বাংলার আকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আসাদ আলী ১৪ জুন, ২০১৪, ০৯:২০:৪৬ রাত

ইংরেজদের কুটিল ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিণত হয়ে বাংলা-বিহার ও উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলা অসহায় হয়ে বলেছিলেন- বাংলার আকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা। দেশের ভেতর ও বাহিরের শতমুখী ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়ে ও নিকট ভবিষ্যতে শত্র“র কাছে পরাজিত হয়ে গোলামির শিকল পরার অশনিসংকেত পেয়েই নবাব সিরাজউদ্দৌলা এই অসহায়ত্বের বাণী উচ্চারণ করেছিলেন। দুই শতাব্দী পর এসে সেই অসহায়ত্বের বাণী যেন আবারও তার যথার্থতা ফিরে পেয়েছে। আজ আমাদের অবস্থা তেমনই। বাঙালি জাতিকে নিয়ে অতীতের মতোই এখনও চলছে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার। এই ষড়যন্ত্র যেমন চলছে আন্তর্জাতিকভাবে তেমন দেশের অভ্যন্তরেও। ফল হচ্ছে এই যে, আমরা নিত্যনতুন জাতীয় দুর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছি। একটি সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে একশ’টি সমস্যার জন্ম দিচ্ছি। কিন্তু এসবের মূলে যে বিষয়টি প্রোথিত রয়েছে তা কি কখনও অনুধাবন করতে পেরেছি? না, পারি নি। আমরা আজও শত্র“-মিত্র তফাৎ করতে পারি নি, পারি নি সত্য থেকে মিথ্যাকে পৃথক করতে। দেখা যাক, জাতি হিসেবে আমাদের বর্তমান অবস্থান কোথায় এবং এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ আমাদের কোথায় নিয়ে দাঁড় করাবে। আমাদের জাতীয় দুর্যোগগুলো কী কী?

পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্র: এটা ইতিহাস যে, আমাদের উপমহাদেশ নিয়ে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীরা ষড়যন্ত্রের কিছুই বাকি রাখে নি। সামরিক শক্তিবলে তারা দুইশ’ বছরের অধিক আমাদেরকে শাসন ও শোষণ করেছে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা তাদের মনের মতো করে ঢেলে সাজিয়েছে। আর এটা সাধারণ জ্ঞানেই বোঝা যায় যে, ভিনদেশি শাসক তার অধিনস্থদের এমন বিষয় শিক্ষা দিবে না যার দ্বারা তাদের গোলামরা প্রকৃতপক্ষেই সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। ব্রিটিশরাও আমাদের সে শিক্ষা দেয় নি। ইতিহাসের ধারা বর্ণনায় যা জানা যায় তাহলো, এতদঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থাকে ব্রিটিশরা দুভাগে ভাগ করে। সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থায় স্কুল কলেজের মাধ্যমে তারা এই অঞ্চলের মানুষদের কেরাণী হিসেবে গড়ে তোলে, যারা সর্বদাই হীনমন্যতায় ভুগেছে এবং এখনও ভোগে। আর অপর শিক্ষাব্যবস্থায় মাদ্রাসার মাধ্যমে এই অঞ্চলের মোসলেম জাতিকে এমন একটা এসলাম শিক্ষা দেয় যা শিক্ষা লাভ করে বের হয়ে ধর্মবিক্রি করে খাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। এভাবে দুইশ’ বছরের গোলামি ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এসেছি আমরা। পশ্চিমাদের অপর একটি ষড়যন্ত্র হলো ডিভাইড এ্যাণ্ড রুল ব্যবহার করে শাসন করা। ফলে ব্রিটিশরা আসার আগ পর্যন্ত যে ভারতীয়রা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কী জিনিস তা জানতোই না, ব্রিটিশদের শাসনের অধীনে সেখানে একের পর এক ভয়ংকর সব সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হতে থাকে। এছাড়া ব্রিটিশরা আমাদের গণতন্ত্র শিখিয়েছে। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো তারাই কিন্তু সম্পূর্ণভাবে গণতন্ত্রকে ধারণ করে নি। অর্থাৎ বোঝাই যায় যে, এটাও তাদের ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ। সেটা যে কতবড় ষড়যন্ত্র তা আমরা আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। এগুলো গেল অতীতের ব্যাপার। কিন্তু আজও আমরা পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র বলয়ের বাইরে বের হতে পারি নি। বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, ইইউ, বিভিন্ন এনজিও ইত্যাদি ছাড়াও শত শত প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগিয়ে আমাদেরকে শৃঙ্খলিত রাখা হয়েছে। আমাদের সরকারগুলো সর্বদাই তাদের মুখাপেক্ষি হয়ে থাকতে বাধ্য হয়। এক মুহূর্তের জন্যও পশ্চিমাদের অবাধ্য হওয়া তাদের দ্বারা সম্ভব নয়। আর কেউ অবাধ্য হলেও তার পরিণতি ভোগ করতে হয় অচীরেই। কাজেই আমরা প্রতিটি ক্ষণে, প্রতিটি ধাপে যে পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্রের নিগড়ে বন্দি হয়ে আছি তা বোঝা যাচ্ছে সাধারণ জ্ঞানেই।

বৈদেশিক হুমকির মুখে বাংলাদেশ: স্বাধীনতার ৪২ বছর পার হয়ে গেছে। এক নদী রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এদেশের স্বাধীনতা। অথচ আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ প্রতিবেশিদের হাতে হুমকির মুখে পড়েছে। তাদের সাথে নতজানু হয়ে মেনে নিতে হচ্ছে স্বাধীন দেশের নিরীহ মানুষ হত্যার ঘটনাকে। আমাদের দুর্বলতার সুযোগে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোও আমাদের ভাগ-বাটোয়ারা করে খাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। তারা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই গোপন ষড়যন্ত্রের বিস্তারিত প্রকাশ না পেলেও তাদের মুখ থেকে ফসকে যেসব কথা মাঝে মধ্যে বেরিয়ে পড়ে তা থেকেই আমরা অনুমান করতে পারি আমাদের নিয়ে তাদের পরিকল্পনা কতদূর। তাদের ঘৃণিত ষড়যন্ত্রের কবলে আমাদের এই সবুজ-শ্যামল শস্যে ভরা দেশ আজ হুমকির মুখে। তাদের কেউ (ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির অন্যতম নেতা স্বামী সুব্রাহ্মমানিয়াম) বলে সিলেট থেকে খুলনা বরাবর দাগ টেনে নিয়ে যাওয়ার কথা, কেউ বলে পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে যাবার কথা। প্রায় এক দশক আগে বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা নিয়ে আলাদা ‘বঙ্গভূমি’ নামে একটি রাষ্ট্র গঠনের আন্দোলনের সূচনাও হয়েছিলো। এমনকি শক্তি-সামর্থ্যরে দিক দিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে খুব বেশি না হওয়া সত্ত্বেও আমাদের অনৈক্যের সুযোগ নিয়ে মিয়ানমারের মতো দেশের সীমান্তরক্ষীরা গুলি করে মারছে আমাদের দেশের সন্তানদের। এর চেয়ে বড় অশনিসংকেত আর কী হতে পারে? প্রতিনিয়ত আমরা আতঙ্কে থাকি কখন কোন চিল এসে মুরগির বাচ্চার মত আমাদেরকে ছোঁ মেরে নিয়ে যায়, পাখি শিকারের মত আমাদের নাগরিককে হত্যা করা হয়, আমাদের ফেলানীর গুলিবিদ্ধ লাশ ঝুলে থাকে কাঁটাতারের বেড়ায়। আমাদের উপর এ অন্যায় চালাতে তারা বিন্দুমাত্র ভয় পায় না। আমরা যেন তাদের বন্দুকের টার্গেট অবজেক্ট।

অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দলাদলি ও হানাহানি: রাজতন্ত্রের ধারক ব্রিটিশরা দুইশত বছর এ দেশ শাসন কোরলেও তারা তাদের শাসন চালিয়েছে বন্দুক আর চাবুকের জোরে। কিন্তু চোলে যাবার সময় তারা গণতন্ত্র নামক একটি বিভ্রান্তিমূলক সিস্টেম জাতির ঘাড়ে চাপালো। ইতিহাসের পথ পরিক্রমায় উত্থান-পতন হয়েছে বটে, কিন্তু সেই গণতন্ত্রই আজও আমাদের ঘাড়ে চেপে আছে। এর কুফল বুঝতে এখনও যেন আমরা অপারগ। গণতন্ত্রের সৃষ্ট বিপর্যয় থেকে মুক্তি পেতে আমরা গণতন্ত্রই বেছে নেই। কিন্তু তা বাঙালির জন্য সুখের কোন বার্তা বয়ে আনে নি। যত মত তত শক্তিশালী গণতন্ত্র- এই নীতির আলোকে এখন আমাদের মধ্যে বিরাজ করছে বিভিন্ন মতের, বিভিন্ন পথের, বহু রাজনৈতিক দলের। যারা নিজেদের দলীয় স্বার্থে দেশের স্বার্থকে বিকিয়ে দিতে এতটুকু কার্পণ্য করে না। এরা ক্ষমতার মোহে দেশের সম্পদ আর জনগণের জীবনকে ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার কোরে চলে। এটা স্বাভাবিক নিয়ম যে, যত বেশি মতভেদ হবে ততবেশি অনৈক্যের জন্ম হবে। আজ আমাদের ষোল কোটি জাতির মধ্যে ঐক্যের কোনো স্থান নেই। এমন একটি প্লাটফর্ম নেই যেখানে ষোল কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হতে পারে, অথচ ঐক্য ছাড়া কোনো জাতিই উন্নতির সোপানে আরহণ করতে পারে না। শুধু তাই নয়, গণতান্ত্রিক অধিকারের নামে যার যা খুশী করার লাইসেন্স দেয়ার এই সিস্টেম এই দেশকে একদিনও শান্তিতে থাকতে দেয় নি। বিভিন্ন দলে উপদলে বিভক্ত হোয়ে একদিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নেতাদের মধ্যে চলে হানাহানি, অপরদিকে পশ্চিমা প্রভুদেরকে কে কার চেয়ে বেশি খুশি কোরতে পারে সেই প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত এ জাতির কতিপয় নেতারা। ফলে কালের এক নির্মম কষাঘাতে জর্জরিত হয়ে আছি আমরা।

ধর্মব্যবসায়ীদের জাতিবিনাশী কর্মকাণ্ড: একটি জাতি যতই দরিদ্র হোক, অবহেলিত হোক, তারা যদি ঐক্যবদ্ধ হয় তারা অবশ্যই বিজয়ী হবে, তাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে। কিন্তু সেই ঐক্য বাঙালি জাতির মধ্যে নেই। আমাদের ঐক্য না থাকার পেছনে অন্যতম একটি কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায় ধর্মব্যবসায়ীদের কর্মকাণ্ডকে। গত ৪২ বছরে ধর্মকে ব্যবহার কোরে জাতির ঐক্যকে ধ্বংস কোরে জাতিকে বহুভাগে বিভক্ত কোরে দেওয়া হয়েছে। এক শ্রেণির ধর্মব্যবসায়ী ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে। তারা ওয়াজ মাহফিল কোরে, বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিয়ে জাতির বিরাট সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে বিপথে পরিচালিত করছে। তাদেরকে দিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী, জনকল্যাণ পরিপন্থী, এমনকি আতঙ্ক সৃষ্টিকারী বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করাচ্ছে। কেউ তাদের স্বার্থবিরোধী কাজ করলেই এই ধর্মজীবীরা তার বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট গড়ে তাকে নাস্তিক, কাফের বলে ফতোয়া প্রদান করে। দেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্মপ্রাণ। তারা এও বিশ্বাস করে যে, এই লেবাসধারী তথাকথিত আলেম-মোল্লারা ধর্মের কথা বলে, তারা যা বলে সবই ধর্মের কথা। তাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে মিথ্যা ফতোয়া দ্বারা প্রভাবিত করে, এমন কি মিথ্যা ফতোয়া দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা পর্যন্ত পাল্টে দেয়। এটা আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ জান্নাত, আখেরাত ইত্যাদি ধর্মীয় কথায় বিভ্রান্ত হয়ে ধর্মব্যবসায়ীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সাহায্য করে। ধর্মের কথা বলে অধর্ম করার সুযোগ পেয়ে যায় ধর্মব্যবসায়ীরা। একটি সরকার তাদের মেয়াদকালে দেশের যতই উন্নতি করুক, যতই ভালো ভালো কাজ করুক, তাদেরকে যদি ফতোয়া দিয়ে নাস্তিক বানিয়ে দেওয়া যায় তাহোলে তাদের সব অবদানই ম্লান হয়ে যায়। এমনই একটি অবস্থা বর্তমানে আমাদের সামনে উপস্থিত। কিছুদিন আগে আমাদের দেশে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল সেটা সৃষ্টি করা হয়েছিল ধর্মকে পুঁজি কোরে। এক কথায়, বাঙালির জাতীয় ঐক্য অর্জনের পথে অন্যতম অন্তরায় এই ধর্মব্যবসায়ীরা। এরা জাতির জন্য মারাত্মক হুমকিসরূপ।

সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ও অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি:

এ তো গেল বাইরের বিষয়। বস্তুতান্ত্রিক জীবনদর্শন অনুসরণ করার ফলে আজ আমাদের সামাজিক মূল্যবোধও তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। মনুষ্যত্বের বালাই আমাদের কাজে-কর্মে খুঁজে পাওয়া দায়। আজ যেন সকল নিয়ম-নীতি, দয়া-মায়া, ভালোবাসা, মানবতার কবর রচনা হয়েছে। আমরাই আমাদের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছি। রাষ্ট্র, সমাজ তো পরের বিষয় খোদ পরিবারেই আমরা অনিরাপত্তায় ভুগছি। মায়ের কাছে ছেলে নিরাপদ নয়, ছেলের কাছে মা নিরাপদ নয়, ভাই ভাইয়ের বড় শত্র“, পিতার কু-লালসা থেকে বাঁচতে পারছে না আপন যুবতী মেয়ে, ছেলের সামান্য স্বার্থের বেদিতে বলি হচ্ছে আপন জন্মদাতা পিতা। এটা কি সভ্যতা? এটা কি মানব সমাজ? রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির ব্যাপারে নতুন করে কিছু বলার দরকার পড়ে না। ওটা আমাদের গা সওয়া হয়ে গেছে। আমরা ধরেই নেয় যে, রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি হবে, এটাকে দমানো যাবে না। তাই সেই হিসাব না করে আমরা এখন হিসাব করি কোন সরকারের আমলে দুর্নীতি বেশি হয়েছে আর কোন সরকারের আমলে কম হয়েছে। সুদ, ঘুষ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ব্যাভিচার, ধর্ষণের হৃদয়বিদারী খবর আর আমাদের আত্মায় নাড়া দেয় না। এক কথায়, আমাদের আত্মা মরে গেছে। আমরা বস্তুতান্ত্রিক জীবনদর্শনের অনুকরণ করে বস্তুবাদী হয়ে পড়েছি। এর পরিণতি যে কতটা করুণ হতে পারে তা বলে বোঝানো যায় না। পাশ্চাত্যের বস্তুবাদীদের সামাজিক ও পারিবারিক জীবনের দিকে তাকালেই এর দেখা মেলে।

জাতির আকাশে জমাট বাধা দুর্যোগগুলো মধ্যে প্রধান চারটি বিষয়ে এখানে আলোকপাত করলাম। সত্যের প্রতি যাদের বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা রয়েছে তারা মাত্রই অনুধাবন করতে পারবেন যে, আমরা বর্তমানে কতটা বিপর্যয়ের মুখোমুখী। এ বিপর্যয় অতীতে ছিল, এখনও আছে, কিন্তু অতীতের চেয়ে আরও বেশি হারে এবং মারাত্মক হুমকি হয়ে। এই ধারা ভবিষ্যতে চলতে দেয়া হলে আমাদের সম্পূূর্ণ জাতিসত্ত্বাটাই অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নাই। কিন্তু তা পুরো জাতিকে উপলব্ধি করতে হবে, সিদ্ধান্ত নিতে হবে- আমরা এই দুর্যোগকে আরও ঘণীভূত হতে দেবো কি না। আমাদের প্রত্যাশা হওয়া উচিৎ উর্ধ্বমুখী, আমরা পেছনের দিকে আর ফিরে যেতে চাই না। আমরা আর কারও গোলামি করতে চাই না। তাই আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। আমরা ঐক্যবদ্ধ হই আমাদের প্রতি পরাশক্তিদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে, তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, তাদের চাপিয়ে দেয়া তন্ত্র-মন্ত্রের বিরুদ্ধে, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক হানাহানি-দ্বন্দ্বের বিরুদ্ধে ও ধর্মব্যবসায়ীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে।

বিষয়: বিবিধ

৯৭১ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

234850
১৪ জুন ২০১৪ রাত ১০:০৯
চক্রবাক লিখেছেন : সুন্দর বিশ্লেষণ মূলক পোস্ট, আপনাকে ধন্যবাদ Good Luck
১৪ জুন ২০১৪ রাত ১১:২৬
181542
মোহাম্মদ আসাদ আলী লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
234853
১৪ জুন ২০১৪ রাত ১০:১৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
234869
১৪ জুন ২০১৪ রাত ১০:৫৯
পুস্পিতা লিখেছেন : এতকিছুর পরও এদেশের অধিকাংশ মানুষই সচেতন নয়।
১৪ জুন ২০১৪ রাত ১১:২৬
181543
মোহাম্মদ আসাদ আলী লিখেছেন : সহমত, তবে আশা হারাই নি।
234903
১৫ জুন ২০১৪ রাত ১২:২৫
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো লিখাটি
234933
১৫ জুন ২০১৪ রাত ০৩:২৪
লাঠীপেটা লিখেছেন : সার্থবাজে ভরে গেছে পুরা দুনিয়া ।
তাই আমদের আম জনতার এই দুর্দশা,
বলে বিড়ালের মুগে হাড্ডি দিলে সব শেষ
তার পর যে যেভাবে পার লুটপাট করো ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File