কাঁদে আরাকান
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী বাংগালী ৩০ অক্টোবর, ২০১৩, ০৬:২৯:১০ সন্ধ্যা
কাঁদে আরাকান ১৭/০৯/১৩ ।৭:১৯pm
সমস্ত প্রশংসা ও তারিফ মহান মনিবের দরবারে যিনি আমাদেরকে মুসলিম হিসেবে জম্ন দিয়েছেন এবং ঈমান নামক মহান নিয়ামত দিয়েছেন ।সমস্ত দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক রাসূলে আকরাম সাল্লালাহু আলাইহিতুস সাল্লামের রওজা মোবারকে যিনি ছিলেন ঈমানদারদের শিক্ষক,শুধু ঈমানদারদের শিক্ষকই নণ , রাহমাতুলিল আল-আমিন ।দুনিয়া ও আখেরাতের মানব নেতা একমাএ সত্যের মাপকাঠি “উসওয়াতুল হাসানা”{model} যার প্রতিটা কথা ও কাজ আমাদের জন্য অনুসরণীয় অনুকরণীয় ।যিনি তার নবুয়তের দীর্ঘ ২৩ টি বছর মানুষের দুনিয়া ও আখেরাতে মুক্তির জন্য তিঁলে তিঁলে তার সময় অর্থ সব কিছু ব্যয় করেছেন ।অকাতরে সহ্য করেছেন অসংখ্য সাহাবাদের শহিদ হওয়ার নাজরানা । যারা সান্নিধ্যে এসে বর্বর উচ্ছৃখল মানুষগুলো হয়ে পড়েছিল দুনিয়ার সবচেয়ে ভাল মানুষ যাদের ঈমান ও আমল ছিল তুলনাহীন । যার কারনে দুনিয়াতে জীবিত থাকাকালীন আল্লাহ্ রাব্বুল আলআমিন তাদের জন্য পাঠিয়ে ছিলেন জান্নাতের সুসংবাদ । যে মহান শিক্ষক তাদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরী করেছিলেন ছিলেন প্রকৃত ঈমানদার ও আমলদার সেই শিক্ষক ছিলেন সৃষ্ঠির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ শিক্ষক তাঁহার মত উত্তম মানুষ আগেও হয়নি পরেও হবেনা ।কিন্তু তিনি আজ আর আমাদের মাঝে নেই । রেখে গেছেন আমাদের মাঝে হেদায়েতে গ্রন্থ আলকোরআন ও তাঁর হাদীস । যে শ্রেষ্ঠ দুটি নেয়ামতের মাধ্যেমে ধরায় এনে ছিলেন সোনালী যুগ । দুনিয়ার বিপদ গ্রস্থ মানুষগুলো যদি আজ তাদের বিশ্বাস ও কর্মগুলো সেই অনুযায়ী করত তাহলে দুনিয়া ও আখেরাতের মুক্তি ছিল সহজ । তাই আজ নব উদ্যেমে শুরু করি কাজ যে কাজের কথা রাসূল তাঁর বিদায় হজ্জের ভাষণে বলে গিয়েছেন ততদিন তোমার বিপদগামী হবেনা । যতদিন তোমরা আল্লাহ্র কোরআন আমার সুন্নাহ্ কে আকড়ে ধরবে ।আমরা যেন আমাদের সকল কাজ কোরআন ও
হাদীসের দেখানো পথ অনুযায়ী করি । আল্লাহ্ আমাদেরক তাওফিক দিন । আমিন ।। ২০১২ সালের জুন মাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত দাঙ্গায় মিয়ানমারে অন্ততপক্ষে ২৪০ জন মানুষ নিহত হয়েছে। ঘর-বাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ। নিহত ও উদ্বাস্তুদের অধিকাংশই মুসলিম। মায়ানমারের {বার্মা}মুসলমানদের উপর চলছিল অমানবিক নির্যাতন ।তখন এই অসহায় মানুষগুলো আশ্রয়ের জন্য নৌকা করে বাংলাদেশে আসার জন্য চেষ্ঠা করছিল কিন্তু বাংলাদেশের {এজিদের মত}মুসলিম শাসক তাদেরকে প্রবেশ করতে দেয়নি । যেদিক থেকে এসেছে সেদিকেই ভাসিয়ে দিয়েছে । ফলে তাদের অবস্থা হয়েছে খুবই করুন , মায়ানমারে ও জায়গা নেই আর বাংলাদেশে ও আশ্রয় নেই । অনেক মুসলমান সাগরের পানিতে ডুবে প্রাণ হারিয়েছে । এই পৃথিবীতে তাদের কোন ঠাঁই নেই তার একটা মাত্র কারন এরা মুসলমান ।দুপুরের খাবারের পর {after lunch} কাজের জায়গায় একজন সহকর্মী মুরুব্বীর{একই জায়গায় কাজ করি} সাথে কথা হচ্ছিল এই বিষয় নিয়ে তিনি খুবই দুঃখ ও আপসোসের সাথে বলতে কথা বলা শুরু করলেন ,আরে ভাই কি যে একটা অবস্থা শুরু হয়েছে শুনলাম বার্মার মুসলমানদেরকে নাকি নির্বিচারে মারতেছে । হায় ! আল্লাহ্ মুসলিম সরকারগুলো কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমায় নাকি কেউ কোন প্রতিবাদ করে না খুব দুঃখ লাগেরে ভাই দুঃখ লাগে । ভাই দোয়া করেন দোয়ার বরকতে যদি একটু আছান হয় …………………………………………………………………………………………….. হায়রে ঈমান আমল সব হারাইয়া বইছে ঈমান দুর্বল হওয়ার কারনে আজ এই অবস্থা । এই সময়ের মধ্যে আর ও দুই তিনজন জড়ো হয়েছে তন্মধ্য একজন বলল আরে বাদ রাখেন এই সব আলাপ বার্মাতে মরতেছে তাহলে আমাদের কি হয়েছে ……………………………………? অন্য একজন এই কথার প্রতিবাদ করল । আরেকজন এই কথার সুর ধরে বলল আরে এই সব বললে কি হবে সাদ্দামকে ফাঁসি দিল কেউ কিছুই বললনা ,আফগানিস্তান,কাশ্মীর,ফিলিস্তিন সব জায়গাতেই মুসলমানদেরকে মারতেছে কোন প্রতিবাদ নাই বাদ দেন নিজের চিন্তা করেন এইটা কলির কাল আর কলির কালে এই সব হবেই । মুরুব্বী এই ব্যাক্তিকে বলল আরে ভাই সৌদী আরব সব মুসলিম দেশকে ডাক দিয়া যুদ্ব ঘোষণা করেনা কেন………………………………………………………………….?এই তর্ক বির্তক চলতে লাগল এই সব কথার মধ্যে আর একজন বলল আমার যদি শক্তি ও সুবিধা থাকত তাহলে জীবন দিয়ে দিতাম ইত্যাদি ইত্যাদি । সবাইকে লক্ষ্য করে আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে সব কথাইত হল । কেউ বললেন যুদ্ধ করবেন আপনাদের আবেগ ঠিক আছে কিন্তু এই আবেগকে বিবেক দিয়ে কাজে লাগাতে হবে । শুনেন আপনার আমার এই আওয়াজ সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে ঐখান পর্যন্ত পৌঁছবেনা । আমাদের এই প্রতিবাদ এই পর্যন্তই সমাপ্ত । কিন্তু এই প্রতিবাদটা হওয়ার দরকার ছিল রাষ্ঠীয় পর্যায়ে । সবাই সমস্বরে বলল আপনি ঠিকই বলছেন ।অন্য একজন বলল সৌদী আরব ত আমাদের ইসলামের মাথা তারা প্রতিবাদ করেনা কেন ……………………………………………………………………………………………………………? আমি বললাম আচ্ছা একবার চোখ মেলে দেখুনত বিশ্বের কোন দেশে ইসলামী সরকার আছে …………………………………………………………………? একজন হুট করে বলে ফেলল সৌদী,কাতার,দুবাই,বাহরাইন প্রায় ডজন খানেক নাম বলল ,সবাই চুপ করে রইল । আমি বললাম এই দেশ গুলো {এজিদের মত} নামধারী মুসলিম দেশ। ইসলামী রাষ্ঠ্র বা দেশ নয় । কিছু ক্ষেত্রে তার চেয়েও খারাপ ।যেমন মক্কার মুসলমানরা যখন কাফেরদের দ্বারা নির্যাতিত ,নিপিড়িত ,লাঞ্জিত ও বঞ্জিত হয়ে মক্কায় থাকতে পারতেছিলনা তখন রাসূলের অনুমতিক্রমে প্রথম হিজরত করে আবিসিনিয়ায় আর এই আবিসিনিয়ার রাজা খ্রিষ্ঠান হয়েও মুসলমানদেরকে আশ্রয় দিয়ে ছিল আর আজ বাংলাদেশে মুসলিমধারী রাজা হয়ে বার্মার মুসলমানদেরকে আশ্রয় দিল না । আপনারা একবার চিন্তা করুন আপনার বাড়ীর পার্শ্বের বাড়ীটি যদি আগুনে পুড়ে যায় অথবা নদীতে ভেঙে যায় তখন আপনারা কি করবেন…………………………………………………………………………….? বিপদগ্রস্থ পরিবারগুলোকে আশ্রয় দিবেন না তাড়িয়ে দিবেন………………………………? সবাই সমম্বরে বলল আশ্রয় দিব ।তাহলে আজ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হয়ে বাংলাদেশ সরকার এদেরকে কেন আশ্রয় দিল না…………………………………………………………………………? একজন বলল ভাই এদের আচার ব্যবহার খুবই খারাপ ,এদেরকে আমাদের দেশে জায়গা দিলে সামাজিক বিশৃঙ্কলা সৃষ্ঠি হবে । অন্য একজন বলল এমনিতেই আমাদের জনসংখ্যা বেশী আর অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ ,এদের জায়গা দিলে অবস্থা আর খারাপ হবে সবাই সমস্বরে এই কথায় সমর্থন করল । আমি বললাম এতক্ষণ আবেগময় কথা বললেন আর এখন দেখি এর উল্টো । আচ্ছা আপনারা কি জানেন আল্লাহ্ বলেছেন “ইন্নামাল মুমিনিনা উখুয়াতুন” মুমিনেরা পরস্পর ভাই ভাই আর একভাই অন্য আর এক ভাইয়ের সাহায্য এগিয়ে আসবেনা এটা কি করে সম্ভব । আর আপনাদের কি জানা আছে যে মক্কা হতে যখন রাসূল তার সঙ্গী সাথীদেরকে নিয়ে মদীনায় হিজরত করলেন তখন মদীনার {আনসার} সাহাবীরা তাদেরকে গ্রহন করলেন তখন মদীনার লোক হয়ে পড়ল দ্বিগুন এবং তখন মদীনার আর্থসামাজিক অবস্থা এত ভাল ছিলনা যে এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে সামাল দেয়া যায় ।{ আনসার অর্থ সাহায্যকারী ,মুহাজির অর্থ নিজ এলাকা হতে মুসলমান হওয়ার অপরাধে নির্বাসিত বা মাতৃভূমি ছাড়তে হয়েছে}।
এই সব সম্মানিত মুহাজিররা প্রায় খালি হাতে এসেছিলেন । এই কারনে আনসাররা তাদের সহায় সম্পদ দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে নিজের একাধিক স্ত্রী থাকলে তালাক দিয়ে অন্য ভাইকে দিয়ে দিয়েছে । কারণ অনেকের স্ত্রী পুত্রকে রেখে আসতে হয়েছে তারা ইসলাম গ্রহন করে নাই আর বাপ দাদার ধর্ম ছেড়ে আসে নাই ।
মুহাজিরদেরকে আশ্রয় দিয়ে মদীনায় যে দুইটি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল ১} অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকট । ২}বর্হির শত্রুর আক্রমন ।
এই দুটি সমস্যাকে যদিও আনসাররা সমস্যা ভাবে নাই । এর জন্য তাদেরে যুদ্ধ করত হয়েছে জানবাজী রাখতে হয়েছে পিতার সামনে পুত্রকে আর পুত্রের সামনে পিতাকে মায়ের সামনে ছেলে হতে হয়েছে শহীদ আর এই শহীদ হওয়া ছেলের শরীরের অঙ্গগুলিকে কেটে বিকৃত করেদিয়েছে । ইতিহাস সাক্ষী ঐ শহীদের মায়েরা আল্লাহ ও তার রাসূলকে ভালবাসার কারনে বলেছে খাশি জবাই হওয়ার পর এটা দিয়ে ভূনা হবে না খাবাব হবে সেটা দেখার বিষয় নয় ।
আর আপনারা বলছেন এই সমস্যা ঐ সমস্যা । কিসের কারনে হযরত শাহজালাল মধ্যপ্রাচ্য হতে ছুটে এসেছিলেন আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশে।যার উসিলায় আল্লাহর মেহেরবাণীতে আজ আপনি আমি মুসলমান । এই টগবগে তরুন যখন শুনতে পেলেন গৌরগুবিন্দ রাজা বুরহানউদ্দীনের ছেলেকে বলি দিয়েছে মুসলমানদেরকে সাহায্য করার জন্য সকল আরাম আয়েশকে লাথি মেরে ৩৬০ জন লোক {নারী পুরুষসহ }নিয়ে এসেছিলেন এবং গৌরগুবিন্দ রাজাকে পরাজিত করার পর এই গাঙ্গেয় বদ্বীপ বাংলাদেশেসহ ভারতের কিছু এলাকায় তার সহযোগীদেরকে ইসলাম প্রচারের জন্য পাঠিয়েছিলেন ।তখনকার সময়ে এই বাংলাদেশের অধিবাসীরা ছিলেন নিম্ন বর্ণের হিন্দু যখন তাদের কাছে ইসলামের সুমহান বাণী পৌঁছল তখন তারা ইসলাম গ্রহন করল । এরা ছিল আমাদের অমুসলিম পূর্ব পূরুষ ।
একজন বলল ঠিকই বলছেন ভাই আমাদের ও লাদেনের মত যুদ্ধ করতে হবে ,অন্যরা সবাই নীরব , আমি বললাম না ,এই পথটাও শতভাগ সঠিক নহে । কারণ রাসূল প্রথমেই অস্শ্র হাতে নিয়ে যুদ্ধে যাঁপ দেননি ,আগে কোরআনের মাধ্যমে লোক তৈরী করেছেন যাদেরকে দিয়ে ইনসাফপূর্ণ সমাজ পরিচালিত করা যায় । আর তারাও হয়েছিলেন যোগ্যতা সম্পন্ন সব গুণে গুনানিত্ব{allronuder}জ্ঞান,ধৈর্য,ত্যাগ ও কোরবানীতে তুলনাহীন । একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টা আরো সুষ্পট হবে মদীনাতে একজন অপরিচিত লোক এল সাহাবীরা চিন্তা করল লোকটা গুপ্তচর কিনা ? তাই তার বাহন উটের মল পরীক্ষা করে দেখল এবং ধারনা নিল লোকটি কোন এলাকা এসেছে ।
তখন মুরুব্বী মুখ খুলল হ্যাঁ আপনি টিকই বলেছেন এজন্য দরকার ঈমান ও আমল । আমি বললাম ভাই এই ঈমান ও আমল হতে বাস্তবমুখী যেমন সকল নবী রাসূলই ঈমান এনে ঘরে বসে থাকেন নাই ঈমানের দাবী অনুযায়ী কুফর ও শিরক্ মুক্ত সমাজ সংস্কার শুরু করেছেন নির্যাতিত হয়েছেন ।মুরুব্বী বললেন আপনি বলতে চাইতেছেন সমাজ সংস্কার করা তার মানে নেতৃত্ব হাতে তুলে নেয়া তাহলে ত এইটা রাজনীতিই হল {ওয়াস্তাগফিরুল্লাহ} ভাই আপনি আপনার রাজনীতি নিয়ে থাকেন আর আমি আমার ঈমান আমল নিয়ে আছি আসসলামু………………… আমি বললাম ভাই wait , we call you to the teaching of islam. The rules of islam. The gaudiness’ of islam. the way of islam if this means politics to you then this our politics.অর্থাৎ আমরা আপনাকে ইসলামের সুমহান শিক্ষা,নিয়ম নীতি,আদর্শের দিকে ডাকছি । আপনি যদি এটাকে রাজনীতি মনে করেন তাহলে এটাই আমাদের রাজনীতি । তাহলে আসুন ঈমান ও আমল সমন্ধে ধারণা নিই ।
ঈমানঃ
আরবী শব্দ এর বাংলা অর্থ বিশ্বাস ।আল্লাহ্ কে রব,মালিক,ইলাহ ও তাঁর রাসূলকে রাসূল মেনে অন্তরে বিশ্বাস মুখে স্বীকৃতি ও র্কাযে পরিণত করলেই থাকে ঈমানদার বা বিশ্বাসী বলে ।
আর এর {pass word}হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লালাহু আলাইহিসসাল্লাম ।
যে ব্যাক্তি তার জীবনে একমাত্র আল্লাহ্ কে হুকুমদাতা,বিধানদাতা,পালনকর্তা,আইনদাতা,রিজিকদাতা সহ সবকিছু আল্লাহ্ র দেখানো পথ হিসেবে মেনে নিবে তাকেই বিশ্বাসী বলে ।
قُلْ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ (162
আপনি বলুনঃ আমার নামায, আমার কোরবাণী এবং আমার জীবন ও মরন বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে।
Say (O Muhammad SAW): ”Verily, my Salât (prayer), my sacrifice, my living, and my dying are for Allâh, the Lord of the ’Alamîn (mankind, jinns and all that exists
সূরা আনআম ১৬২ ।
এখন প্রশ্নহল সবকিছু যদি আল্লাহ্ র জন্য তাহলে একজন ব্যাক্তি তার ব্যাক্তিগত,পারিবারিক,সামাজিক,অর্থনৈতিক,রাজনৈতিক,আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে অন্য কাহারো আইন মেনে চলতে পারে……………………………………………………….?
আর যদি চলে তাহলে কি সে ১০০% ঈমানদার বা বিশ্বাসী হতে পারবে………?
তাই কেউ যদি দাবী করে আমি ১০০% ঈমানদার বা বিশ্বাসী তাহলে দেখতে হবে তার সব কাজ আল্লাহ্ র দেয়া বিধান অনুযায়ী ১০০% আছে কিনা ।সমাজের অনেক মানুষই বলে ভাই যাই বলেন আমার ঈমান ঠিক আছে কিন্তু । এই ঈমানের স্তর নির্ণয় করার কি কোন যন্ত্র বা সূত্র আছে……………………………………………………….? নবীর হাদিসের মাধ্যমে ঈমান নির্ণয় করা যায় । হাদিসে কথাটা এইভাবে আসছে যে “যদি কোন ঈমানদার বা বিশ্বাসী অন্যায় কাজ দেখে তাহলে সে হাত দ্বারা {সর্ব শক্তি দিয়ে} প্রতিবাদ করবে ।সকল নবী রাসূল,সাহাবী,শহীদেরা ছিলেন এই স্তরের মানুষ । {1st class}।
আর যদি কোন ঈমানদার বা বিশ্বাসী হাত মানে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিবাদ করতে না পারে তাহলে মুখের মাধ্যমে ওয়াজ নসীহত,বক্তৃতা বিবৃতি, সিম্পোজিয়াম সেমিনার,সিডি,ইমেইল ইন্টারনেট, সাংবাদিক সম্মেলন,সকল ধরনের মিডিয়াকে ব্যবহারের মাধ্যমে ও লিখনীর মাধ্যমে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করা । হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী {2nd class}।
উপরেউল্লেখিত দুই ধরনের কাজ যদি কোন ঈমানদার করতে না পারে তাহলে কমপক্ষে অন্তরে ঘৃণা করা,এটাকে প্রতিহত করার সংকল্প করা,শক্তি সজ্ঞয় করা যাহাতে এই ধরনের কাজ অনুষ্ঠিত হলে প্রতিবাদ করা যায় ।হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী{3rd class}।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে অন্তরে ঘৃণা করতে হলে কমপক্ষে সংবাদটুকু জানতে হবে । কিন্তু যারা সংবাদ পড়ে না,শুনে না, সংবাদ জানার জন্য চেষ্ঠা করেনা ।সংবাদ জানাকে গোনাহের কাজ মনে করে,প্রত্রিকা প্রকাশ বা মিডিয়ার মাধ্যমে জানানো ত দূরের কথা পড়লেই গোনাহের কাজ মনে করে তারা কিভাবে কিসের ভিত্তিতে জানবে যে বসনিয়া,চেচনিয়া,আফগান,কাশ্মীর,ফিলিস্তিন,আরাকান,বুখারা,মিন্দানাও,উইগুর, তাহরীর স্কয়ারে কি হচ্ছে ………………………………………………………………..? নিজেরা ও জানবে না অন্যকে ও জানাবেনা ।অবস্থা দৃষ্ঠে মনে হয় জানলাম না মানলাম না, শুনলাম না দেখলাম না দুঃখ ও হল না । শুধু নিজেই নিজের ঈমান আমল নিয়ে বেঁচে থাকলাম। তাই আল্লাহ্ বলেন
وَمَا لَكُمْ لاَ تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاء وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَـذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا (75
আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।
And what is wrong with you that you fight not in the Cause of Allâh, and for those weak, illtreated and oppressed among men, women, and children, whose cry is: ”Our Lord! Rescue us from this town whose people are oppressors; and raise for us from You one who will protect, and raise for us from You one who will help.”
{প্রথম কিস্তি চলবে}
বিষয়: বিবিধ
১৪৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন