শবে বরাত সম্মন্ধ্যে সঠিক উত্তর জানুন
লিখেছেন লিখেছেন ইসলামিক বই ২৯ মে, ২০১৫, ০৯:১৩:৫৯ রাত
শবে বরাত সম্মন্ধ্যে অনেকের মাঝে অনেক অজানা রয়েছে। কেননা অনেকেই আছেন যঈফ হাদীসকে গ্রহন করার কারনে শবে বরাতকে এমন করে ফেলেছে যা অগ্রহনীয়।
আসুন দেখি আলেমে দ্বীনদের শবে বরাত সম্মন্ধ্যে ব্ক্তব্য।
শায়খ কামালুদ্দিন জাফরী
Link-Click Please
মুফতি কাজী ইবরাহীম
Link-Click Please
শায়খ মতিউর রহমান
Link-Click Please
শায়খ ড: মঞ্জুরে ইলাহী
Link-Click Please
মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইদী
Link-Click Please
শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ
Link-Click Please
মাওলানা তারেক মনোয়ার
Link-Click Please
শায়খ ড: সাইফুল্লাহ
শায়খের দেয়া গত কালকের এই অডিওটি শুনুন।
Link-Click Please
এতে হানাফি বিদ্যানদেরও শবে বরাত সম্মন্ধ্যে কি বক্তব্য তা তুলে ধরা হয়েছে।
শায়খ আব্দুর রব আফফান
Link-Click Please
বিভিন্ন শায়খদের উক্তি একসাথে পাবেন
Link-Click Please
অনেকে বলতে পারেন যে যঈফ হাদীস ফজিলতের জন্য আমল করা যায়।
তাদের কথার উত্তর ইমাম মুসলিম (রহ) তার সহিহ আল মুসলিমে দিয়ে গেছেন অনেক আগেই।
মুসলীম শরীফের মোকাদ্দমা অধ্যায়টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, সালাফগণের আক্বীদা ছিলো জঈফ রাবীদের নিকট হতে তারা হাদীস গ্রহণ করতেন না। আমি নিচে তার কয়েকটি উল্লেখ করলামঃ
■ হাদীস একঃ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، - وَهُوَ ابْنُ يُونُسَ - حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، قَالَ لَقِيتُ طَاوُسًا فَقُلْتُ حَدَّثَنِي فُلاَنٌ، كَيْتَ وَكَيْتَ . قَالَ إِنْ كَانَ صَاحِبُكَ مَلِيًّا فَخُذْ عَنْهُ
-সুলায়মান ইবনু মুসা (আঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি তাউস (রহঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং বললাম, অমুক ব্যক্তি আমাকে এরূপ হাদীস শুনিয়েছেন। তিনি বললেন, সে ব্যক্তি যদি নির্ভরযোগ্য হয়, তা হলে তাঁর থেকে হাদীস গ্রহণ করো।
[সহীহ মুলসীম মোকাদ্দমা, অধ্যায়ঃ৫, ..হাদীসের সনদ বর্ণনা করা নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়াত গ্রহণ না করা....]
■ হাদীস দুইঃ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا الأَصْمَعِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَدْرَكْتُ بِالْمَدِينَةِ مِائَةً كُلُّهُمْ مَأْمُونٌ . مَا يُؤْخَذُ عَنْهُمُ الْحَدِيثُ يُقَالُ لَيْسَ مِنْ أَهْلِهِ
-ইবনু আবু যিনাদ (রহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন আমি মদীনার একশ’ জন লোকের সাক্ষাৎ পেয়েছি যারা মিথ্যা থেকে নিরাপদ ছিলেন, তবুও তাদের কাছে থেকে হাদীসগ্রহণ করা হতো না, কেননা তাদের সম্পর্কে বলা হতো যে, তাদের কেউ হাদীস বর্ণনা করা ক্ষেত্রে যোগ্য নন।
[সহীহ মুলসীম মোকাদ্দমা, অধ্যায়ঃ৫, ..হাদীসের সনদ বর্ণনা করা নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়াত গ্রহণ না করা....]
■ হাদীস তিনঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ سَمِعْتُ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ، عَنْ مِسْعَرٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ، يَقُولُ لاَ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ الثِّقَاتُ
-মুহাম্মদ ইবুন আবু উমার আল মাক্কী ও আবু বাক্বর ইবনু খাল্লাদ আল বাহিলী (রহঃ) .. মিস’আর (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি সা’দ ইবনু ইব্রাহীমকে বলতে শুনেছি, নির্ভযোগ্য ব্যক্তি (সিকাহ) ব্যতিত অন্য কারো কাছে থেকে রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর হাদীস গৃহীত হবে না।
[সহীহ মুলসীম মোকাদ্দমা, অধ্যায়ঃ৫, ..হাদীসের সনদ বর্ণনা করা নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়াত গ্রহণ না করা....]
■ হাদীস চারঃ
كَفَى بِالْمَرْءِ كَذِبًا أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ
-কোন ব্যক্তি মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই বলে বেড়ায়।
[সহীহ মুলসীম মোকাদ্দমা, অধ্যায়ঃ৩, যা শুনে তা বর্ণনা করা নিষিদ্ধ]
দেখুন, সাহাবীরা নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি ব্যতিত হাদীস গ্রহণ করতে নিষেধ করছেন, আর আপনি দূর্বল ব্যক্তির হাদীস অবলিলায় গ্রহণ করছেন! আপনার বুঝ কি সাহাবীদের চাইতে ভালো?
বস্তুত জঈফ বা দূর্বল হাদীস হলো রাসূল ﷺ এর সূন্নাহর ব্যাপারে কিছু অনুমান-ধারণার সৃষ্টি করে মাত্র। অথচ কোরআন ও হাদীসে এমন অনুমান নিষেধ, নিচে তার প্রমান দেখুনঃ
মহান আল্লাহ বলেন,
وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلَّا ظَنًّا ۚ إِنَّ الظَّنَّ لَا يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا ۚ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ
-আসলে তাদের বেশীরভাগ লোকই নিছক আন্দাজ -অনুমানের পেছনে চলছে৷ অথচ আন্দাজ -অনুমান দ্বারা সত্যের প্রয়োজন কিছুমাত্র মেটে না৷ তারা যা কিছু করছে তা আল্লাহ ভালভাবেই জানেন৷[সূরা ইউনুস ৩৬]
মহান আল্লাহ আরও বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا أَن تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَىٰ مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ
-হে ঈমান গ্রহণকারীগণ, যদি কোন ফাসেক তোমাদের কাছে কোন খবর নিয়ে আসে তাহলে তা অনুসন্ধান করে দেখ৷ এমন যেন না হয় যে, না জেনে শুনেই তোমরা কোন গোষ্ঠীর ক্ষতি করে বসবে এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে৷[সূরা হুজুরাত ৬]
এ সম্পর্কিত এক হাদীস হলোঃ -আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূল ﷺ বলেছেন,
إِيَّاكُمْ وَالظَّنَّ فَإِنَّ الظَّنَّ أَكْذَبُ الْحَدِيث
-তোমরা ধারণা-অনুমান থেকে বেঁচে থাক কারণ ধারণা-অনুমান সর্বাপেক্ষা মিথ্যা কথা। [বোখারী হা/৬০৬৬,৬৭২৪; মুসলিম হা/৬৪৩০]
আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার তাওফিক দিন আমীন।
বিষয়: বিবিধ
২১৯৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন