প্রযুক্তিনির্ভর নতুন চিন্তায়

লিখেছেন লিখেছেন হারানো সুর ১৯ মে, ২০১৪, ০৬:০১:১৪ সকাল

প্রজন্মের অগ্রযাত্রায় মূল ভূমিকা রাখছে তথ্যপ্রযুক্তি। আর শিক্ষাকে প্রযুক্তিসমৃদ্ধ করার মাধ্যমে এই স্বপ্নকে কার্যতই এগিয়ে নিতে কাজ করছেন তিনি। দেশে আধুনিক শিক্ষা বিস্তারে নিরলস কাজ করে চলেছেন বিশিষ্ট শিক্ষা-উদ্যোক্তা লায়ন এমকে বাশার, পিএমজেএফ। তিনি এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে গেছেন অনেক দূর। বিশেষ করে শিক্ষাকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেছেন অপেক্ষাকৃত সাবলীল ও নান্দনিক রূপে। এজন্য তিনি নিজ প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিয়ান কলেজে প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ডিজিটাল শিক্ষা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রকৃত ডিজিটাল শিক্ষা ও এর ব্যাপকতা তুলে ধরার প্রয়াস রেখেছেন। সম্প্রতি তিনি অনুমোদন নেন শিক্ষামূলক টেলিভিশন চ্যানেলের, যার নাম ক্যামব্রিয়ান টেলিভিশন (সিটিভি)। প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসারে এই উদ্যোক্তার আগামী দিনের স্বপ্নের কথা জানাচ্ছেন রফিকুল ইসলাম

ডিজিটাল শিক্ষা বলতে শিক্ষার্থীদের হাতে শুধু কম্পিউটার, ল্যাপটপ ধরিয়ে দিলেই হয় না। ডিজিটাল ক্যামব্রিয়ানের নব্য এ জগতে শিক্ষার্থীরা যাতে সহজ-সাবলীলভাবে বিচরণ করতে পারে, অর্থাত্ তারা যাতে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে, সেজন্য বিস্তর গবেষণা করা হয়েছে বিষয়টিতে। এজন্য প্রথমেই তৈরি করেছেন, পাঠ্যপুস্তকের ডিজিটাল ভার্সন ডিভিডি ও তা সাবলীলভাবে রান করার জন্য 'ক্যামব্রিয়ান' নামক একটি সাবলীল সফটওয়্যার। যে সফটওয়্যারে থাকছে প্রাক-প্রাথমিক থেকে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর সকল বোর্ড বইয়ের ডিজিটাল ভার্সন—ডিভিডি তথা সফট্ কপি। এবং সব বইয়ে রয়েছে স্বতন্ত্র ইনডেক্স, যেখানে ক্লিক করে এক সেকেন্ডেই একজন শিক্ষার্থী চলে যেতে পারবে যেকোনো বিষয়ের যেকোনো চ্যাপ্টারে। বইয়ের সাথে সংযুক্ত করে দেওয়া আছে মজার মজার সব ভিডিও ক্লিপসও। দৃশ্যত এর অন্যতম সুফল হচ্ছে শিক্ষার্থীরা, তারা স্কুল বা কলেজে যাচ্ছে কিন্তু তাদের কাঁধে খাতা-পুস্তকে ঠাসা ৮-১০ কেজি ওজনের ভারি ব্যাগ নেই, ব্যাগের পরিবর্তে তাদের হাতে এখন কেবল স্বল্প ওজনের প্রযুক্তিসমৃদ্ধ একটি ছোট্ট ল্যাপটপ বা আইপ্যাড মাত্র। ডিজিটাল শিক্ষায় নিজের কার্যক্রম সম্পর্কে শুরুতে এমনটাই বললেন লায়ন এমকে বাশার। পরবর্তীতে তার কাছে প্রশ্ন ছিল, নতুন টেলিভিশন চ্যানেল অনুমোদন নিয়েছেন এটা কী উদ্দেশ্যে করেছেন? উত্তরে তিনি বলেন, 'এটা হচ্ছে দেশের প্রথম শিক্ষামূলক টেলিভিশন। যার নামকরণ করেছি আমার কলেজের নামে; 'ক্যামব্রিয়ান টেলিভিশন (সিটিভি)। দেশে প্রচুর ইলেক্ট্রোনিক্স মিডিয়া সম্প্রচার হচ্ছে এবং অনুমোদন পেয়েছে আরও বেশ কিছু চ্যানেল। কিন্তু এসবের মধ্যে শিক্ষামূলক কোনো চ্যানেল নেই। তবে আমি স্বপ্ন দেখেছি, দেশে এমন এক শক্তিশালী শিক্ষামূলক গণমাধ্যম পরিচালনার, যা হবে সারা বিশ্বের শিক্ষামূলক মুখপাত্র। ইতোমধ্যে আমরা ক্যামব্রিয়ান নিউজ বিডি. নামক একটি অনলাইন কার্যক্রম শুরু করেছি। এটাকে ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের গণমাধ্যমে সম্পৃক্ত হওয়ার প্রস্তুতি বলতে পারেন। আর সিটিভির ব্যপারে আপনারাও জানেন যে, এর অনুমোদন আমরা পেয়েছি এবং গত ২২ ফেব্রুয়ারি হয়ে গেল এর আনুষ্ঠানিক লোগো উদ্বোধন। আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ আমরা সম্প্রচারে যাব বলে আশা করছি। দ্রুতগতিতে চলছে সম্প্রচার সংক্রান্ত অন্যান্য কাজও।'

নতুন এই টেলিভিশন চ্যানেলে শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচারের পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। শিক্ষামূলক বিভিন্ন ডকুমেন্টারি, যেমন, মিনা কার্টুনসহ সিসিমপুরের আদলে আরও আপগ্রেড শিশুতোষ অনুষ্ঠান, শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ লেকচার এবং থাকবে টম-জেরির আদলে পজিটিভ বিনোদন ও বিটিভিতে প্রচারিত মোস্তফা মনোয়ার স্যারের আদলে অনুষ্ঠান। এভাবে আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যার এবং বিনোদন জগতের ক্রিয়েটিভ, বোদ্ধা যারা আছেন, সকলকে সম্পৃক্ত করে তৈরি হবে ভিন্ন আঙ্গিকের গণমাধ্যম—সিটিভি। যেখানে থাকবে সুস্থ বিনোদন; নাটক, সিনেমা, নৃত্য, সংগীতসহ সব কিছু। একই সাথে সম্প্রচার হবে শিক্ষামূলক সংবাদ, সাফল্য ও উদ্দীপনামূলক ঘটনা প্রবাহ, খেলাধুলা ইত্যাদি।

বিষয়: বিবিধ

৮৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File