কারাগারের খবর সংগ্রহ; জঘন্য সাংবাদিক বিডি কামাল
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তআকাশ ১৩ এপ্রিল, ২০১৫, ১২:৩৩:৫৭ রাত
কামারুজ্জামানের সঙ্গে তার পরিবার শেষ সাক্ষাৎ করে যখন বের হয়েছে। তখন মিডিয়ায় কথা না বলায় বিডি নিউজের কামাল(বিডি কামাল বলে পরিচিত) কামারুজ্জামানের ভাইকে মেরেছে(মাথায় ঘুসি)। অথচ এতবড় একটা ন্যাক্কার জনক ঘটনা নিয়ে কেউ মুখ খোলেনি। নিউজ তো করেইনি, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কেউ বলেনি।
পৃথিবীতে এখনো সাংবাদিকতা পেশাটাই টিকে আছে, যারা তাদের ইথিক্স ঠিক রেখে কাজ করে। কিন্তু ইদানিং বাংলাদেশের কিছু মিডিয়া এবং তার মুষ্টিমেয় সংবাদকর্মীর কুৎসিত কর্মকান্ড এতটায় নিকৃষ্ট হয়ে উঠছে। যা ভাবতেও ঘৃণা লাগে।
সাধারণত কোন লোক মারা গেলে তার সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকরা অনেকগুলো বিষয় খেয়াল রাখে। এটা তাদের ইথিক্স। তার মধ্যে অন্যতম হল নিহতের স্বজনদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়। লোকটি খারাপ থাকলেও তার স্বজনদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়াটায় স্বাভাবিক। এবং একজন বিবেকবান লোকের কাজ।
কিন্তু জামায়াত নেতা কামারু্জ্জামানের ফাঁসির আগে পরিবারের লোকেরা সাক্ষাৎ শেষ করে যখন বের হয়েছে। তখন সাধারণত আত্মীয় স্বজনের সকলেরই খুব ইমোশনাল থাকার কথা। তার ব্যতিক্রমও ঘটেনি কামারুজ্জামানের ভাইয়ের বেলায়।
কারা ফটক থেকে হেটে যখন গাড়ির দিকে যাচ্ছে। তখন সাংবাদিকরা ঘিরে ধরেছে কিছু বলার জন্য। তখন সে বলেছে আমি কিছু বলব না। বলার নেই। .... এতটুকু বলে যখন গাড়ির দিকে হাটছে। তখন পেছন থেকে আরটিভির একজন মহিলা সাংবাদিক চিৎকার করে বলে উঠেছে, ধর.... কথা বলবে না কেন?
তৎক্ষণাত বিডি নিউজের এক সাংবাদিক নাম ‘কামাল’। বিডি কামাল বলে পরিচিত। পেছন থেকে গিয়ে লোকটার মাথায় ঘুসি মেরেছে।
অবস্থা বেগতিক দেখে কামারুজ্জামানের ছোট ছেলে দৌড়ে গিয়ে দ্রুত চাচাকে উদ্ধার করে গাড়িতে গিয়ে বসেছে।
এত বড় একটা নেক্কার জনক ঘটনা ঘটে গেছে কারা ফটকে। ওখানে সংবাদ সংগ্রহে যতজন সাংবাদিক গিয়েছে সবায়ই এই ঘটনা জানে। কেউ নিজে প্রত্যক্ষদর্শী। কেউ বা ছিলনা কিন্তু পরে শুনেছে। তবে অথেন্টিক সোর্স থাকার পরও কেউ নিউজ করেনি। যা খুবই দু:খ জনক।
কিছু মিডিয়া আছে যারা কামারুজ্জামানের পক্ষে নিউজ প্রকাশের বেলায় কার্পণ্য করেনা। সব নিউজ দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। তারাও কাল এই নিউজ করেনি।
আমার প্রশ্ন হল- ধরেই নিলাম কামারুজ্জামান ওই সব অপরাধে অপরাধী। যার কারণে ফাঁসি হয়েছে। কিন্তু তার ভাই তো কোন অপরাধ করেনি। তবে সে কেন মিডিয়ার সামনে কথা না বলার অপরাধে মার খাবে?
আর একজন স্বজন হারা মানুষকে কেনই বা এই সব কথিত বিবেকবান সাংবাদিকরা এমন দু:খ ভরাক্রান্ত সময়ে প্রশ্ন করবে?
তাদের কেউ মারা যাওয়ার সময় বা মারা যাওয়ার পর যদি তাকে এভাবে প্রশ্ন করা হতো। অথবা প্রশ্নের উত্তর না দেয়ায় এভাবে পিটানো হতো তখন তার কেমন লাগতো?
আমার মনে হয় সাংবাদিক হওয়ার অনেক সুযোগ ও সময় পাওয়া যাবে। কিন্তু মানুষ হওয়ার সময় ও সুযোগ অতটা পাওয়া যাবে না । তাই সবার আগে আমাদের মানুষ হওয়া দরকার।
বিষয়: বিবিধ
১৮৭১ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু ব্যাক্তিগতভাবে আমি মনে করি 'পেশার মাহাত্ম্য বলে পৃথিবীতে আজ আর অবশিষ্ট কিছু নেই। বিভিন্ন পেশার যথাযথ ইনস ও আউটস্ না জানার জন্য আমরা একধরনের দৃষ্টিবিভ্রম এ ভুগি। বাংলাদেশের মানুষ রূপী পশুরা দিন কে দিন খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসছে - এটা সিম্পলী আর একটা নিকৃষ্ট কীট এর উদাহরন।
সো আমাদের বরং পশুকে পশু হিসাবে ট্রিট করার মনোবৃত্তি তৈরী করা উচিত। তাহলে এমন অব্যাক্ত কান্নায় ভরা পোষ্ট না হয়ে - এ পোষ্ট হয়তো ভিন্ন কোন হেডিং এর হত।
হিটলার দেশের জন্য অনেক করেছে কিন্তু হাসিনা এই দেশের জন্য শুধু মানুষ হত্যা করেছে। তাই হাসিনাকে হিটলার বললে হিটলারকে অপমান করা হবে। হাসিনা কুকুরের চেয়েও অধম।
নিজে যখন কিছু করতে পারিনা তখন আসমানের দিকে তাকাই।
লোকটার একটা ছবি পোষ্টাইলে অন্তত থুতু দিতে পারতাম।
একটা নীরিহ মানুষকে হত্যার চেয়ে তার অপরাধ ক্ষুদ্র। কিন্তু আতে ঘা লেগেছে...
তাই বলি..জবাব তোমায় দিতেই হবে---
মন্তব্য করতে লগইন করুন