বি ডি আর বিদ্রোহ নিয়ে উইকিলিস এর ফাঁস করা তথ্য নিয়ে লেখা ধারাবাহিক পোষ্ট । পড়ুন

লিখেছেন লিখেছেন শাহ নেওয়াজ ফাহাদ ০৬ নভেম্বর, ২০১৩, ১১:৩৯:৪২ রাত

ধারাবাহিক ১০পর্বের ১ম পর্বঃ

বিডিয়ার হত্যাকান্ড ও রায় নিয়ে উইকিলিকসের চাঞ্চল্যকরতথ্য!!

হাসিনা,আ.লীগ ও RAW জড়িত! bdr khoon ডেস্ক রিপোর্টঃ২৫ ফেব্রুআরির পিলখানায় নারকীয় সেনা হত্যাযঙ্গের কথা আজও ভুলতে পারেনি জাতি! কি হয়েছিল সেদিন?কারা বা কাদের নির্দেশে এই হত্যাজঞ্জ সংগঠিত হয়েছিল?? উইকিলিকসের সেই কথাটিই ফাঁস করে দিল-নিচে বিস্তারিতঃসেনা হত্যা নিয়ে সেনাবাহিনীর গঠিত তদন্ত রিপোর্টে মোটামুটি উঠে এসেছিল সব কিছু।কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হাসিনা সে তদন্ত রিপোর্ট বাতিল করে দিয়েছে।তবে অনলাইনের কল্যানে জনগণ সব জেনে গেছে ভেতরের গোপন কথা।বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সৈনিক ও অফিসারজানে – কেনো, কোন পরিকল্পনায়,কারা পিলখানায় ৫৭ সেনা অফিসারহত্যা করেছে?? সেটাইসংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হলো-wek১.RAW: ভারতেরগোয়েন্দা সংস্থা ‘R&AW’এর পরিকল্পনায়ও ব্যবস্থাপনায় ”পিলখানা হত্যাকান্ড” ঘটে। এর মূল লক্ষ ছিল- পাদুয়া ও রৌমারীরঘটনার বদলা নেয়া এবং বিডিআর বাহিনী ধংসকরে দেয়া। ২০০১ সালের এপ্রিলমাসে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বিডিআর-বিএসএফ যুদ্ধে ১৫০ জন বিএসএফ নিহতহয়। এর আগে পাদুয়ায় নিহত হয় ১৫বিএসএফ। বিডিআর ডিজি মেজর জেনারেলএ এল এম ফজলুর রহমানের নির্দেশে ঐ যুদ্ধে অংশ নেয় বিডিআর। ঐ ঘটনারপরে ভারতীয় ডিফেন্স মিনিষ্টার জসবন্ত সিং উত্তপ্ত লোকসভায় জানান, ”এ ঘটনারবদলা নেয়া হবে।” লক্ষ করুন, ১৯৭১সালে যে সব শর্তে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত সামরিক সাহায্য দেয়,তার অন্যতম শর্ত ছিল “Frontier Guardswill be disbanded” (CIA Report SC7941/71). অর্থাৎ বাংলাদেশের কোনো বর্ডার গার্ড থাকবে না। কিন্তুস্বাধীনতার পরে নানা কারনে পাকিস্তানরাইফেলস বালাদেশ রাইফেলসে (বিডিআর)রূপ নেয়। বিডিআরবাহিনীটি ছিলো আধাসামরিক বাহিনী, যার মূলকমান্ড ও ট্রেনিং ছিলো সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের মত। অন্যদিকে ভারতের বিএসএফ ছিলো সিভিল বাহিনী, যাদেরtট্রেনিং, জনবল সবই ছিলো নিম্নমানের।এসব কারনে বর্ডারে কোনো যু্দ্ধহলে তাতে বিডিআর সামরিক পেশাদারিত্ব দিয়ে বিজয়ী হত। bangladesh_mutiny_39­15f পাদুয়া-রৌমারীর বদলা নেয়ার জন্য বিডিআর বাহিনী ধংস করার পরিকল্পনা করে ভারত।এ লক্ষে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী সময় টিকে বেছে নেয়া হয়- যখন হাসিনার নতুন সরকারের ক্ষমতা গ্রহনের পরপর নাজুক সময়। অনেকেই মনে করেন,ভারতীয় পরিকল্পনায় নির্বাচন ছাড়া অপ্রত্যাশিত পদ্ধতিতে হাসিনাকে ক্ষমতায় বসানোর নানা শর্তের মধ্যে একটি গোপন শর্তথাকতে পারে “বিডিআর ধংস করা।” চুড়ান্ত রিস্ক থাকা স্বত্ত্বেও হাসিনাকে তা মেনে নিতে হয়।পরিকল্পনা অনুযায়ী বিডিআর সৈনিকদের দাবীদাওয়ার আড়ালে মুলপ্লানটি বাস্তবায়নের জন্য মোট ৬০কোটি রুপী বরাদ্দ করে ভারত। এরমধ্যে পিলখানায় ১৫ থেকে ১৭কোটি টাকা বিলি হয়,যাতে প্রতিটি অফিসারের মাথার বদলে ৪লক্ষ টাকা ইনাম নির্ধারন করা হয়। ১৯ ও২১ ফেব্রুয়ারী ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থারবাছাই করা ১৫ জনশুটারকে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হয়,যারা পশ্চিম বঙ্গ সরকারের পাঠানো (প্রেমের নিদর্শন) ১ লক্ষ মিষ্টির সাথে বাংলাদেশে ঢুকে। একজন বেসামরিক দর্জি’র কাছ থেকে বিডিআর এর পোশাক বানিয়ে বিডিআর সপ্তাহ উপলক্ষে পিলখানায় উপস্থিত থাকে শুটাররা। তাদের দায়িত্ব ছিলো লাল টেপওয়ালা (কর্নেল ও তদুর্দ্ধ) অফিসারদের হত্যা করা।তারা একটি বেডফোর্ড ট্রাক ব্যাবহার করে ৪ নং গেইট দিয়ে প্রবেশ করে ২৫ তারিখ সকালে। ঘটনার দিন সকাল ১১টায় বাংলাদেশের কোনো সংবাদ মাধ্যম জানারআগেই ভারতের “২৪ ঘন্টা” টিভিতে প্রচারকরা হয় জেনারেল শাকিল সস্ত্রীক নিহত।অর্থাৎ মূল পরিকল্পনা অনুসারেই খবরপ্রচার করে ভারতীয় গণমাধ্যম। At Wits' End

At Wits' End At Wits' End At Wits' End Nail Biting Nail Biting Nail Biting

বিডিয়ার বিদ্রহের উইকিলিক্সের চাঞ্চল্যকর তথ্যঃ এই হত্যাযঞ্জ পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়,বা আর্মির পদক্ষেপে শেখ হাসিনার জীবন বিপন্ন হয়-তবে হাসিনাকে নিরাপদে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতীয় ৩০ হাজার সৈন্য, ছত্রী বাহিনী ও যুদ্ধবিমান আসামের জোরহাট বিমানবন্দরে তৈরী রেখেছিলো ভারত।বিদ্রোহের দিন ভারতের বিমান বাহিনী IL-76হেভি লিফ্ট এবং AN-32 মিডিয়াম লিফ্ট এয়ারক্রাফট নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পূর্ণসহায়তা দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলো।ঐসময় প্রণব মুখার্জীর উক্তি মিডিয়ায় আসে এভাবে, “এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে সব ধরণের সহায়তা দিতে ভারত প্রস্তুত।… আমি তাদের উদ্দেশ্যে কঠোর সতর্ক বাণী পাঠাতে চাই-যারা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। তারা যদি এ কাজ অব্যাহত রাখে, ভারত হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না,প্রয়োজনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে।”2netri২. শেখ হাসিনা : ভারতের এই পরিকল্পনাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হয় বেশ আগেই।পরিকল্পনা-বাস্তবায়নের নিমিত্তে,ঘটনার ১সপ্তাহ আগে তড়িঘড়ি করে প্রধানমন্ত্রীকে সুধাসদন থেকে সরিয়ে যমুনা অতিথি ভবনে নেয়া হয়। কেননা পিলখানার ডেঞ্জার এরিয়ার মধ্যে ছিল ওটা। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার মেরামত শেষ না হওয়া স্বত্ত্বেও ভারতের সিগনালে খুব দ্রুততার সাথে হাসিনাকে সুধাসদন থেকে সরানো হয়।এটা এক অসম্ভব ঘটনা।পিলখানা হত্যাকান্ডের পরিকল্পনায় বিরাট সংখ্যায় সেনা অফিসার হত্যা করা হবে,যেটা ১৯৭৫ সালে তার পিতৃ হত্যারএকটা বদলা হিসাবে হাসিনার কাছে সুখকর ছিলো। এর মাধ্যমে বিডিআর নিশ্চিহ্ন হবে,টার্গেট করে বিপুল সংখ্যক সেনা অফিসার হত্যা করা হলে তাতে মূল সেনাবাহিনীরকোমর ভেঙ্গে যাবে। গোয়েন্দা খবর পেয়ে ২৫ তারিখে পৌনে ন’টার মধ্যেইএন এস আই ডি জি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিতকরে- “পিলখানায় বিদ্রোহ হচ্ছে। ”প্রধানমন্ত্রী নিরব থাকেন!!! আক্রমনের পরে অফিসারদের SOS পেয়ে সকাল ১০টার মধ্যে র্যাবের একটি দল,এবং ১০.২৫মিনিটে-সেনাবাহিনীর একটি দল পিলখানার গেটে পৌছায়। কিন্তু শেখ হাসিনা কোনো অভিযান চালানোর অনুমতি দেয়নি।আশ্চয্য জনকভাবে তিনি সময় ক্ষেপন করতে থাকেন। আর এর মধ্যে ঘটতে থাকে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ।খেয়াল করুন,সেনা অফিসাররা কোনো প্রতিরোধ করেনি,কাজেই কি কারনে বিডিআরসৈনিকরা এতগুলি অফিসারদের হত্যা করবে???? এটা ছিলসুপরিকল্পিতভাবে সেনা অফিসার হত্যাকান্ড। সারাদিন হত্যাকান্ড চালানোর সুযোগ দিয়ে বিকালে শেখহাসিনা হত্যাকারীদের সাথে বৈঠক করে তাদের সাধারন ক্ষমা ঘোষণা করেন। কিন্তু তিনি একবারও জানতে চাননি, ডি জি শাকিলকোথায়? কি বিস্ময়!! জেনারেল জাহাঙ্গীরের তদন্ত কমিটি শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের সুপারিশ করেছিল,যার ফলে হাসিনা ক্ষেপে গিয়ে ঐ রিপোর্টধামাচাপা দেন।

বিষয়: রাজনীতি

৬৩৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File