ভারত এরশাদকে খলনায়ক হিসেবে মাঠে নামিয়েছে
লিখেছেন লিখেছেন মেজবাহ আরজেল ২৭ অক্টোবর, ২০১৩, ১০:২২:১৭ রাত
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের সুদৃঢ় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান শংকর রায় চৌধুরী প্রকাশ্যে বলেছেন, বার বার ভারতের খপ্পর থেকে বেরিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে আর কোনোভাবেই ভারতীয় ‘রাডারের বাইরে যেতে দেয়া হবে না’। অন্যদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অশোক মেহতা সেনাবাহিনীর অর্থায়িত সংস্থা ‘সেন্টার ফর ল্যান্ড ওয়ারফেয়ার স্টাডিজ’-এর অনুষ্ঠানে বলেছেন, যে উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় সহযোগিতা প্রদান করা হয় তা অর্জিত হবে, যদি শেখ হাসিনা আরও এক মেয়াদ ক্ষমতাসীন হতে পারেন। আর শেখ হাসিনা নিজেই কখনও ভিশন-’২১ কখনও বাংলাদেশকে কথিত ডিজিটালাইজড করার সময় উল্লেখ করে পুনঃ পুনঃ ক্ষমতায় আসার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ইচ্ছে ব্যক্ত করেছেন। সুতরাং শেখ হাসিনা ও ভারতের লক্ষ্য একবিন্দুতে এসে মিলিত হয়েছে। এ কারণেই হয়তো ভারতের প্রভাবশালী অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি বলেছেন, শেখ হাসিনাকে কোনোভাবে বিব্রত করা হলে ভারত হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। বিডিআর হেড কোয়ার্টারে বিদ্রোহের সময় প্রণব মুখার্জি আরও একধাপ এগিয়ে বলেছিলেন, শেখ হাসিনাকে উদ্ধারের জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রস্তুত।
ভারতের মূল লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা, যেন ভারতের আগ্রাসীনীতির বিরোধী হিসেবে পরিচিত কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা দল আশপাশে থাকতে না পারে। সর্বোপরি, ক্ষমতায় এবং ক্ষমতার আশপাশের সবাই হবে ভারতমুখী। তাই বাংলাদেশকে ভারতীয় খপ্পরে রাখার অন্যতম প্রজেক্ট হিসেবে ভারত আওয়ামীপন্থি পটুয়া মরহুম কামরুল হাসানের দৃষ্টিতে ‘বিশ্ব বেহায়া’ ও শেখ হাসিনার ভাষায় ‘বিশ্বচোর’ এরশাদকে মাঠে নামানোর উদ্যোগ নিয়েছে বলে এরমধ্যে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। এরই অংশ হিসেবে অতিসমপ্রতি এরশাদ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবার উদ্দেশ্যে হঠাত্ শেখ হাসিনা সরকারের নিন্দুক ও সমালোচক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। একই সঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ প্রশ্নে গরম গরম কথা বলে জনগণের সমর্থন পাবার কসরত করছেন। এরশাদের এ ভূমিকা যে পাতানো খেলা এবং বাংলাদেশে ভারতীয় তাঁবেদারদের ক্ষমতায় রাখার নীলনকশারই অংশবিশেষ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তত্কালীন লে. কর্নেল এরশাদ পাকিস্তান সরকারের তেমন বিশ্বস্ত ব্যক্তি, যাকে পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশে ছুটিতে আসার সুযোগ দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় যেসব সেনাসদস্য ছুটিতে বাংলাদেশে ছিলেন কিংবা মুক্তিযুদ্ধকালীন ছুটিতে এসে আবার তাদের কর্মস্থল পশ্চিম পাকিস্তানে ফেরত যান, এরশাদ তাদের মতোই স্বার্থান্বেষী ও সুবিধাবাদীদের অন্যতম। দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হলো, মুক্তিযুদ্ধে সামান্যতম ভূমিকা না রেখেও ধুরন্ধর এরশাদ পরবর্তীকালে ভারতের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে কেবল বাংলাদেশে স্বৈরতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্রই চাপিয়ে দেননি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের পদটিও দখলে রেখেছিলেন।
তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, পাকিস্তান ফেরত আজকের মহাজোটের অন্যতম শরিক ও সুবিধাভোগী এরশাদ ভারতীয় প্রতিরক্ষা মহাবিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণকালে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সাহচর্যে আসেন। তখন থেকেই এরশাদ ভারতের সহযোগিতায় বাংলাদেশে জেঁকে বসার ফন্দি আঁটতে থাকেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমান তাকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দিলেও ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয় যে, ভারতের ইন্ধনে জিয়া হত্যার নেপথ্য নায়ক এরশাদ তার অপরাধ ঢাকার জন্য জেনারেল মঞ্জুরকেও হত্যা করেছিলেন। (It is widely speculated that Monjur was used as a scapegoat and Ershad himself was behind the liquidation of President Zia.) http://en.wikipedia.org/wiki/Hossain_Mohammad_Ershad#Early_life_and_military_career).
জিয়া হত্যার জন্য যাতে কেউ তাকে সন্দেহ করতে না পারে, সে উদ্দেশ্যে ধুরন্ধর এরশাদ তার সহযোগী মঞ্জুরসহ অন্য হত্যাকারীদের সঙ্গে দূরত্ব দেখিয়ে উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে থাকতে দিয়ে বেসামরিক প্রশাসনের প্রতি সাময়িকভাবে অনুগত থাকেন। মূলত নিজেকে নির্দোষ ও দায়মুক্ত রাখার জন্য সাত্তার প্রশাসনকে দিয়ে জিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অজুহাতে সেনাবাহিনীর বেশ কিছুসংখ্যক অফিসারকে ফাঁসিতে ঝুলালেও এরশাদ নিরাপদ দূরত্বেই থেকে যান। জিয়া হত্যার পুরো ঘটনা নতুন করে তদন্ত করে জিয়া হত্যা ও তত্পরবর্তী বিচারবহির্ভূতভাবে মঞ্জুরসহ সেনাকর্মকর্তাদের হত্যায় এরশাদসহ অন্য যারা সংশ্লিষ্ট ছিল তা’ খতিয়ে দেখলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।
প্রেসিডেন্ট সাত্তারের সময় সেনাপ্রধান এরশাদ অতীতের সব নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বেসামরিক প্রশাসনে বেআইনিভাবে সেনাবাহিনীর হিস্সা দাবি করেছিলেন। তার এ দাবির মূল লক্ষ্য ছিল বেসামরিক প্রশাসন দখল করা। এমন বেআইনি পদক্ষেপের জন্য ভারতীয় চাপের মুখে অরাজনৈতিক প্রেসিডেন্ট সাত্তার এরশাদকে চাকরিচ্যুত কিংবা জিয়াহত্যার দায়ে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সুযোগ পাননি। এরপর কোনরূপ রাখঢাক না করেই এরশাদ তত্কালীন মন্ত্রীর (আবুল কাশেম) বাসায় সন্ত্রাসী আশ্রয় নিয়েছে—এমন অহেতুক অজুহাতকে ব্যবহার করে বন্দুকের নলের মুখে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারকে পদত্যাগে বাধ্য করে বিচারপতি এএফএম আহসানউদ্দিন চৌধুরীকে প্রেসিডেন্ট পদে বসিয়ে ২০ মার্চ ১৯৮২ সালে দেশে সামরিক শাসন জারি করেন। ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর আহসানউদ্দিন চৌধুরীকে হটিয়ে এরশাদ নিজেই রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন। ক্ষমতা গ্রহণের প্রাক্কালে তিনি অন্যদের মধ্যে ভারতের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন।
জিয়া হত্যার বেনিফিশিয়ারি এরশাদ ভারতের প্রেসক্রিপশন মোতাবেক ক্ষমতায় এসে ভারতীয় স্বার্থে বাংলাদেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেন। নয় বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন এরশাদ একবারও দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপমালায় ভারতীয় সামরিক উপস্থিতির বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেননি। পার্বত্য চট্টগ্রামে ভারতের লেলিয়ে দেয়া বিপথগামী উপজাতিদের সন্তুষ্ট করতে পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন প্রবর্তন করেন, যার ওপর ভিত্তি করে ১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনা তথাকথিত শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের সার্বভৌম ক্ষমতাকে দুর্বল করেছেন। এরশাদ ভারতের সঙ্গে গঙ্গা নদীর পানি চুক্তিতে মাত্র ২৫ হাজার কিউসেক পানি প্রাপ্তিতে সম্মতি দিয়ে চুক্তি করেই ক্ষান্ত হননি, চুক্তি থেকে গ্যারান্টিক্লজ তুলে দিতেও রাজি হন। সেই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে স্বাক্ষরিত ৩০বছর মেয়াদি গঙ্গার পানি চুক্তিতেও কোনো গ্যারান্টিক্লজ রাখা হয়নি।
দুর্নীতিবাজ এরশাদের সঙ্গে ভারতের বিরামহীন গভীর ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে তথ্যাভিজ্ঞমহল নিশ্চিত যে, গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা হারালেও এরশাদ ‘র’-এর নেকদৃষ্টি হারাননি।
শেখ হাসিনার সঙ্গে এরশাদের ঘনিষ্ঠতা নতুন কিছু নয়। এরশাদ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর শেখ হাসিনা এরশাদকে অভিনন্দন জানান। এরশাদের অধীনে কোন নির্বাচন নয়, তত্কালীন বিরোধী দলগুলো এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার পর শেখ হাসিনা প্রকাশ্যে বলেছিলেন, এরশাদের অধীনে যারা নির্বাচনে অংশ নেবে তারা জাতীয় বেঈমান। কিন্তু শেখ হাসিনা সবাইকে অবাক করে দিয়ে এরশাদের অধীনে পাতানো নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিজেই নিজেকে কী প্রমাণ করলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দুর্মুখেরা বলে বেড়ায়, ওই নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিনিময়ে এরশাদ শেখ হাসিনাকে নগদে প্রচুর উপহার দিয়েছিলেন। আর তিনি হয়েছিলেন বিরোধীদলীয় নেত্রী।
২০০৫ সালে পল্টন ময়দানে চারদলীয় জোটের সমাবেশে জোটের সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্য গঠনের অঙ্গীকার করার কারণ ব্যাখ্যা করে এরশাদ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার তীব্র সমালোচনা করেন। এরশাদ বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের কারণেই তাকে দীর্ঘদিন কারাগারে বন্দি থাকতে হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা এরশাদকে ‘মহাচোর’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছিলেন, চোরে চোর চেনে। অর্থাত্ খালেদা জিয়ার দল চোর বলেই মহাচোর এরশাদকে জোটে নিচ্ছে।
কিন্তু ভারত এরশাদেরও মূলশক্তি হওয়ায় চারদলীয় জোটে যোগ দেয়ার নিজস্ব প্রকাশ্য ঘোষণাকে অপমানিত করে এরশাদ শর্তসাপেক্ষে শেখ হাসিনার মহাজোটে যোগ দেন। তত্কালীন সংবাদ মাধ্যমে এমন খবর এসেছিল যে, এরশাদকে জোটে ভেড়ানোর জন্য লন্ডনে শেখ হাসিনা তার সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকে বসেন। ওই সময় এরশাদ শেখ হাসিনার কাছে তাকে রাষ্ট্রপতি করার প্রতিশ্রুতি আদায় করেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে একাধিক মন্ত্রী নেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়।
কিন্তু শেখ হাসিনা তার সব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। প্রেসিডেন্ট হতে না পেরে ক্ষুব্ধ এরশাদ খেদে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বহু ধরনের মন্তব্য করেছেন : কথা দিয়ে কথা রাখে না; মনে অনেক জ্বালা আছে; সময়ে তিনি সবকিছু বলবেন; জীবনে একদিনের জন্য হলেও আবার প্রেসিডেন্ট হবেন ইত্যাদি।
শেখ হাসিনা এরশাদকে রাষ্ট্রপতি না করে বিশ্বাসভঙ্গ করায় এরশাদ ক্ষুব্ধ হলেও মহাজোট থেকে বেরিয়ে আসতে সাহস পাননি। আর এরশাদের মনে এমন ভীতিও কাজ করে যে, সত্যিকার অর্থে মহাজোট থেকে বেরিয়ে এলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল ও সামরিক শাসন ঘোষণার জন্য শেখ হাসিনাই তাকে আদালতে নিতে পারেন। অন্যদিকে হয়তো ভারতও চায় না শেখ হাসিনা সমস্যায় পড়ুক। তাই এরশাদ দু’কূল রক্ষার উদ্দেশ্যে পরবর্তী সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হওয়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার সঙ্গে সমঝোতামূলক বিরোধিতার পন্থা অবলম্বন করেছেন।
এর আগে এরশাদ তো বলেই দিয়েছেন, পরবর্তী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে এরশাদ মহাজোটে থাকবেন। আর বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে এরশাদ এককভাবে নির্বাচন করবেন। সুতরাং এখানে দল বা আদর্শ বড় নয়, বড় হলো যে কোনো মূল্যে ভারত-বান্ধবদের ক্ষমতায় রাখা এবং নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করা। এর পেছনে মূলশক্তি হলো ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’। ‘র’-এর প্রেসক্রিপশনের বাইরে ভারতপন্থি কারোরই কিছু করার ক্ষমতা নেই। পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন, সিলেটগামী লংমার্চ করার সামান্য ক’দিন আগে এরশাদ ভারতে গিয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন নিয়ে আসেন। এরশাদের নেতৃত্বে দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী বাংলাদেশীদের ভোটকে বিভাজন করার লক্ষ্যে সর্ববিধ সহযোগিতা প্রাপ্তির ভারতীয় গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার পরই এরশাদ শেখ হাসিনা ও ভারতের বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। ‘র’ এবং তার এদেশীয় দোসররা মনে করে, এরশাদ ভালোভাবে মাঠে নামলে বিএনপি জোটের ভোট বিভাজিত হয়ে ভারতপন্থিদের ক্ষমতায় ফিরে আসা সহজতর হবে। তাই এরশাদের মুখে সরকারের সমালোচনা ও ভারত-বিরোধিতা যে পাতানো খেলা এবং বাংলাদেশে ভারতীয় কর্তৃত্ব ও প্রভাব অব্যাহত রাখার অংশ, তা আর ব্যাখ্যার অপেক্ষা নেই। এই ভূমিকা ও বক্তব্যে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ তথা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে তার ভূমিকার প্রতিকূল প্রভাব সম্পর্কে সবাইকেই সাবধান থাকতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন