মুমিনদের পারস্পরিক সম্পর্ক
লিখেছেন লিখেছেন হারানো সুর ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১০:২৫:০১ সকাল
মুসলমানদের পারস্পরিক সম্প্রীতি বজায় রাখা ধর্মীয় কর্তব্য। আল্লাহ এবং রাসূল (সা.) এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনুল কারিমে ও হাদিসে তাগিদ দিয়েছেন। এক মুসলমানের সঙ্গে অপর মুসলমানের ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হওয়া প্রকারান্তরে সামাজিক ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করতে পারে। এ ধরনের ঘটনা অশান্তির কারণ হয়েও দাঁড়াতে পারে। প্রতিটি মুসলমানের উচিত অপর মুসলমানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখাকে গুরুত্ব দেওয়া। কোনো কারণে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হলে তা নিরসনে সহায়তা করা। যদি দুজন মুসলমানের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব-কলহ হয়, তবে তাদের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করিয়ে দেওয়াও সওয়াবের কাজ। কোরআনুল কারিমে ইরশাদ করা হয়েছে- 'নিশ্চয়ই সব মুমিন পরস্পর ভাই ভাই। অতএব তোমরা দু'ভাইয়ের মধ্যে সন্ধি করিয়ে দাও। আর আল্লাহকে ভয় কর। যেন তোমাদের প্রতি রহম করা হয়।' কোরআনুল কারিমের অন্য এক আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে- 'তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং পরস্পরিক সম্পর্ক ইসলাহ বা সংশোধন করে নাও।' কোরআনুল কারিমের এসব বাণী থেকে প্রতীয়মান হয় যে, দুজন মুসলমানের মাঝে সমঝোতা করিয়ে দেওয়া এবং তাদের সেতুবন্ধনের চেষ্টা করা অনেক বড় নেক আমল। এ উদ্দেশ্য সফল করার জন্য তাদের একজনের কাছে অপরজনের এমন কথা পৌঁছাতে হবে, যা শুনলে তাদের পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়। এমনকি এ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এমন কথাও বলা জায়েজ, যা আপাতদৃষ্টিতে অবাস্তব। যেমন- দু'ব্যক্তির পরস্পরের দ্বন্দ্ব ও বিবাদ চলছে। এখন তাদের কোনো একজনকে এ কথা বলা যে, 'তোমার প্রতিপক্ষ লোকটি তোমার কল্যাণের জন্য দোয়া করে' এবং মনে মনে এ নিয়ত করে নেওয়া হয় যে, সে ব্যক্তি তো ব্যাপকভাবে সব মুসলমানের জন্যই দোয়া করে। আর সব মুসলমানের মধ্যে তার প্রতিপক্ষও শামিল।
এ ধরনের কথার ব্যাপারে মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন- 'ওই ব্যক্তি মিথ্যুক নয় যে দু'ব্যক্তির মাঝে সন্ধি ও সমঝোতা করাতে গিয়ে একজনের পক্ষ থেকে অপরজনের কাছে কোনো উত্তম কথা পৌঁছায় বা উত্তম কথা বলে।' (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)।
বিষয়: বিবিধ
১১৯০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন