আহমদ শফি হচ্ছেন পরবর্তী ধর্ম মন্ত্রী! ( সময়ের কন্ঠস্বর পত্রিকা )

লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১০:৩২:২২ রাত

আগামী ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফি, বা সংগঠনটির শীর্ষ কোনো নেতাকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হবে। তাদের মধ্য থেকে কাউকে ধর্ম মন্ত্রী,বা প্রতিমন্ত্রী বানানো হবে। এরকম ‘প্রস্তাব’ পেয়ে হেফাজত আগামীকালের রাজধানীর সমাবেশ স্থগিত করেছে। দুটি সূত্র এসব তথ্য জানায়।হেফাজতের দুটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় গিয়ে হেফাজতের তেরো দফার বাস্তবায়ন করবে, এ সংগঠনের কাউকে ধর্ম মন্ত্রী, বা প্রতিমন্ত্রী করা হবে, এ রকম আশ্বাসের পর আগামীকালের সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে হেফাজতের নেতাদেরকে এসব আশ্বাস দেন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ দুই কর্মকর্তা। আজ দুপুর বারোটার দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারি মাদ্রাসায় গিয়ে তারা ওই আশ্বাস দেন। তবে ওই সময় সরকারের কোনো শীর্ষ ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।হেফাজতের কয়েক নেতা জানান, ঢাকার সমাবেশে অংশ নিতে আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারি মাদ্রাসা থেকে শাহ আহমদ শফি রওনা হলে পুলিশ মাদ্রাসার কাছে তাকে আটকে দেন। সমাবেশ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি ছিল সংগঠনটির। হেফাজত নেতাদের ঢাকায় আসতে বাধা দেয়ার ঘটনার পর নেতারা হাটহাজারি মাদ্রায় জরুরি বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ দুইকর্মকর্তা উপস্থিত হন। তারা হেফাজতকে আশ্বাস দেন, আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করে হেফাজতের শীর্ষ কাউকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হবে।সরকারের অন্যতম নীতিনির্ধারক, আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘হেফাজতের কাউকে ধর্ম মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ার আশ্বাস দিয়ে সমাবেশ স্থগিত করানো হয়েছে, এটা সত্য নয়। তাদের কাউকে তা করা হবে না। সংসদ নির্বাচনের মাত্র এগারো দিন আগে সমাবেশ না করতে তাদেরকে সরকার অনুরোধ করেছে। সমাবেশ যেন তারা করতে না পারেন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে সরকার নির্দেশও দিয়েছে।’সূত্র জানায়, আগামীকাল ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার মতিঝিলে হেফাজতের সমাবেশের আয়োজনের ঘোষণা ছিল আগে থেকেই। সংগঠনটির সমাবেশকেসরকার বিরোধী কোনো গোষ্ঠী সরকার পতনের আন্দোলনে ব্যবহার করতে পারে, এরকম আশঙ্কা ছিল সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে। সংগঠনটির সমাবেশের দিন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন থেকে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন, এ আশঙ্কাও ছিল সরকারের। সেজন্য সরকার ওই সমাবেশ হতে না দেয়ার লক্ষ্যে তৎপর ছিল।পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বাধা, সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার পরও হেফাজতের বেশিরভাগ নেতা সমাবেশ আয়োজনের পক্ষে অটল ছিলেন। সবশেষ আওয়ামী লীগের পরবর্তী সরকারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বের আশ্বাস পেয়ে সংগঠনটি আজ দুপুরেসমাবেশ স্থগিত করেছে। সংগঠনটির কেন্দ্রিয় নায়েবে আমির, ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক নূর হোসেন কাসেমি আজ রাজধানীর বারিধারার জামেয়া মাদানিয়া মাদ্রাসায় সংবাদ সম্মলনে আগামীকালের সমাবেশ স্থগিতের ঘোষণা দেন। সরকারের বাধার মুখে সমাবেশ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে তিনি দাবি করেন।চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে জামায়াতের নেতা কাদের মোল্লার যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে গণজাগরণমঞ্চ। এক পর্যায়ে গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের বিরুদ্ধে ‘ব্লগে ধর্ম অবমাননাকর’ লেখার অভিযোগ উঠে। কথিত নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি, ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন পাস করাসহ তেরো দফা দাবিতে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালনে মাঠে নামে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিকসংগঠন হেফাজত।শাহ আহমদ শফি জামায়াত বিরোধী মওলানা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ‘ব্লগে ধর্ম অবমাননার’ বিষয়গুলো তিনি শোনার পর তার নেতৃত্ব মাঠে নামে হেফাজত। সংগঠনটি তের দফা বাস্তবায়নের আলটিমেটামও দেয়। তাদের একর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানায় বিএনপি, সাবেক স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি।চলতি বছরের ৫ মে ঢাকায় হেফাজতের ‘ঢাকা অবরোধ’ কর্মসূচি সহিংসতায় রূপ নেয়। সংগঠনটির নেতাকর্মীরা সেদিন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থান শুরুর ঘোষণা দেন। তবে রাত আড়াইটায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘ফ্লাশ আউট’ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মধ্যরাতে যৌথবাহিনীর সেই অভিযান নিয়ে এখনও ‘বিতর্ক’ চলছে।এরপরেও অন্যান্য সংবাদপত্রে চোখ রাখুন আশা করি আপনাদের ভুল ভাংবে

বিষয়: রাজনীতি

৩৪৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File