এ যুদ্ধে জয় হবেই

লিখেছেন লিখেছেন মুক্তআকাশ ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৮:২৩:১৯ রাত



মানুষ যখন কোন কাজ করে তখন বুঝতে পারেনা সে কত বড় কাজ করে ফেলছে। কিন্তু যখন সেটা হয়ে যায় তখন অনুভব করে সে কিছু একটা করে ফেলেছে।

বর্তমান বাংলাদেশের মানুষ এক বিরাট যু্দ্ধের মধ্যে অবস্থান করছে। কিন্তু সেটা এখন খুব একটা অনুভব করতে পারছে না। এই যুদ্ধ যখন শেষ হবে তখন আবেগের সাথে অনুভব করবে। সে আসলে কিছু একটা করেছিল এই সময়।

দুদিন আ্গে আইনপ্রতিমন্ত্রী শামছুল ইসলাম টুকু বলেছেন, জঙ্গী ও দুষ্কৃতকারিরা এখনও ঢাকায় প্রবেশ করতে পারেনি।

তার মানে মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী ঢাকার বহিরের জেলাগুলো স্বাধীন হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ বিদ্রহীরা জেলাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেছে। এখন ঢাকার নিয়ন্ত্রণ নিলে সেটা হবে দেশ জুড়ে যুদ্ধাবস্থা।

ইতিমধ্যে, ঢাকার বাহিরে ২৬টি জেলায় আইনশৃঙখলা বাহিনীর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। সেখানে সর্বশেষ বিদ্রহীদের সঙ্গে না পেরে যৌথবাহিনীর দ্বারা অভিযান চালিয়েছে।

কিন্তু এই যৌথ বাহিনীর দ্বারা আজীবন ক্ষমতায় থাকা যায় না। সেটা তারা অনুভব হয়তো করছে। কিন্তু আমলে নিচ্ছে না্।

মিশরের সেনা শাসক আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি এখন দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। পাকিস্তানের সেনা শাসক তার ও বিচার হয়েছে।

শেখ হাসিনা কোন সেনাপ্রধান না । তবে সে কিন্তু মহাস্বৈরাচারি শাসকের উপাধি ইতিমধ্যে পেয়েছে। কারণ আমরা এরশাদকে স্বৈরাশাষক বলি যে সে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে জনতার উপর গুলি চালিয়েছিল।

কিন্তু ইতিহাস বলে, এরশাদের সময় মাত্র দুইজন মানুষ , ডা: মিলন ও নূর হোসেন নামের এই লোক দুটোকে গুলি করে মেরেছিল। আর শেখ হাসিনার সময় যে দিন সব চেয়ে কম মানুষ খুন হয় সেদিন হয়তো দুই/তিন হয়।

শেখ হাসিনা যে কাজটাই করেছে সব গুলো তার নিজের বিপদ ডেকে আনার জন্য সকল পথ খুলে দিচ্ছে।

যে ট্রাইবুন্যাল খুলে প্রহসনের বিচার করেছে। এই ট্রাইবুন্যাল যে তাকে ক্ষমা করবে না। তার ফাঁসি দেয়ার জন্য যে এই ট্রাইবুন্যালই যথেষ্ট। সেটা সে বুঝতে পারছে না। আর বুঝলেও সে ক্রোধে পাগল হয়ে সেটা আমলে নিচ্ছেনা।

কিন্তু বাস্তব সত্য হল, ইতিহাস কখোনও পরাজিতদের কথা লেখে না। তাই আজ বিদ্রহীদের পক্ষে কেউ লিখছেনা। কিন্তু আজীবন তারা বিদ্রহী থাকবে না্। তারা একদিন স্বাধীনতাকামীর খেতাব পাবে।

আজ যেমন কারো বাবা, দাদা বা নানা রাজাকার থাকলে রাজাকারে ছেলে, রাজাকারের নাতি, বা রাজাকারের পুতা বলে গালি দেওয়া হয়। অদুর ভবিষ্যতে এমন একটি দিন আসছে, যেদিন গালি দেওয়া হবে আ’লীগের ছেলে, আ’লীগের নাতি বলে।

সেদিন আজকের এই পালিয়ে থাকা, আজকের এই জেল জুলুম সহ্য করা মানুষগুলো ইতিহাসের একএকজন হিরা মুক্তার উপাধি পাবে।

তারা হবে দেশের মুক্তির অগ্রদূত। আর পক্ষান্তরে যারা আজ দালালী করে মহান ব্যক্তির খেতাব পাচ্ছে তারা হবে ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি।

যারা আজ আন্দোলন করছেন তাদেরকে অগ্রীম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি বিজয়ের। কারণ আন্দোলন হল প্রকৃতির মত্। আর প্রকৃতির নিয়ম হল। সুপ্রভাত হওয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে ঘনঘোর অন্ধকার হয়ে থাকে। এবং কিছুক্ষণের মধ্যে তা আবার আলোই ভরে যেতে থাকে।

তাই আপনাদের ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই্ । এই সময়ের এই চরম খারপ অবস্থা এটাই নির্দেশ করে যে খুব শিঘ্রই আমরা বিজয় পাব।





বিষয়: বিবিধ

১১৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File