রামরাজ্য কেন আজও প্রতীক্ষিত? একটি ধর্মীয় (ইসলাম ও হিন্দু ধর্ম) বিশ্লেষণ

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আসাদ আলী ০৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:১৩:০৪ বিকাল



ধারণা করা হয়, বিষ্ণুর অবতার রাম প্রায় দশ হাজার বছর আগে ভারত শাসন কোরতেন। তাঁর জীবন, মহিমা এবং শিক্ষা আজও মানুষের হৃদয়ে জাগ্রত আছে এবং তাঁর সুকীর্তিগাঁথা নিত্য আলোচিত হোচ্ছে। অযোধ্যারাজ রাম ব্যতীত এত প্রাচীন কোনো নৃপতির জীবনকাহিনী খুব কমই কীর্তিত হয়। তবে রামায়ণ মহাকাব্যের এই মহানায়কের জীবন ও কর্ম ধর্মীয় দৃষ্টিতে বিরাট গুরুত্ব পেলেও ঐতিহাসিকদের অনেকেই এর সত্যাসত্য নিয়ে সন্দেহ বিস্তার করেন। সেটা যাই হোক, এটা অনস্বীকার্য যে শ্রী রামচন্দ্রের দৃষ্টান্তমূলক চরিত্র এবং রাজ্য পরিচালনা পদ্ধতি মহর্ষি বাল্মিকী রচিত রামায়ণকে কোরে তুলেছে মানব-ইতিহাসের একটি জনপ্রিয়তম গ্রন্থ যা একাধারে ব্যক্তি ও সমাজের নৈতিক শিক্ষার উৎস এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বহু অমূল্য জ্ঞানের আধার।

রামরাজ্যের প্রতীক্ষা

“রামরাজ্য” শব্দটির মধ্যে বর্তমানে অনেকে সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ খুঁজে পেলেও প্রকৃতপক্ষে শান্তিময় পৃথিবীর সমার্থক হিসাবেই ভারাতীয় উপমহাদেশের সর্বত্র এ শব্দটি বাগধারা হিসাবে মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়। তবে এ শব্দটি সবচেয়ে বেশি শুনতে পাওয়া যায় ভারতের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বক্তৃতায় এমন কি নির্বাচনী এশতেহারেও। তারা অনেকেই একবিংশ শতাব্দীতে ভারতকে রামরাজ্যে পরিণত কোরতে প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। সনাতন ধর্মবিশ্বাসমতে কলিযুগের অন্ত্যে আরেকবার সত্যযুগের আবির্ভাব হওয়ার কথা। অনেক ভারতীয় জ্যোতিষ ভবিষ্যদ্বাণী কোরেছেন যে সে সময় অত্যাসন্ন। সে যাই হোক, মোদ্দা কথা হোচ্ছে ১০ হাজার বছর পরও রামরাজত্বের ন্যায় একটি শান্তিময় রাষ্ট্রব্যবস্থা মানুষের কাছে অতি আকাক্সিক্ষত বস্তু।

মহাত্মা গান্ধী ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, দেশ স্বাধীন হোলে ভারতে রামরাজত্ব ফিরে আসবে। যখনই তিনি তার স্বপ্নের আদর্শ রাষ্ট্র সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হোতেন, তিনি রামরাজ্যের কথা বোলতেন। রামরাজ্যের শ্লোগানের মাধ্যমে গান্ধীজি বোঝাতে চেয়েছিলেন এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ থাকবে না, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত থাকবে, মানুষে মানুষে কোন বৈষম্য থাকবে না, কেউ কোন কাজের কৃতিত্ব দাবি কোরবে না , সর্বত্র আত্মত্যাগের চর্চা হবে। রামরাজ্যের যেন কোন অপব্যাখ্যা না কোরতে পারে বা একে কেবল হিন্দু সাম্প্রদায়িক শ্লোগান হিসাবে মনে না করা হয় এজন্য গান্ধীজি নিজেই এর ব্যাখ্যা প্রদান করেন তার লেখায় এবং বক্তব্যে। তিনি ২৬ ফেব্রুয়ারী, ১৯৪৭ তারিখে প্রদত্ত একটি ভাষণে বলেন, কেউ যেন ভুলবশত মনে না করেন যে রামরাজ্য মানে হিন্দুর শাসন। আমার কাছে রাম হোচ্ছে আল্লাহ বা ঈশ্বরের অপর নাম। আমি প্রকৃতপক্ষে চাই খোদার শাসন যা পৃথিবীর বুকে আল্লাহর রাজত্বেরই সমার্থক।



ইতিহাসের পাতায়:

সুতরাং এটা সুস্পষ্ট যে, রামরাজ্য বোলতে বোঝায় এমন একটি সমাজ যেখানে প্রতিটি মানুষ ধর্মের বিধিনিষেধের প্রতি আনুগত্যশীল এবং প্রত্যেকে সুখী ও তৃপ্ত, যে সমাজে তাদের সকল অধিকার প্রদান করে ও চাহিদা পূরণ করে। অনেক ঐতিহাসিক রামায়ণের উপর গবেষণা কোরে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, রামরাজ্য কোন পৌরাণিক কল্পকাহিনী নয়, এটি সর্বযুগের জন্য একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং শিক্ষা। হাজার হাজার বছরে একটি ইতিহাস বিকৃত হয় এটা স্বাভাবিক। তবে সত্যানুসন্ধী মন এই বিকৃতির ভিড় থেকেও সত্যকে খুঁজে বের কোরতে সক্ষম হয়। রামায়ণের অযোদ্ধাকাণ্ড অধ্যায়ে রামরাজ্য সম্পর্কে যে ধারণা পাওয়া যায় তা হোল, অযোদ্ধায় বিরাজ কোরত শান্তি, প্রশান্তি আর প্রগতি। রাজা দশরথ রাজ্যের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষটিকেও সর্ববিচারে সকলের সমান জ্ঞান কোরতেন। তিনি রাজত্ব কোরেছেন প্রায় ১০০০০ বছর। তার রাজ্যে শিক্ষকের মর্যাদা ছিল সবার ঊর্ধে। তাই যুবরাজ রামচন্দ্র আর লক্ষণকে শিক্ষাপ্রদানকালে গুরু বিশ্বামিত্র বোলেছিলেন, “রাজা যদি দরিদ্র ও অসহায় মানুষের কষ্টগুলির অভিজ্ঞতা লাভ না করে, তাহোলে সে কখনওই ভাল শাসক হোতে পারবে না।” গুরুর এই শিক্ষা শিরোধার্য কোরে রামচন্দ্র আর লক্ষণ অতি দূরবর্তী স্থানেও পদব্রজে চলাচল কোরেছেন, ঘোড়ায় বা রথে চোড়ে যান নি। রাজ্যে কোন বিদ্রোহী ছিল না। এ কারণেই রাজ্যের নাম হোয়েছিল অযোদ্ধা অর্থাৎ যেখানে কোন যুদ্ধ নেই।

ইক্ষাকু বংশীয় মহান রাজা রঘুপতি রামচন্দ্র বাবা দশরথের পর রাজত্ব কোরেছেন ১৩০০০ বছর। এই সময়টিইে প্রকৃতপক্ষে রামরাজ্য বলা হয়। তিনি ছিলেন একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক। তাঁর রাজ্যের প্রতিটি মানুষ শাস্ত্রের বিধানগুলি সম্পর্কে অবহিত ছিলো। কেবল মানুষ নয়, পশুও তার অধিকার ভোগ কোরত, তাদের প্রতি কেউ কোন অন্যায় কোরলে বা তারা কোন ক্ষতির আশঙ্কা কোরলে রাজার দরবারে গিয়ে হাজির হোত। শাস্ত্রে বলা ছিল, প্রজার দুঃখ-কষ্টের কারণ হোচ্ছে রাজার দোষে এবং শাসনকার্যে অবহেলার দরুন। তাই ত্রেতাযুগের প্রতিটি মানুষ তাদের জীবনে যে কোন দুঃখ দুর্দশা আসলে তারা সরাসরি রাজাকে অভিযুক্ত কোরত এবং তার কাছে চাইতো, এবং রাজা সেই জবাব এবং প্রতিবিধান দিতে বাধ্য থাকতেন। একজন মানুষও অপঘাতে মোরত না। প্রকৃতিও ছিল মানুষের সুখ-স্বাচ্ছন্দের প্রতি অনুকূল। মানুষের গড় আয়ু ছিল প্রায় দশ হাজার বছর। তারা প্রত্যেকে সকল প্রকার পূর্ণতা ও প্রাচুর্যের মধ্যে সুখী জীবনযাপন কোরত। বছরের বারো মাসেই প্রচুর ফসল উৎপন্ন হোত। যখন যেখানে বৃষ্টি দরকার তখন সেখানে বৃষ্টিপাত হোত, যেখানে দরকার নেই সেখানে কখনও বৃষ্টিপাত হোত না। সূর্য কখনোই দাবদাহ ছড়াতো না। মানুষের চিত্তসুখকর সমীরণ মৃদুমন্দবেগে প্রবাহিত হোত। গাছে গাছে সুমিষ্ট ফল ধরতো। মহামূল্যবান রতœ, মাণি-মাণিক্যও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত হোত, নারী-পুরুষ উভয়েই প্রচুর অলঙ্কার পরিধান কোরত। থালা বাসন তৈরি করার জন্য কেবল স্বর্ণই ব্যবহৃত হোত। প্রতিটি মানবশিশু জন্ম নিত সুন্দর ও সুশ্রীরূপে। মেয়েরা তাদের পূর্ণ রূপ ও যৌবন স্বামীর নিকট প্রকাশ কোরত স্বামীকে আনন্দিত ও পুলকিত করার জন্য। মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এতটাই সংরক্ষিত ছিল যে মহাকবি বাল্মিকী উপমা দিয়েছেন, প্রভাত বেলায় যদি বধুর গাত্রাবাসে সঙ্গে পতির অঙ্গাভরণ বিদ্ধ হোয়ে থাকতো তবে সূর্যও উদিত হোতে দ্বিধা কোরত পাছে, তার আগমনে নাগরিকদের দাম্পত্য সুখ বিঘিœত হয়। এই ছিল রামরাজ্য।Ram-Razotto-2

রামরাজ্যের পুনরাবর্তনের স্বপ্ন কি অলীক?

রামরাজ্য হোচ্ছে একটি আদর্শ সমাজ যা সকলেরই কাম্য। কোন্ দেশ আছে পৃথিবীতে যারা এমন শান্তি, প্রশান্তি আর প্রগতি চায় না? এখন বিরাট প্রশ্ন হোল, রামরাজ্য ফিরে আসুক এটা হয়তো সবাই চাইবে, কিন্তু রাম ছাড়া রামরাজ্য কিভাবে সম্ভব?

এ প্রশ্নের উত্তর জানতে হোলে আগে আমাদেরকে বুঝতে হবে রামরাজ্যের যে চিত্র আমরা ইতিহাসে দেখি সেই ইতিহাস সৃষ্টি কোরেছিল কিসে। সেটা হোচ্ছে শাস্ত্রের বিধান অর্থাৎ আল্লাহ প্রদত্ব জীবনব্যবস্থা দিয়ে রাজ্য শাসনের ফলেই ঐরকম শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোয়েছিল।

আজ সনাতন ধর্মের অনুসারী হওয়ার দাবিদাররা যে রামরাজত্বের গল্প করেন তারা কীভাবে ফিরে পাবেন সেই স্বপ্নের রাজ্য তা তাদের জানা নেই, তবু তারা রামরাজ্য ফিরে আসার স্বপ্ন দেখেন। আর মোসলেম নামধারীদের অনেকেই রামরাজত্বের কথা শুনলেই নাক কুঁচকান। বিশেষ কোরে অনেকেই সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অত্যন্ত বিদ্রুপাত্মকভাবে শব্দটি প্রয়োগ করেন। কিন্তু স্রষ্টার বিধান থেকে বহুদূর অবস্থানকারী বর্তমানের হিন্দু ও মোসলেম কেউই ভাবতেও পারেন না যে, যুগে যুগে স্রষ্টা মানবজাতিরই সুখ, শান্তি, উন্নতি, প্রগ্রতির জন্য যে বিধান পাঠিয়েছেন এবং অবতার-নবী-রসুল পাঠিয়েছেন তারই ধারাবাহিকতায় মহাভারতে যে অবতারগণ এসছেন তারা আল্লাহর প্রেরিত নবী রসুল এবং তাঁরা যে শাস্ত্র দিয়ে সমাজ পরিচালিত করেছেন তা আল্লাহর কায়েম করা সত্যদীন। ঐ সময়গুলিতে সমাজে এমন অকল্পনীয় শান্তি সত্যিই এসেছিল এবং সেটা মানব ইতিহাসে কোন আকস্মিক ঘটনা ছিল না। ইহুদি জাতি যখন দাউদের (আ) উপর নাজেলকৃত শরিয়ত (শাস্ত্র) মেনে চোলত তখন এবং তাঁর পরবর্তীতে সোলায়মান (আ) এর সময় কেমন সুখের রাজ্য প্রতিষ্ঠা হোয়েছিল যা এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। নবী-অবতারবৃন্দের ধারাবাহিকতায় সারা বিশ্বের মানবজাতিকে একটি অভিন্ন শাস্ত্রের অধীনে নিয়ে আসার জন্য আল্লাহ পাঠিয়েছেন কল্কি অবতার, অন্তীম ঋষি মোহাম্মদ (দ) কে। তিনি ও তাঁর আসহাবগণ এবং তাঁদের পরবর্তী মো’মেনরা পার্থিব সবকিছু কোরবান কোরে কঠোর ও সর্বাত্মক সংগ্রামের মাধ্যমে মাত্র ৬০/৭০ বছরের মধ্যে অর্ধ দুনিয়ায় স্রষ্টার দেয়া সেই নিখুঁত জীবনব্যবস্থা বা সিস্টেম প্রতিষ্ঠা কোরলেন। ফলে মানুষের জীবন এবং সম্পদের পূর্ণ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হোল। একজন যুবতি সারা গায়ে অলঙ্কার পরে একা শত শত মাইল পথ ভ্রমণ কোরতে পারতো, তার মনে কোন ক্ষতির আশঙ্কাও জাগ্রত হোত না। মানুষ রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব কোরতো না। আদালতগুলিতে মাসের পর মাস কোন অপরাধ সংক্রান্ত মামলা আসতো না, এমন কি বহুক্ষেত্রে অপরাধী নিজেই বিচারকের কাছে এসে অপরাধ স্বীকার কোরে শাস্তি প্রার্থনা কোরত, উকিল বা সাক্ষী কিছুরই প্রয়োজন পড়তো না। অর্থনৈতিক মুক্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, দান অথবা যাকাতের টাকা গ্রহণ করার কেউ ছিল না। শাসক শাসনকার্যকে এবাদত মনে করতো, আর জনগনের সম্পদকে মনে কোরত পবিত্র আমানত। প্রতিটি মানুষ আল্লাহর দেয়া সিস্টেমে বাস করার ফলে সত্যবাদীতা, আমানতদারী, পরোপকার, মেহমানদারী, উদারতা, ত্যাগ দানশীলতা, ইত্যাদি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ হোয়ে গিয়েছিলো। শিক্ষাদানকে মনে কোরত এবাদত, আর সমাজে শিক্ষকের সম্মান ছিল পিতার মত। নারীরা পূর্ণ সম্মান ও মর্যাদার সাথে জাতীয় ও সামাজিক প্রয়োজনে নিশ্চিন্তে, নির্বিঘ্নে যে কোন ভূমিকা রাখতে পারতো, কোন ফতোয়ার চোখ রাঙানী ছিল না। স্রষ্টার দেয়া সেই সিস্টেম সার্বক্ষণিক দ্বন্দ্ব বিবাদ, মারামারি, কাটাকাটিতে নিমজ্জিত সমাজের মানুষগুলিকে সোনার মানুষে রূপান্তরিত কোরল। শুধু সমাজটিই সুন্দর হোল না, জাহেলি যুগে যারা নিজের কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দিত তারা হয়ে গেল একেকজন সোনার মানুষ। দশ হাজার বছর আগের রামরাজত্ব ইতিহাসের এমনই একটি বিশেষ মুহূর্ত যখন লঙ্কার অত্যাচারী রাক্ষসদের (কাফের), আসুরিক শয়তানি অপশক্তির বিনাশ সাধন কোরতে স্রষ্টার পক্ষ থেকেই আবির্ভূত হোয়েছিলেন শ্রী রামচন্দ্র।

সুতরাং এমন সুখময় দিন আবারও আমাদের মধ্যে ফিরে আসবে, শর্ত হোল মোসলেম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এই জাতিগুলির কেউ অপর জাতিকে কোনরূপ দোষারোপ নিন্দা, অপবাদ ও হেয় প্রতিপন্ন করা থেকে বিরত হবে এবং একটি কথার উপর ঐক্যমত্য হবে যে, আমরা সবাই এক স্রষ্টার সৃষ্টি এক পিতা মাতা আদম হাওয়ার সন্তান। আমরা সবাই ভাই ভাই। তাই স্রষ্টার দেওয়া বিধান মোতাবেকই আমরা জীবন পরিচালিত কোরব। কল্কি অবতার অর্থাৎ আল্লাহর শেষ রসুল, মহানবী (দHappy এর আনীত গ্রন্থ কোর’আন আজও অবিকৃতভাবে বর্তমান আছে। তাঁর যে শিক্ষা গত ১৪০০ বছর ধোরে কালের আবর্তে হারিয়ে গিয়েছিল সেই শিক্ষাও যামানার এমাম জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর মাধ্যমে আমাদের কাছে ফিরে এসেছে। এখন প্রয়োজন একটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো যে আমরা সত্যিই শান্তিময় ইহকাল ও পরকাল গড়তে চাই কি না।

বিষয়: বিবিধ

২৭৭৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

160759
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৪
বুড়া মিয়া লিখেছেন : আব্রাহামিক ধর্মের ভিত্তিতে যে ধর্মগুলো আছে (তাওরাত-যবুর-ইঞ্জিল-কুর’আন) তার আলোকে রামরাজ্য একটা ভৌতিক ধারণা।

তাওরাতের জেনেসিস পার্ট এ মানুষের সৃষ্টির পর থেকে বংশধারার বর্ণনা বিদ্যমান, সেটা থেকে হিসাব করে পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব কবে থেকে তা হিসেব করা আছে ইহিদী-খ্রীষ্টান এবং মুসলমানদের কাছেও। এ হিসেবে পৃথিবী কবে সৃষ্টি হয়েছে এবং মানুষের আগে কারা ছিল তা জানা না গেলেও – মানুষের অস্তিত্ব যে আজ থেকে ৬,০০০ বছর আগের তা একদম প্রতিষ্ঠিত। এবং তাওরাতে আপনি আরও পাবেন তাদের আয়ুস্কাল – সেখানে কারও আয়ু আপনি ১,৫০০ বছরও পাবেন না। আরও কম আমার সঠিক বছর মনে নাই তবে ঐরকমই।

তাই এখানে মুসলিম-খ্রীষ্টান-ইহুদীদের দৃষ্টিকোণ থেকে আব্রাহামিক-ধর্মীয় ভিত্তিতে ১০,০০০/১৩,০০০ বছরের রাজত্ব এবং আয়ুস্কাল পুরাপুরি ভৌতিক।

তবে আধুনিক বৈজ্ঞানিকদের মতন কাল্পনিক ভিত্তিতে লক্ষ-কোটি বছর আগে মানুষের অস্তিত্ব নিয়ে হৈ-চৈ করা যায় কিন্তু সেটার প্রচারিত ভিত্তি কল্পনা এবং কল্পনানুসারে কাল্পনিক বেজ ধরে তাদের সে হিসাব – এগুলো একটাও সত্য না।
160771
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:২৫
দ্য স্লেভ লিখেছেন : kisu toththo goto bivrat ase bote,jemon 13000 bosorer rajotto etc. kintu apni ja bujhate cheyesen ta bujhte peresi. main thing is we have establish a state...according to allahs order...according to sunnah.n its descriebing in ancient holy books....though theres many changes..
160773
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:২৬
দ্য স্লেভ লিখেছেন : keep it up...but expecting u will comment at the same time so tht readers may understand that some infor r not supported... ..zazakallh
160780
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৮
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : এখন প্রয়োজন একটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো যে আমরা সত্যিই শান্তিময় ইহকাল ও পরকাল গড়তে চাই কি না।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File