সুইডেনের WTE পদ্ধতি অনুসরণ করলে আবর্জনা ও নোংরা থাকবে না বরং বিদ্যুৎও পাওয়া যাবে!

লিখেছেন লিখেছেন বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ ৩০ জুলাই, ২০১৭, ০৬:২৪:০৩ সকাল



SWEDEN’S STRANGE PROBLEM: NOT ENOUGH TRASH



সুইডেন ইউরোপে বিশেষ করে স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশ ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ডের মতই এর শহড়, রাস্তা, ঘাট, আবাসিক এলাকা খুবই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন যা নতুন কোন বিষয় না। একবার ভাবুন হঠাৎ করে যদি সুইডেনে আবর্জনার সংকট দেখা দেয় তাইলে ভাবতে কেমন লাগবে? অবশ্যই খানিকটা হলেও অবাক হওয়ারই কথা। এই সুইডেন তার দেশের বিভিন্ন আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্পের আবর্জনার প্রায় বেশীর ভাগই এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যাবহৃত হয়। ১% দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাটিতে ভরে। এটাকে তারা বলে “waste-to-energy” আবর্জনা হতে শক্তি সংক্ষেপে "WTE";

http://earth911.com/business-policy/sweden-trash-problem

এই আবর্জনা সমূহকে পুড়িয়ে পানি হতে বাস্প উৎপন্ন করা হয়। সুইডেনে এই ধরণের প্রায় ৩২টা প্লান্ট আছে।

সেই সাথে দেশের Recycle পদ্ধতি কি কাগজ কি পুরোনো ও ভাঙ্গা কম্পিউটার সবই পরিবেশের উপর হতে বোঝা হতে রক্ষা করে বিভিন্ন উপযোগী জিনেসে রুপান্তর করে। সুইডেনে এই অপচনশীল বর্জ্য সেই সাথে ই-বর্জ্যর বিষয়ে আইন-কানুন ও নিয়ম আছে। সেটাকেই অনুসরণ করে অহেতুক পরিবেশের ক্ষতির আশংকা কমে গেছে।

এই আবর্জনা সমূহ সরাসরি চুল্লিতে ফেলা হয় না। আগে যাচাই বাছাই কোনটা রিসাইকেলেবল, কোনটা ই-বর্জ্য ইত্যাদি সরিয়ে তারপর বাকী গুলোকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নেওয়া হয়।

এখন বর্তমানে সুইডেনে আর কোন আবর্জনা সমস্যাতো নাই বরং তাদের এই সমস্ত প্লান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আরো আবর্জনা প্রয়োজন। এখন সুইডেনে আবর্জনার কৃত্রিম সংকট! তাই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ নরওয়ে, বৃটেন হতে জাহাজে করে আবর্জনা আমদানী করছে সুইডেন। ২০১৪ সালে তারা বিভিন্ন দেশ থেকে ২৭ লক্ষ টন আবর্জনা আমদানী করছে;

https://sweden.se/nature/the-swedish-recycling-revolution

তাই বলছিলাম বাংলাদেশে নিদানপক্ষে যদি ঢাকা শহড়ের আবর্জনার জন্য যথাযথ কয়েকটি প্লান্ট গড়ে এভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাবহৃত হয় তাইলে ঢাকা শহড়রের জাঞ্জাল সাফ হওয়া সহ ড্রেনেজ সিষ্টেম গুলি ব্লক হওয়া থেকে বহুলাংশে রক্ষা পাবে। ঢাকায় প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ হতে দেড় কোটি লোক। বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন বহু আবর্জনা ফেলা হয়। এখন যেহেতু কোন শক্ত বাণিজ্যিক উপলক্ষ নাই তাই ঢিম তালে ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াই এগুলো বিভিন্ন জায়গায় জমে নোংরা অবস্থা করে। কখনও কখনও কয়েকদিন লেগে যায় এই আবর্জনা সমূহ সাফ করতে। কিন্তু একবার এই গুলিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নেওয়া যায় তাইলে তখন সরকার কিংবা প্রাইভেট কোম্পানী গুলো দ্রুত এগুলি পরিস্কার করবে। এর মাধ্যমে ডিজেল, কয়লা বা গ্যাসের বদলে যদি দৈনিক ১০০ হতে ৩০০ মেগাওয়াট(আনুমানিক) ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবারাহ করা যায় তাইলে লোডশেডিং সমস্যাও লাঘব হবে। এখন দেখার বিষয় হইল যে সময়মত সরকার বা অন্য কেউ যথাযথ উদ্যোগ নেয় কিনা!

বিষয়: বিবিধ

৮৮৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383679
৩০ জুলাই ২০১৭ বিকাল ০৪:১২
হতভাগা লিখেছেন : সুইডেনে আবরয্জনার সংকট দেখা দিলে বাংলাদেশ সেটা সাপ্লাই দেবে ।

আবর্জনা রফতানী করে প্রচুর সুইডিশ ক্রোনা লাভ করা যাবে । এজন্য সুইডেন বাংলাদেশে তাদের বিশেষ একটা দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প চালু করতে পারে। ঢাকার মেয়রদ্বয় এটাকে ভাল একটা সুযোগ হিসেবে নিতে পারেন নিজেদের ইমেজ বাড়াতে।
৩১ জুলাই ২০১৭ রাত ০৪:১৪
316653
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : ;Winking
383691
৩১ জুলাই ২০১৭ সন্ধ্যা ০৭:৪৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই ধরনের প্ল্যান্ট এর অনেক প্ল্যান নেওয়ার কথা শুনেছিলাম। কিন্তু কিছু দেখছি। ওয়েষ্ট টু এনার্জি কনভার্টার সাধারনত বেশি কার্বন এমিশন করে। তবে আবর্জনা সমস্যা এবং ব্যায় হ্রাস করে উৎপাদনের।
০১ আগস্ট ২০১৭ রাত ১০:১০
316656
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : ঠিক বলছেন সবুজ ভাই।

ধন্যবাদ।
383693
৩১ জুলাই ২০১৭ রাত ০৮:৩১
মনসুর আহামেদ লিখেছেন :
ভালো লাগলো , অনেক ধন্যবাদ
০১ আগস্ট ২০১৭ রাত ১০:১১
316657
বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মনসুর ভাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File