সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে কিছু করাই যদি গণতন্ত্র না হয়, তাহলে গণতন্ত্র কী?
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আসাদ আলী ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৮:২৪:১৭ রাত
পৃথিবীতে এখন গণতন্ত্রের জয়জয়কার। জয় পাশ্চাত্যেরও। প্রায় সকল জাতিগোষ্ঠীই পাশ্চাত্য থেকে গণতন্ত্র আমদানি করে তার স্বাদ উপভোগ করছে। গণতন্ত্র যেন অমৃতভাণ্ডার, যার ভেতরে অবস্থিত অমৃত মানবজাতিকে অমরতার স্বাদ আস্বাদন করাচ্ছে। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো পাশ্চাত্যের মিডিয়া অনর্গল সে অমৃতের প্রতি মানুষের মোহ বিস্তার করে চলেছে আর সাধারণ মানুষ সুরের মুর্ছনায় হিতাহিত বোধ হারিয়ে সে অমৃতের পানে ছুটছে। অতঃপর চূড়ান্তভাবে এমন ঠিকানায় পৌঁছুচ্ছে যেখান থেকে না সামনে এগোনো যায়, না পেছনে ফেরা যায়। কোনোভাবেই পরিণতি এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। বস্তুত গণতন্ত্রের তত্ত্বকথা আজ পদে পদে মিথ্যা প্রমাণিত হচ্ছে। এর প্রমাণ আমরা সবেমাত্র পেতে শুরু করেছি। গণতন্ত্রের বহুতল ভবনে ফাটল ধরেছে বহু আগেই, এখন যেন বিধ্বস্ত হবার দ্বারপ্রান্তে। যারা অনবরত গণতন্ত্রের মহিমা প্রচার করতে গিয়ে মানবতা, আইন ও অধিকারের মায়াজাল বিস্তার করেন তারাও আজ অস্বীকার করতে পারছেন না যে, গণতন্ত্রের কোনো স্বতন্ত্রতা নেই। একেক জনের কাছে গণতন্ত্রের রূপ একেক রকম। এ এক বহুরূপী মতবাদ। এর সংজ্ঞা সবার কাছেই অভিন্ন, তবে প্রয়োগ ভিন্ন ভিন্ন। এই গণতন্ত্র পাশ্চাত্যে প্রয়োগ করলে একরকম ফল পাওয়া যায়, প্রাচ্যে অন্য রকম। গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে কেউ নায়ক হয়, আবার কেউবা খলনায়ক; কেউ মানুষ মারে-আর কেউ মারতে পথ তৈরি করে দেয়। বছরখানেক আগেই আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের এমন চেহারা দর্শন করেছি। সে সময় একদল রাজনীতিক সদলবলে রাজপথে নেমেছিলেন গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য। তাদের কথিত ঐ গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে বহু মানুষ দগ্ধ হয়েছিল, পুড়ে মরেছিল। অন্যদিকে আরেকদল রাজনীতিক সে আন্দোলনকারীদের মেরে-ধরে, মামলা দিয়ে ও জেলে ঢুকিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছিল ঐ গণতন্ত্র রক্ষার নামেই। গণতন্ত্রের কি অপার মহিমা!
প্রসঙ্গ সেটা নয়। প্রসঙ্গ- গণতন্ত্রের সংখ্যাগরিষ্ঠতাপ্রীতি। কারণ, সংখ্যাগরিষ্ঠের আনুগত্য করতে গিয়েই গণতন্ত্রের এই বহুরূপ সৃষ্টি হয়েছে। গণ অর্থ জনগণ, আর তন্ত্র অর্থ বিধান বা শাসন। অর্থাৎ, গণতন্ত্র হলো জনগণের শাসন। কথাটি যতটা মধুর শোনাচ্ছে কার্যক্ষেত্রে কিন্তু তেমনটা নয়। কারণ, একটি রাষ্ট্রের সমস্ত জনগণ একই মতের অনুসারী হওয়াটা প্রায় অসম্ভব। একটি বিষয়ে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মতামত থাকতে পারে। কিন্তু যখনই আইন, দণ্ডবিধি অর্থনীতি বা যে কোন ব্যাপারেই কোন সিদ্ধান্ত নিতে হবে তখনই একটা সার্বভৌমত্বের প্রয়োজন হবে। উদাহরণÑ সমাজে অপরাধ দমনের জন্য নরহত্যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত কিনা। কিম্বা সমাজের সম্পদ সঠিক এবং সুষ্ঠু বিতরণের জন্য অর্থনীতি সুদ ভিত্তিক হওয়া সঠিক কিনা? একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জনগণ যদি ঐ সব বিষয়ে আলোচনা, পরামর্শ, যুক্তি-তর্ক করেন তবে তা অনন্তকাল ধোরে চোলতে থাকবেÑ কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে না, কারণ এইসব বিষয়ে প্রত্যেকেরই ভিন্ন ভিন্ন মতামত আছে। একদল বোলবেনÑ নরহত্যার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড আইন না কোরলে সমাজে নরহত্যা থামবে না, বাড়বে; আরেক দলের মত এই হবে যে মৃত্যুদণ্ড বর্বরোচিত, নৃশংসতা, এ কখনো আইন হোতে পারে না; আরেক দল হয়তো এই মত দেবেন যে একটি নরহত্যার জন্য মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে একাধিক নরহত্যার জন্য মৃত্যুদণ্ড আইন করা হোক। একাধিক অর্থে কয়টি নরহত্যা কোরলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে, দুইটি না একশ’টি তাও প্রশ্ন হোয়ে দাঁড়াবে। এবং এ বিতর্ক অনন্তকাল চোলতে থাকবে। এই যে সার্বভৌমত্বের জটিলতা, এটাকে কাটিয়ে ওঠার জন্যই প্রয়োজন পড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার। অর্থাৎ যে কোনো প্রশ্নে, যে কোনো সিদ্ধান্তের প্রয়োজনে অধিকাংশ জনতা যেটাকে সমর্থন করবে সে সিদ্ধান্তই বৈধ বলে মেনে নেওয়া হবে। এখন প্রশ্ন হলো ন্যায়-অন্যায়, বৈধ-অবৈধ, সত্য-মিথ্যার মানদণ্ড কি শুধুই সংখ্যাগরিষ্ঠতা? সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কি কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারে না? সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কি অন্যায়, অবৈধ, অসত্য কিছুকে সমর্থন দিতে পারে না? এ ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের কাছে কী সমাধান? এ প্রশ্ন আমার বহুদিনের, যার উত্তর আজও পাই নি।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র একটু বেশিই বহুরূপী। একে বলা হয় ‘শিশু গণতন্ত্র’। স্বাধীনতার ৪২ বছর পর এসেও যে শিশু তার শিশুত্ব হারায় নি। এখনও এই শিশুকে হাতে ধরে দাঁড় করাতে হয়। সমাজের সুশীল ব্যক্তিত্ব সেই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। গণতন্ত্রের দুর্বল জায়গাগুলো খুঁজে বের করে এই চিন্তাবিদরা যদি তার হাল না ধরতেন তবে বহু পূর্বেই গণতন্ত্রের কবর রচিত হতো। গণতন্ত্র রক্ষায় তাই সুশীলদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এটা দেশের প্রতিটি সরকারই অনুধাবন করেন বিধায় সুশীলদের মনোবাঞ্ছনা পূরণে তেমন কসুর করেন না। এই হাত ধরে দাঁড় করানোর প্রচেষ্টাসরূপ গত সোমবার ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক’ (সুজন) এর উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘সংবিধান সংশোধন, বিচারপতিদের অভিশংসন ও এর সম্ভাব্য তাৎপর্য’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের বিষয়বস্তুটি বর্তমান রাজনীতির ময়দানে বেশ কিছুদিন যাবৎ উত্তাপ ছড়াচ্ছিল। হয়তবা সে উত্তাপ প্রশমিত করার জন্যই বাংলাদেশর অন্যতম সংবিধান প্রণেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনসহ দেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞ সুশীল ব্যক্তিত্ব ঐ বৈঠকে একত্রিত হয়েছিলেন। সেখানে তারা গণতন্ত্র, সংবিধান ও বিচারবিভাগ নিয়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু বৈঠকের একপর্যায়ে ড. কামাল হোসেন বলেন- ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে কিছু করাই গণতন্ত্র নয়। সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তনের জন্য জাতীয় ঐক্যমত দরকার।’ উল্লেখ্য, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে কিছু করাই গণতন্ত্র নয়’- তাঁর এই উক্তিটি একটি সনামধন্য পত্রিকায় খবরের শিরোনাম হিসেবে স্থান পেয়েছে।
বিজ্ঞ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনকে ধন্যবাদ জানাবো এই কারণে যে, তিনি গণতন্ত্রের এক স্পর্ষকাতর বিষয়ে কথা বলেছেন। পূর্বেই বলেছি আমার বহুদিনের প্রশ্ন ছিল- সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যে রায় দেবে সেটাই গণতন্ত্র কিনা। গণতন্ত্রে সত্য-অসত্য, ন্যায়-অন্যায়, বৈধ-অবৈধের ভিত্তি শুধুই সংখ্যাগরিষ্ঠতা কিনা। প্রশ্নটি বহুবার উত্থাপন করেছি, উত্তর পাই নি। গণতন্ত্রপ্রেমীরা অতি সুচতুরভাবে প্রশ্নটি এড়িয়ে গেছেন। মুখ খোলেন নি। তাই এ বিষয়ে মুখ খোলার জন্য দেশের খ্যাতিমান আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তবে আমি আরও বিষদ ব্যাখ্যা আশা করেছিলাম। তিনি বলেছেন- সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে কিছু করাই গনতন্ত্র নয়, কিন্তু এটা পরিষ্কার করেন নি যে, কীসের ভিত্তিতে কাজ করা গণতন্ত্র? সংখ্যাগরিষ্ঠের বিধানই যদি গণতন্ত্র না হয়, তাহলে গণতন্ত্র কাকে বলে? গণতন্ত্রের সংজ্ঞা আসলে কী? কোন কাজকে আমি গণতান্ত্রিক বলব, আর কোন কাজকে বলব অগণতান্ত্রিক? গণতন্ত্রের যে বিশ্বরূপ আমরা দেখে থাকি তাতে কিন্তু কার্যত সংখ্যাগরিষ্ঠকেই বিধাতার আসনে বসানো হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যা চাচ্ছে সেটাই বৈধতা পাচ্ছে, যা অস্বীকার করছে সেটা হচ্ছে অবৈধ। এ কথার সমর্থনে শত শত দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করা যায়। এখানে মাত্র একটি বিষয়ে বলবো।
সমকামিতা আমাদের দেশে শুধু অপরাধই নয়, এক ঘৃণিত, অরুচিকর, অপ্রাকৃতিক ও ধিক্কৃত ব্যবস্থার নাম। এ দেশের অধিকাংশ জনগণ এর বিরোধী হওয়ায় গণতান্ত্রিক সিস্টেমে এটা অবৈধ হিসেবে পরিগণিত হয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও তা অবৈধ। নেদারল্যান্ডসে সর্বপ্রথম সমলিঙ্গের মধ্যে বিয়ে বৈধ ঘোষণা করা হয়। ২০০১ সালের এপ্রিল থেকে সে দেশে এটি কার্যকর আছে। এরপর ২০০৩ সালের জুন মাসে নেদারল্যান্ডসের প্রতিবেশী দেশ বেলজিয়ামে সমলিঙ্গের মধ্যে বিবাহ বৈধ করা হয়। অন্যদিকে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইওয়াহানা সিগুরডোটির এবং তাঁর সঙ্গিনী ইওহিনা লিওসডোটির সমকামীদের বিয়ে বৈধ ঘোষণার পর প্রথমেই সেই সুযোগ নিয়েছেন। সিগুরডোটির হচ্ছেন পৃথিবীর প্রথম মেয়ে সমকামী রাষ্ট্রপ্রধান। ২০০১ সাল থেকে সমলিঙ্গ যুগলের বিয়ের রেজিস্ট্রেশন বৈধ করেছে জার্মানি। এই প্রক্রিয়ায় জার্মানিতে বিয়ের সুযোগ সুবিধার অনেকটাই পান সমকামীরা। এর কারণ হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, জার্মানির ৬৬ শতাংশ জনসাধারণই সমকামীদের মধ্যে বিয়ের পক্ষে। এদিকে গত বছর সমকামিতা বিরোধী প্রচারণা নিষিদ্ধ করে আইন পাশ করে রাশিয়া।
এই যখন অবস্থা, তখন গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে দুই তরুণীর মধ্যে মালাবদল নিয়ে সৃষ্টি হয় ব্যাপক বিতর্ক। ২১ বছর বয়সী শিক্ষিকা সানজিদা আর তাঁর ছাত্রী, ১৬ বছর বয়সী শ্রাবন্তী রায়ের মধ্যকার প্রেমের সম্পর্ক মোটেই স্বাভাবিকভাবে নেয়নি সমাজ। এমনকি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েও রেহাই পাননি তারা। এর কারণ, এখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সমকামিতা চায় না। এদের দৃষ্টিতে সমকামিতা অবৈধ। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে সমকামিদের বৈধতা দেওয়া তো দূরের কথা কোনো সরকারই তাদের সামান্য পরিমাণ সাহায্য ও পৃষ্ঠপোষকতা করারও দায় নিতে চায় না। কিন্তু উপরোক্ত কয়েকটি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দৃষ্টিতে সমকামিতা বৈধ হওয়ায় সে দেশের সরকার অরূচিকর এই সমকামিতা ব্যবস্থাকে আইনত বৈধ করেছে। এ থেকে আমরা কী ইঙ্গিত পাচ্ছি? এই ইঙ্গিত পাচ্ছি যে, গণতান্ত্রিক সিস্টেমে জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতই হচ্ছে বৈধ-অবৈধতার মাপকাঠি। ন্যায়-অন্যায়, সভ্যতা-অসভ্যতা, সত্য-মিথ্যা, রুচি-অরুচির কোনো পার্থক্য এ সিস্টেমে নেই, নেই নৈতিকতাবোধ বা মানবতাবোধের বালাই। সত্য ও বাস্তবতা এটাই। কাজেই গণতন্ত্রের নির্ধারিত স্রোতের বিপরীত মার্গে দাঁড়িয়ে বিজ্ঞ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন যে মন্তব্য করেছেন তার বাস্তবিক ব্যাখ্যা আপাতত দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। অর্থাৎ তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনমতের প্রতি গণতন্ত্রের সমর্পণকে মিথ্যা প্রমাণ করতে সমর্থ হন নি। তিনি এমন একটি ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছেন প্রকৃতপক্ষে যার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। সেটা গণতন্ত্রের প্রতি অন্ধ বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশমাত্র। এ অন্ধবিশ্বাসই পৃথিবীর যত অশান্তির মূল। এ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বাস্তবতাকে স্বীকার করতে হবে। সত্য সত্যই, ন্যায় ন্যায়ই, সারা পৃথিবীর মানুষ অস্বীকার করলেও সত্য মিথ্যা হয়ে যায় না। আবার সারা পৃথিবীর মানুষ সত্য বললেও মিথ্যা সত্যে পরিণত হয় না। কাজেই সত্য-মিথ্যার নির্ণায়ক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নয়। গণতন্ত্রের সংখ্যাগরিষ্ঠতাপ্রীতির কারণেই পৃথিবীর আজ এই হাল।
বিষয়: বিবিধ
১১০৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর সবচাইতে বড় সত্য হচ্ছে পৃথিবীর খুব কম দেশই রয়েছে যেখানে সত্যিকারার্থেই অধিকাংশের মতামত প্রতিফলিত হচ্ছে গণতন্ত্র নামক তন্ত্র বিদ্যমান থাকার পরেও!সব জায়াগাতেই ঐ প্রধানমন্ত্রী,নাহয় প্রেসিডেন্ট অথবা রাজা কিংবা বাদশাহ ইত্যাদি নানা মোড়কে নানা খোলসে নির্দিষ্ট কিছু লোকের ইচ্ছাই প্রতিফলিত হচ্ছে সেগুলোই মানতে লোকে বাধ্য হচ্ছে!
মোদ্দা কথা হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি যখন স্রষ্টার নিয়মানুযায়ী হবে না,সংবিধান যখন কোরআন হবে না তখন কোন রাষ্ট্রই কোনদিনই সুখী-সমৃদ্ধ হবে না এবার আপনি যেই খোলসের আবরণেই তাকে ঢেকে রাখেন কি গণতন্ত্র আর কিইবা স্বৈরতন্ত্র কিংবা রাজতন্ত্রই বলেন অথবা খিলাফতই বলেন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন