জয় শ্রী রাম ধ্বনিতে মুখরিত গুজরাট ।
লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৫:৪৯:৪৭ সকাল
মাথায় গেরুয়া ফেত্তি বেঁধে লাফিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে পবন পুত্রেরা । হাতে তাদের তরোয়াল, দা, ছুরি, ত্রিশূল, বন্দুক
। চলছে মুসলমান নিধনযজ্ঞ । বস্তিতে বস্তিতে ফায়ার ডাস্ট ছড়িয়ে আগুন লাগানো হচ্ছে । কিলবিলিয়ে পোকার মতো পালাতে থাকা আধপোড়া ছুটন্ত দেহ
গুলোকে গুলিতে ঝাঁজরা করছে করসেবক বাহিনী ।
চলছে লুঠ, ধর্ষণ । এ ধর্ষণ পবিত্র মুসলমানের গর্ভ উপচে পড়ছে হিন্দুর ঔরসে । ওদিকে স্বর্গের টিকিট কনফার্ম করতে পেট চিরে ত্রিশূলের ডগায় ৯
মাসের গর্ভস্থ ভ্রূণকে বিঁধে ফেলেছে আর একজন । পৃথিবীর ইতিহাস এমন বীভৎস মজা আগে কখনও দেখেনি । যোনীতে পেরেক আর রড ঢুকিয়ে ঘুঁটে দেওয়া হয়েছে । দুধের শিশু কে কোল থেকে টেনে দাউ দাউ আগুনে ছুঁড়ে ফেলেছে রাষ্ট্রীয় সয়ংসেবক সঙ্ঘ । সেই আগুন
থেকে শোনা গেছে কচি খুলি ফাটার শব্দ।
মোসলমানের বাচ্চাদের রাস্তায় সার সার দাঁড় করিয়ে গেলানো হয়েছে লিটার
লিটার পেট্রোল,
তারপর মুখে তাদের ঠুকে দেওয়া হয়েছে দেশলাই । মহিলাদের বোরখা খুলে,চুল কামিয়ে গুজরাটের রাস্তায় রাস্তায় নগ্ন
ঘোরানো হচ্ছে । তলোয়ার দিয়ে কেটে নেওয়া হয়েছে যোনী । পথের মধ্যে শুইয়ে যৌনাঙ্গে পুঁতে দেওয়া হয়েছে জিলোটিন সটীক।
মুসলমানদের শেষকৃত্য যেহেতু কবর কাফেন তাই ‘তাদের’ মৃত্যুর পর
হিন্দু বানাতে জ্যান্ত গনদাহ করা হয়েছে । ভয়ার্ত মানুষ যখন পুলিশ
চৌকিতে আশ্রয় চেয়েছে, তখন পুলিশ পালানোর রাস্তা বলে দিয়েছে,
যে রাস্তায় আসলে করসেবকদের ব্যারিকেড । মুখে তাদের স্লোগান,
‘ইয়ে অন্দর কা বাত হ্যায়/পুলিশ হামারা সাথ হ্যায়’।
এটা ছিল ১লা মার্চ ,২০০২ ।
আর নিস্ক্রিয় পুলিশ প্রশাসনের চোখের সামনে মিছিল করে যেদিন ধ্বংস করা। হয়েছিল ৫০০ বছর আগে কার মসজিদ । স্লোগান উঠেছিল-
‘ইয়ে তো সবে ঝাঁকি হ্যায়/
কাশী মথুরা বাকী হ্যায়’...
দিনটা ৬ই ডিসেম্বর,১৯৯২ ।
From brother
# Noor_Sorkar
আজ 3 ডিসেম্বর 2013। দিনে দিনে বেড়েছে অনেক দেনা। সময় এখন কেবল প্রতিরোধেরই নয়, প্রতিশোধেরো বটে। সময় খুবই সন্নিকটে, ইনশাল্লাহ
বিষয়: বিবিধ
১২১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন