হেফাজতনামা- লাভের ফসল কার ঘরে?
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আসাদ আলী ০৬ মে, ২০১৪, ০৭:০৫:৪৯ সন্ধ্যা
‘আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী মসজিদ-মাদ্রাসায় সহযোগিতা করেন। জনাবা হাসিনার সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নাই। হাসিনাকে কোনোদিন গালি দেইনি, হাসিনার মানুষদেরকেও কোনদিন গালি দেইনি। তারা সবাই আমাদের বন্ধু।’- সম্প্রতি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পার্বতী হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দানকালে এভাবেই মন্তব্য করেছেন কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী। গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, তার এমন মন্তব্যে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে খোদ হেফাজতে ইসলামের ভেতরেই। এর আগেও তিনি গত ১১ এপ্রিল চট্রগ্রামের লালদীঘি ময়দানে এক সমাবেশে ‘সরকার, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। তখন বিষয়টি নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, এমনকি অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। কিছুদিনের ব্যবধানে আবারও একই সুরে কথা বললেন হেফাজত নেতা। তাই ঘুরে ফিরেই একই প্রশ্নের উদয় ঘটছে- শত্র“ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসা তাদেরই কথিত ‘নাস্তিক সরকার’ হঠাৎ তাদের বন্ধু বনে যাবার কারণ কী? বেশ কিছুদিন যাবৎ মিডিয়াতে একটি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে, হেফাজত নেতাদের সাথে সরকারের নতুন কোন সমঝোতা হচ্ছে বা হয়েছে। যদিও বিষয়টি অপ্রমাণিত, তথাপি ঘুরে ফিরেই আলোচনার বৃত্তে পাক খাচ্ছে। কারণ, গুঞ্জন বলা হলেও বাস্তবতার সাথে বিষয়টির বেশ মিল পরিদৃষ্ট হচ্ছে। এমনকি স্বয়ং হেফাজত আমিরের বক্তব্যের সাথেও তা অনেকটাই মিলে যাচ্ছে।
গত বছরের ৫ মে’র হেফাজতে ইসলাম কর্তৃক ঢাকা অবরোধ কর্মসূচী এবং সরকারি প্রতিবন্ধকতায় তা পণ্ড হয়ে যাবার পর থেকে আর সেভাবে মাঠে নামতে দেখা যায় নি সংগঠনটিকে। মাঝে দু’-একবার রাজধানীতে সমাবেশের ঘোষণা দিলেও অজানা কারণে নির্দিষ্ট দিনের পূর্বেই তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। তবে মাঠে না থাকলেও হেফাজতে ইসলাম আলোচনার বাইরে ছিল না কখনোই। ৫ মে’ পরবর্তী সময়ে সরকারের বেশ ক’জন প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপি হাটহাজারীতে দেখা করতে যান হেফাজত নেতার সঙ্গে। দেখা করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা শীর্ষ কর্মকর্তাও। এমনকি এ তালিকা থেকে বাদ নেই বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদও। তিনি নাকি হেফাজত আমিরের কাছে দোয়া নিতে গিয়েছিলেন যদিও তার ফেরার পর হেফাজত নেতারা বলেছিলেন যে, তিনি শফী হুজুরের কাছে থেকে অভিশাপ নিয়ে গেছেন। তবে ঘটনা যা-ই ঘটুক, প্রাথমিক পর্যায়ে সরকার হেফাজতে ইসলামের সাথে একটি সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করেছে, তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তবে এটাও ঠিক যে, প্রাথমিকভাবে সে চেষ্টার চাহিদামাফিক ফল তারা আদায় করতে সক্ষম হয় নি। এরপর থেকে প্রকাশ্যে হেফাজত নেতাদের সাথে সরকারের আনাগোনার কোন খবর পাওয়া যায় নি।
কিন্তু বেশ কিছুদিন যাবৎ খবরে আসছে যে, হাটহাজারী মাদ্রাসা কর্তৃক অবৈধভাবে দখলকৃত রেলের বেশ কিছু জমি সরকার স্বেচ্ছায় হাটহাজারী মাদ্রাসাকে দান করে দিচ্ছে। গত ১৯ এপ্রিল দৈনিক মানবজমিনে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ‘অবশেষে রেলওয়ের ৩২ কোটি টাকার জমি গিফট দেওয়া হচ্ছে হেফাজত ইসলাম নেতা আল্লামা শফীকে। হাটহাজারী মাদ্রাসার নামে দুই বছর আগেই জায়গাটিতে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে রাখা হয়েছে। আর এখন রেলওয়ের জায়গাটি নিজেদের জন্য বরাদ্দ চেয়ে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন আল্লামা শফী।’
যদিও এখনও জমিটি হেফাজত আমিরের হস্তগত হওয়াার কোন খবর জানা যায় নি, তবে শীঘ্রই তিনি জমির মালিকানা লাভ করবেন- এমনটিই ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, এ ব্যাপারে বরাবরই সরকারের সবুজ সংকেত রয়েছে। অনেকের মতে, সরকারই জমিটি হেফাজত আমিরকে লিজ দিতে বেশি আগ্রহী। এদিকে হেফাজত আমিরের ব্যক্তিগত এবং হাটহাজারী মাদ্রাসার অধীনে হঠাৎ ফুলে-ফেঁপে ওঠা সম্পদের পরিমাণ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে গণমাধ্যমগুলোতে। অনেকে সরকারের সাথে যোগসাজশের প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরছেন হেফাজত নেতাদের অঢেল সম্পদের ফিরিস্তি। তবে হেফাজত আমিরের ছেলে সে দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন যে, এসকল সম্পদের উৎস মূলত বিভিন্ন কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক এবং মাদ্রাসা কল্যাণে দেওয়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের অনুদান। যাই হোক, ৫ মে’র পরবর্তী দিনগুলো বিশ্লেষণ করলে এটাই পাওয়া যায় যে, হেফাজতে ইসলাম ১৩ দফা বাস্তবায়ন করতে না পারলেও অন্যান্য সবদিক দিয়ে তাদের সুবিধা আদায় করে নিয়েছে সুযোগমত। অজানা-অচেনা মানুষগুলো দেশব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে। আজ তাদের সাথে বৈদেশিক হাইকমিশনারদেরও ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা করতে দেখা যায়। হেফাজতের নেতারা একটি কথা বললেই মিডিয়া তা কাভারেজ দেবার জন্য উঠেপড়ে লাগে। স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথেও যাদের খুব বেশি সম্পর্ক ছিল না, এখন তারাই বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে সক্ষম। তাদের বিদ্বেষের পাত্র গণজাগরণ মঞ্চ এখন সরকারি দলের নেতাকর্মীদের রোষানলে পড়ে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে। সব মিলিয়ে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের ব্যর্থতার চেয়ে সফলতার পাল্লাই ভারী। আর্থিক ও রাজনৈতিকভাবে তারা তাদের স্বার্থ অনেকটাই আদায় করতে পেরেছে।
এ তো গেল হেফাজতের স্বার্থ। এবারে আলোকপাত করা যাক, হেফাজতকে কেন্দ্র করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর স্বার্থ আদায়ের বিষয়ে। হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে অন্যান্যরাও যে লাভবান হয় নি, তা কিন্তু নয়। বরাবরই সংগঠনটিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের বিবদমান সবক’টা রাজনৈতিক পক্ষই। একটি সময়ে সরকার পতনের মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার প্রবণতা দেখা গিয়েছিল তৎকালীন প্রধান বিরোধী দলগুলোর মধ্যে। তাদের মন্ত্রণায় হেফাজতের তেরো দফা সরকার পতনের এক দফায় পরিণত হয়েছিল, যে কথা পরবর্তীতে অনেক হেফাজত নেতাই স্বীকার করেছেন অকপটে। সে সময় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল সর্বাত্মকভাবে সমর্থন দিয়েছিল হেফাজতে ইসলামকে। সুযোগ বুঝে খালেদা জিয়া সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামও ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে সরকারি সিদ্ধান্তে ৬ মে ভোরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ অভিযানের সামনে হেফাজতিদের টিকতে পারে নি বলে সে সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়। তথাপি শুরু থেকেই হেফাজতে ইসলামের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখায় দেশের একটি বিরাট সংখ্যক কওমী সমর্থকের রাজনৈতিক সমর্থন লাভ করে বিএনপি। এছাড়া ৫ মে দিবাগত রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযানে হতাহত হেফাজত কর্মীর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগও উঠেছিল তৎকালীন বিরোধী দলীয় জোটের বিরুদ্ধে। এক কথায়, হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে যতভাবে ও যতটা সম্ভব রাজনৈতিকভাবে স্বার্থ আদায় করে তৎকালীন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো- এ স্বার্থ আদায়ের ধারা থেকে সরকারি দলও বাদ নেই। সরকারও এ ইস্যু থেকে স্বার্থ হাসিল করেছে। প্রাথমিকভাবে হেফাজতে ইসলামকে হেনস্তা করে গণজাগরণ মঞ্চসহ অন্যান্য সেক্যুলার গোষ্ঠির সমর্থন আদায় করেছে। অতঃপর বিরোধী জোটগুলোর আন্দোলন-সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবার পথ সুগম করেছে। কিন্তু যেই না নির্বাচন হয়ে গেল, অমনি ভোল পাল্টে সরকার এখন হেফাজতে ইসলামের বন্ধু সাজার চেষ্টা করছে। সম্ভবত, জনগণের ম্যান্ডেট অর্জনের জন্যই সরকারের এমন সিদ্ধান্ত। ফলে সেক্যুলারদের সাথে সরকারের কিছুটা দূরত্ব তৈরি হলেও হেফাজতের সাথে দূরত্ব ঘুঁচছে; অর্থাৎ সরকার ধর্মভীরু জনগোষ্ঠির সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে। ফলে হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে দেশের রাজনৈতিক গতিবিধি এখন অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে। জামাতের সাথে বিএনপির জোট তো আছেই, সেই সাথে আছে বিএনপির সাথে হেফাজতের পুরান সখ্যতা, আবার নতুন করে তৈরি হচ্ছে হেফাজতের সাথে আওয়ামী লীগের সুসম্পর্ক- হেফাজত আমিরের ভাষায় যাকে বলা হয়েছে বন্ধুত্ব। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ-হেফাজত-বিএনপি-জামাত সব মিলে মিশে একাকার। যেমন সবাই তাদের নিজের নিজের স্বার্থে এতদিন দ্বন্দ্ব-সংঘাত, কুৎসা রটনা, রাজপথ দখল করেছে, তেমন নিজ স্বার্থেই আবার বন্ধুত্ব স্থাপন করছে। অর্থাৎ লাভের খাতাতেই সবার নাম।
কিন্তু ক্ষতির খাতায়? ক্ষতির খাতায় শুধু তাদেরই নাম উঠে এসেছে যারা এতদিন কথিত ১৩ দফা আদায়ের আন্দোলনের প্রাণ হারিয়েছে, সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছে, ব্যক্তি-বিশেষকে মুক্ত করতে গিয়ে নাশকতার সৃষ্টির সময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে বা নাশকতার হাত থেকে সাধারণ জনতাকে রক্ষা করতে গিয়ে অবরোধ, হরতালকারীর নির্মমতায় প্রাণ হারিয়েছে। তাদের কোন স্বার্থ অর্জিত হয় নি। হেফাজতের যে কর্মীরা প্রাণ হারিয়েছে (সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও প্রাণহানি যে ঘটেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই) তাদের অনেকেই এতিম, যাদের জন্য দু-ফোঁটা চোখের পানি কেউ ফেলবে না, যাদের কথা আর কেউ ভুলেও স্মরণ করবে না; কিন্তু তাদের যারা ব্যবহার করেছে, তাদের মুখ দেখিয়ে বা মাথা গুণে গুণে যারা চাঁদা সংগ্রহ করেছে, তাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেয়েছে, এখন তারা কোটিপতি, ক্ষমতাধর, প্রভাবশালী বনে গেছেন। রাতরাতি ফ্ল্যাট বানাচ্ছেন। তাদেরই প্ররোচনায় সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে গিয়ে যারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছে, পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়েছে, ক্ষুধা-পিপাসায় কাতর হয়েও যারা দাবি আদায়ের স্লোগান দিতে দিতে পাখির মত গুলি খেয়ে প্রাণ হারিয়েছে তাদের নাম এখন আর রাজনীতিবিদদের মনে আসে না, তাদের পরিবার না খেয়ে মরলেও রাজনীতিকরা এসি রুম থেকে বের হয়ে তাদের সাক্ষাৎ দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করেন না। কারণ, তাদের প্রয়োজন শেষ। প্রশাসনের যে সাহসী দেশপ্রেমিকরা রাজনৈতিক কর্মীদের নৃশংসতা থেকে জনতাকে বাঁচাতে গিয়ে বুকের তাজা রক্ত রাজপথে ঢেলে দিল, প্রাণ হারালো, তারা যদি কোনো মন্ত্রবলে আবারও পৃথিবীতে আসতে সক্ষম হয় তাহলে কীভাবে তাদের রক্তের সাথে বেইমানী করা হচ্ছে তা দেখে ধিক্কার দেবে। সন্ত্রাসী-জঙ্গি-উগ্রপন্থী ট্যাগে বিদ্ধ করে যাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে সর্বাত্মকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, এখন সে সন্ত্রাসী-জঙ্গিরাই বন্ধু হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। স্বার্থের প্রয়োজনে সব কিছু করা হচ্ছে। অর্থাৎ লাভের ফসল সবার ঘরেই উঠছে; ক্ষতি শুধু তাদের যারা কঠোর রৌদ্রোত্তাপ উপেক্ষা করে ফসলকে নিজের ঘামঝরা শরীরে বহন করে নেতাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে।
এই বক্তব্যের মানে এই নয় যে, আমরা বিবাদের মীমাংসা চাই না। দেশের ষোল কোটি জনতা এক হোক, একটি প্লাটফর্মে এসে দাঁড়াক- এটা আমাদের চাওয়া। কিন্তু রাজনীতিকরা এক হচ্ছেন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য নয়, তারা এক হচ্ছেন নিজ নিজ স্বার্থের খাতিরে। তাদের বন্ধুত্ব থাকবে ততক্ষণ, স্বার্থ বজায় থাকবে যতক্ষণ। তাছাড়া ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য এমন একটি স্ট্যান্ড দরকার যা হবে মানবতার কল্যাণে, কোন ব্যক্তি বা গোষ্টীবিশেষের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নয়। মানবতার কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হলে সেটা হতে হবে মিথ্যার বিরুদ্ধে, মিথ্যার সাথে আপোস করে নয়। মিথ্যার সাথে আপোস করে কোনদিন ঐক্য হয় না, ক্ষণিকের জন্য হয়তবা কিছুটা সুবিধা আদায় করা যায়। কিন্তু সে সুবিধাও যে ক্ষেত্রবিশেষে বুমেরাং হয়ে যাবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তখন লাভের গুঁড় পিঁপড়ায় খেলেও কিছু করার থাকবে না।
বিষয়: রাজনীতি
১২৩২ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে আসাদ ভাই এই সব সমস্যার জন্য আমাদের দরকার একজন নেতার যিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবেন।
সর্বপরি, পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
জানি, আমার কথাগুলো আপনার ভালো লাগবে না। কিন্তু উপায় নেই। এটাই সত্য। এখনকার আলেম সেজে থাকা মাতবরদের কেউ কেউ হুজুগে আলেম, আর কেউ কেউ জ্ঞানপাপী আলেম। এই প্রাণীগুলোকে দিয়ে ইসলামের ক্ষতি ছাড়া উপকার আশা করা যায় না।
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/5197/Mazhar13/44576#.U2jyOaKStkg
তো ৫ মের মারা যাওয়া ভাই গুলির হত্যকারি হাসিনা সরকার
আজ বন্ধু, জুতা মারতে ইচ্ছে হইতেছে
মন্তব্য করতে লগইন করুন