(ঈদে মিলাদুন্নবি ও জন্মাষ্টমী) মুসলিম ও হিন্দু জাতি আজ কী করছে, কী করা প্রয়োজন?
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আসাদ আলী ১৮ আগস্ট, ২০১৪, ০৮:২৯:৫৭ রাত
গতকাল পালিত হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমী। সনাতন ধর্মীদের বিরাট ঘটা করে পালিত এই দিনটি আমাকে স্মরণ করাল ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের ঈদে মিলাদুন্নবি পালনের দৃশ্যগুলো। কোনো পার্থক্য খুজে পেলাম না। যা পেলাম তার সবই কেমন যেন উভয় ধর্মের অনুসারীদের সাথেই মিলে যাচ্ছে।
কথিত ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা তাদের স্বীকৃত শেষ নবীর (দ.) আনিত শিক্ষা থেকে এখন যোজন যোজন দূরে অবস্থান করছে। তারা জানেই না কেন রসুল পৃথিবীতে এসেছেন, এখানে তার কাজ কী ছিল, কতটুকু দায়িত্ব তিনি পূরণ করতে পেরেছেন আর কতটুকু তার জাতির জন্য রেখে গেছেন। এদের দৃষ্টিতে রসুলের আগমনের উদ্দেশ্য যেন কোনো বিবেচনার বিষয়ই নয়। তার জন্মটাই হলো বড় বিষয়। তার সারা জীবনের সাধনা, সংগ্রাম, ত্যাগ, বিসর্জন ও সফলতার পাহাড় টপকে এই অতি মুসলিমরা কেবল তার জন্মদিনের মহিমাকেই দেখতে পান, তার সংগ্রাম দেখতে পান না।
ঠিক একই অবস্থা বিরাজ করছে সনাতন ধর্মের দাবিদারদের মধ্যেও। কৃষ্ণ (আ.) এর জন্মদিনটাকে তারা যতটা আন্তরিকতার সাথে পালন করে থাকেন এবং করছেন তার একটা ভগ্নাংশও যদি তারা শ্রীকৃষ্ণের (আ.) শিক্ষার প্রতি আন্তরিক হতেন তাদের সমাজ তথা মানবতার অশেষ উপকার সাধিত হতো। মানুষ এই অন্যায়-অবিচার, অশান্তিপূর্ণ জীবনযাপন থেকে রহাই পেতো, শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতো। শ্রীকৃষ্ণ (আ.) কেন এসেছিলেন পৃথিবীতে?
যদা যদাহি ধর্মস্য, গ্লানির্ভবতি ভারত
অভ্যত্থানম ধর্মস্য, তদাত্মনং সৃজাম্যহম
পরিত্রানায় সাধুনাং, বিনাশায় চ দুস্কৃতাম
ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে।
অর্থা্ৎ তিনি এসেছিলেন অত্যাচারি, অবিচারি, যালেমদের হাত থেকে নিপীড়িত আর্ত মানুষের মুক্তির বা পরিত্রাণের দূত হিসেবে। তিনি ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করতে এসেছিলেন, ধর্মের বিধানকে কার্যকর করতে এসেছিলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে এসেছিলেন।
কিন্তু তার অনুসারী দাবিদার আজকের জাতিটি কি তাদের জীবনে ধর্মের প্রভাব রেখেছে? তাদের ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবন কি শ্রীকৃষ্ণ (আ.) এর দেখানো পথে চলছে? তাদের সমাজে কি শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? সহজ উত্তর- না। যদি তাই হয় তাহলে কেন এত ঘটা করে জন্মদিন পালন? যে মহামানবের পৃথিবীতে আগমনের উদ্দেশ্যই এখন অপূর্ণ, মানুষের অধোগতি যখন পশুকেও হার মানাচ্ছে তখন তার আনিত শিক্ষাকে পুনরায় আকড়ে না ধরে বসে বসে তার জন্মদিন পালন করার মাঝে কোনো কল্যাণ আছে কি?
ঈদে মিলাদুন্নবি বা জন্মাষ্টমি পালনের বিরোধিতা করছি না। আমার কথা হলো- বর্তমানে মানবজাতির যে ত্রাহি অবস্থা তখন এই মহামানবদের শিক্ষা খুবই দরকারি। অন্তত তাদের জন্মদিন পালন করার চেয়ে তাদের শিক্ষাকে বাস্তবিক জীবনে প্রয়োগ করা অধিক সময়োপযোগী।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাদ বাকী বিষয় ভালোই লিখেছেন।
সে নবী হতেও পারে নাও হতে পারে, আমাদের মানতে হবে কোরআনের কথা সহী হাদীসের কথা। কোরআনে শ্রীকৃষ্ণ নামে কোন নবীর নাম উল্লেখ নেই। সুতারাং শ্রীকৃষ্ণকে নবী হিসেবে মানার প্রশ্নই আসেনা।
আপনি প্রতি উত্তর দিতে গিয়ে একটি লিংক দিয়েছেন সেটা কি কোরআন অথবা হাদিসের দলিল? যেটা যথা যোগ্য দলিল হতে পারেনা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন