দেশবাসী, আর কত পড়ে পড়ে মার খাবেন? - হেযবুত তওহীদ

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আসাদ আলী ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১১:০৭:৪৯ রাত



জাতি আজ তার ইতিহাসের এক ভয়াবহ ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম কোরছে। রাজনৈতিক সন্ত্রাস, হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও, হানাহানি, দুর্নীতি, ভয়-আতঙ্ক, রাজনীতি ও শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ইত্যাদি নানাবিধ কর্মকাণ্ড জাতির প্রতিটি মানুষের জীবনকে কোরে তুলেছে চরম নিরাপত্তাহীন। যাদের দায়িত্ব জাতিকে উন্নতি ও প্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, তারাই ক্ষুদ্র স্বার্থের দ্বন্দ্বে লিপ্ত হোয়ে জনগণকে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে, রক্ষকরাই ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হোয়েছে। গুটিকয়েক মানুষের হাতে জিম্মি হোয়ে আছে দেশের ১৬ কোটি মানুষ। তবে এই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে উত্তরণ চায় সকলেই। একমাত্র ঘোর শত্র“রা ছাড়া কেউই চায় না যে দেশে এরকম অশান্তির রাজত্ব চোলুক। প্রতিটি ধর্ম-বর্ণের মানুষ, প্রতিটি আদর্শের মানুষই শান্তি চায়। কিন্তু প্রত্যেকের আন্তরিক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রতিনিয়তই হতাশাব্যঞ্জক ঘটনা ঘোটে চোলেছে। মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেলেও দেখা যাচ্ছে যে, দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করা ছাড়া আর কিছুই যেন করার নেই। হরতাল, অবরোধ ইত্যাদির ফলে দেশের অর্থনীতি ইতিমধ্যেই পঙ্গু হোয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্য আকাশছোঁয়া। গৃহযুদ্ধ আর দুর্ভিক্ষ দু’ভাই গলা জড়াজড়ি কোরে এগিয়ে আসছে কি? এর থেকে পরিত্রাণের কোন উপায় জাতির দৃষ্টিগোচর হোচ্ছে না, কোন আশার আলো দেখতে পাচ্ছে না। আমরা সেই আশার আলো নিয়েই দাঁড়িয়েছি। হতাশার অন্ধকারে আচ্ছন্ন, জীবনের প্রতিটি পদে পদে নির্যাতিত, শোষিত ও উপেক্ষিত এই মানুষগুলোর প্রতি আমাদের কথা হোচ্ছে-

যে জীবনব্যবস্থা দিয়ে আমরা এতদিন জাতীয় জীবন পরিচালনা কোরে এসেছি তা আমাদের মন-মানসিকতা, কৃষ্টি-কালচার, ধর্মবিশ্বাস ও সামাজিক কাঠামোর সাথে কোনকালেই সামঞ্জস্যশীল ছিল না, এখনও নেই। ব্রিটিশ শাসকরা দীর্ঘ দুইশ’ বছর যাবৎ আমাদেরকে শাসন ও শোষণ করার পর বাহ্যিকভাবে আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে চোলে যাওয়ার সময় গণতন্ত্র নামক এই আত্মঘাতী সিস্টেমকে চাপিয়ে দিয়ে গেল। পশ্চিমা সভ্যতার তৈরি সেই আত্মাহীন, নৈতিকতাহীন সিস্টেম আজও আমরা চর্চা কোরে যাচ্ছি, কিন্তু এর সঙ্গে সাধারণ বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কোন সংযোগ আজও তৈরি হয় নি। একমাত্র ভোটের দিন ছাড়া জনগণের সঙ্গে গণতন্ত্রের আর কোন সম্পর্কই রচিত হয় না। বাকি পাঁচ বছর ঐ সিস্টেমের উৎপন্ন অশান্তিই জনগণের নিত্যসঙ্গী হোয়ে থাকে। কাজেই এখন আপনাদের উচিত এই ব্যর্থ ব্যবস্থার বিকল্প সন্ধান করা। আল্লাহর দেওয়া যে জীবনব্যবস্থাকে আপনারা জাতীয় জীবন থেকে প্রত্যাখ্যান কোরে ব্যক্তিগত জীবনে মৃতপ্রায় কোরে রেখেছেন সেই জীবনব্যবস্থার প্রকৃত রূপটিকে সমষ্টিগত জীবনে প্রয়োগ কোরলেই কেবল এই অন্যায়-অশান্তির চূড়ান্ত পর্ব থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এখানে মনে রাখতে হবে, এসলাম কোনটা? এসলাম বোলতে আমরা বর্তমানে প্রচলিত এসলামকে বোঝাচ্ছি না। মুক্তিকামী মানুষ তাদের চোখের সামনে যে এসলামকে দেখতে পাচ্ছেন তাকেই এসলাম মনে কোরলে ভুল কোরবেন। আজকে এসলামের নাম কোরে মুখে দাড়ি রেখে আরবীয় লেবাস পরে কূপমণ্ডূক ধর্মব্যবসায়ীরা আখের গুছিয়ে চোলছে, আরেক দল পীর ধর্মকে, আকাশের মত উদার দীনকে দরবার শরীফ, মাজার আর খানকার চার দেয়ালের মাঝে আবদ্ধ কোরে রেখেছে। অন্য এক দল এসলাম প্রতিষ্ঠার নাম কোরে দীনের অপব্যাখ্যা কোরে অপরাজনৈতিক দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত রোয়েছে, তারা এসলামের নামে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিস্তার ঘোটিয়ে আল্লাহ ও রসুলের নামকে কালিমালিপ্ত কোরছে। কাজেই ঐ ইহুদি-খ্রিস্টান সভ্যতা যেমন আজকে আপনাদের জীবনে ভয়ানক কাল হোয়ে দাঁড়িয়েছে তেমনি এই ধর্মব্যবসায়ীদের কাছে থাকা বিকৃত ধর্মকে প্রতিষ্ঠা কোরলে তা হবে আরো ভয়ানক বিপর্যয়। কেমন বিপর্যয় তা বোঝার জন্য আফগান, সিরিয়া, মিসর, ইরাক এই দেশগুলির উদাহরণ টানা যায়। এমনি এক সময়ে আমরা আপনাদের একটি মহাসুসংবাদ দিতে চাই। আল্লাহ আপনাদের দিকে, এ জাতির দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন। মানবজাতি কোন্ পথে মুক্তি পাবে, প্রকৃতপক্ষেই শান্তি পাবে, হানাহানি নৈরাজ্য থাকবে না, কখনোই নিজেকে অনিরাপদ মনে কোরবে না, খাদ্যের জন্য কোন অনিশ্চয়তায় থাকবে না সেই পথ আল্লাহ যামানার এমাম, এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীকে দান কোরেছেন। মানবজাতি যদি আল্লাহ তাঁর রসুলকে যে সত্যদীন, জীবনব্যবস্থা দিয়ে প্রেরণ কোরেছিলেন তা তাদের সমষ্টিগত জীবনে গ্রহণ কোরে নেয় তাহোলেই কেবল আপনারা প্রকৃত শান্তিতে বসবাস কোরতে পারবেন। সেই সিস্টেম এমনই এক ডাইস যে ডাইসের মধ্যে পোড়লে আজকের এই ঘুণে ধরা সমাজের অসৎ মানুষগুলোই একেক জন সোনার মানুষে পরিণত হবে। আইয়্যামে জাহেলিয়াতে আরবের মানুষগুলো কেমন ছিল তা সকলেই অবগত। কিন্তু যখন রসুলাল্লাহর আনীত সিস্টেম তারা সমষ্টিগত জীবনে প্রয়োগ কোরেছিল তখন অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সেই বর্বর, অসভ্য মানুষগুলোই উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ কোরল, অর্ধপৃথিবীর শিক্ষকের আসনে অধিষ্ঠিত হোল। সেই অবিকৃত জীবনব্যবস্থা অর্থাৎ সিস্টেমটিই আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন কোরছি। মিথ্যার বিভিন্ন রূপ, কিন্তু সত্য এক। আমাদের সমাজে বিকৃত এসলাম বিভিন্ন রূপ নিয়ে বিরাজিত। এর মধ্যে দৃষ্টিবান লোকের সত্যকে চিনে নিতে এক মুহূর্তও দেরি হওয়ার কথা নয়। দিনের আলোর মাঝে একপাল কালো ঘোড়ার মধ্যে একটি সাদা ঘোড়া খুঁজে বের কোরতে কতটুকু সময় প্রয়োজন? আমরা প্রকৃত এসলামের যে রূপরেখা পেশ কোরছি তা দেখলে কেউ একে সত্য বোলে অস্বীকার কোরতে পারবেন না। কাজেই এখন সময় এসেছে সম্মিলিতভাবে বোসে সিদ্ধান্ত নেবার। যারা প্রচলিত সিস্টেমের রাজনীতির ধারক বাহক রোয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের কথা- আপনারাই দেশ চালান। কিন্তু পশ্চিমা প্রভুদের রচিত জীবনব্যবস্থাকে ত্যাগ কোরে মহামহীম আল্লাহর দেওয়া জীবনব্যবস্থার মাধ্যমে, সিস্টেমের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে পরিচালিত কোরুন, মানুষগুলোকে বাঁচান। ভুলে যাবেন না যে, তারা আপনাদেরই ভোটার, তাদের টাকাতেই আপনাদের এই বসন্তশোভা। তাদেরকে রক্ষা করা আপনাদের দায়িত্ব, তাদেরকে হত্যা করা নয়, তাদেরকে পঙ্গু করা নয়। প্রকৃত এসলাম এসে গেছে। সেটাকে গ্রহণ কোরে প্রচলিত সিস্টেমের করাল গ্রাস থেকে ও ধর্মব্যবসায়ী ভাইপারের ছোবল থেকে জাতিকে উদ্ধার কোরুন

বিষয়: বিবিধ

১৩১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File