উত্তম বিচার!

লিখেছেন লিখেছেন মোঃফজলুল হক ২৮ জুন, ২০১৪, ০৮:১১:৫৬ সকাল

সুলতান মাহমুদ

বাতি নিভিয়ে অপরাধীর

শিরচ্ছেদ করলেন

সুলতান মাহমুদ ছিলেন

পরাক্রমশালী শাসক

এবং অতুলনীয় বিত্তবৈভবের

মালিক। কিন্তু শক্তি ও বিত্ত

তাঁকে স্বেচ্ছাচারী করে তোলেনি।

ন্যায়বিচারকে তিনি ব্যক্তিগত

ইছছা- অনিচ্ছার উর্ধে স্থান

দিতেন।

একবার এক ব্যক্তি সুলতান

মাহমুদের

কাছে এসে নালিশ করল,

তার সুন্দরী স্ত্রীর

প্রতি আসক্ত হয়ে সুলতানের

ভ্রাতুস্পুত্র প্রায়ই তার

গৃহে হানা দেয়

এবং তাকে প্রহার করে বের

করে দিয়ে তার স্ত্রীর উপর

অবৈধ কামনা চরিতার্থ

করে। অভিযোগ

শুনে ক্রোধে সুলতানের

চোখ থেকে অশ্রুপাত

হতে লাগল। তিনি বললেন,

‘আবার যখন

সে যাবে আমাকে খবর দিও।

তিনদিন পর

একরাতে লোকটি ছুটে এসে খবর

দিল সুলতানকে। সুলতান

একাই তার সাথে ছুটলেন।

গিয়ে দেখলেন,

ঘরে একটা মোমবাতি জ্বলছে আর

তার ভ্রাতুস্পুত্র লোকটির

স্ত্রীর পাশে ঘুমিয়ে।

সুলতান

মোমবাতি নিভিয়ে দিয়ে তলোয়ারের

এককোপে তাঁর ভ্রাতুস্পুত্রের

শিরচ্ছেদ করলেন। তারপর

সুলতান আলো আনিয়ে দ্রুত

এক গ্লাস পানি ঢক ঢক

করে পান করে ফেললেন।

লোকটি বিস্ময়ে সুলতানের

কাছে জানতে চাইলেন

কেন

তিনি বাতি নিভিয়ে ছিলেন

এবং কেনইবা পানি পানের

জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন।

সুলতান বললেন, ‘ঐ

যুবককে আমি খুব স্নেহ করতাম।

ভয় হয়েছিল তার মুখ

দেখলে আমি তার

প্রতি স্নেহ প্রবন হয়ে পড়ব।

তাই

বাতি নিভিয়ে ছিলাম।

আর পানি পান করলাম কারণ,

তোমার অভিযোগ

পেয়ে শপথ করেছিলাম,

অপরাধীকে শাস্তি না দিয়ে আমি আহার

করবনা। আমি তিনদিন

ধরে আহার করিনি।’

বিষয়: বিবিধ

৮৮৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

370059
২৫ মে ২০১৬ দুপুর ০১:০৬
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : চমৎকার। কিন্তু ঘটনা কি আসলেই সত্য?
384331
২৯ অক্টোবর ২০১৭ বিকাল ০৪:৩২
মোঃফজলুল হক লিখেছেন : হ্যা।
384332
২৯ অক্টোবর ২০১৭ বিকাল ০৪:৩২
মোঃফজলুল হক লিখেছেন : হ্যা।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File