বৈজ্ঞানিক যূগে ধান কাটতে ও বিভিন্ন ফসল তুলতে সমস্যা হবে কেন?
লিখেছেন লিখেছেন বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ ৩০ মে, ২০১৭, ০১:০৯:২৫ রাত
মাঠের পর মাঠে সোনালি ধান ঢেউ, কিন্তু নেই কাটার শ্রমিক
সেই ১৯৯০ সালের আগে স্কুলের বইতে পড়ছি যে বাংলাদেশের ৮০% মানুষ গ্রামে থাকে। তাই আমাদের অর্থনীতির ভিত গ্রাম ভিত্তিক! তারপর ৯০পর ৯ম শ্রেণীর ভুগোল বইয়ে পড়লাম যে অষ্ট্রেলিয়ার ৮০% মানুষই শহড়ে থাকে। তারাতো উন্নত দেশ তখনও ছিল বটেই সেই সাথে কৃষিতেও স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়ে বিদেশে গম, চিনি, ছোলা, ভুট্টা, ডেইরী সহ বিভিন্ন দ্রব্য সারা বিশ্বে রপ্তানী করত যেখানে তাদের বিশাল দেশের কৃষি জমি মাত্র ২%। তখনই অনেক স্কুলের স্যার সহ মুরুব্বীদের বলতাম শিল্প ভিত্তিক তথা কল কারখানার উৎপাদিত অন্য পণ্য উৎপাদন না করলে আমরা এগুতে পারব না। তখন তারা এই কথা আমলেই দিত না। তারা বলত কৃষিই আমাদের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। তাই গ্রাম থেকে মানুষ বেশী করে চলে আসলে কৃষিতে লোক থাকবে না। যদিও বলতাম যে আধুনিক যূগে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যন্ত্রপাতি ও ট্রাক্টর দিয়েই একজন কৃষক বা সমবায় সমিতির মাধ্যমে অল্প কয়েকজন কৃষক কোন অঞ্চলে হাজার হাজার একর না বরং কয়েক হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদ করা যায়। কিন্তু মুরুব্বীরা মানতেই চাইত না। এখন ২০১৭ দীর্ঘ ২৭ বছরে গার্মেন্সট, ফার্মাসিউটিক্যাল সহ অকৃষিজাত পণ্যের রপ্তানীতেই এবং আভ্যন্তরীন বাজারেই বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। এখন শহড় তথা নগর ভিত্তিকই বাংলাদেশে উন্নয়ন চলতাছে। এখন মানুষ বেশী শহড়ে বাস করে বিধায় পল্লী তথা গ্রামাঞ্চলে কৃষিকাজে লোকের অভাব তাই বিভিন্ন কাজে কৃষকদের ফসল ফলানোর বিষয়ে যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয়। খাদ্য সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে কৃষি সম্পদ বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য। দুঃখের বিষয়ে এখনো বাংলাদেশের কৃষি ব্যাবস্থা যথেষ্ঠ যন্ত্রভিত্তিক হয়ে উঠে নাই। তাই মানিকগঞ্জে ধান কাটার জন্য লোকবলের অভাব;
http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/221760
শত শ্রমিক যে ধান কাটতে পারে ও মজুরি লাগে তার চেয়ে কম অর্থে জ্বালানি ব্যাবহার করেই একটা ট্রাক্টর এই ধান গুলি কাটতে পারে। বলতেই হয় গ্রামেই বরং কম লোক থাকলে আমাদের কৃষি জমি সহজে কমবে না। তাই কৃষি ব্যাবস্থা ব্যাপক ভাবে যন্ত্র ভিত্তিক হয়ে উঠা সময়ের দাবী!
বিষয়: বিবিধ
১০৬৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন