হুমায়ুনের বিশেষ ভক্ত
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তআকাশ ১৩ নভেম্বর, ২০১৩, ১১:৫১:৫৬ রাত
২০১১ সাল পর্যন্ত প্রয়াত লেখ হুমায়ুন আহমেদকে আমি চিনতাম না। যখন তিনি মারা গেলেন তখন মিডিয়ার মায়া কান্না দেখে আমি অবাক হয়ে গেছিলাম।
যখন মিডিয়া তাদের এই মায়া কান্না কানছিল তখন আমি নিয়মিত এই গুলো দেখতাম।
তখন আমি তখন একটা মেডিকেলে চাকুরী করি। কম্পিউটার অপারেটর এ্যান্ড সফটওয়ার মেন্টেনেন্স পদে। আমার কম্পিউটারেই শুধু ইন্টারনেট ছিল এই শুবাদে আমি সারাদিনই বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় হুমায়ুন সম্পর্কে লেখাগুলো আমি পড়তাম ও পড়ার পর গুরুত্ব পূর্ণ গুলো সেভ করে রাখতাম।
এমন সময় একদিন মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিক কমল ভায়ের বাসায় বেড়াতে গেলে তিনি এবং তৎকালীন সময়ের দেশ টিভির সাংবাদিক সজিব সাদিক ভাই হুমায়ুনের প্রথম বউ গুলতেকিনের লেখা বেইয়ের খোজ করছিলেন। নিউজ করার জন্য।
এর আগে আমি আমার আরেক বড় ভায়ের বাসায় বেড়াতে গেলে সেখানে বসে “ফাইন্টেনপেন” বইটি পেয়ে সেখানে বসেই আমি কয়েক লাইন পড়ি। এর পর কমল ভাই ও সজিব ভাইয়ের বইয়ের খোজ এবং সর্ব শেষ পত্রপত্রিকার লেখা পড়ে মনে মনে স্থির করলাম তার বেইগুলো সময় পেলে এবং বই পেলে পড়ে ফেলব।
সময়ের পরিক্রমায় এক আশ্চর্য লাইব্রেরিতে গিয়ে তার বইগুলো পড়ার সুযোগ হলো। “হলুদ হিমু কালো র্যাব” অদ্ভুত এক কাহিনী । “আসমানীরা তিন বোন” এখানে একটা মনে রাখার মত উক্তি হল ‘মা যাও কাঠালের পাতা আর ঘাস বাদে আর যা পাও সব নিয়ে আস ’ এটা ছাগলে খায় বলে এটা খাওয়া যাবে না। এছাড়া সব কিছুই খাওয়া যাবে।
এভাবে অনেক গুলো বই পড়ে ফেলেছি তার । ভাগ্যের কারণেই সে লাইব্রেরি থেকে বেরিয়ে আসলাম। আর পড়া হলনা।
এছাড়া শেষ পর্যায়ে ক্লাস নেওয়া ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় বই পড়ার শুযোগও বেড়ে গিয়েছিল । যে কারণে আর হয়ে ওঠেনি। এখন সুযোগ খুজছি বাকি বই গুলো পড়ার।
এই অপ্রস্তুত ভক্ত হওয়ার কারণে আমি তার ভক্ত হওয়ার কাহিনী নিয়ে একটা বই লিখব বলেও ভাবছি ।
ভক্ত হওয়ার কাহিনী বিষয়ে বিস্তারিত আগামী কাল লিখব । আজ আর না । অনেক রাত হয়েছে.......
বিষয়: বিবিধ
১৭৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন