Ajhar bangla

লিখেছেন লিখেছেন হোসাইন ব্লগ ০৬ নভেম্বর, ২০১৩, ০১:০৪:৫৪ দুপুর

যৌবনের গান

কাজী নজরুল ইসলাম

১৯৩২

খ্রিস্টাব্দে সিরাজগঞ্জে মুসলিম

যুব সমাজের অভিনন্দনের

উত্তরে তাদের

উদ্দেশ্যে কাজী নজরুল ইসলাম

যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তারই

পরিমার্জিত লিখিত রূপ।

(ভাষণের এ ধরনের লিখিত রূপকে/ এ

ধরনের রচনাকে বলা হয় অভিভাষণ।)

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও উদ্ধৃতি

উল্লেখ আছে- বক্তিয়ার খিলজি,

লক্ষণ সেন, কালাপাহাড়, কামাল

পাশা, করিম, মুসোলিনি, সানইয়াৎ

সেন, লেনিন

পদ্মা-ভাগীরথীর মত

খরস্রোতা যাঁহাদের বাণী,

আমি তাঁহাদের বহু পশ্চাতে।

তারুণ্যের ভরা ভাদরে যদি আমার

গান জোয়ার আনিয়া থাকে,

তাহা আমার অগোচরে।

যে চাঁদ সাগরে জোয়ার আনে সে হয়ত

তাহার শক্তি সম্পর্কে আজও

না ওয়াকিফ।

বার্ধক্যকে সবসময় বয়সের

ফ্রেমে বেঁধে রাখা যায় না।

বহু ‍যুবককে দেখিয়াছি যাহাদের

যৌবনের উর্দির নিচে বার্ধক্যের

কঙ্কাল মূর্তি।

আবার বহু বৃদ্ধকে দেখিয়াছি-

যাঁহাদের বার্ধক্যের জীর্ণাবরণের

তলে মেঘলুপ্ত সূর্যর মতো প্রদীপ্ত

যৌবন।

যাহা পুরাতনকে, মিথ্যাকে,

মৃত্যুকে আঁকড়াইয়া পড়িয়া থাকে

তাহাই বার্ধক্য।

বনের পাখির মত স্বভাব আমার গান

করার।

তাহার হাসিতে গান, তাহার

কান্নায় গান।

শব্দার্থ ও টীকা

রুধির ধারা- রক্ত প্রবাহ

বায়স- কাক

চঞ্চু- ঠোঁট

দৈব- আকস্মিক

পরিক্রমণ- পরিভ্রমণ, প্রদক্ষিণ

না ওয়াকিফ- অজ্ঞাত

কমবক্তা- মিতভাষী

বক্তিয়ার খিলজি- আফগান

সেনানায়ক, ইনি মাত্র ১৭ জন

সৈন্য নিয়ে অতর্কিত

নদীয়া আক্রমণ করলে লক্ষণ সেন

ভয়ে পলায়ন করেন।

লক্ষণ সেন- বাংলার শেষ সেন রাজা।

বক্তিয়ার

খিলজি অতর্কিতে সেন

রাজধানী নদীয়া আক্রমণ

করলে তিনি পেছনের

দরজা দিয়ে প্রাসাদ

ছেড়ে পালিয়ে যান।

অভিভূত- ভাবাবেগে বিহ্বল,

ভাবাবিষ্ট

জবাকুসুমসঙ্কাশ- জবাফুলের মতো

তিমিরবিদারী- অন্ধকার

বিদীর্ণ করে যা

তিমিরকুন্তলা- অন্ধকার যার চুল,

রাত্রি

নাভিশ্বাস- মৃত্যুকালীন শ্বাসকষ্ট

অগ্নিমান্দ্য- অজীর্ণতা,

ক্ষুধামান্দ্য

জীর্ণাবরণ- জরাজীর্ণ আচ্ছাদন

মার্তণ্ডপ্রায়- সূর্যর মতো

কালাপাহাড়- ব্রাহ্মণ থেকে মুসলমান

ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া বিখ্যাত

যোদ্ধা। সুলেমান ও দায়ূদ কররানির

সেনাপতি। অন্য নাম রাজু।

কামাল পাশা- আধুনিক তুরস্কের

জনক।

মুসোলিনি- বেনিতো মুসোলিনি।

ইতালির একনায়ক,

ফ্যাসিবাদী দলের নেতা। একনায়ক

হলেও তিনি ছিলেন

উগ্রভাবে দেশপ্রেমিক। হিটলারের

মতোই তিনিও চেয়েছিলেন

ইতালিকে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ

জাতিতে পরিণত করতে।

সানইয়াত- সানইয়াত সেন। চিনের

জনক ও জনপ্রিয়

বিপ্লবী রাজনীতিবিদ।

লেনিন- ভ্লাদিমির ইলিচ

উলিয়ানোফ। পরে বিপ্লবের সময়

তিনি লেনিন ছদ্মনাম গ্রহণ করেন।

তাঁর নেতৃত্বে ১৯১৭ সালে রুশ

বিপ্লব সফল হয়, রুশ সম্রাট ‘জার’-

এর রাজতন্ত্রের পতন ঘটে।

পৃথিবীর প্রথম সমাজতান্ত্রিক

দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়

রাশিয়া। তিনিই প্রথম সফল

মার্কসবাদী বিপ্লবী।

মুরিদ- শিষ্য

নেয়ামত- অনুগ্রহ

লেখক পরিচিতি

জন্ম : ১৮৯৯ সালের ২৫ মে, ১৩০৬

সনের ১১ জ্যৈষ্ঠ, পশ্মিবঙ্গের

বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার

চুরুলিয়া গ্রামে

মৃত্যু : ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট

ঢাকায়

ছোটবেলায় লেটো গানের দলে যোগ

দিয়েছিলেন।

পরে বর্ধমান ও ময়মনসিংহের

ত্রিশাল থানার দরিরামপুর

হাইস্কুলে লেখাপড়া করেন।

১৯১৭

সালে সেনাবাহিনীতে বাঙালি

পল্টনে যোগ দিয়ে করাচী যান।

লেখায় সামাজিক অবিচার ও

পরাধীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার

ছিলেন বলে তাকে ‘বিদ্রোহী কবি’

বলা হয়।

মাত্র ৪৩ বছর বয়সে দুরারোগ্য

ব্যধিতে আক্রান্ত

হয়ে বাকশক্তি হারান।

স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় কবি।

গ্রন্থ-

কাব্যগ্রন্থ- অগ্নিবীণা, বিষের

বাঁশি, ছায়ানট, প্রলয়-শিখা,

চক্রবাক, সিন্ধু-হিন্দোল

গল্পগ্রন্থ- ব্যথার দান, রিক্তের

বেদন, শিউলিমালা

উপন্যাস- মৃত্যু-ক্ষুধা

প্রবন্ধগ্রন্থ- যুগ-বাণী, দুর্দিনের

যাত্রী, রুদ্র-মঙ্গল, রাজবন্দীর

জবানবন্দী

ভাষা অনুশীলন/ব্যাকরণ অংশ

লিঙ্ক- বিরাম বা যতি বা ছেদ

চিহ্ন (সেমিকোলন ও ড্যাশ), সমাস,

বানান, সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক

শব্দ তাহারেই পড়ে মনে

সুফিয়া কামাল

প্রথম প্রকাশ- ১৯৩৫ সালে মাসিক

মোহাম্মদী পত্রিকার নবম বর্ষ ষষ্ঠ

সংখ্যায় (১৩৪২ বঙ্গাব্দে)

ছন্দ- অক্ষরবৃত্ত; ৮ ও ১০ মাত্রার

পর্ব

সংলাপনির্ভর গঠনরীতি; সংলাপ

কবি ও কবিভক্তের মধ্যে। তার

মধ্যে কবিভক্তকেই মূল

বক্তা বলে প্রতীয়মান হয়।

অনেকের মতে, এ কবিতায় কবির

ব্যক্তিজীবনের দুঃখময় ঘটনার

ছায়াপাত ঘটেছে। কবির

স্বামী সৈয়দ নেহাল হোসেনের

আকস্মিক মৃত্যুতে কবির

জীবনে যে শূণ্যতা নেমে আসে, তারই

প্রকাশ ঘটেছে এই কবিতায়।

সুফিয়া কামালের স্বামী সৈয়দ

নেহাল হোসেন মারা যান- ১৯৩২ সালে

উল্লেখ আছে- বাতাবি নেবু, আমের

মুকুল, মাধবী কুঁড়ি

মাঘের সন্ন্যাসী- শীতকাল

বসন্ত বন্দনায় বিমুখতার কারণ-

শীতকালের/মাঘের

সন্ন্যাসী রিক্ত বিদায়

(এটা উত্তরে না থাকলে ‘প্রিয়জন

হারানোর বেদনা’ উত্তর

দেয়া যেতে পারে। কিন্তু ‘শীতকাল’

বা ‘মাঘের সন্ন্যাসী’র উল্লেখ

থাকলে সেটাই উত্তর হবে।)

“কুহেলি উত্তরী তলে মাঘের

সন্ন্যাসী-

গিয়াছে চলিয়া ধীরে পুষ্পশূণ্য

দিগন্তের পথে

রিক্ত হস্তে। তাহারেই পড়ে মনে,

ভুলিতে পারি না কোন মতে।”

শব্দার্থ ও টীকা

বরিয়া- বরণ করে

লবে- নেবে

সমীর- বাতাস

উন্মনা- অন্যমনস্ক, অনুৎসুক

অলখ- অলক্ষ, দৃষ্টির অগোচর

পাথার- সমুদ্র

রচিয়া- রচনা করে

লহ- নাও

বন্দনা- স্তুতি

পুষ্পারতি- ফুলের

বন্দনা বা নিবেদন

মাধবী- বাসন্তীলতা বা তার ফুল

অর্ঘ্যবিরচণ- অঞ্জলি বা উপহার

রচনা।

কুহেলি- কুয়াশা

উত্তরী- চাদর, উত্তরীয়

লেখক পরিচিতি

জন্ম : ১৯১১, বরিশালে

মৃত্যু : ১৯৯৯, ঢাকায়

পৈতৃক নিবাস কুমিল্লা

বিশিষ্ট মহিলা কবি ও

নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ

পাননি; স্বশিক্ষায় শিক্ষিত

গ্রন্থ-

কাব্যগ্রন্থ- সাঁঝের মায়া,

মায়া কাজল, কেয়ার কাঁটা, উদাত্ত

পৃথিবী

(সাঁঝের মায়া কাব্যের

ভূমিকা লিখে দেন কাজী নজরুল

ইসলাম)

ভাষা অনুশীলন/ব্যাকরণ অংশ

লিঙ্ক- ব্যুৎপত্তি, বানান, না-

বাচক ক্রিয়া বিশেষণ একটি ফটোগ্রাফ

শামসুর রাহমান

কাব্যগ্রন্থ- এক ফোঁটা কেমন অনল

ছন্দ- মুক্তক অক্ষরবৃত্ত; চরণ- ৮, ১০

ও ৬ মাত্রার; পর্ব

বিন্যাসে বৈচিত্র; সর্বত্র

অন্ত্যমিল নেই।

‘এ আমার ছোট ছেলে, যে নেই এখন,

পাথরের টুকরোর মতন

ডুবে গেছে আমাদের গ্রামের পুকুরে

বছর-তিনেক আগে কাক-

ডাকা গ্রীষ্মের দুপুরে।’

কী সহজে হয়ে গেল বলা,

কাঁপলো না গলা

এতটুকু, (ছেলের মৃত্যুর খবর)

নিজের কণ্ঠস্বর শুনে

নিজেই চমকে উঠি, কী নিস্পৃহ,

কেমন শীতল।

অথচ এরই মধ্যে বাজখাঁই

কেউ যেন আমার শোকের

নদীটিকে কত দ্রুত রুক্ষ চর

করে দিলো।

ফ্রেমের ভেতর থেকে আমার সন্তান

চেয়ে থাকে নিষ্পলক, তার চোখে নেই

রাগ কিংবা অভিমান।

প্রথম চরণ- ‘এই যে আসুন, তারপর

কী খবর?

শেষ চরণ- চেয়ে থাকে নিষ্পলক, তার

চোখে নেই রাগ কিংবা অভিমান।

শব্দার্থ ও টীকা

সফেদ- সাদা

ফটোগ্রাফ- আলোকচিত্র

জিজ্ঞাসু- জানতে চায় এমন,

কৌতূহলী

নিস্পৃহ- অনাসক্তি

ঊর্ণাজাল- মাকড়সার সুতোয়

তৈরি জাল, মাকড়সার জাল।

এখানে পুঞ্জীভূত স্মৃতি অর্থে

বাজখাঁই- উচ্চ ও কর্কশ। গায়ক বাজ

খাঁর (বাজ বাহাদুর) কণ্ঠের অনুরূপ।

এখানে রুক্ষ কঠিন অর্থে

ক্ষীয়মাণ- ক্ষয়িষ্ণু, হ্রাস

পাচ্ছে এমন

নিষ্পলক- পলকহীন

লেখক পরিচিতি

জন্ম : ১৯২৯, ঢাকা

মৃত্যু :

পৈতৃক নিবাস নরসিংদীর

পাড়াতলী গ্রামে

নাগরিক কবি

নাগরিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণ-

আন্দোলন তাঁর কবিতায় রূপায়িত

হয়েছে

‘পঞ্চপাণ্ডব’ পরবর্তী অন্যতম

শ্রেষ্ঠ কবি

পেশায় সাংবাদিক; মর্নিং নিউজ,

দৈনিক বাংলা(প্রায় ১ দশক

সম্পাদক ছিলেন), ইত্যাদি

গ্রন্থ-

কাব্যগ্রন্থ- এক ফোঁটা কেমন অনল,

প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে,

রৌদ্র করোটিতে, বিধ্বস্ত

নীলিমা, নিজ বাসভূমে,

বন্দী শিবির থেকে, দুঃসময়েরlm

মুখোমুখি, ফিরিয়ে নাও ঘাতক

কাঁটা, বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে, উদ্ভট

উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ, বুক তার

বাংলাদেশের হৃদয়, শামসুর রাহমানের

শ্রেষ্ঠ কবিতা

ভাষা অনুশীলন/ব্যাকরণ অংশ

লিঙ্ক- বিশেষণবাচক কী, বিশেষণ

পদ, বিশেষণ সম্বন্ধ

বিষয়: বিবিধ

১৬৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File