কোরআন পাঠে ফেরেশতা আসে
লিখেছেন লিখেছেন হারানো সুর ১০ মে, ২০১৪, ০৬:২৭:৩৫ সন্ধ্যা
উসাইদ ইবনু হুদাইর (রা.) হতে বর্ণিত। এক রাতে তিনি সূরাহ আল-বাক্বারাহ পড়া আরম্ভ করেন। হঠাৎ তার পাশে বাঁধা তার ঘোড়াটি লাফাতে শুরু করে। তিনি পড়া বন্ধ করলে ঘোড়া সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। তিনি পুনরায় পড়তে শুরু করলে ঘোড়া আবারও লাফাতে শুরু করে এবং পড়া বন্ধ করলে ঘোড়া থেমে যায়। তৃতীয়বারও এমনটি ঘটে। ঘোড়াটির পাশে তার শিশুপুত্র ইয়াহইয়া শুয়ে ছিল। তিনি ভয় পেলেন, না জানি ছেলের গায়ে আঘাত লেগে যায়। কাজেই তিনি পড়া বন্ধ করে ছেলেকে উঠিয়ে নিয়ে যান। তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে ঘোড়া চমকে ওঠার কারণ বুঝতে পারলেন। অতঃপর সকালে তিনি রাসূলুল্লাহ-এর কাছে উপস্থিত হয়ে ঘটনাটি জানালেন। নবী করিম (সা.) তাকে বললেন, হে উসাইদ! তুমি পড়তেই থাকতে! উসাইদ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! তৃতীয়বারের পরে ছেলে ইয়াহইয়ার জন্য পড়া বন্ধ করেছিলাম। আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে ছায়ার মতো একটা জ্যোতির্ময় জিনিস দেখতে পাই এবং তা দেখতে দেখতেই উপরের দিকে উঠে শূন্যে মিলিয়ে যায়। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তুমি কি জানো সেটা কি ছিল? তাঁরা ছিল গগন বিহারী অগণিত জ্যোতির্ময় ফেরেশতা। তোমার পড়া শুনে তারা নেমে এসেছিলেন। যদি তুমি পড়া বন্ধ না করতে তাহলে তাঁরা সকাল পর্যন্ত এভাবেই থাকতেন এবং মদিনার সব লোক তা দেখে চক্ষু জুড়াতো। একটি ফেরেশতাও তাদের দৃষ্টির অন্তরাল হতেন না।
আল্লাহ যাদের দেখে হাসবেন
একজন কাফির মনে করে, আমি একজন মুসলমানকে শহীদ করে জান্নাতে পাঠাব। পরে আমি তাওবা করে মুসলমান হব এবং যুদ্ধে অংশ নিয়ে শহীদ হয়ে জান্নাতে যাব। আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : দুই ব্যক্তির কার্যকলাপে আল্লাহ হাসবেন। যাদের একজন অপরজনকে হত্যা করেছে। অথচ তারা উভয়েই জান্নাতে প্রবেশ করবে। (তা এভাবে যে) এই ব্যক্তি আল্লাহর পথে লড়াই করতে গিয়ে নিহত (শহীদ) হয়েছে। অতঃপর হত্যাকারীর তাওবাহ আল্লাহ কবুল করবেন। ফলে সে (ইসলাম গ্রহণ করে) আল্লাহর পথে লড়াই করতে গিয়ে শাহাদত বরণ করবে
বিষয়: বিবিধ
১১৬৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উসাইদ ইবনু হুদাইর (রা.) যদি ক্বুরআন তেলাওয়াত না থামিয়ে করেই যেতেন তাহলে ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত এভাবেই থাকতেন এবং মদিনার সব লোক তা দেখে চক্ষু জুড়াতো -
ফেরেশতাদেরকে কি খালি চোখে দেখা যায় ? বা সাধারণ মানুষদের পক্ষে কি ফেরেশতাদের খালি চোখে দেখা সম্ভব ?
*****************************************************************
(তা এভাবে যে) এই ব্যক্তি আল্লাহর পথে লড়াই করতে গিয়ে নিহত (শহীদ) হয়েছে। অতঃপর হত্যাকারীর তাওবাহ আল্লাহ কবুল করবেন। ফলে সে (ইসলাম গ্রহণ করে) আল্লাহর পথে লড়াই করতে গিয়ে শাহাদত বরণ করবে
০ যারা আল্লাহর পথে লড়াই করে তারা আল্লাহর দল এবং নিশ্চয়ই আল্লাহর দলই সফলকাম । আর যারা তাগুতের পথে লড়াই করে তারা শয়তানের দল এবং নিশ্চয়ই শয়তানের দল ব্যর্থ । ( এ গুলো পবিত্র ক্বুরআনেরই কিছু আয়াত)
কোন মানুষ যদি একজন নিরপরাধ মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করলো সে যেন সকল মানবজাতিকে হত্যা করলো আর যদি রক্ষা করে তাহলে সমগ্র মানবজাতিকেই রক্ষা করলো ।
একজন কাফের যদি ইনটেনশনালি একজন মুসলমানকে হত্যা করে পরে তওবা করে মুসলমান হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে শহীদ হয়ে জান্নাতে যাবার প্ল্যান করে - সেটা কি আল্লাহ জানেন না ? তার যদি জান্নাতে যেতে আগ্রহই থাকে তাহলে মুসলমানকে শহীদ করতে হবে কেন ? সরাসরি মুসলমান হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে শহীদ হবার ব্রত নিলেই তো পারে ।
একজন খুবই প্রভাব শালী লোক যদি হাজারও খারাপ কাজ করে এবং মাথায় রাখে যে শেষ বয়সে এসে তওবা করে মুসলমান হয়ে যাবে - এটা কি আল্লাহ জানেন না ?
যাদেরকে সে খুন করলো বা ক্ষতি করলো তাদের ওয়ারিশরা যারা কি না দুনিয়াতে সেই লোকের বিরুদ্ধে কোন প্রতিকার পেল না , আখেরাতে কি তারা সেই লোকের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে নালিশ করতে পারবে না ? তওবা করার কারনে কি সে মাফ পেয়ে যাবে যেখানে ওয়ারিশরা তাকে ক্ষমা করে নি ? আল্লাহ কি সেই মজলুমদের কথা শুনবেন না ঐ প্রভাবশালী নেতার বিপক্ষে ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন