজ
নেই। যেমন
খ্রিষ্টানদের ক্রুশ
অঙ্কিত পোশাক,
হিন্দুদের
মতো উল্কি আঁকা,সিঁদুর
পরা ইত্যাদি।
রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ
করেছেন,
যে ব্যক্তি অন্য
কোনো জাতির অনুসরণ
করবে সে সেই জাতির
উম্মত হিসেবে গণ্য
হবে। রাসূলুল্লাহ সা:
ইরশাদ করেছেন, লা’নত
বর্ষিত হোক সেই সব
নারীর ওপর
যারা উল্কি এঁকে নেয়
এবং যারা উল্কি আঁকায়,যারা চুল
উঠিয়ে ফেলে, ভ্রূ প্লাক
করে,সৌন্দর্য
বৃদ্ধিরজন্য দাঁত
কেটে চিকন
করে,দাঁতের মধ্যে ফাঁক
সৃষ্টি করে যা আল্লাহর
সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন
এনে দেয়।
৭.বেশি চাকচিক্য
পোশাক পরিধান
করা যাবে না,যাতে বিপরীত
লিঙ্গকে আকৃষ্ট করে।
নারী-পুরুষ উভয়ই পর
নারী বা পর
পুরুষকে আকৃষ্ট করার
জন্য বেশি চাকচিক্য
পোশাক পরিধান
করা যাবে না।
বিশেষকরে নারীরা এ
ব্যাপারে সতর্ক
থাকবে। মহান আল্লাহ
ইরশাদ করেছেন,
‘তারা যেন (নারীরা)
যা সাধারণত
প্রকাশমান এমন
সৌন্দর্যছাড়া অতিরিক্ত
সৌন্দর্য প্রদর্শন
না করে বেড়ায়।’ ৮.
পুরুষের টাকনুর
নিচে পোশাক পরিধান
করা যাবে না। আজকাল
অধিকাংশ
পুরুষকে দেখা যায়
তারা তাদের প্যান্ট
পায়ের পাতা পর্যন্ত
ঝুল দেয়। এর
মধ্যে যারা নামাজি তারা নামা সময়
তাদের প্যান্ট টাকনু
পর্যন্ত গুছিয়ে নেয়।
আসলে টাকনু পর্যন্ত
কাপড় পরা পুরুষদের সব
সময়ের জন্য আবশ্যক, শুধু
নামাজের সময় নয়।
রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ
করেছেন, ‘যেসব পুরুষ
অহঙ্কারের (ফ্যাশনের)
জন্য টাকনুর
নিচে কাপড় পরে মহান
আল্লাহ কিয়ামতের দিন
তাদের দিকে রহমতের
দৃষ্টিতে তাকাবেন না।’
ধর্মীয় পোশাকের
নীতিমালা মেনে চললে বর্তমান
টিনেজার ও যুব
সমাজকে তাদের সঠিক
পথে চালনা করা সহজহবে।
তাদেরকে চারিত্রিক
অবক্ষয়,ঝরে পড়া সর্বোপরি বিভ
অশ্লীল কাজ
থেকে সম্ভব হবে।
তা ছাড়া আমরা আমাদের
জাতি সত্তা ও ধর্মীয়
সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারব।
এতক্ষন ধৈর্য্য
ধরে পড়ার জন্য
ধন্যবাদ
বিষয়: বিবিধ
১৭৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন