সংঘাতময় পৃথিবীর মুক্তির জন্য এসলামের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা (১ম পর্ব) - (চিন্তার খোরাক)
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আসাদ আলী ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১১:৩২:৩৫ সকাল
মানুষ মূলতঃ সামাজিক জীব এবং সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করে। তার কারণ কোন মানুষই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়, জীবনধারণের জন্য তাকে কোন না কোন কারণে অন্যের উপর নির্ভরশীল হোতেই হয়, নির্ভরশীলতার কারণেই তাকে সমাজবদ্ধভাবে বসবাস কোরতে হয়। সমাজবদ্ধভাবে জীবনযাপন কোরতে গেলে মানুষকে স্বভাবতই একটি নিয়ম-কানুনের অর্থাৎ সিস্টেমের মধ্যেই বাস কোরতে হয়। যে সিস্টেমের মধ্যে জীবনের বিভিন্ন বিষয়ের নিয়ামক থাকতে হয়। এই সিস্টেম বা নিয়ামককে জীবনব্যবস্থা বলা যায়। স্বভাবতই সেই জীবনব্যবস্থায় একদিকে যেমন থাকবে আত্মিক উন্নয়নের ব্যবস্থা অন্যদিকে আইন কানুন, দণ্ডবিধি, অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, শিক্ষানীতি ইত্যাদি সর্বপ্রকার ও সর্ববিষয়ে বিধানও থাকতে হবে। একটি জীবনব্যবস্থা ছাড়া সমাজবদ্ধ জীবের বাস করা বা জীবন যাপন করা একেবারেই অসম্ভব। মানুষের কাছে কাম্য হোচ্ছে এমন একটি জীবনব্যবস্থার মধ্যে সে বাস কোরবে, যে জীবনব্যবস্থাটি হবে সঠিক ও নির্ভুল; সেই ব্যবস্থা কার্যকরী করার ফলে মানুষ এমন একটি সমাজে বাস কোরবে যেখানে কোন অন্যায় থাকবে না, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কোন প্রকার অন্যায় থাকবে না, অবিচার থাকবে না, যেখানে জীবন এবং সম্পদের নিরাপত্তা হবে পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত; যেখানে চিন্তা, বাক-স্বাধীনতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হবে সংরক্ষিত এবং মানুষে মানুষে সংঘাত, দ্বন্দ্ব, রক্তপাত থাকবে না। অবশ্য যেহেতু মানবজাতির মধ্যে ভালো-মন্দ সব রকম লোকই থাকে, সেহেতু এটা ১০০% ভাগ অর্জন করা সম্ভব নয়, কিন্তু জীবনব্যবস্থার নির্ভুলতা বা সঠিকতার ফলে যদি অপরাধ, অন্যায়, অবিচার এবং মানুষে মানুষে সংঘর্ষ ও রক্তপাত নিুতম পর্যায়ে, শতকরা ১% বা ২% এ নেমে আসে, তবে তা-ই যথেষ্ট। এমন একটি নিখুঁত জীবনব্যবস্থাই আল্লাহ নাজেল কোরেছেন তাঁর শেষ রসুলের মাধ্যমে। স্রষ্টার দেওয়া এই নিখুঁত ত্র“টিহীন জীবনব্যবস্থা কায়েম কোরলেই মানবজীবনে, আমাদের জীবনে কার্যকরী কোরলে অন্যায়, অবিচার, অশান্তি, নিরাপত্তাহীনতা, অপরাধ, সংঘর্ষ, রক্তপাত প্রায় বিলুপ্ত হোয়ে নিরাপদ ও শান্তিময় জীবন আমরা পাবো। এই শান্তিময় অবস্থাটির নামই স্রষ্টা দিয়েছেন এসলাম, অর্থাৎ শান্তি।
প্রশ্ন হোতে পারে যে স্রষ্টার দেওয়া জীবনবিধান মানুষের সমাজ জীবনে প্রয়োগ ও কার্যকরী করা হোলে জীবনে যে ন্যায়, সুবিচার, নিরাপত্তা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠিত হবে তার যুক্তি ও প্রমাণ কি?
এর বহু প্রমাণ আছে। তবে সবচেয়ে বড় প্রমাণ হোল ইতিহাস। শেষ নবী মোহাম্মদের (দ মাধ্যমে যে শেষ জীবন বিধান স্রষ্টা প্রেরণ কোরেছিলেন তা মানবজাতির একাংশ গ্রহণ ও সমষ্টিগত জীবনে কার্যকরী করার ফলে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি অংশ অর্থাৎ নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতে কী ফল হোয়েছিল তা ইতিহাস। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পূর্ণ নিরাপত্তা যাকে বলে তা প্রতিষ্ঠিত হোয়েছিল। মানুষ রাতে শোওয়ার সময় ঘরের দরজা বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব কোরত না, রাস্তায় ধনসম্পদ ফেলে রাখলেও তা পরে যেয়ে যথাস্থানে পাওয়া যেত, চুরি, ডাকাতি, হত্যা, রাহাজানী প্রায় নির্মূল হোয়ে গিয়েছিল, আদালতে মাসের পর মাস কোন অপরাধ সংক্রান্ত মামলা আসতো না। আর অর্থনৈতিক দিক থেকে প্রতিটি মানুষ স্বচ্ছল হোয়ে গিয়েছিল। এই স্বচ্ছলতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, মানুষ যাকাত ও সদকা দেওয়ার জন্য টাকা পয়সা নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো কিন্তু সেই টাকা গ্রহণ করার মত লোক পাওয়া যেত না। শহরে নগরে লোক না পেয়ে মানুষ মরুভূমির অভ্যন্তরে যাকাত দেওয়ার জন্য ঘুরে বেড়াতো। এটি ইতিহাস। মানবরচিত কোন জীবনব্যবস্থাই এর একটি ভগ্নাংশও মানবজাতিকে উপহার দিতে পারে নাই।
শান্তিময় ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের জন্য সর্ব প্রথম যে জিনিসটি প্রয়োজন তা হোচ্ছে জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা। তারপর ক্রমান্বয়ে আসে অর্থনৈতিক সুবিচার, তারপর ক্রমান্বয়ে আসে রাজনৈতিক, সামাজিক ইত্যাদি সুবিচার। আজ আমরা আলোচনা কোরব এসলামের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে।
জড়বাদী পাশ্চাত্যের চিন্তার প্রভাবাধীন সমস্ত পৃথিবীতে এখন বোধহয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রয়োজনীয়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দু’চার শতাব্দী আগে পর্যন্তও প্রাচ্যের বৌদ্ধ, জৈন, সনাতন ধর্মী, ভারতীয় ইত্যাদির কাছে অর্থনীতির অত গুরুত্ব ছিলো না, পার্থিব জীবনের চেয়ে আত্মার ও চরিত্রের উৎকর্ষের সম্মান ছিলো বেশি। একজন কোটিপতির চেয়ে একজন জ্ঞানী, শিক্ষিত, চরিত্রবান কিন্তু গরীব লোককে সমাজ অনেক বেশি সম্মান কোরত। আর শেষ ‘দীন এসলাম’ হলো ভারসাম্যযুক্ত । যেমন সমস্ত দীনটাই ভারসাম্যপূর্ণ। যে জন্য এই জাতিটাকে আল্লাহ বর্ণনা কোরেছেন ভারসাম্যযুক্ত জাতি বোলে (সুরা আল-বাকারা ১৪৩)। অর্থাৎ এর উভয় জীবনই সমান গুরুত্বপূর্ণ। খ্রিস্টধর্মের বিফলতার জন্য যখন ইউরোপ জাতীয় জীবন থেকে এটাকে বাদ দিয়ে ধর্ম নিরপেক্ষতা বোলে এক নীতি উদ্ভাবন কোরে নিলো, তখন ওটার অর্থনীতি ধার করলো ইহুদিদের কাছে থেকে। কোরতে বাধ্য হলো; কারণ খ্রিস্টধর্মে ইহলৌকিক কোন আইন কানুন নেই সুতরাং অর্থনীতিও নেই। ঈসা (আ এসেছিলেন শুধুমাত্র ইহুদিদের আধ্যাত্মিক সংশোধনের জন্য; ইহুদিদের জাতীয় অর্থাৎ রাজনৈতিক আর্থ-সামাজিক আইন দণ্ডবিধি ইত্যাদি মোটামুটি অবিকৃতই ছিলো। ইউরোপ ইহুদিদের কাছে থেকে অর্থনীতি ধার নিলেও অবিকৃত অবস্থায় নিলো না। তারা ওটার মধ্যে সুদ প্রবর্তন কোরে ধনতন্ত্রে পরিবর্তন কোরে নিলো। এ কাজটা অবশ্য ইহুদিরা আগেই কোরে নিয়েছিলো মুসার (আ ব্যবস্থাকে পরিবর্তন কোরে। মানুষের তৈরি ব্যবস্থা সুষ্ঠু সমাধান দিতে পারে না, কাজেই এই অর্থনীতিও পারলো না। ফল হলো অন্যায়-শোষণ, জাতীয় সম্পদের অসম বণ্টন। এই অন্যায় যখন মানুষের সহ্যের সীমা অতিক্রম করলো তখন তার বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়ালো আরেক অন্যায়; কার্ল মার্কসের রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদ, কমিউনিজম। এটাও সেই মানুষের তৈরি ব্যবস্থা সুতরাং অবশ্যম্ভাবী পরিণতি সেই অন্যায়, শুধু অন্য রকমের অন্যায়। এই ব্যবস্থাও মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান দিতে ব্যর্থ হোয়েছে। কারণ আল্লাহর দেয়া ব্যবস্থা ছাড়া কারো তৈরি ব্যবস্থা প্রকৃত সমাধান দিতে পারে না, পারবে না।
এই দীনের অর্থনীতির মূল ভিত্তি আল্লাহ মেহেরবাণী কোরে বুঝতে দিয়েছেন; শুধু সেইটুকুই আমি লিখছি তার বেশি নয়। ভিত্তি বোলতে আমি বোঝাচ্ছি-নীতি, যে নীতির উপর একটা ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। পুঁজিবাদ, ধনতন্ত্রের নীতি হলো জনসাধারণের সম্পদ সাপটে এনে এক বা একাধিক স্থানে জড়ো করা। সমাজতন্ত্রের নীতি হলো জনসাধারণের সম্পদ রাষ্ট্রের হাতে তুলে নেওয়া। মূলে একই কথা, দু’টোই জনসাধারণকে বঞ্চিত করা। পুঁজিবাদে দেশের, জাতির সম্পদ পুঞ্জীভূত কোরে সংখ্যালঘিষ্ঠ মানুষের হাতে ব্যাংক ইত্যাদির মাধ্যমে। যার ফলভোগ করে অতি অল্পসংখ্যক লোক এবং তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে বঞ্চিত কোরে বিরাট ধনী হোয়ে যায়। আর সমাজতন্ত্র দেশের জাতির সম্পদ পুঞ্জীভূত করে রাষ্ট্রের হাতে। জনসাধারণকে দেয় তাদের শুধু খাদ্য, পরিধেয়, শিক্ষা ও চিকিৎসা, বাসস্থানের মত প্রাথমিক, মৌলিক প্রয়োজনগুলি, যদিও কার্যক্ষেত্রে তাও সুষ্ঠুভাবে কোরতে ব্যর্থ হোয়েছে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় সম্পদ পুঞ্জীভূত কোরে হাতে গোনা কতকগুলি কোটিপতি সৃষ্টি হয়, বাকি জনসাধারণ জীবনের প্রাথমিক মৌলিক প্রয়োজনগুলি থেকেও বঞ্চিত হয়। এই ব্যবস্থা যতটুকু পরিধিতে প্রয়োগ করা হবে ততটুকু পরিধিতেই ঐ ফল হবে। একটি ভৌগোলিক রাষ্ট্রে এ ব্যবস্থা প্রয়োগ কোরলে যেমন ঐ রাষ্ট্রের জনসাধারণের ভীষণ দারিদ্রের বিনিময়ে মুষ্টিমেয় কোটিপতি সৃষ্টি হবে ঠিক তেমনি পুঁজিবাদী ব্যবস্থা পৃথিবীময় প্রয়োগ কোরলে কয়েকটি ভৌগোলিক রাষ্ট্র বিপুল ধনী হোয়ে যাবে আর অধিকাংশ রাষ্ট্র চরম দারিদ্র্যের মধ্যে পতিত হবে যেমন বর্তমানে হোয়েছে। এর কারণ হলো একটি ভৌগোলিক রাষ্ট্রের সম্পদ যেমন সীমিত- তেমনি পৃথিবীর সম্পদও সীমিত। সীমিত যে কোন জিনিসকেই কোথাও একত্রিত করা, পুঞ্জিভূত করা মানেই অন্যস্থানে অভাব সৃষ্টি করা। একটা রাষ্ট্রের ভেতরই হোক, আর সমস্ত পৃথিবীতেই হোক, সেটার সম্পদ, যা সমস্ত মানব জাতির মধ্যে ছড়িয়ে থাকার কথা, সেটাকে যদি কোথাও পুঞ্জীভূত করা হয় তবে অন্যত্র অভাব সৃষ্ট হওয়া অবশ্যম্ভাবী। সমাজবাদী, পুঁজিবাদী ও কমিউনিস্ট এই সকল অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই মানুষের তৈরি, গায়রুল্লাহর ব্যবস্থা। সুতরাং এর পরিণাম অবশ্যই অন্যায়-অবিচার। অন্যদিকে শেষ জীবন-ব্যবস্থায় অর্থনীতির প্রণেতা স্বয়ং স্রষ্টা, আল্লাহ। এই ব্যবস্থার ভিত্তি নীতি হোচ্ছে সম্পদকে মানুষের মধ্যে দ্রুত গতিতে চালিত করা, কোথাও সঞ্চিত হোতে না দেওয়া। পুঁজিবাদ বোলছে সম্পদ খরচ না কোরে সঞ্চয় কর; সবার সঞ্চয় একত্র কর, পুঞ্জীভূত কর (ব্যাংকে), আল্লাহ কোর’আনে বোলছেন খরচ কর, ব্যয় কর, সম্পদ জমা কোরো না, পুঞ্জীভূত কোরো না। অর্থাৎ এসলামের অর্থনীতি পুঁজিবাদী অর্থনীতির ঠিক বিপরীত। একটায় সঞ্চয় কর অন্যটায় ব্যয় কর। অন্যদিকে সমাজতন্ত্রী সাম্যবাদী অর্থনীতি ব্যক্তিগত মালিকানা নিষিদ্ধ কোরে জাতির সমস্ত সম্পদ রাষ্ট্রের হাতে পুঞ্জীভূত করে। এটাও এসলামের বিপরীত। কারণ, এসলাম ব্যক্তিগত মালিকানা সম্পূর্ণ স্বীকার করে এবং রাষ্ট্রের হাতে সম্পদ পুঞ্জীভূত করে না। পুঁজিবাদের ও সমাজতন্ত্রের যেমন আলাদা নিজস্ব অর্থনীতি আছে তেমনি এসলামের নিজস্ব অর্থনীতি আছে। এককথায় বোললে বোলতে হয় সেটা হোচ্ছে সম্পদকে যত দ্রুত সম্ভব চালিত করা, কোথাও যেন সেটা স্থবির-অনঢ় না হোতে পারে। এই জন্যই কোর’আনে এই অর্থনীতির বিধাতা, বিধানদাতা বহুবার তাগিদ দিয়েছেন খরচ কর, ব্যয় কর, কিন্তু বোধহয় একবারও বলেন নি যে, সঞ্চয় কর। যাকাত দেয়া, খারাজ, খুমস ও ওশর দেয়া এবং তার উপর সাদকা দান ইত্যাদি খরচের কথা এতবার তিনি বোলেছেন যে, বোধহয় শুধুমাত্র তওহীদ অর্থাৎ জীবনের সর্বক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহকে প্রভু, হুকুমদাতা, এলাহ বোলে স্বীকার ও বিশ্বাস করা এবং জেহাদ ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে এতবার বলেন নি। কারণ, একটা জাতির এবং পরবর্তীতে সমগ্র পৃথিবীতে অর্থাৎ যে কোন পরিধিতে সম্পদ যথাযথ এবং বণ্টনের জন্য প্রয়োজন হোচ্ছে সঞ্চয় নয়, ব্যয়। একজনের হাতে থেকে অন্য জনের হাতে হস্তান্তর, অর্থাৎ গতিশীলতা। প্রতিটি হস্তান্তর যত দ্রুত হোতে থাকবে তত বেশি সংখ্যক লোক ঐ একই সম্পদ থেকে লাভবান হোতে থাকবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, ধরুন একটা এক টাকার নোট। এই নোটটা যার হাতেই পড়লো, সে যথা সম্ভব শীঘ্র সেটা খরচ কোরে ফেলল। সে খরচ যেমন কোরেই হোক, কোন কিছু কিনেই হোক বা দান কোরেই হোক বা কাউকে ধার দিয়েই হোক বা কোন ব্যবসাতে বিনিয়োগ কোরেই হোক। ঐ নোটটা যদি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দশজন লোকের হাত বদলায় তবে ঐ এক দিনে নোটটা দশজন লোককে লাভবান করবে। আর যদি একশ’ জনের হাত বদলায় তবে একশ’ জনকে লাভবান কোরবে। কারণ প্রতিবার হাত বদলাবার সময় দু’জনের মধ্যে একজনকে অবশ্যই লাভবান হোতেই হবে। অর্থাৎ ঐ সীমিত সম্পদটা অর্থাৎ ঐ এক টাকার নোটটা যত দ্রুত গতিতে হাত বদলাবে যত দ্রুত গতিতে সমাজের মধ্যে চালিত হবে তত বেশি সংখ্যক লোককে লাভবান কোরবে; তত বেশি সংখ্যক লোক অর্থনৈতিক উন্নতি কোরবে এবং পরিণতিতে সমস্ত সমাজকে অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত কোরবে, সম্পদশালী কোরবে। (চোলবে)
বিষয়: বিবিধ
১৬২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন