সনাতন হিন্দু ধর্মের ভাগবত পুরাণে আছে পরমাণুর বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য!!!
লিখেছেন লিখেছেন জোসনা বিবি ১৫ নভেম্বর, ২০১৩, ০৬:১৯:৪৮ সকাল
আজ থেকে ১০০ বছর আগেও পরমাণুর সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে মানুষের কোন ধারনাই ছিল না। অথচ ভগবানের অলৌকিক মহিমায় আজ থেকে ৫ হাজার আগেই সনাতন হিন্দু ধর্মের ভাগবত পুরাণে পরমানুর বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞা বিস্তারিত বর্ননা করা হয়েছে। এতেই প্রমান হয় হিন্দু ধর্ম পৃথিবীর অন্যতম সত্যধর্ম। রসায়ন শাস্ত্রের জনক বার্জিলিয়াস, এভাগড্রো, বয়েল............ এবং ইউরোপ-আমেরিকার মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ভাগবত পুরাণে বর্নিত পরমানুর বৈজ্ঞানিক তত্ব ঘেটেই আজকে এত কিছু আবিস্কার করতে পেরেছে।
খেয়াল করে দেখুন পরমাণুর সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্যে সনাতন পুরাণে অবিকল বিজ্ঞানের ভাষা তত্ব ব্যাবহার করা হয়েছে ;
* "চরমঃ সদ্বিশেষাণামনেকোহসংযুতঃ সদা।
পরমাণুঃ স বিজ্ঞেয়ো নৃণামৈক্যভ্রমো যতঃ ।" (ভাগবত পুরাণ ৩/১১/১)
অনুবাদ- জড় জগতের যে ক্ষুদ্রতম অংশ অবিভাজ্য এবং দেহরূপে যাহার গঠন হয় না, তাহাকে বলা হয় পরমাণু । তাহা সর্বদা তাহার অদৃশ্য অস্তিত্ব নিয়া বিদ্যমান থাকে, এমনকি প্রলয়ের পরেও । জড় দেহ এই প্রকার পরমাণুর সমণ্বয়, কিন্তু সাধারণ মানুষের সেই সম্বন্ধে ভ্রান্ত ধারণা রহিয়াছে
* "সত এব পদার্থস্য স্বরুপাবস্থিতস্য যৎ।
কৈবল্যং পরমমহান বিশেষো নিরন্তর।" (ভাগবত পুরাণ ৩/১১/২)
অনুবাদ: পরমাণু হইতেছে ব্যক্ত জগতের চরম অবস্থা। যখন তাহারা বিভিন্ন প্রকারের শরীর নির্মাণ না করিয়া তাহাদের স্বরূপে স্থিত থাকে, তখন তাহাদের বলা হয় পরম-মহত। ভৌতিক রুপে নিশ্চয় অনেক প্রকারের শরীর রহিয়াছে, কিন্তু পরমাণুর দ্বারা সমগ্র জগৎ সৃষ্টি হয়।
* "পরমাণুপরমমহতো-স্ত্বমাদ্যন্তান্তরবর্তী ত্রয়বিধুর:।
আদাবন্তেহপি চ সত্ত্বানাং যদ্ ধ্রুবং তদেবান্তরালেহপি।" (ভাগবত পুরাণ ৬/১৬/৩৬)
অনুবাদ: এই জগতে পরমাণু থেকে শুরু করিয়া বিশাল ব্রহ্মান্ড এবং মহত্তত্ত্ব পর্যন্ত সব কিছুরই আদি, মধ্য এবং অন্তে আপনিই বর্তমান রহিয়াছেন। অথচ আপনি আদি, অন্ত এবং মধ্য রহিত সনাতন। এই তিনটি অবস্থাতেই আপনার অবস্থা উপলব্ধি করা যায় বলিয়া আপনি নিত্য। যখন জগতের অস্তিত্ব থাকে না, তখনও আপনি আদি "শক্তি" রুপে বিদ্যমান থাকেন।
বিষয়: বিবিধ
২৯১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন