মানুষের আসল পরিচয়

লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী বাংগালী ২৫ অক্টোবর, ২০১৩, ০৬:৪০:২৬ সন্ধ্যা

মানুষের আসল পরিচয়

{আল হামদ্}

সমস্ত প্রশংসা ও তারিফ একমাএ রাব্বুলআলআমিনের জন্য যিনি নিখিল জাহানের রব। এই লেখা কোন জ্ঞান গর্ব লেখা নয় । যখন মানুষের মাঝে দাওয়াতী কাজ করতে যাই তখন বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন মন্তব্য করে থাকে কেউ বলে মানুষ সৃষ্ট করা হয়েছে শুধু{খাও দাও ফুর্তি কর , কেউ বলে ভাই আমি শুধু নামাজ পড়ব ,………………………………ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু আল্লাহতায়ালা মানুষ সৃষ্টি করেছেন এর পিছনে কি কোন লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নেই ?তাহলে কি উদ্দেশে সৃষ্টি করেছেন ? আজ মানুষ তার আসল পরিচয় ভুলে গেছে ;কে ভুলিয়ে দিয়েছে শয়তান ৷ শয়তান যে বলেছিল আমি মানুষের ডান দিক থেকে আসব বাম দিক থেকে আসব পিছন থেকে আসব সামনে থেকে আসব ৷এ বাস্তব উদাহরন আজ বর্তমান সময়ের মানুষ ।কোরআনে আল্লাহ বলেন হে মানুষ আমি তোমাকে সৃয্টি করেছি আমার কি কেন উদ্দেশ্য কিংবা লক্ষ্য নেই…………………………………………………………………………?আবার আল্লাহই আমাদেরকে তাঁর নেক উদ্দেশ্য সুন্দরভাবে ব্যক্ত করেছেন ।কিন্তু আমরা আজ বলছি মানুষ কে আল্লাহ শুধু নামাজ পড়ার জন্য সৃষ্টি করেছেন । কেউ বলছে শুধু বাহ্যিক ইবাদত [নামাজ,রোজা,হজ্জ যাকাত] সৃষ্ঠি করেছেন, কিন্তু আল্লাহ কি বলছেন ………………………………….পৃথিবীতে আমি খলিফা নিযুক্ত করতে চাই

“আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেনঃ আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ বলল, তুমি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত তোমার গুণকীর্তন করছি এবং তোমার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি। তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জান না” ।

And (remember) when your Lord said to the angels: ”Verily, I am going to place (mankind) generations after generations on earth.” They said: ”Will You place therein those who will make mischief therein and shed blood, - while we glorify You with praises and thanks (Exalted be You above all that they associate with You as partners) and sanctify You.” He (Allâh) said: ”I know that which you do not know

সুরা বাকারা আয়াত 30 ৷

আল্লাহ কিন্তু বলেন নাই মানুষ সৃষ্ঠি করতে চাই তাই আসুন খলিফা হিসাবে আমাদের দায়িত্ব জেনে নেই এবং সেই পন্থা অনুযায়ী কাজ করি ৷ আমিন ৷

মানুষের পরিচয়

আল্লাহ রাব্বুল আলআমিনের সকল সৃষ্ঠির মধ্যে সবচেয়ে সেরা তিনটি সৃষ্ঠি হচ্ছে মানুষ,জিন,ফেরেশতা ৷

{ক} ফেরেশতা

আল্লাহ্র এই মহাব্যবস্থাপনার সকল কার্য্যক্রম ফেরেশতাদেরকে দিয়ে সমপন্ন করান ,তাদের কোন ইচ্ছা চাওয়া পাওয়া অথবা আপত্তি নেই ৷আল্লাহর পক্ষ হতে সকল আদেশ নিষেধ ১০০% সুচারুরুপে পালন করে থাকে ৷আল্লাহর হুকুমের বাহিরে যাওয়ার কিংবা করার ক্ষমতা আল্লাহ তাদের দেননি {as like robot}যে আদেশ নিষেধ {program}দেয়া হয় এগুলি করে থাকে মাত্র ,তাই তাদের দ্বারা কোন পাপ হওয়ার সুযোগও নেই তাদের বিচারও নেই ৷…………………………………………………………………………………………………………………

মুমিনগণ, তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সেই অগ্নি থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও প্রস্তর, যাতে নিয়োজিত আছে পাষাণ হৃদয়, কঠোরস্বভাব ফেরেশতাগণ। তারা আল্লাহ তা’আলা যা আদেশ করেন, তা অমান্য করে না এবং যা করতে আদেশ করা হয়, তাই করে।

… সূরা আততাহরীম আয়াত ০৬ ৷

{খ} জ্বিন

আল্লাহতায়ালা জ্বিন জাতিকে সৃষ্ঠি করেছেন অগ্নি শিখা থেকে

وَخَلَقَ الْجَانَّ مِن مَّارِجٍ مِّن نَّارٍ

এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখা থেকে।

And the jinns did He create from a smokeless flame of fire.

সূরা…আর রহমান…১৫………………….৷তাদেরকে ভালমন্দ বুঝার জ্ঞান দিয়েছেন এবং ইবাদত বন্দেগী করার হুকুম তলব করেছেন ভাল কাজ করলে পুরষ্কৃত হবে আর মন্দ কাজ করলে আল্লাহর আজাব তাদের জন্যও অপেক্ষা করছে ৷ সূরা…জিন ১ থেকে ১৫ ।_ ………………

1) বলুনঃ আমার প্রতি ওহী নাযিল করা হয়েছে যে, জিনদের একটি দল কোরআন শ্রবণ করেছে, অতঃপর তারা বলেছেঃ আমরা বিস্ময়কর কোরআন শ্রবণ করেছি;

Say (O Muhammad SAW): ”It has been revealed to me that a group (from three to ten in number) of jinns listened (to this Qur’ân). They said: ’Verily! We have heard a wonderful Recital (this Qur’ân)!

يَهْدِي إِلَى الرُّشْدِ فَآمَنَّا بِهِ وَلَن نُّشْرِكَ بِرَبِّنَا أَحَدًا

2) যা সৎপথ প্রদর্শন করে। ফলে আমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমরা কখনও আমাদের পালনকর্তার সাথে কাউকে শরীক করব না।

’It guides to the Right Path, and we have believed therein, and we shall never join (in worship) anything with our Lord (Allâh).

وَأَنَّهُ تَعَالَى جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَةً وَلَا وَلَدًا

3) এবং আরও বিশ্বাস করি যে, আমাদের পালনকর্তার মহান মর্যাদা সবার উর্ধ্বে। তিনি কোন পত্নী গ্রহণ করেননি এবং তাঁর কোন সন্তান নেই।

’And exalted be the Majesty of our Lord, He has taken neither a wife, nor a son (or offspring or children).

4) وَأَنَّهُ كَانَ يَقُولُ سَفِيهُنَا عَلَى اللَّهِ شَطَطًاوَأَنَّهُ كَانَ يَقُولُ سَفِيهُنَا عَلَى اللَّهِ شَطَطًا

আমাদের মধ্যে নির্বোধেরা আল্লাহ তা’আলা সম্পর্কে বাড়াবাড়ির কথাবার্তা বলত।

’And that the foolish among us [i.e. Iblîs (Satan) or the polytheists amongst the jinns] used to utter against Allâh that which was wrong and not right.

5) وَأَنَّا ظَنَنَّا أَن لَّن تَقُولَ الْإِنسُ وَالْجِنُّ عَلَى اللَّهِ كَذِبًا

অথচ আমরা মনে করতাম, মানুষ ও জিন কখনও আল্লাহ তা’আলা সম্পর্কে মিথ্যা বলতে পারে না।

’And verily, we thought that men and jinns would not utter a lie against Allâh.

6) وَأَنَّهُ كَانَ رِجَالٌ مِّنَ الْإِنسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٍ مِّنَ الْجِنِّ فَزَادُوهُمْ رَهَقًا

অনেক মানুষ অনেক জিনের আশ্রয় নিত, ফলে তারা জিনদের আত্নম্ভরিতা বাড়িয়ে দিত।

’And verily, there were men among mankind who took shelter with the masculine among the jinns, but they (jinns) increased them (mankind) in sin and disbelief.

7) وَأَنَّهُمْ ظَنُّوا كَمَا ظَنَنتُمْ أَن لَّن يَبْعَثَ اللَّهُ أَحَدًا

তারা ধারণা করত, যেমন তোমরা মানবেরা ধারণা কর যে, মৃত্যুর পর আল্লাহ তা’আলা কখনও কাউকে পুনরুত্থিত করবেন না।

’And they thought as you thought, that Allâh will not send any Messenger (to mankind or jinns).

11) وَأَنَّا مِنَّا الصَّالِحُونَ وَمِنَّا دُونَ ذَلِكَ كُنَّا طَرَائِقَ قِدَدًا

আমাদের কেউ কেউ সৎকর্মপরায়ণ এবং কেউ কেউ এরূপ নয়। আমরা ছিলাম বিভিন্ন পথে বিভক্ত।

’There are among us some that are righteous, and some the contrary; we are groups each having a different way (religious sect, etc.).

12) وَأَنَّا ظَنَنَّا أَن لَّن نُّعجِزَ اللَّهَ فِي الْأَرْضِ وَلَن نُّعْجِزَهُ هَرَبًا

আমরা বুঝতে পেরেছি যে, আমরা পৃথিবীতে আল্লাহ তা’আলাকে পরাস্ত করতে পারব না এবং পলায়ন করেও তাকে অপারক করত পরব না।

’And we think that we cannot escape (from the punishment of) Allâh in the earth, nor can we escape (from the punishment) by flight.

13) وَأَنَّا لَمَّا سَمِعْنَا الْهُدَى آمَنَّا بِهِ فَمَن يُؤْمِن بِرَبِّهِ فَلَا يَخَافُ بَخْسًا وَلَا رَهَقًا

আমরা যখন সুপথের নির্দেশ শুনলাম, তখন তাতে বিশ্বাস স্থাপন করলাম। অতএব, যে তার পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস করে, সে লোকসান ও জোর-জবরের আশংকা করে না।

’And indeed when we heard the Guidance (this Qur’ân), we believed therein (Islâmic Monotheism), and whosoever believes in his Lord shall have no fear, either of a decrease in the reward of his good deeds or an increase in punishment for his sins.

14) وَأَنَّا مِنَّا الْمُسْلِمُونَ وَمِنَّا الْقَاسِطُونَ فَمَنْ أَسْلَمَ فَأُوْلَئِكَ تَحَرَّوْا رَشَدًا

আমাদের কিছুসংখ্যক আজ্ঞাবহ এবং কিছুসংখ্যক অন্যায়কারী। যারা আজ্ঞাবহ হয়, তারা সৎপথ বেছে নিয়েছে।

’And of us some are Muslims (who have submitted to Allâh, after listening to this Qur’ân), and of us some are Al-Qâsitûn (disbelievers those who have deviated from the Right Path)’. And whosoever has embraced Islâm (i.e. has become a Muslim by submitting to Allâh), then such have sought the Right Path.”

15) وَأَمَّا الْقَاسِطُونَ فَكَانُوا لِجَهَنَّمَ حَطَبًا

আর যারা অন্যায়কারী, তারা তো জাহান্নামের ইন্ধন।

And as for the Qâsitûn (disbelievers who deviated from the Right Path), they shall be firewood for Hell

………………..

কিন্তু তাদের জন্য, শুধু তাদের জন্য আলাদা কোন বার্তা বাহক আসেন নাই এবং তাদেরকে খেলাফতের দায়িত্ব[ responsibility of kalafot} ও দেয়া হয় নাই,তাই জিনেরাও মানুষের চাইতে উর্ধ্বে নয় ।

إِذْ صَرَفْنَا إِلَيْكَ نَفَرًا مِّنَ الْجِنِّ يَسْتَمِعُونَ الْقُرْآنَ فَلَمَّا حَضَرُوهُ قَالُوا أَنصِتُوا فَلَمَّا قُضِيَ وَلَّوْا إِلَى قَوْمِهِم مُّنذِرِينَ

যখন আমি একদল জিনকে আপনার প্রতি আকৃষ্ট করেছিলাম, তারা কোরআন পাঠ শুনছিল,। তারা যখন কোরআন পাঠের জায়গায় উপস্থিত হল, তখন পরস্পর বলল, চুপ থাক। অতঃপর যখন পাঠ সমাপ্ত হল, তখন তারা তাদের সম্প্রদায়ের কাছে সতর্ককারীরূপে ফিরে গেল। And (remember) when We sent towards you (Muhammad SAW) Nafran (three to ten persons) of the jinns, (quietly) listening to the Qur’ân, when they stood in the presence thereof, they said: ”Listen in silence!” And when it was finished, they returned to their people, as warners.

قَالُوا يَا قَوْمَنَا إِنَّا سَمِعْنَا كِتَابًا أُنزِلَ مِن بَعْدِ مُوسَى مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ يَهْدِي إِلَى الْحَقِّ وَإِلَى طَرِيقٍ مُّسْتَقِيمٍ

তারা বলল, হে আমাদের সম্প্রদায়, আমরা এমন এক কিতাব শুনেছি, যা মূসার পর অবর্তীণ হয়েছে। এ কিতাব পূর্ববর্তী সব কিতাবের প্রত্যায়ন করে, সত্যধর্ম ও সরলপথের দিকে পরিচালিত করে।

They said: ”O our people! Verily! We have heard a Book (this Qur’ân) sent down after Mûsa (Moses), confirming what came before it, it guides to the truth and to a Straight Path (i.e. Islâm). অনেক মানুষ জিনদেরকে মনে করে তারা মানুষের সমস্যা সমাধান করতে পারে ও অদৃশ্যর খবর জানে কিন্ত এটা মিথ্যা কথা ও গোনাহ ও বটে । গায়েবের খবর আল্লাহ ছাড়া আর কেহ জানে না । তাই আল্লাহ বলেন

وَأَنَّا لَمَسْنَا السَّمَاء فَوَجَدْنَاهَا مُلِئَتْ حَرَسًا شَدِيدًا وَشُهُبًا

8) আমরা আকাশ পর্যবেক্ষণ করছি, অতঃপর দেখতে পেয়েছি যে, কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিন্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ।

’And we have sought to reach the heaven; but found it filled with stern guards and flaming fires.

وَأَنَّا كُنَّا نَقْعُدُ مِنْهَا مَقَاعِدَ لِلسَّمْعِ فَمَن يَسْتَمِعِ الْآنَ يَجِدْ لَهُ شِهَابًا رَّصَدًا

9) আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শ্রবণার্থে বসতাম। এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে সে জলন্ত উল্কাপিন্ড ওঁৎ পেতে থাকতে দেখে।

’And verily, we used to sit there in stations, to (steal) a hearing, but any who listens now will find a flaming fire watching him in ambush.

وَأَنَّا لَا نَدْرِي أَشَرٌّ أُرِيدَ بِمَن فِي الْأَرْضِ أَمْ أَرَادَ بِهِمْ رَبُّهُمْ رَشَدًا

10)আমরা জানি না পৃথিবীবাসীদের অমঙ্গল সাধন করা অভীষ্ট, না তাদের পালনকর্তা তাদের মঙ্গল সাধন করার ইচ্ছা রাখেন।

’And we know not whether evil is intended for those on earth, or whether their Lord intends for them a Right Path.

সূরা জিন 8,9,10 ।দায়িত্ব কর্তব্য ও মর্যাদা দিক থেকে জিনেরা ও মানুষের চাইতে উর্ধ্বে নহে । {গ} মানুষ

আল্লাহ্ মানুষ সৃষ্ঠির পূর্বে” ফেরেশতাদেরকে ডেকে বললেন আমি এই পৃথিবীতে আমার খলিফা নিযুক্ত করতে চাই,ফেরেশতারা বলল আপনি কি এই পৃথিবীতে এমন কাউকে পাঠাতে চান যারা দুনিয়াতে রক্তপাত করবে ? ফেরেশতারা বলল আমরাইত আপনার প্রশংসাসহ তাসবীহ পাঠ ও পবিএ বর্ণনা করিতেছি উত্তরে আল্লাহ বললেন আমি যা জানি তোমরা তা জান না” সূরা বাকারা ৩০ ।

আল্লাহর প্রশ্ন ও ফেরেশতাদের উত্তর এখানে আল্লাহ ফেরেশতাদের মতামত নিয়েছেন মাএ আর ফেরেশতারা আল্লাহর কথার কোন বিরোধীতা করে নাই তারা তাদের

পূর্ব অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছে মাএ কারন এর আগে জ্বিন জাতি পৃথিবীতে অনেক ফ্যাসাদ সৃষ্ঠি করেছিল ।

ثُمَّ جَعَلْنَاكُمْ خَلاَئِفَ فِي الأَرْضِ مِن بَعْدِهِم لِنَنظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُونَ

অতঃপর আমি তোমাদেরকে যমীনে তাদের পর প্রতিনিধি বানিয়েছি যাতে দেখতে পারি তোমরা কি কর।

Then We made you follow after them, generations after generations in the land, that We might see how you would work!

সূরা ইউনূস 14 ।

এখানে আল্লাহ কিন্তু বলেন নাই আমি ইনসান বা মানুষ প্রেরণ করছি তিনি বলেছেন খলিফা বা প্রতিনিধি ।

আর ফেরেশতারা যে উত্তর দিল এটাতে দুইটি কথা এসেছে{ ১}দাঙ্গা ফ্যাসাদঃ- খলিফা কথাটার সাথে কিছু {power}শক্তি জড়িত মানে মালিক বা মনিবের পক্ষ হতে ক্ষমতা প্রাপ্ত আর যারা এই ক্ষমতা প্রাপ্তরা {মানুষ} তারা হয়ত পূর্বের জ্বিন জাতির চাইতে ও বেশী বিশৃঙ্খলা সৃষ্ঠি করবে ।

{২}আমরাইত আপনার গুন কীর্তন করছি ।

এখান থেকে যে জিনিসটা আমরা পাই তা হচ্ছে মানুষকে যদি শুধু অনুষ্ঠান সর্বস্ব{নামাজ, রোজা,হজ্জ,যাকাত}তাসবীহ তাহলিলের জন্য সৃষ্ঠি করতেন তাহলে আল্লাহর অগনিত ফেরেশতারা তা করছেন,এই উত্তরটাই তারা দিয়েছিলেন । উর্দ্ধ আকাশে বায়তুল মামূরে একদল ফেরেশতা সেজদা করেছে আর একদল দন্ডায়মান থাকে এভাবে কেয়ামতের আগ পর্যন্ত যারা একবার সেজদা করেছে আর একবার সেজদা করার সুযোগ পাবেনা সুবহানল্লাহ ।

[সহীহ বুখারী}।

নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবাই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি শক্তিধর; প্রজ্ঞাময়।

Whatsoever is in the heavens and the earth glorifies Allâh, and He is the All-Mighty, All-Wise.

।হাদীদ ১ ।

وَالنَّجْمُ وَالشَّجَرُ يَسْجُدَانِ

এবং তৃণলতা ও বৃক্ষাদি সেজদারত আছে।

And the herbs (or stars) and the trees both prostrate.

সূরা আর রহমান 6 ।

تُسَبِّحُ لَهُ السَّمَاوَاتُ السَّبْعُ وَالأَرْضُ وَمَن فِيهِنَّ وَإِن مِّن شَيْءٍ إِلاَّ يُسَبِّحُ بِحَمْدَهِ وَلَـكِن لاَّ تَفْقَهُونَ تَسْبِيحَهُمْ إِنَّهُ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًا

সপ্ত আকাশ ও পৃথিবী এবং এগুলোর মধ্যে যাকিছু আছে সমস্ত কিছু তাঁরই পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। এবং এমন কিছু নেই যা তার সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করে না। কিন্তু তাদের পবিত্রতা, মহিমা ঘোষণা তোমরা অনুধাবন করতে পার না। নিশ্চয় তিনি অতি সহনশীল, ক্ষমাপরায়ণ।

The seven heavens and the earth and all that is therein, glorify Him and there is not a thing but glorifies His Praise. But you understand not their glorification. Truly, He is Ever Forbearing, Oft-Forgiving.

সুরা বনীইসরাঈল ৪৪ ।

মানুষ তাসবীহ তাহলীল অবশ্যই করবে সাথে সাথে তার যে মূল দায়িত্ব খলিফা সেই কাজ পালন করবে ।

আর খেলাফতের দায়িত্ব ফেরেশতাদেরকে দেয়া হয়নি,জ্বিনকে দেয়া হয়নি,দেয়া হয়েছে শুধু মাএ কেবলমাএ মানুষকে এই মানুষের মাঝে আল্লাহ নবী রাসুল ও কিতাব পাঠিয়েছেন

{messenger,guid line

And responsibility of din} তাই সে সৃষ্ঠির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত ।

খলিফা কাহাকে বলে

খলিফ আরবী এর অর্থ হচ্ছে প্রতিনিধি ইংরেজীতে বলে{ representive} এর কাজ কি ?

একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে কোন কোম্পানী বা মালিক তার প্রতিনিধি কে যে দায়িত্ব বা কাজ দেয় সে কোম্পানীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে অর্পিত সকল কাজ স্মপন্ন করে প্রতিযোগীতামূলকভাবে কারন আরো অন্য কোম্পানী ও চায় গ্রাহক তাদেরটা গ্রহন করুক{ door to door যায়}সে কখনও বলেনা আমি শুধু এই কাজ ঐ কাজ করব না । বরং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে {competition market} প্রতিনিধী নিজের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন কর্মকৌশল {tecnice}{হেকমত} বাহির করে তার উপর অর্পিত দায়িত্বের আঞ্জাম দেয় এবং নিয়মিত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কাজের হিসাব দেয় এবং প্রয়োজন মত সাহায্য প্রার্থনা করে { জনবল,পরিবহন,নতুন প্রোডাক্ট ইত্যাদি} ।{ আল্লাহর প্রতিনিধি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে তাহাজ্জুদ নামাজে ও সর্বোপরি সারাক্ষন জিকিরে }আল্লাহ্র কাছে দন্ডায়মান হয় বা হাজিরা দেয় ।

এখন মানুষের কাজ হচ্ছে খলিফা হিসাবে তার মহান মালিক এই নিখিল জাহানের রবের পক্ষ হতে যে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছে সেই দায়িত্বটুকু পরিপূর্ণভাবে পালন করা । এই দায়িত্বের সীমা পরিসীমা কতটুকু ? তাই আল্লাহ বলেন.

সুরা আন আম {162}

“হে নবী আপনি বলুন নিশ্চয়ই আমার নামাজ,কোরবানী,জীবন মরন এই নিখিল জাহানের রব এর জন্য নিবেদিত”

তাহলে আর বাকী থাকে কি…………………………………………?

اللّهُ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।

Allâh! Lâ ilâha illa Huwa (none has the right to be worshipped but He), the Ever Living, the One Who sustains and protects all that exists. Neither slumber, nor sleep overtake Him. To Him belongs whatever is in the heavens and whatever is on earth. Who is he that can intercede with Him except with His Permission? He knows what happens to them (His creatures) in this world, and what will happen to them in the Hereafter . And they will never compass anything of His Knowledge except that which He wills. His Kursî extends over the heavens and the earth, and He feels no fatigue in guarding and preserving them. And He is the Most High, the Most Great. [This Verse 2:255 is called Ayat-ul-Kursî.] |

সূরা বাকারা 255।

{কুরসি মানে সিংহাসন} তাই

এই দুনিয়াতে সর্ব যুগের সবচেয়ে মহামানব রাহমাতুল্লীল আলআমিন কে পবিএ কোরআনে বলেন” হে নবী আপনাকে আমি সত্য দ্বীন সহকারে এই পৃথিবীতে পাঠায়াছি আপনি যেন আমার{আল্লাহর}পক্ষ হতে সকল বাতিল মতাদর্শের উপরে ইসলামকে বিজয়ী করেন যদিও এটা মুশরিকদের জন্য মনোঃপোত {আনন্দের বিষয় নয়}

সূরা সফ ৯

“ আল্লাহ সত্যকে সত্যে পরিণত করেন স্বীয় নির্দেশে যদিও পাপীদের তা মনঃপুত নয়”

সূরা ইউনুস ৮২ ।

চিন্তার বিষয় আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর এই জমিনে তাঁরই বিধান সুপ্রতিষ্ঠিত করার আদেশ করেছেন,খলিফা হিসাবে এটা আমাদের কাজ, কিন্তু মুশরিকদের জন্য ইহা দুঃখের বিষয় কেন …………………………………………….? কারণ তাহারাও তাদের মনিব শয়তানের প্রতিনিধিত্ব করছে , শয়তান চায় এই পৃথিবীতে তার রচিত আইন গণতন্ত,রাজতন্ত,স্বৈরতন্ত,একনায়কতন্ত,সামাজতন্ত ইত্যাদি প্রতিষ্টিত থাক গণতন্ত,আর দুনিয়ার মানুষ গুলো সেই পথে চলুক এবং জান্নামবাসী হউক, সে যে আল্লাহর কাছে বলেছিল তার অনুসারী বেশী হবে এটা তার {credit}মানুষেকে সেজদা না করার জন্য আজ তার এই দুর্গতি । তাই সে তার অনুসারীদেরকে দুনিয়ার বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নগদ স্বার্থ হাসিল কারার জন্য সব সময় আকৃষ্ঠ করে থাকে ।তাই আল্লাহ বলেন

সে বললঃ হে আমার পলনকর্তা, আপনি যেমন আমাকে পথ ভ্রষ্ট করেছেন, আমিও তাদের সবাইকে পৃথিবীতে নানা সৌন্দর্যে আকৃষ্ট করব এবং তাদের সবাইকে পথ ভ্রষ্ঠ করে দেব।

[Iblîs (Satan)] said: ”O my Lord! Because you misled me, I shall indeed adorn the path of error for them (mankind) on the earth, and I shall mislead them all.

হিজর ৩৯ ।

আল্লাহর কসম, আমি আপনার পূর্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ে রাসূল প্রেরণ করেছি, অতঃপর শয়তান তাদেরকে কর্ম সমূহ শোভনীয় করে দেখিয়েছে। আজ সেই তাদের অভিভাবক এবং তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।

নাহল ৬৩ ।

নিশ্চয় যারা সোজা পথ ব্যক্ত হওয়ার পর তৎপ্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে, শয়তান তাদের জন্যে তাদের কাজকে সুন্দর করে দেখায় এবং তাদেরকে মিথ্যা আশা দেয়।

সূরা মুহাম্মাদ ২৫ ।

তাই শয়তানের অনুসারীরা ক্ষমতার মসনদের মাধ্যমে সকল দুনিয়াবী সুযোগ সুবিধাভোগ করে থাকে এই ক্ষমতা চলে গেলে তাদের স্বার্থের ব্যাঘাত হবে ভেবে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠিত হোক এটা চায়না। আল্লাহর এই মহান আলোকে নিভীয়ে দিতে তৎপর হয়, তাদের এই অপতৎপরতাকে আল্লাহকে পবিএ কোরআনে স্পঠভাবে বলেদিয়েছেন “তারা {কাফেররা}চায় আল্লাহর নূর কে ফুৎকার দিয়ে নিভীয়ে দিতে কিন্তু আল্লাহ্ তাঁর নূরকে পরিপূর্ণ রুপে প্রতিষ্ঠিত করবেন” সুরা ছফ ৮ । কিন্তু এ কাজ কি আল্লাহ নিজ হাতে করবেন ……..?এ জন্য আল্লাহ্ তাঁর খিলফা বা প্রতিনিধি নিয়োগ করে রাখছেন । এই খলিফা হচ্ছি আমরা তাই আল্লাহ বলেন “হে নবী আপনাকে আমি

{আল্লাহ} সত্য দ্বীন {জীবন ব্যবস্থা} সহকারে দুনিয়াতে পাঠাইয়াছি আপনি যেন আমার

{আল্লাহর}পক্ষ হতে সকল বাতিল মতাদর্শের উপর ইসলামকে বিজয়ী করেন যদিও এটা মুশরিকদের জন্য মনঃপোত{ আনন্দের} বিষয় নয় ।সুরা ছফ ৯ ।

তাই দুনিয়ার জীবনে আমরা দেখি একদল চায় আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠিত হোক আর একদল চায় শয়তানের আইন {গণতন্ত,রাজতন্ত,স্বৈরতন্ত,একনায়কতন্ত,সামাজতন্ত ইত্যাদি} প্রতিষ্ঠিত হোক ।তাই আল্লাহ্ বলেন “যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ্ উপর তারাতো আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার পথে লড়াই করছে আর যারা আল্লাহ্ হতে অবিশ্বাসী ,বিশ্বাস করছে তাগুতের বা শয়তানের উপর তারাতো সংগ্রাম করছে শয়তানের আইন প্রতিষ্ঠার জন্য । শয়তানের এই চেলাদের বিরোধে কঠিন লড়াই কর এদের চক্রান্ত দুর্বল”

নিসা 76 ।

একাজের জন্য তারা তাদের সর্বশক্তি অর্থ,পেশীশক্তি,মিডিয়া ব্যবহার করে ।এবং যারা আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তাদের সাথে প্রতিযোগিতায় নামে ভয়ভীতি দেখায় জেল জুলুম, ফাঁসি দেশ হতে বিতাড়িত নাগরিকত্ব ও ভোটাদিকার বাতিল করা,মিথ্যা অপবাধ । ইত্যাদি করে থাকে {গণতন্তের প্রকৃত কোন রুপ রেখা নাই এটা হচ্ছে একটি সিড়ি এই মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে কেহ ভাল আইন চালু করে কেহ খারাপ আইন চালু করে}a1

কিন্তু খলিফা হিসাবে আমাদের কাজ হচ্ছে সকল ভয় ভীতিকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া । এজন্য আল্লাহ আমাদেরকে যে অফার করেছেন তা হচ্ছে “হে ঈমানদরগণ তোমাদেরকে কি আমি এমন একটি ব্যবসার কথা বলব যা তোমাদেরকে দোজখের কঠিন আযাব থেকে নাজাত দান করে তা হচ্ছে ঈমান আনবে আল্লাহর ও তাঁর রাসূলের উপর এবং জিহাদ করবে আল্লাহর রাস্তায় তোমাদের মাল ও জান দ্বারা এটাই হবে তোমাদের জন্য উত্তম পথ যদি তোমরা তা জানতে”

সূরা সফ ১০ও১১ ।

এর আগের আয়াতে সফ ৮ নবীকে বলেছেন দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য কিন্তু কোন কাজ ত এমনি এমনি শুধু তাসবীহ তাহলীলে হয়না তাই আল্লাহ এখানে আমাদেরকে কিছু শর্ত দিয়েছেন{ ১} আল্লাহর ও তাঁর রাসূলের প্রতি ইমান আনা{ ২} মাল ও জান দ্বারা জিহাদ করা ।এখানে যে কথাগুলো আসছে তাহলো একমাএ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পূর্ণ আনুগত্য স্বীকার করে দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য ধনসম্পদ প্রয়োজন হলে জান ও কোরবান করা আল্লাহর রাস্তায় ।

وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْرِي نَفْسَهُ ابْتِغَاء مَرْضَاتِ اللّهِ وَاللّهُ رَؤُوفٌ بِالْعِبَادِ

আর মানুষের মাঝে এক শ্রেণীর লোক রয়েছে যারা আল্লাহর সন্তুষ্টিকল্পে নিজেদের জানের বাজি রাখে। আল্লাহ হলেন তাঁর বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত মেহেরবান।

And of mankind is he who would sell himself, seeking the Pleasure of Allâh. And Allâh is full of Kindness to (His) slaves

সূরা বাকারা 207 ।

এগুলো দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য{investment}বিনিয়োগ । দুনিয়ার জীবনে যদি কোন কোম্পানীর মালিক তার অধীনস্থ কর্মচারীকে বলে {from today you r my business partner}তাহলে হয়ত কেউ কেউ আনন্দে আত্নহারাও হতে পারে,চিৎকার দিয়ে বাকরোদ্ধ হতে পারে ।কিন্তু আমাদেরকে যিনি ব্যবসার জন্য বলেছেন তিঁনিত সকল মালিকের বড় মালিক রাজাধিরাজ মহান মনিব আমাদের রবa2 ।তাহলে কেন আমরা মাল ও জান অকাতরে বিলিয়ে দিই না………..? এখানে মালের কথা আগে আসার কারন হচ্ছে আবেগের বর্শবতী হয়ে মানুষ অনেক সময় বন্দুকের সামনে বুক পেতে দেয়,আপনজন বিপদে পড়লে বলে দুস্থত তোমার জন্য জীবন দিব ইত্যাদি ইত্যাদি । কিন্তু একথা বলেনা টাকা দিব

زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَاء وَالْبَنِينَ وَالْقَنَاطِيرِ الْمُقَنطَرَةِ مِنَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَالْخَيْلِ الْمُسَوَّمَةِ وَالأَنْعَامِ وَالْحَرْثِ ذَلِكَ مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَاللّهُ عِندَهُ حُسْنُ الْمَآبِ (14

মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী, সন্তান-সন্ততি, রাশিকৃত স্বর্ণ-রৌপ্য, চিহ্নিত অশ্ব, গবাদি পশুরাজি এবং ক্ষেত-খামারের মত আকর্ষণীয় বস্তুসামগ্রী। এসবই হচ্ছে পার্থিব জীবনের ভোগ্য বস্তু। আল্লাহর নিকটই হলো উত্তম আশ্রয়।

Beautified for men is the love of things they covet; women, children, much of gold and silver (wealth), branded beautiful horses, cattle and well-tilled land. This is the pleasure of the present world’s life; but Allâh has the excellent return (Paradise with flowing rivers, etc.) with Him

সূরা ইমরান ১৪ ।আল্লাহ্ত তাঁর গোলাম সমন্ধে ভালই জানেন কোন কোন জিনিস তাহাকে মোহের মধ্যে রাখে । পরম করুনাময় উপরে বর্ণিত কাজগুলো করলে খলিফাদের কি পুরস্কার দিবেন তা বলেছেন “তোমাদের পূবর্বের সকল গোনাহ্ মাফ করে দেয়া হবে এবং এমন জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে যার নিচ দিয়ে ঝর্ণা প্রবাহিত ।এটা মহাসাফল্য” ।

সফ ১২ ।

“এবং আরো একটি অনুগহ দিবেন যা তোমরা পছন্দকর আল্লাহর সাহায্য এবং আসন্ন বিজয় মুমিনদেরকে এর সুসংবাদ দান করুন ।

সফ ১৩ ।

وَنَزَعْنَا مَا فِي صُدُورِهِم مِّنْ غِلٍّ تَجْرِي مِن تَحْتِهِمُ الأَنْهَارُ وَقَالُواْ الْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِي هَدَانَا لِهَـذَا وَمَا كُنَّا لِنَهْتَدِيَ لَوْلا أَنْ هَدَانَا اللّهُ لَقَدْ جَاءتْ رُسُلُ رَبِّنَا بِالْحَقِّ وَنُودُواْ أَن تِلْكُمُ الْجَنَّةُ أُورِثْتُمُوهَا بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ

তাদের অন্তরে যা কিছু দুঃখ ছিল, আমি তা বের করে দেব। তাদের তলদেশ দিয়ে নির্ঝরণী প্রবাহিত হবে। তারা বলবেঃ আল্লাহ শোকর, যিনি আমাদেরকে এ পর্যন্ত পৌছিয়েছেন। আমরা কখনও পথ পেতাম না, যদি আল্লাহ আমাদেরকে পথ প্রদর্শন না করতেন। আমাদের প্রতিপালকের রসূল আমাদের কাছে সত্যকথা নিয়ে এসেছিলেন। আওয়াজ আসবেঃ এটি জান্নাত। তোমরা এর উত্তরাধিকারী হলে তোমাদের কর্মের প্রতিদানে।

And We shall remove from their breasts any (mutual) hatred or sense of injury (which they had, if at all, in the life of this world); rivers flowing under them, and they will say: ”All the praises and thanks be to Allâh, Who has guided us to this, never could we have found guidance, were it not that Allâh had guided us! Indeed, the Messengers of our Lord did come with the truth.” And it will be cried out to them: ”This is the Paradise which you have inherited for what you used to do.”

সূরা আরাফ 43 ।

قُلْ أَؤُنَبِّئُكُم بِخَيْرٍ مِّن ذَلِكُمْ لِلَّذِينَ اتَّقَوْا عِندَ رَبِّهِمْ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَأَزْوَاجٌ مُّطَهَّرَةٌ وَرِضْوَانٌ مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ (15

বলুন, আমি কি তোমাদেরকে এসবের চাইতেও উত্তম বিষয়ের সন্ধান বলবো?-যারা পরহেযগার, আল্লাহর নিকট তাদের জন্যে রয়েছে বেহেশত, যার তলদেশে প্রস্রবণ প্রবাহিত-তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আর রয়েছে পরিচ্ছন্ন সঙ্গিনীগণ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি। আর আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখেন।

Say: ”Shall I inform you of things far better than those? For Al-Muttaqûn (the pious - see V.2:2) there are Gardens (Paradise) with their Lord, underneath which rivers flow. Therein (is their) eternal (home) and Azwâjun Mutahharatun (purified mates or wives) [i.e. they will have no menses, urine, or stool, etc.], And Allâh will be pleased with them. And Allâh is All-Seer of the (His) slaves”.

সূরা ইমরান ১৫ । এগুলো হচ্ছে খলিফাদের কাজ ও পুরস্কার ।

কিন্তু বর্তমানে খলিফা হিসাবে কি একাজগুলো আমরা করছি……………………………? কেন করছি না………………………………………………..?আসুন দেখা যাক এই দায়িত্বটুকূ যারা কাঁধে নিয়েছে জীবনবাজী রেখে মঞ্জিলে মকসুদে পৌঁছার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে শয়তান তাদেরকে বিভিন্ন পন্থায় সমস্যা সৃষ্ঠি করছে মানুষের মনে বিব্রান্ত সৃষ্ঠি, করছে ।

1}যারা এ কাজ করছে তাদেরকে বলা হচ্ছে ক্ষমতালোভী ।আর আল্লাহর দরকার হলে কিংবা চাইলে নিজেই আমাদের ক্ষমতা দিতেন ।

2}কোরআনের জ্ঞান অর্জন করতে হয় আর কোরআন হাদীসের জ্ঞান অর্জন করবে শুধু মাওলানারা, এই ঝামেলায় জড়িয়ে লাভ কি ……………..?

3}মানুষের মনে নেক সুরতে ধোঁকা দিয়ে বলছে তুমি বা তোমরা ত শুধু বেহেশত পেতে চাও আর বেহেশত পেতে হলে নামাজ পড়লেই চলবে ,নামাজ হচ্ছে বেহেশতের চাবি ।

{3 নং প্রশ্নের জবাব উপরের আলোচনায় এসে গেছে যে শয়তান তার রাজত্ব কায়েম রাখতে চায় মানুষ যেন

তার বিধান অনুযায়ী চলে দোজখবাসী হয় ।}

১নং প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে যারা এই কাজ করছেন বর্তমান সময়ে তাদেরকেই শুধু ক্ষমতা লোভী বলা হচ্ছে নাকি অন্য সকল নবী ও রাসূলদের সময়ও হয়েছিল…………………? ইতিহাস সাক্ষী কোন নবী রাসূলগনই এসব আজগবী অপবাদ আর অপব্যাখা সামাজিক বিভিন্ন ধরনের রসম রেওয়াজ ভঙ্গের জন্য তিরস্কৃত ও নির্যাতন থেকে বাদ যাননি ।কখনও কখনও জাতীয়তাবাদের ধোঁয়া তুলে বলা হয়েছে দেশদ্রোহী কখনও বলা হয়েছে বাপ দাদার ধর্ম বিরোধী ।তাই আল্লাহ বলেন

ফেরাউন বলল; তোমরা আমাকে ছাড়, মূসাকে হত্যা করতে দাও, ডাকুক সে তার পালনকর্তাকে! আমি আশংকা করি যে, সে তোমাদের ধর্ম পরিবর্তন করে দেবে অথবা সে দেশময় বিপর্যয় সৃষ্টি করবে।

Fir’aun (Pharaoh) said: ”Leave me to kill Mûsa (Moses), and let him call his Lord (to stop me from killing him)! I fear that he may change your religion, or that he may cau

se mischief to appear in the land!”

। তারা আল্লাহর পথে জেহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী।

{মায়েদা ৫৪ আংশিক}

কোন নবী রাসূল বাদ যাননি এসব তিরস্কার অত্যাচার নির্যাতন থেকে,কাউকে করেছে দ্বিখন্ডিত

لَقَدْ أَخَذْنَا مِيثَاقَ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَأَرْسَلْنَا إِلَيْهِمْ رُسُلاً كُلَّمَا جَاءهُمْ رَسُولٌ بِمَا لاَ تَهْوَى أَنْفُسُهُمْ فَرِيقًا كَذَّبُواْ وَفَرِيقًا يَقْتُلُونَ

আমি বনী-ইসরাঈলের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম এবং তাদের কাছে অনেক পয়গম্বর প্রেরণ করে ছিলাম। যখনই তাদের কাছে কোন পয়গম্বর এমন নির্দেশ নিয়ে আসত যা তাদের মনে চাইত না, তখন তাদের অনেকের প্রতি তারা মিথ্যারোপ করত এবংঅনেককে হত্যা করে ফেলত।

Verily, We took the covenant of the Children of Israel and sent them Messengers. Whenever there came to them a Messenger with what they themselves desired not - a group of them they called liars, and others among them they killed.

মায়েদা 70 ।

কাউকে ফেলা হয়েছে অগ্নিকুন্ডলিতে,কাউকে সমুদ্রের বিশাল জলচর গিলে ফেলেছে,অত্যাচারের স্টীমরোলার চালিয়ে বলা হয়েছে বল এবার তর প্রভূকে…..?

বাতিলের চর্ম চক্ষুকে উপেক্ষা করে {আল্লাহর খলিফা} বলে বলে দিয়েছে আহাদুন আহাদুন ।তপ্ত মরুতে সারাদিন শুইয়ে রেখে জীবন যখন প্রায় ওষ্ঠাগত তখন জিঞ্জাসা করেছে বল এবার লাত,মানাত,উঞ্জাকে মানবে না তর আল্লাহকে………………………..?

কাফেররা পয়গম্বরগণকে বলেছিলঃ আমরা তোমাদেরকে দেশ থেকে বের করে দেব অথবা তোমরা আমাদের ধর্মে ফিরে আসবে।

সূরা ইবরাহীম ১৩ আংশিক।

শরীরের সবটুকু শক্তিকে একএ করে বর্জ্রকন্ঠে বলেছে আল্লাহ এক।নির্যাতন আরো বেড়ে গিয়েছে…………………………………………………………………………………………।তবুও সত্যর এই সেনানীরা সত্যর কবিতা লিখে গেছেন শতাব্দীর দেয়ালে দেয়ালে । দ্বীন কায়েমের কাজ চলেছে দুর্বার গতিতে । এখানেই শেষ নয় ইতিহাস সাক্ষী যে নির্যাতনের কাহিনী শুনলে এখনও লোম শিহরিয়ে উঠে কান হয়ে যায় স্তব্দ ইতিহাসের এই কঙ্কিত অধ্যায়গুলো এক শতাব্দী থেকে অন্য শতাব্দী পর্যন্ত চলমান

أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تَدْخُلُواْ الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَأْتِكُم مَّثَلُ الَّذِينَ خَلَوْاْ مِن قَبْلِكُم مَّسَّتْهُمُ الْبَأْسَاء وَالضَّرَّاء وَزُلْزِلُواْ حَتَّى يَقُولَ الرَّسُولُ وَالَّذِينَ آمَنُواْ مَعَهُ مَتَى نَصْرُ اللّهِ أَلا إِنَّ نَصْرَ اللّهِ قَرِيبٌ

তোমাদের কি এই ধারণা যে, তোমরা জান্নাতে চলে যাবে, অথচ সে লোকদের অবস্থা অতিক্রম করনি যারা তোমাদের পূর্বে অতীত হয়েছে। তাদের উপর এসেছে বিপদ ও কষ্ট। আর এমনি ভাবে শিহরিত হতে হয়েছে যাতে নবী ও তাঁর প্রতি যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে পর্যন্ত একথা বলতে হয়েছে যে, কখন আসবে আল্লাহর সাহায্যে! তোমরা শোনে নাও, আল্লাহর সাহায্যে একান্তই নিকটবর্তী।

Or think you that you will enter Paradise without such (trials) as came to those who passed away before you? They were afflicted with severe poverty and ailments and were so shaken that even the Messenger and those who believed along with him said, ”When (will come) the Help of Allâh?” Yes! Certainly, the Help of Allâh is near!

সূরা বাকারা 214 ।

তবুও বন্ধ হয়ে যায়নি দ্বীন কায়েমের কাজ, স্থাবর অস্থাবর সকল সম্পতি থেকে উচ্ছেদ করা,কারাগারে নিক্ষেপ করা,ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানু,শত শত পাহাড়সম বিপদ তাদের সামনে এসে হাজির হয়েছে উড়ে গেছে খড়কঠুর মত ,আর দ্বীন কায়েমের পথের মর্দে মুজাহিদরা পাড়ি দিয়েছে অনায়েসে ।কোন বিপদ মুসিবত তাদের পথকে আটকে রাখতে পারেনি কোন দিন পারবেওনা।বাতিল এই পথের পথিকদেরকে মৃত্যৃর ভয় দেখায় ,তারা {বাতিল}যানেনা মৃত্যু দ্বীন কায়েমের মুজাহিদের কামনার জিনিস,মৃত্যু তাদের পায়ের ভৃত্য । শাহাদাতের তামান্নায় তাদের হৃদয় মন সব সময় পিপাসিত । শয়তানের রাজত্বকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়ে ধরায় আনবে যারা খোদার রাজ । যারা পেয়েছে মহান মনিবের পক্ষ হতে পবিএ জান্নাতের খবর তাদের কাছে কি ভয় আছে মৃত্যুর,তারা নিত্য আগুয়ান ।

আর এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই যে, যারা ঈমান এনেছে এবং যারা হিজরত করেছে আর আল্লাহর পথে লড়াই (জেহাদ) করেছে, তারা আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী করুনাময়।

Verily, those who have believed, and those who have emigrated (for Allâh’s Religion) and have striven hard in the Way of Allâh, all these hope for Allâh’s Mercy. And Allâh is Oft-Forgiving, Most-Merciful

সূরা বাকারা ২১৮ ।

الَّذِينَ آمَنُواْ وَهَاجَرُواْ وَجَاهَدُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ أَعْظَمُ دَرَجَةً عِندَ اللّهِ وَأُوْلَئِكَ هُمُ الْفَائِزُونَ

যারা ঈমান এনেছে, দেশ ত্যাগ করেছে এবং আল্লাহর রাহে নিজেদের জান ও মাল দিয়ে জেহাদ করেছে, তাদের বড় মর্যাদা রয়েছে আল্লাহর কাছে আর তারাই সফলকাম।

Those who believed (in the Oneness of Allâh - Islâmic Monotheism) and emigrated and strove hard and fought in Allâh’s Cause with their wealth and their lives are far higher

indegree with Allâh. They are the successful.

সূরা তওবা ২০ ।

তাই দ্বীনের মুজাহিদদের নেই কোন শংকা সন্দেহ ।তারা ক্ষমতা নিজেরা নিজেদের জন্য চায়না ,এই পৃথিবী আল্লাহর আর রাজত্ব ও চলবে তার । তাই আল্লাহ বলেন

সূরা ইমরান 189 ।

আর আল্লাহর জন্যই হল আসমান ও যমিনের বাদশাহী। আল্লাহই সর্ব বিষয়ে ক্ষমতার অধিকারী।

And to Allâh belongs the dominion of the heavens and the earth, and Allâh has power over all things.

أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ اللّهَ لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَا لَكُم مِّن دُونِ اللّهِ مِن وَلِيٍّ وَلاَ نَصِيرٍ

তুমি কি জান না যে, আল্লাহর জন্যই নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের আধিপত্য? আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী নেই।

Know you not that it is Allâh to Whom belongs the dominion of the heavens and the earth? And besides Allâh you have neither any Walî (protector or guardian) nor any helper.

সূরা বাকারা 107 ।

বলে দাও, হে মানব মন্ডলী। তোমাদের সবার প্রতি আমি আল্লাহ প্রেরিত রসূল, সমগ্র আসমান ও যমীনে তার রাজত্ব। একমাত্র তাঁকে ছাড়া আর কারো উপাসনা নয়। তিনি জীবন ও মৃত্যু দান করেন।

সূরা আরাফ 158 {আংশিক}।

যে কাজটি করেছিলেন সকল নবী রাসূলগণ অনেকেই সফলকাম হয়েছেন ।সফলতা পাওয়া না পাওয়া আল্লাহর হাতে কিন্তু সকল বাধা বিপত্তিকে উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন সবাই বিরতিহীনভাবে । সর্বশেষ নবী ও রাসূল দুনিয়া ও আখেরাতের মানব নেতা রাহমাতুল্লিল আলআমিন যখন দেখলেন,দুনিয়ার মানুষগুলো যখন অন্ধকারে হাবুডুবু খাচ্ছে মানুষের অধিকার বলতে কিছু নেই জোর যার মুল্লুক তার । পশুর চাইতেও মানুষের বিবেক চরিএ সবকিছু নিচে নেমে গিয়েছিল। কোরআনের ভাষায়

আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে।

Verily, We created man of the best stature (mould),

অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নীচে।

Then We reduced him to the lowest of the low

“সূরা তীন ৪ এবং ৫”

মানুষগুলো এত নিচে নেমে গিয়েছিল যে আপন বিধবা মায়ের সাথে পর্যন্ত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতেও পরোয়া করতনা ।

এক একটি গোএ আরেকটি গোএকে আক্রমন করার জন্য ওৎ পেতে থাকত ।সবকিছু ছিনিয়ে নিত ,পরাজিত জনপদের সকল ধন সম্পদত হস্তগত করত এবং বন্দী পুরুষগুলো কৃত দাসের মত পরিনিত হত আর মহিলারা হত ভোগ্য পণ্য, তিনি এসব কিছু থেকে মানুষকে কিভাবে মুক্ত করা যায়,তিনি{রাসূল} ভাবতেন তার অন্তর কেঁদে উঠত ।কারণ নবী রাসূলগণ ছিলেন রহমত প্রাপ্ত কোমল হৃদয়ের অধিকারী ।মানুষের মুক্তির কথা ভাবতেন ,আল্লাহর পক্ষ হতে ওহী প্রাপ্ত হওয়ার আগে তাঁকে যারা বিশ্বাসী ,আমানতদার,কল্যাণকামী হিসেবে চিনত জানত । যখনই তিনি নবুয়ত প্রাপ্ত হলেন ,মানুষের মাঝে প্রকৃত মালিকের প্রভূত্ব কায়েমের জন্য কাজ শুরু করে দিলেন ,তখনই তারা আপনজনেরা তার বিরুদ্ধে শুরু করে দিল সকল ধরনের ষড়যন্ত । কারণ তখনকার গোএপতিরা দেখল মুহাম্মাদ যে দ্বীন কায়েমের কথা বলে ,এই দ্বীন কায়েম হলে তাদের স্বার্থের আঘাত লাগবে লুঠতরাজ , জিনা ব্যাভিচার , মদের আড্ডা বসিয়ে নাচ গান করা যাবেনা ।তাই তাকেও সমাজ বিরোধী বাপ দাদার ধর্ম বিরোধী জাদুকর, কবি,পাগল বিভিন্ন ধরনের অপবাধ দেয়া শুরু করল । তিনি{রাসুল} যদি শুধু ঘরে বসে তাসবীহ তাহলীল করতেন সমাজ সংস্কারের কাজ না করতেন ,তাহলে আবুজেহেল, আবু লাহাব ,উৎবা ,শায়বারা নবীর বিরোধীতা করতনা, কারণ {তাঁহার}নবীর কাজে তাদের কোন ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা ছিলনা ।হয়ত নবীর চাচারা আরো র্গব করত যে আমাদের বংশে একজন নবী আছে ।কারন তখন গোএ প্রথাটা অত্যন্ত বেশী ছিল । কিন্ত র্গব করাত দূরের কথা উল্টো নবীকে শিয়াবে আবুতালিবে বন্দী বা অবরোদ্ধ করে রাখা হয়েছে । দ্বীন কায়েমের পথ পরিহার করে তাদের সাথে শিরক্ প্রথায় একাত্বতা পোষণ করার জন্য। কিন্তু যে মানবতার মুক্তির জন্য আল্লাহ্ তায়ালা তাহাকে মনোনীত করেছেন ,আর্তমানবতার চিৎকারে যিনি সব সময় বিষন্ন থাকতেন ।

নবী এই শয়তানের রাজত্বকে একটুও মেনে নিতে পারতেন,যা দ্বারা তৎকালীন শয়তানের চেলারা মানুষকে নির্যাতন করত আর সব নির্যাতনের বড় নির্যাতন হচ্ছে মানুষ হয়ে মানুষের প্রভূত্ব করা ।রাষ্ট্র যন্তকে ব্যবহার করে মানুষকে সবচেয়ে বেশী নির্যাতন করা যায় ।তাই মানুষের আর্তনাদকে আল্লাহ কোরআনে ভাষায় বলেন

আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।

And what is wrong with you that you fight not in the Cause of Allâh, and for those weak, illtreated and oppressed among men, women, and children, whose cry is: ”Our Lord! Rescue us from this town whose people are oppressors; and raise for us from You one who will protect, and raise for us from You one who will help.”

সূরা নিসা ৭৫ ।

নবী করীম {সাঃ}তখন আল্লাহর পক্ষ হতে পক্ষালম্বনকারী ও সাহায্যকারী

হয়ে আবুজাহেল,আবুলাহাব,উৎবা,শায়বাদের শক্তির দাপঠ রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে রাসূল সত্য কথা বলা থেকে বিরত থাকেনি এবং পূর্বের কোন নবী রাসূল ও বিরত থাকেননি ।

তাই আল্লাহর রাসূলের একাজ যতই অগ্রসর হচ্ছিল মুসতাদআফিনদের দল বড় হতে লাগল আর কাফের মুশরিকদের ভয় শংকা ততই বাড়ছিল তাই তৎকালীন সমাজপতিরা {রাজা বাদশারা} মনস্থ করল আল্লাহর রাসূলকে মেরে ফেলার এবং তারা তাদের ক্ষমতাকে ধরে রাখতে পূর্ণ শক্তি নিয়োগ করল আর তাই আল্লাহ্ ও নবীকে বললেন

الَّذِينَ آمَنُواْ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللّهِ وَالَّذِينَ كَفَرُواْ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُواْ أَوْلِيَاء الشَّيْطَانِ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا

যারা ঈমানদার তারা যে, জেহাদ করে আল্লাহর রাহেই। পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই করে শয়তানের পক্ষে সুতরাং তোমরা জেহাদ করতে থাক শয়তানের পক্ষালম্বনকারীদের বিরুদ্ধে, (দেখবে) শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল।

Those who believe, fight in the Cause of Allâh, and those who disbelieve, fight in the cause of Tâghût (Satan, etc.). So fight you against the friends of Shaitân (Satan); Ever feeble indeed is the plot of Shaitân (Satan).

সূরা নিসা 76।

وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لاَ تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ لِلّهِ فَإِنِ انتَهَواْ فَلاَ عُدْوَانَ إِلاَّ عَلَى الظَّالِمِينَ

আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)।

And fight them until there is no more Fitnah (disbelief and worshipping of others along with Allâh) and (all and every kind of) worship is for Allâh (Alone). But if they cease, let there be no transgression except against Az-Zâlimûn (the polytheists, and wrong-doers, etc.)

সূরা বাকারা 193 ।

তাই নবী করীম সাল্লালাহু আলাইহিসসালল্লাম দৃঢ়পদে এগোতে লাগলেন কিন্তু ষড়যন্ত আরো বাড়তে লাগল । আল্লাহ্ তার প্রিয় রাসূলকে রক্ষা করবেন ও তার দ্বারা খেলাফত প্রতিষ্ঠিত করবেন ।যে রাষ্ঠীয় শক্তি নবীকে কাজে বাধা সৃষ্ঠি করল সেই রাষ্টশক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহ্ সূরা বণী ইসরাঈলে দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন

وَقُل رَّبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَل لِّي مِن لَّدُنكَ سُلْطَانًا نَّصِيرً

বলুনঃ হে পালনকর্তা! আমাকে দাখিল করুন সত্যরূপে এবং আমাকে বের করুন সত্যরূপে এবং দান করুন আমাকে নিজের কাছ থেকে রাষ্ট্রীয় সাহায্য।

And say (O Muhammad SAW): My Lord! Let my entry (to the city of Al-Madinah) be good, and likewise my exit (from the city of Makkah) be good. And grant me from You an authority to help me (or a firm sign or a proof).

বণীইসরাঈল 80 ।

তাই আল্লাহর রাসূল তারই নির্দেশে মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করলেন সত্য সহকারে এবং মদিনা থেকে সত্য সহকারে দ্বীনকে বিজয়ীরুপে মক্কায় প্রবেশ করলেন এবং এই সত্য দ্বীনের মাধ্যমে সকল অনাচারকে মুচে দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করলেন ইনসাফ পূর্ণ খোদাররাজ । যে সমাজে মানুষ তার সকল অধিকার ফিরে পেল বহু খোদার বদলে এক লা শারিক আল্লাহ্ কে মানার অধিকার পেল ।আর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না থাকলে প্রকৃত কোন ভিত্তি থাকেনা তখন প্রতিষ্ঠিত তগুতি শক্তি ততটুকু সুযোগ দেয় ।যতটুকু দ্বীন মানলে তাদের কোন সমস্যা সৃষ্ঠি হয় না যেমন শুধু মসজিদের চার দেয়ালের ভিতর আল্লাহ্ কে মানা যাবে কিন্তু আইন বিচার ,ব্যাংক বীমা,অফিস আদালত,ব্যবসা সহ সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ্ বিধানকে মানতে দেয় না এবং না মানতে বাধ্য করে। কারণ দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না থাকলে প্রকৃত কোন ভিত্তি {foundation} থাকেনা । তাই আল্লাহ্ বলেন

قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَسْتُمْ عَلَى شَيْءٍ حَتَّىَ تُقِيمُواْ التَّوْرَاةَ وَالإِنجِيلَ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرًا مِّنْهُم مَّا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ طُغْيَانًا وَكُفْرًا فَلاَ تَأْسَ عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

“হে আহলে কিতাবধারীগণ তাওরাত,ইঞ্জিল ও যা তোমাদের রবের পক্ষ হতে অবতীর্ণ হয়েছে {কোরাআন} তোমরা তা প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত তোমাদের কোন ভিত্তি নেই,তোমার রবের পক্ষ হতে যা অবতীর্ণ হয়েছে তা তাদের অনেকের ধর্মদ্রোহীতা ও অবিশ্বাস বৃদ্ধি করে সুতরাং তুমি আবিশ্বাসীদের জন্য দুঃখ করোনা” । সূরা মায়েদা 68 । বর্তমানে সারা বিশ্বে মুসলমানদের অবস্হা ও হয়েছে তাই কোন ভিত্তি নেই যেদিকেই তাগুতী শক্তি আমাদেরকে ধাক্কা দেয় সে দিকেই হেলে পড়ি কিন্তু তখনকার আমলে আরব উপদ্বীপে ছোট্র একটু জায়গায় দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারনে তখনকার পরাশক্তি {suprem power} রোম সাম্রাজ্য ও পারস্য সাম্রাজ্য পর্যন্ত এই খোদায়ী রাজের সাথে টিকে থাকতে পারেনি ।

2}কোরআনের জ্ঞান অর্জন করতে হয় আর কোরআন হাদীসের জ্ঞান অর্জন করবে শুধু মাওলানারা, এই ঝামেলায় জড়িয়ে লাভ কি ……………..?

এই সুন্দর কথাটা কে আমাদের মনে গেঁথে দিয়েছে …………..? মানব জাতির চির দুশমন শয়তান ।আল্লাহ্ যখন পৃথিবীতে তার প্রথম প্রতিনিধীকে পাঠালেন আদম আলাইহিতুসসাল্লামকে পাঠালেন তখন প্রথম নবী ও রাসূল আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করল হে আল্লাহ যে শয়তানের কারনে বেহেশতে ও আমি প্রতারিত হয়েছি দুনিয়াতে আমি কিভাবে চলব আল্লাহর পক্ষ হতে বলা হল

قُلْنَا اهْبِطُواْ مِنْهَا جَمِيعاً فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُم مِّنِّي هُدًى فَمَن تَبِعَ هُدَايَ فَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ

আমি হুকুম করলাম, তোমরা সবাই নীচে নেমে যাও। অতঃপর যদি তোমাদের নিকট আমার পক্ষ থেকে কোন হেদায়েত পৌঁছে, তবে যে ব্যক্তি আমার সে হেদায়েত অনুসারে চলবে, তার উপর না কোন ভয় আসবে, না (কোন কারণে) তারা চিন্তাগ্রস্ত ও সন্তপ্ত হবে।

We said: ”Get down all of you from this place (the Paradise), then whenever there comes to you Guidance from Me, and whoever follows My Guidance, there shall be no fear on them, nor shall they grieve.

وَالَّذِينَ كَفَرواْ وَكَذَّبُواْ بِآيَاتِنَا أُولَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

আর যে লোক তা অস্বীকার করবে এবং আমার নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী; অন্তকাল সেখানে থাকবে।

But those who disbelieve and belie Our Ayât (proofs, evidences, verses, lessons, signs, revelations, etc.) such are the dwellers of the Fire, they shall abide therein forever.

সূরা বাকারা 38,39 ।

শয়তান চিন্তা করল যেহেতু হেদায়েত {জীবন বিধান} পৌঁছে গেছে এই জীবন বিধান থেকে মানুষকে কিভাবে দূরে রাখা যায় । আর এই জীবন বিধান কে যেহেতু আল্লাহ্ নিজেই লাওহে মাহফুজে রক্ষা করবেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।শয়তান এটাকে ধ্বংস করতে পারবেনা সুতরাং মানুষের মনে শুধু কোরআন তেলাওয়াত করলেই চলবে প্রতি অক্ষরে দশ নেকী ব্যাস । বুঝে পড়ার দরকার নেই আর যদি অর্থ সহ বুঝে পড়ে তাহলেত সেই বুঝ অনুযায়ী জীবন পরিচালনার চেষ্ঠা করবে আর সেই অনুযায়ী চললে বিপথগামী করা যাবেনা ।আরো কিছু লোকের মনে নতুন

রোগ সৃষ্টি করেছে তাহল কোরআনের অর্থ বুঝতে হলে আরবী {grammer}ব্যাকরণ জানতে হতে ও কিছু গুণাবলী থাকতে হবে আমাদের দ্বারা আরবী ব্যাকরণ ও গুণাবলী অর্জন করা সম্ভব নয় সুতরাং অর্থ বুঝার দরকার নেই এটা মানুষের মনে শয়তানের যুক্তি।কথাটা সত্য যদি আরবীতে বুঝতে হয় আর যদি বাংলায় বুঝতে হয় তাহলে যে ব্যাক্তি কমপক্ষে বাংলা পড়লে বুঝে তারত কোন সমস্যা থাকার কথা নয় । আর আল্লাহ পবিএ কোরআনে অনেক জায়গায় বলেছেন

وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ

আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?

And We have indeed made the Qur’ân easy to understand and remember, then is there any that will remember (or receive admonition)?

وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ

আমি কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?

And We have indeed made the Qur’ân easy to understand and remember, then is there any that will remember (or receive admonition)?

সূরা কামার 17 ও 22 ।

আল্লাহ্ যেখানে বলতেছেন সহজভাবে বোঝার জন্য নাযিল করেছেন চিন্তা গবেষণা করার জন্য তাহলে আমাদের কি এটাকে অন্য কোন বির্তক সৃষ্ঠি করার সুযোগ আছে…………………………………………………………………………………………? আর যদি আমরা অযুক্তিক অযুহাত খাড়াকরি তাহলে কোরআনের ভাষা অনুযায়ী

مَا يُجَادِلُ فِي آيَاتِ اللَّهِ إِلَّا الَّذِينَ كَفَرُوا فَلَا يَغْرُرْكَ تَقَلُّبُهُمْ فِي الْبِلَادِ

কাফেররাই কেবল আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে। কাজেই নগরীসমূহে তাদের বিচরণ যেন আপনাকে বিভ্রান্তিতে না ফেলে

সূরা মু,মিন 4 ।

আমরা যেন পরিপূর্ণভাবে কোরআন বুঝে সেই অনুযায়ী জীবন যাপন করি। আল্লাহ্র পক্ষ হতে অর্পিত খেলাফতের দায়িত্ব পালন করি আর যদি একাজ না করি কিংবা আংশিক করি তাহলে দুনিয়াতে হব লাঞ্জিত, বষ্ণিত অপমানিত আর আখেরাতে কঠিন আজাব অপেক্ষা করছে তাই আল্লাহ বলেন; “ তবে কি তোমরা গ্রন্থের কিয়দংশ বিশ্বাস কর এবং কিয়দংশ অবিশ্বাস কর? যারা এরূপ করে পার্থিব জীবনে দূগর্তি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে পৌঁছে দেয়া হবে। আল্লাহ তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে বে-খবর নন”।

সূরা বাকারা 85 ।{আংশিক} । আমিন ।17/09/13.

বিষয়: বিবিধ

২০৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File