ইসলামের দৃষ্টিতে সামাজিকতা
লিখেছেন লিখেছেন হারানো সুর ১২ জুন, ২০১৪, ০৬:৫৫:০৬ সকাল
ইসলাম সমাজবান্ধব একটি ধর্ম। সামাজিক যত সৌন্দর্য আছে সবই ইসলামে নিহিত। যুগে যুগে প্রেরিত নবী-রাসুলরা মানুষকে আল্লাহমুখী হওয়ার শিক্ষা যেমন দিয়েছেন তেমনি শিখিয়েছেন সামাজিকতা। ইসলামের নবী মোহাম্মদ (সা.) একজন মুসলমানের নিছক পরকালীন পথপ্রদর্শকই ছিলেন না, জীবনাচার ও সামাজিকতার শিক্ষকও ছিলেন। পৃথিবীর কোনো মানুষই এমন নয় যার জন্য কারো সহযোগিতার প্রয়োজন পড়ে না। সমাজে টিকে থাকতে হলে প্রত্যেককে অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলতে হয়। জীবনের নির্বিঘœতার জন্য এটি প্রয়োজন। ইসলাম এ জন্য মানুষকে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও সৌভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দেয়। মহানবী (সা.) বলেছেন, এক মমিন অপর মমিনের জন্য একটি দেয়ালের ইটগুলোর মতো সম্পূরকস্বরূপ-তারা একে অপরের দ্বারা স্থিতি অর্জন করে। এ হাদিসে রাসুল (সা.) মুসলমানদের পারস্পরিক সম্পর্কের গুরুত্বের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। অন্য হাদিসে আছে, মুসলমান জাতি একটি শরীরের মতো। মুমিনরা যদি প্রকৃতই পরস্পরে সহমর্মী হয়, তাহলে তাদের একের ব্যথায় অন্যরা ব্যথিত হবে, একের সুখে অন্যরা আনন্দিত হবে। ইসলাম যেহেতু গোটা মানবতাকে একই পরিবারের সদস্য বলে বিবেচনা করে, সুতরাং তাদের মধ্যকার সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য নানাভাবে তাগিদ দেয়া হয়েছে। ইসলামে বিভিন্ন ইবাদত, বন্দেগির নিয়ম-পদ্ধতি এমনভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে যে, তার মাধ্যমে যেন মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে আনুগত্য ও আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে মানবসমাজে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি ও উন্নয়ন সম্ভব হয়।
আল্লাহ তায়ালা কিছু বিশেষ নিয়মসংবলিত ইবাদতের বিধান দিয়েছেন। আবার একাকী নয়, সম্মিলিতভাবে তা পালনের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। প্রতিটি দিকই অনেক গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে। সম্প্রীতি ও ঐক্যের যে মহড়া চলে জামায়াতের সঙ্গে নামাজ আদায়ের সময়, তা মমিনদের আন্তরিক যোগসূত্রকে আরো মজবুত করে। আর এর ফলে মুসলমানদের সমাজে বিরাজ করতে থাকে অনাবিল পরিবেশ। বিশেষ করে জুমার নামাজ এমন এক ইবাদত যা মমিনদের পরম করুণাময়ের আহ্বানে হাজির করে, একই সঙ্গে তাদের সমাজবন্ধনকে সুদৃঢ় করে। এভাবেই ইসলামের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে সামাজিক সৌন্দর্য।
বিষয়: বিবিধ
১২২৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন