মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এখনো কেন জামায়াত আতংক?
লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ২৯ নভেম্বর, ২০১৩, ১০:৩২:০৯ সকাল
বর্তমান সংসদে ওদের মাত্র ২টা এমপি। তন্মধ্যে একজনকে দেয়া হয়েছে আদালত অবমাননা মামলায় সাজা। সেই থেকে তিনি আত্নগোপনে। দলের প্রধান থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় সব নেতা ফাঁসীর মঞ্চে।
সারা দেশে শত শত নয় হাজার হাজার নেতা-কর্মী কারাগারে। পুরো পাঁচ বছর ওদের দেখা মাত্র গুলী চালানো হয়েছে।
জামায়াত নেতার পুত্র হওয়ার অভিযোগে কোন কারন ছাড়াই বহিষ্কার করা হয়েছে সেনা বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেধাবী সেনা কর্মকর্তা আমান আযমীকে। দেশের সরকারী-বেসরকারী সব প্রতিষ্ঠান থেকে ছাটাঁই করা হয়েছে জামায়াত-শিবিরের গন্ধ আছে এমন লোকদের।
নিবন্ধনটুকু কেড়ে নেয়া হয়েছে স্বাধীনতার পর সব সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলটির। দেশবাপী জামায়াত কিংবা ইসলামপন্থী সব শ্রেনী-পেশার মানুষকে হয়রানী করা হয়েছে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম পন্থায়।
এভাবে বলতে গেলে হয়ত শেষ হবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অত্যন্ত দূ:খজনকভাবে আপনি গত ২৭ নভেম্বর জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বললেন। বললেন- জামায়াতের কারনে খালেদা জিয়া নির্বাচনে আসতে পারছেন না।
এমন কি যাদু করেছে জামায়াত যে- শয়নে, স্বপনে, জাগরনে প্রতিনিয়ত জামায়াত আতংকে ভুগেন। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে টকশো সমূহে জামায়াত-ই যেন একমাত্র আলোচনার বিষয় বস্তু।
অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মনে বলি- আজ এ অবস্থায় এসে আপনার জামায়াত আতংক দেখে জাতী দারুন লজ্জা পেয়েছে। এর মাধ্যমে প্রকারান্তরে জামায়াত প্রশ্নে আপনাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব কিংবা অসহায়ত্ব প্রকাশ পেয়েছে।
জানি এই স্ট্যাটাসের পর অনেকেই আমাকে গালী দিবেন। নানা বিশেষন লাগিয়ে দেবেন। কিন্তু একবার অন্তত ভেবে দেখুন - এত কিছুর পরও জামায়াত অপ্রতিরোধ্য-অদম্য কেন? পারলে কার্যকর কিছু করুন।
বর্তমানে বাকশক্তি রুদ্ধ। কোথাও সত্য বলার সূযোগ নেই। ফেসবুকে,ব্লগে এখনো অভিমত ব্যক্ত করার সূযোগ আছে। কখন বন্ধ হয়ে যায় জানিনা। তাই সূযোগ থাকতে সামান্য লেখার এ প্রয়াস।
বিষয়: রাজনীতি
১০১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন