এভাবে আন্দলোন সফল হবে না

লিখেছেন লিখেছেন মুক্তআকাশ ০৭ জানুয়ারি, ২০১৫, ১২:৩৩:৪১ রাত

বিএনপির আন্দলোনের স্টাইল দেখে মনে হচ্ছে জনগণ থেকে বিচ্চুত ও পরিত্যাক্ত হবে।তারা যেটা করছে সেটা সম্পূর্ণই সমন্বয়হীন।গতবছর আন্দোলনে সারাদেশে সফল হলেও ঢাকায় কোন শক্ত অবস্থান গড়তে পারেনি।সেটাও এই সমন্বয়হীনতার কারণেই।

এবারের আন্দোলন ২০১৩ সালের আন্দোলন সম্পূর্ণ আলাদা।হঠাত করে দেশের সকল মানুষকে চমকে দিয়ে আন্দোলনের মাঠ রাতারাতি তেতে উঠল।সরকার বিএনপিকে দমাতে খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ রাখল।কারণ তারা জানতে পেরেছে খালেদা জিয়া বের হতে পারলেই সমাবেশ হবে।সেখানে বিরাট জনসমাগম হবে। আর ব্যপক জনসমাগম ঘটলে বিদেশি মিডিয়াতে ব্যপক প্রভাব পড়বে।

এই কারণে আগামীতে সরকার যে কোন অজুহাতে বিএনপিকে সমাবেশ করতেও দেবেনা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অতএব বিএনপি যদি ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে থেকে আগের স্টাইলে আন্দোলন করে তবে তা কোনদিদন আলোর মুখ দেখবে না।এখন সময় বদলেছে।সরকারের কৌশলেরও ব্যপক পরিবর্তন হয়েছে।অতএব বিএনপিকেও সতর্ক হবে।আন্দোলনের নতুন কৌশল আবিষ্কার করতে হবে।

যেহেতু শুধু আন্দোলন করলেই হবে না।সেটা মিডিয়াতে বিরাট আকারে ফলাও করতে হবে।সেহেতু একযোগে আন্দোলন বা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখানো ছাড়া উপায় নেই।যখন এটা করা হবে তখনই কেবল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেটা সাড়া ফেলবে।

জামায়াতের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে বিএনপির প্রতি তাদের ব্যপক ক্ষোভের কথা জানা যায়।তারা (বিএনপি)এবার আন্দোলন শুরু করেছে মুলত জামায়াতকে অনেকটা অবজ্ঞা করেই।তারা এতবড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েছে অথচ জামায়াত বা ২০ দলের অন্যান্যদের সঙ্গে কোন সমন্বয় করেনি।মনে করেছে তারা অহিংশ আন্দোলন করে ফসল ঘরে তুলবে।কিন্তু সরকার নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে যে তাদের মাঠেই দাড়াতে দেবে না, সেটা তাদের আগেই জানা উচিত ছিল। অথবা এখন অন্তত বোঝা দরকার।

তার পরও জামায়াত মনে করেছিল ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়া নামলে সারা ঢাকায় ব্যপক প্রতিক্রিয়া দেখাবে।পরে যখন তাকে অবরুদ্ধ করে রাখলো, তখন তারা সিদ্ধান্ত নিল বিএনপি নিজেদের ব্যনারে নামলেই কেবল ব্যপক প্রতিক্রিয়া দেখাবে।দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করে যখন নিশ্চিত হল তারা কোথাও নামার মতো শক্তি নেই। তখন তারা কয়েক জায়গায় মিছিলের পর পুলিশের সঙ্গে কিছুক্ষণ সংঘর্ষ করে বাসায় ফিরলো।এর মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সবচেয়ে বেশী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে কুড়িল বিশ্বরোডে।৪৫ মিনিট সংঘর্ষের পর তারা চলে গেছে। অথচ কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। দেখিয়েছে নামলে মোকাবেলাও করা যায়।

এখন সরকার ও প্রশাসনের যে অবস্থান তাতে বিএনপির অবশ্যই উচিত একটি পরিকল্পিত আন্দোলন করা। সে হতে পারে শরীক সব দল মিলে।অথবা নিজেরা মিলে। কম সময়ের হলেও নামতে হবে।

আন্দোলনের সম্ভাব্য নতুন কৌশল:

ঢাকার কয়েকটি স্পটে একযোগে মাঠে নামা নিজেদের ব্যানারে।সাধারণত কোথাও মিছিল হলে পুলিশ ওয়াকি টকিতে যোগাযোগ করে আশপাশের এলাকা থেকে রিজার্ভ এনে সেখানে মোকাবেল করে। এবং ঘিরে ফেলে অভিযান চালায়।এক্ষেত্রে ঢাকার কয়েকটি স্পট যেমন পল্টন, মতিঝিল, শান্তি নগর, শাহাবাগ এরকম বিভিন্ন স্পটে এক যোগে কমান্ড স্টাইলে নামতে হবে।যাতে এক এলাকার পুলিশ খবর দিয়ে অন্য এলাকার পুলিশ না আনতে পারে।বিকেল ৪ টায় সময় দেয়া থাকলে সব জায়গায় ৪টায় শুরু হবে।এতে খুব বেশী নেতাকর্মী প্রয়োজন হবে না। এখানে বাধা দিলে প্রয়োজনে পুলিশকে সেটা ফিরিয়ে দিতে হবে।কারণ একযোগে করলে তারা রিজার্ভ পাবে না।তাই বেশী সহিংস হতে পারবে না।গ্রেপ্তারও খুব বেশী করতে পারবে না।তবে মাঠে নামলে কিছু গ্রেপ্তার হবে সেটা মাথায় রেখেই নামতে হবে।

‘আওয়ামী ও বামপন্থি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কারণে আন্দোলন সফল হচ্ছে না।’ এবিষয়ে বিস্তারিত আরো লিখব আশা করছি ………………….

অপেক্ষা করুন

বিষয়: বিবিধ

১২৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File