মোল্লার আধহাত কপাল বাদে ভরা গতরই প্যাট (মোল্লাতন্ত্র নির্মূলের প্রয়াস)
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আসাদ আলী ০৮ এপ্রিল, ২০১৪, ০৪:৫০:৪২ বিকাল
কুষ্টিয়ার একটি আঞ্চলিক প্রবাদ হলো- মোল্লার আধহাত কপাল বাদে ভরা গতরই প্যাট। অর্থাৎ মাথা ছাড়া মোল্লাদের নাকি বাকি সমস্ত শরীরই খাদ্যের গোডাউন। মোল্লাদের বর্তমানে যে অবস্থা তাতে এরকম প্রবাদ চালু হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আজকে ধর্মের কথা আসলেই আসে মোল্লার কথা, আর মোল্লা মানেই টাকা, মুষ্ঠির চাউল, জমির সদ্য প্রাপ্ত ধান বা গাছের ফল-মূলের প্রথম শ্রেণির দাবিদার। মোল্লা ছাড়া যেন ধর্ম অচল, আর টাকা ছাড়া মোল্লা অচল। অর্থাৎ ধর্মের কল এখন আর বাতাসে নড়ছে না, ধর্মের কল এখন টাকায় নড়ছে। যার টাকা আছে, যার কাছে দামি হাদীয়া পা্ওয়ার সম্ভাবনা আছে, যে ব্যক্তি মোল্লাদের পকেট গরম রাখার সামর্থ রাখে মোল্লা তারই তাবেদারী করে, তারই পক্ষে ফতোয়া দেয়। আমার আপনার মতো সাধারণ বুভূক্ষ, হাড্ডিসার, দরিদ্র লোকদেরর জন্য কবে কোন মোল্লা আসমানে হাত তুলেছে? মজার ব্যাপার হলো- মোল্লাদের সাথে সবচেয়ে বেশি গণ্ডগোল বাধে কার জানেন? মোল্লাদেরই। জামাতির চোখে চরমোনাই কাফের, চরমোনাই এর চোখে জামাতি কাফেরের চেয়েও বড় কাফের, আহলে হাদীসের চোখে চরমোনোই-জামাতি উভয়েই কাফের, আবার হেফাজতের চোখে পুরো বাংলাদেশ সরকার কাফের, ওলামা লীগের চোখে হেফাজত কাফের, রাজারবাগী-দেওয়ানবাগী, ন্যাঙ্টা বাবা, দয়াল বাবার কথা না হয় বাদই দিলাম। দেশে যদি একটি জরিপ করেন, সামাজিকভাবে মানুষকে কোন শ্রেণি সবচেয়ে বেশি বিভক্ত করে রেখেছে? উত্তর পাবেন মোল্লা শ্রেণি। মোল্লাদের ব্যাপারে আমার আপত্তি দু-একজায়গার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। হাজার হাজার, লক্ষ্ লক্ষ শব্দ লেখা যায় এই মোল্লাদের বিপরীতে। কিন্তু কী লাভ? যতই কর কারিকুরি- মোল্লার হাতেই চাউলের খুরি। আমি যখনই মোল্লাদের ব্যাপারে দু-এক লাইন লিখেছি তখনই নিশ্চিত নাস্তিক ট্যাগ পেয়েছি। শত চেষ্টা করেও মোল্লা অনুগতদের বোঝাতে পারি নি যে, মোল্লা আর ইসলাম এক জিনিস নয়। তবে আফসোস নাই, প্রবল আশা আছে। স্বপ্ন আছে। কোন যালেম লোককে গালি দেওয়ার সময় অনেক ক্ষেত্রে আমরা বলি, তুই একটা জাহেল, তুই একটা ফেরাউন, ঠিকই তেমনিভাবে আমি স্বপ্ন দেখি এমন একটি সময়ের যখন মানুষ ভণ্ড বা প্রতারক বা নিকৃষ্ট লোকদেরকে বোলবে- তুই তো একটা মোল্লা, তুই তো একট মুফতি, তুই তো একটা আল্লামা, তুই তো একটা মাওলানা-পীর, তুই তো একটা ধর্মব্যবসায়ী। তেমন সময় আসবে, আসতেই হবে। মানবতার মুক্তির জন্য, মানুষের শান্তির জন্য, ঐক্যবদ্ধ একটি পৃথিবী গড়ার জন্য আল্লাহ অচীরেই এমন সুদিন আমাদের দান করবেন। সেদিন মোল্লার স্থান হবে শুধুই ইতিহাসের পাতায়।
বিষয়: বিবিধ
১৪০৯ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যদি আপনার মসজিদের চারপাশে যেসব বেনামাজি, বেপর্দা মানুষ, সুদ ও ঘুষখোর, ব্যক্তি কাল আল¬াহর আদালতে দাঁড়িয়ে বলে, হে আমাদের রব! আমাদের ইমাম সাহেব মাসিক বেতন নিতেন, মসজিদে নামাজ পড়িয়ে ওয়াজ নসিহত করে চলে যেতেন, মিলাদ ও বিয়ের দাওয়াত দিলে খেতেন, পয়সা নিতেন, দেনমোহর নিজেও দেননি, পরিশোধ না করণেওয়ালা পাত্রের বিবাহ পড়িয়েছেন, যৌতুকের বিবাহ পড়াতেন, মরলে লাশের পাশে কোরআন খতম করে পয়সা নিতেন, অন্যকে এ সম্পর্কে নিষেধ করেননি। তিনি যদি এগুলো না করতেন, জানাজার নামাজ না পড়াতেন, ঘরে ঘরে গিয়ে নামাজ, পর্দার কথা, সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। কিন্তু বলেননি। হে আল¬াহ! এ নেতাদের দ্বিগুণ শাস্তি দাও। তখন আল¬াহর কাছে কী জবাব দেবেন? নেতারা তাই সময় থাকতে তওবা করে দোয়া করুন।
ইকবার এদের সম্পর্কেই লিখেছেন "ঝগড়া বিবাদ শিখায়েছে খোদা যেমন সকল মোল্লাদের"
ঢালাও ভাবে সব মোল্লারা কারাপ বলা উচিত নয় । তবে দুঃখুজনক ভাবে বেশির ভাগ মোল্লারা টাকার পিছনে দৌডাচ্ছে এটা ঠিক । এর জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা না, গোটা সমাজ বেব্যাস্তা দায় । ধন্যবাদ ।
সব মুসলিমের ঐক্য চাই ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন