দ্বি-স্তর ক্রিকেটের প্রস্তাব নিয়ে উত্তাল ক্রিকেটবিশ্ব।
লিখেছেন লিখেছেন হারানো সুর ২৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৫:১৩:২৫ বিকাল
আগামীকাল ও পরশু ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল অর্থাৎ আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে যোগ দিতে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন শনিবারই দুবাই গেছেন। পুরো দেশেরই প্রশ্ন দু'দিনব্যাপী এ সভায় পাপনের ভূমিকা কি হবে। তিনি কি ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের দেওয়া প্রস্তাবের পক্ষে কথা বলবেন নাকি বিরোধিতা করবেন। বিশ্ব ক্রিকেটকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিন দেশতো বিশাল প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের আপত্তি শুধু এক জায়গায়। কেননা প্রস্তাবে চতুর্থ অনুচ্ছেদের তৃতীয় ধারায় উল্লেখ করা আছে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট ক্রিকেটের। এতে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ৯ ও ১০ নম্বর দলকে খেলতে হবে আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে কন্টিনেন্টাল কাপে। কন্টিনেন্টাল কাপে চ্যাম্পিয়ন দল খেলবে র্যাঙ্কিংয়ে ৮ নম্বর টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে সিরিজে চ্যালেঞ্জ কাপ হবে চার টেস্টে। কন্টিনেন্টাল কাপ ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত হবে দু'বার। দ্বি-স্তরবিশিষ্ট ক্রিকেটের প্রস্তাবে ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার কোনো অবনমন হবে না। বাকি সাত দেশের অবনমন হবে দ্বিতীয় স্তরে। এই প্রস্তাব স্বাভাবিকভাবে মানতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। শুধু সমর্থন জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড। যে অবস্থা তাতে প্রস্তাব পাস হলে বাংলাদেশ দীর্ঘ আট বছর টেস্ট খেলতে পারবে না। অথচ মর্যাদা টিকে থাকবে ঠিকই। উল্লেখিত দেশগুলো সরকারিভাবে তাদের অবস্থানের কথা তুলে ধরেছে। কিন্তু পাপন দুবাইতে গেলেও বৈঠকে বাংলাদেশের ভূমিকা কি হবে তা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেউ আবার সন্দেহ করছেন বাংলাদেশ তিন দেশের প্রস্তাবে সাড়া দিয়েই ফেলেছে। আর তা তৈরি করেছে বিসিবি। কেননা বৃহস্পতিবার প্রস্তাব নিয়ে বোর্ডের পরিচালকদের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নাকি প্রস্তাবের পক্ষে না বিপক্ষে থাকবে এ নিয়ে পরিচালকদের মধ্যে ভোটাভুটি হয়। তিনজন ছাড়া বাকিরা পক্ষে ছিলেন এ খবর কিছুক্ষণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বৈঠক শেষে বোর্ড সভাপতি পাপন মিডিয়াকে জানান, দুবাই গিয়ে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে আলাপ করব তারপর বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিব। অর্থাৎ পক্ষে না বিপক্ষে থাকার ব্যাপারটি বৈঠকে আলাপ হয়নি বলে বোর্ড সভাপতি জানান। অথচ শনিবার আবার বোর্ড পরিচালক জালাল ইউনুস জানালেন প্রস্তাবে বাংলাদেশের জন্য যা ক্ষতিকর তার অবশ্যই বিরোধিতা করা হবে। সন্দেহটাতো এখানেই, কারণ পাপনের সঙ্গে জালালের কথায় মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন কি ক্রিকেটকে ঘিরে দেশের উত্তপ্ত পরিবেশ দেখে জালাল দেশবাসীকে সান্ব্তনা দিতে চাচ্ছেন?
বিষয়: বিবিধ
৯৩৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই প্রস্তাবে কারও কোন ক্ষতি হত না । যা হত সব বাংলাদেশের , আর কারও না ।
প্রস্তাবটা নিয়ে যদি গভীরভাবে চিন্তা করা হয় তাহলে দেখা যাবে যে কেবল মাত্র বাংলাদেশকেই ঝামেলায় ফেলতে এই প্রস্তাব আনা হয়েছে ।
বাংলাদেশকে এখন অনেক দেশ জেলাস করছে । এমন কি আমাদের So called অকৃত্রিম (!) পরম(!) বন্ধুও
মন্তব্য করতে লগইন করুন