অবশ্যই পড়ুন! !!
লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৪:৪৪:২৩ বিকাল
৭১ এর বিকৃত ইতিহাস পড়ে আমরা কেবল পাকিস্তানকেই ঘৃণা করতে শিখেছি। অথচ একবার চিন্তাও করিনি এই যুদ্ধে কি পাকিস্তানের কোন মত ছিল?না এই যুদ্ধে পাকিস্তানের সাধারণ জনগনের কোন হাত ছিলনা, তারা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল কারণ যুদ্ধ হলেই দেশ ভাগ হয়ে যাবে।এদেশের আলেম ওলামাগণও এই যুদ্ধ চায়নি কারণ যুদ্ধ মানেই দেশ ভাগ।মুল যুদ্ধটা সংগঠিত হয়েছিল হাসিনার মত জালিম সরকার ইয়াহিয়া খান ও তার দলবলের জন্য। যুদ্ধটা শুধুই চক্রান্ত।ইয়াহিয়া খান একজন শিয়া, আর শিয়ারা হলো কাফির। অপরদিকে ২৩শে মার্চ যখন বঙ্গবন্ধুকে পশ্চিমে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তারা দেখে বঙ্গবন্ধুর খৎনা দেওয়া নাই,এথেকে তারা বলে বঙ্গবন্ধু অমুসলিম। তারা বুঝে গেছিল বঙ্গবন্ধুর ভারতের এজেন্ট, ক্ষমতায় গিয়ে ভারতের হারে দেশ তুলে দিবে। এজন্য ইয়াহিয়ার নেতৃত্বে কিছু সেনা এদেশেএসে বঙ্গবন্ধুর অনুসারীদের হত্যা করে ফেলেছিল। এরপর কিছু শিয়া সেনা সাধারণ মানুষের উপর হত্যাযজ্ঞ চালায় কিন্তু এই প্রস্তাবনায় মুসলিম সেনা ফিরে যায় এবং চাকরি ছেড়ে দেয় কারণ তারা চাইতনা যুদ্ধ হোক।পাক সেনা যখন কমে গেল তখন ভারত যোগ দিল। এরপরও ৯ মাস ডিফেন্স দিয়ে এসেছে পাক সেনা।এরপর ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী নামক নাস্তিকদের হত্যা করা হয়। এদেশের বর্তমানে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে এসে কৌশলে ইসলামের অবমাননা করা শুরু করেছে শাহবাগীরা ঠিক তেমনি সেদিন বুদ্ধিজীবীরাও পাকিস্তানকে নিষিদ্ধ করতেকরতে ধীরে ধীরে কৌশলে ইসলামের অবমাননা করেছিল ফলে তাদের হত্যা করা হয়। কারণ আজকেআমরা সরাসরি শাগবাগ দেখতে পাচ্ছি তাই এড়িয়ে চলছি, ৭১ এ এটাই করেছিল কিন্তু আমরা সরাসরি দেখিনি তাই আমাদের যে ইতিহাস পড়ানো হয়েছে সেটাই বিশ্বাস করে বসে আছি। আজকের বুদ্ধিজীবী বলতে যেসব নাস্তিক রয়েছে সেদিনও নাস্তিক সেকুলার বুদ্ধিজীবী ছিল।এরপর ভারত সাথে সাথে ইয়াহিয়া খানকে হুমকি দিল পাকিস্তান দখল করার জন্য এতে কোন লাভ হয়নি। আবার ওইদিক থেকে আমাদের উপর এসব অত্যচারের কারণে পাকিস্তানের সাধারণ জনগন ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে "পুর্বে আমাদের ভাইদের হত্যা করা বন্ধকরো"। ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের মুসলিম জনতার চাপে হত্যা যজ্ঞ বন্ধ করে ভারতের সেনার নিকট আত্মসমর্পণ করেছে। অনেকেই ভেবেছে হেরে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে এটা সম্পূর্ণ ভুল, পাকিস্তানের জনগনের চাপেই এসিব বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। কারণ সেদিন ৯৩ হাজার পাক সেনা ছিল আর ভারতের নাপাক সেনা ছিল মাত্র কয়েক হাজার। ইচ্ছা করলে ভারতের সেনা উড়িইয়ে দিতে পারতো।
পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিক আমাদের এখনও নিজেদের ভাইদের মতই দেখে। যারা প্রবাসে আছে তারা দেখবেন পাকিস্তানের ভাইয়েরা আমাদের সাথে কিরুপ আচরণ করে। দেশটা আলাদা হতে পারে কিন্তু পাকিস্তানের চোখে এখনও আমরা ভাই। আর সবচেয়ে বড় কথা বর্তমান পাকিস্তানের জনগন পূর্বের ইতিহাসের জন্য লজ্জিত কারণ এতে তাদের কোন দোষ নেই। আজকে বাংলাদেশে যেমন হাসিনা আমাদের উপর অত্যাচার করছে অথচ আমাদের কিছুই করার নেই ঠিক সেরকম ইয়াহিয়া খান আমাদের উপর এসব করেছে তাদের কিছুই করার ছিলনা।অপরদিকে দেখবেন এই বেঈমান ভারত প্রবাসে আমাদের সাথে কিরুপ আচরণ করে। ভারত আমাদের সাথে কুকুরের মত আচরণ করে।বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন। ভারতের প্রস্তাবনায় দেশ ভাগ করার একটা চাল মাত্র। এই কারণে দেশ ভাগের পরে একে হত্যা করা হয়েছে নতুবা বেঁচে থাকলে আরও সমস্যা করতো। বঙ্গবুন্ধুর আচরণকিংবা পোশাক আশাকে কেউ তাকে মুসলিম বলেনা। তার তো খৎনাই দেওয়া ছিলনা।আজকের এই দিনে প্সচিম পাকিস্তানের সাধারণভাইয়েরা পূর্বপাকিস্তানেযুদ্ধ বন্ধের জন্য সরকার বিরোধী যে আন্দোলন করেছিল তা কেবল পাকিস্তানের গেজেট পর্যন্তই সীমাবদ্ধ, তা আর আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে পড়ানো হয়না। পড়ানো হয় ততটুকুই যতটুকু ভারত আমাদের শেখাতে বলেছে...
(তাহরিক ই তালিবান অব বাংলাদেশ)
https://m.facebook.com/estiak.ahmed.39395
বিষয়: বিবিধ
১১৫৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন