জমজমাট কোচিংবাণিজ্য
লিখেছেন লিখেছেন হারানো সুর ৩১ মে, ২০১৪, ০৬:২৪:৩০ সকাল
সারা দেশে জমজমাট অবৈধ কোচিংবাণিজ্য। বিদ্যালয়ের পাশে ভবন ভাড়া করে বিভিন্ন নামে গড়ে ওঠা এসব কোচিং সেন্টারের চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে ছুটি শেষে শিক্ষার্থীরা দলে দলে ছুটছে কোচিং করতে। সেই সঙ্গে অভিভাবকরাও হুড়মুড় করে পড়ছেন এসব কোচিং সেন্টারে। কোচিং পড়াতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা থাকা সত্ত্বেও সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাই প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন এসব কোচিং সেন্টারে। প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে পোস্টার আর ফেস্টুুন এমনকি রং দিয়ে বিশাল আকৃতির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে কোচিং সেন্টারের। এসব বিজ্ঞাপনের কারণে একদিকে যেমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্যহানি হচ্ছে তেমনি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকছে কোচিং সেন্টারের দিকে। তাছাড়া বিদ্যালয়ে মাসিক বেতনের পাশাপাশি একজন শিক্ষার্থীর জন্য শুধু কোচিংয়ের জন্য খরচ করতে হচ্ছে দুই থেকে তিন হাজার টাকা। একাধিক অভিভাবক জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোচিং বন্ধে নানা নীতিমালা করলেও বাস্তবতা হচ্ছে তাদের কোনো তৎপরতা নেই। অন্যদিকে কোচিংয়ে পড়তে না গেলে ছেলেমেয়েদের নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। তাই কোনো কোচিং সেন্টারে ছেলেমেয়েদের পড়াতে হয়। স্কুল শেষে শিক্ষকরাই দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন কোচিং সেন্টারে গিয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে।
জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পার্শ্ববর্তী ছাড়াও পাড়া-মহল্লায় গড়ে ওঠা এসব কোচিং সেন্টারে বিভিন্ন ধরনের চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে শতভাগ পাসসহ 'এ' প্লাস প্রাপ্তির নিশ্চয়তা মাইকিং ও পোস্টারিং করে বছরের শুরুতেই ছাত্রছাত্রী ভর্তি শুরু করে। প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সমমানের শিক্ষাব্যবস্থার চিত্র আরও ভয়াবহ। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক পদে চাকরি করেও অতি গোপনে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক তালিকায় রেখে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছেন কোচিংবাণিজ্য। অভিযোগে আরও জানা গেছে, অনেক শিক্ষক তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তেমন সময় না দিয়ে অধিকাংশ সময় ব্যয় করেন কোচিং সেন্টারে। নামসর্বস্ব কোচিং সেন্টারগুলোতে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধার আশ্বাস দেওয়াতে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সজল কান্তি মণ্ডল বলেন, কোচিংবাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর নোটিসসহ অনেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
৭৯৯ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বর্তমানে এসবের ডিজিটালাইজেশন এসে গেছে ।
শিক্ষক যেহেতু মানুষ গড়ার কারিগড় তাই তারা যাতে নিশ্চিন্ত মনে তাদের এই কারিগির কাজ করতে পারে সে জন্য সরকারকেই কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে ।
শিক্ষকের বেতন বর্তমানের চেয়ে নুন্যতম ৫০-১০০ গুন বাড়ানো হলে খুব একটা বেশী হবে না যদি আসলেই সরকার দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন