Cross of Iron, The Long and the Short and the Tall, The hasty heart এবং Ice cold in Alex; ৪টি ব্যাতিক্রম ধর্মী WW2 মূভি!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ ২৭ অক্টোবর, ২০১৭, ০৭:৪৯:৫৬ সকাল
Cross of Iron (1977)
১৯৪৩ সালে জার্মান নাৎসী বাহিনী পূর্ব ফ্রন্টে সোভিয়েত তথা রুশ রেড আর্মির সাথে ভয়াবহ যুদ্ধে লিপ্ত! এই মূভিতে দেখানো হয় নায়ক James Coburn যে সার্জেন্ট Rolf Steiner এর ভূমিকায়। এই Rolf Steinerর একটি সাফল্যজনক মিশনের জন্য তাকে প্রমোশন দেয়। এরপরে তার স্কোয়াডে ক্যাপ্টেন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় David Warner যে Hauptmann Kiesel চরিত্রে। ক্যাপ্টেন Hauptmann Kieselকে দেখানো হয় যে সে একজন জার্মান প্রুশিয়ান রাজ্যের উচ্চ পরিবারের উদ্ধত্য ধরণের ব্যাক্তি। তারপর রুশদের সাথে একটি ভয়াবহ সংঘর্ষে জার্মান লেঃ Lieutenant Meyer নিহত হয়। ঘটনায় তার বীরত্বের জন্য রুশ আক্রমণ ব্যার্থ হয়। এখন জার্মান নাৎসী বাহিনীর নিয়ম হইল এই বীরত্বের জন্য Lieutenant Meyer এর মরোণত্তর Iron Cross উপাধি প্রাপ্য। আবার জীবিত কোন সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও এই পুরস্কার পেত। কিন্তু Lieutenant Meyerকে বঞ্চিত করে সেই উচ্চ বংশীয় ক্যাপ্টেন হাউপ্টমান এই পুরস্কার পাওয়ার চেষ্টা করে। এর জন্য সে সার্জেন্ট রলফ ও লেঃ ট্রিয়েবিগকে স্বাক্ষ্য হিসেবে দাড় করাতে চেষ্টা করে। এই নিয়ে ছবিটার কাহিনী। এখানে একটা কথায় মজা পাইছি সেটা হল সার্জেন্ট রলফ তারই এই সহযোদ্ধা র সাথে আলাপ করে "এই যুদ্ধের পর আমরা জার্মানরা কি করব, উত্তর হয় আমরা পরবর্তী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিব"। ছবিতে জার্মানদেরকে যুদ্ধ পাগল জাতি হিসেবে দেখানো হয়। এটা ছবিটা ১৮র উপর বয়সীদের জন্য উপযোগী যেহেতু এই যুদ্ধে নারী ধর্ষণের বিষয় আছে। পরিচালক Sam Peckinpah এর নির্দেশিত এই মূভিটা IMDBতে এ পর্যন্ত 7.5 রেটিং পাইছে;
http://www.imdb.com/title/tt0074695/
The Long and the Short and the Tall (1961)
এখানে দেখানো হয় নায়ক Richard Todd যে সার্জেন্ট Mitchem তার নেতৃতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান অধিকৃত মালয়শিয়ায় বৃটিশ সেনার একটি দলকে এক বিশেষ মিশনে পাঠানো হয়। মানে বিহাইন্ড দি এনিমি লাইনে। এই ঘটনায় তারা একজন জাপানী সেনাকে আটক করে যে নাকি তাদের অবস্থানের কাছাকাছি ছিল। এখন তার ঐর উপর যে উত্যক্ত ও নাজেহাল করা হয় সেটার উপরই এই মূভির ভিত্তি। ঐ আটকৃত জাপানী সেনাটা কোন ক্ষতি বা পালানোর চেষ্টা না করলেও তাকে ভুল বুঝে হত্যা করে সার্জেন্ট Mitchemর দলের সদস্য। এরপর সার্জেন্ট Mitchemর দল জাপানীদের সাথে এক সংঘর্ষে কয়েকজন নিহত ও আটক হয়। তখন তারাও বুঝে যে শত্রূপক্ষের নিকট আটক হলে কি রকম নাজেহাল হতে হয়। এটা আসলে একটা সমালোচনা মূলক মূভি। পরিচালক Leslie Norman এর নির্দেশিত এই মূভিটা IMDBতে এখন পর্যন্ত 6.9 রেটিং পাইছে;
http://www.imdb.com/title/tt0054037/
The Hasty Heart (1949)
এখানে Richard Todd যে Lachie চরিত্রে থাকে সে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বার্মায় এক সংঘর্ষে আহত হয়। সে সেই যাত্রা বেচে গেলেও দেখা যায় তার একটি কিডনী নষ্ট এবং অপরটাও ত্রূটিপূর্ণ যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু বৃটিশ সেনাবহিনী তাকে সেটা না জানিয়ে একটি ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয় যেখানে নায়ক Ronald Reagan যে Yank (ইংয়াকি মার্কিনিদেরকে ডাকা হয়) সহ অন্যান্য যুদ্ধাহতদের সাথে থাকতে। Lachieকে বলা হয় কয়েকদিন থাকতে হবে পরে তাকে তার দেশ স্কটল্যান্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। একই সাথে Yank ও তার অন্য কেবিন মেটদের বলে যে ল্যাচি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মারা যাবে কাজেই তার সাথে বন্ধুত্ব করে তাকে সব সময় হাসিখুশী রাখবে। কিন্তু ল্যাচি সেই ধরণের বন্ধুত্বপূর্ণ ছিলই না বরং অনেক আত্ন কেন্দ্রিক, বদবেমজাী ও খানিকটা অসমাজিক ছিল। এই ঘটনা নিয়েই মূভিটা তৈরি। ছবিতে দেখানো হয় রিগান ও রিচার্ড দুই জনেই নার্স Patricia Neal যে সিষ্টার Parker এর চরিত্রে অভিনয় করে তার প্রেমে পড়ে। অবশ্য ল্যাচির আচরণের বিরক্ত হয়ে পার্কার তার প্রেমেও পড়ে যায়। পরিচালক Vincent Sherman এর নির্দেশিত এই মূভিটা IMDBতে এখন পর্যন্ত 7.4 রেটিং পাওয়া;
http://www.imdb.com/title/tt0041445/
Ice Cold in Alex (1958)
এটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এডভেঞ্চার ও মরুভূমির পরিবেশে বাচার লড়াইয়ের মূভি। ঘটনা হইল লিবিয়ার উত্তরে Tobruk সমুদ্র বন্দরের দিকে জার্মান নাৎসী বাহিনী অগ্রসর হচ্ছে এবং তাদের দ্বারা বৃটিশ সেনাদের অবরুদ্ধ হওয়া অবধারিত। তাই তাদের সেখানে থাকা সব মিলিটারী এম্বুলেন্স সহ ডাক্তার নার্স ও কিছু সামরিক সদস্যকে মরুভূমির দূর্গম পথ পাড়ি দিয়ে মিশরের Alexandriaতে চলে যেতে নির্দেশ দেয় বৃটিশ সেনাবাহিনী। নায়ক John Mills যে ক্যাপ্টেন Anson চরিত্রে তাকে নেতৃত্ব করে একটি এম্বুলেন্স দেওয়া হয় যেখানে Harry Andrews (M.S.M. Pugh) নার্স Sylvia Syms(Sister Diana Murdoch) সহ কয়েকজনকে সে নেতৃত্ব দিবে মিশরের আলেকজেন্দ্রিয়াতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তাদের রাওনা দেওয়ার কিছু পড়েই পথে রহস্যজনক ভাবে নায়ক Anthony Quayle যে বৃটিশ সেনার ক্যাপ্টেন Captain Van Der Poel চরিত্রে অভিনয় করে তার উদয় হয়। তাকেও বৈরী পরিবেশের কথা বিবেচনা করে নিয়ে নেয় ক্যাপ্টেন এনসন। ক্যাপ্টেন পুয়েল জানায় যে সে ওলন্দাজ বংশোদ্ভূত দক্ষিণ আফ্রিকান। শুরু থেকেই তার উপর ক্যাপ্টেন এনসন, পিউহ সহ সহ এই হঠাৎ করে উদয় হওয়া পুয়েলের উপর সন্দেহ ছিল যে এ হয়ত জার্মান সেনাদের গুপ্তচর। পথিমধ্যে কয়েকবার জার্মান সেনারা তাদের আটক করে ছেড়েও দেয়। পরে তারা প্রমাণও পায় যে সে জার্মান গুপ্তচর। কিন্তু একেতো মরুভূমির বৈরি পরিবেশ তারপর জার্মান সেনাদের ক্রমাগত দেখা পাওয়ার জন্য আরো দূর ঘুরে আলেকজেন্দ্রিয়াতে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে তাকে সাথে রাখেন ক্যাপ্টেন এনসন। বেশ কয়েকবার এম্বুলেন্সকে বিকল ও বিরুপ অবস্থাতে থেকে রক্ষা করে এই ক্যাপ্টেন পুয়েল। এই সহয়াতার কারণে একটি ঘটনায় পুয়েলকে মরুভূমির চোরাবালিতে ডুবতে দেখেও তাকে রক্ষা করে ক্যাপ্টেন এনসন। বলতেই হয় পরিচালক J. Lee Thompson এর নির্দেশিত এই মূভিটা IMDBতে 7.9 রেটিং পাওয়া;
http://www.imdb.com/title/tt0053935/
উল্লেখিত মূভি গুলিতে তেমন একশন নাই কিন্তু ভাল ড্রামা আছে। আশা করি অনেকেরই এগুলো ভাল লাগবে!
বিষয়: বিবিধ
৯২০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন