নার্ভ শক্ত করতে না পারলে আর্জেন্টিনার পক্ষে আর কোন শিরোপা জয় সম্ভব না!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ ৩০ জুন, ২০১৬, ০৬:০৯:০৬ সকাল
আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের নার্ভ দূর্বলতা টের পাই যখন ২০১৪র বিশ্বকাপের ফাইনালে ষ্ট্রাইকার হিগুয়াইন জার্মান গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যার্থ হয়। ফাইনালের প্রথমার্ধে জার্মানীর মিডফিল্ডার টনি ক্রসের ভুল করে হেড করে কিপার মেনুয়েল নয়েরকে বল দিতে গেলে হিগুয়াইন তা ধরে ফেলে কিন্তু সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও বল বাইরে মেরে আর্জেন্টিনাকে নিশ্চিত গোল বঞ্চিত করে। শুধু রক্ষণভাগের মাস্যেরানো ও ফরওয়ার্ড লাভেজ্জি ছাড়া আর কেউই ফাইনালে আত্নবিশ্বাসের সাথে ও তেমন ভাল খেলতে পারে নাই। ঠিক পরের বছর ২০১৫তে চিলিতে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার ফাইনালে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে শেষ মুহুর্তে নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েও ঐ হিগুয়াইন ব্যার্থ হয়। গোল মুখে তথা পেনাল্টি বক্সে সঠিক পাস ও নিশানায় বল শুট তেমন করতে পারে নাই আর্জেন্টিনিয়ান খেলোয়াড়রা। আর হিগুয়াইনের মান পড়ে যাওয়ার পরও কেন তাকে স্কোয়াডে রাখছে সেটা সত্যিই অবাক হওয়ার বিষয়। ফাইনালে যদি কেউ গুছিয়ে না খেলতে পারে তার পক্ষে শিরোপা জয়লাভ সম্ভব না। ২০১৫তে মূল ৯০ মিনিটের শেষ মুহুর্তে হিগুয়াইনের ঐ মিস আর্জেন্টিনার জন্যে কাল হয়ে দাড়ায়। তারপর আরো ৩০ মিনিট খেলে টাইব্রেকারে খামখেয়ালীর মত নেওয়া শট চিলির জয় নিশ্চিত করে। অথচ আর্জেন্টিনা কিনা কত র্দূদান্ত ভাবে আগের ম্যাচ গুলি খেলে ফাইনালে পৌছায়। এভাবেই ২০১৬র যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার ফাইনালে পৌছালেও আর্জেন্টিনা যেই লাউ সেই কদুই থাকে। পুনরায় সেই হিগুয়াইন ২১ মিনিটে সুযোগ মিস করে। সেমিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ৪ গোল করলেও ফাইনালের দিন সেই চিলির বিরুদ্ধে শট অন টার্গেট তেমন ছিল না। সেই এলোমেলো ও চেহারায় ভীতির ছাপ। শুধু এঞ্জেল ডি মারিয়া ও মাস্যেরানো ছাড়া সবাই কেমন যেন ছন্ন ছাড়া খেলছে। আর সর্বপরি আর্জেন্টিনার সিংহভাড় খেলোয়াড়রা ইউরোপের বিভিন্ন ফুটবল ক্লাবে যেভাবে উজাড় করে খেলে সেটা জাতীয় দলের পক্ষের হয়ে সেভাবে খেলে না। তাই আলাদা ভাবে ক্লাব গুলির পারফরমেন্স বিবেচনায় নিজ জাতীয় দলে সমান প্রতিফলন ঘটে না। এই কথাটাই আমার উপলদ্ধি হয় ২০১৪ সালে যখন পর্তূগালের সাথে অর্জেন্টিনা খেলে ওল্ডট্রাফোর্ডের মাঠে খেলাটা দেখার সুযোগ হইছিল;
ww.bd-desh.net/blog/blogdetail/detail/7528/Bangladesh_Zindabad/57980
সেই খেলায়ও যদিও ক্লাবের মত করে খেলেনি তথাপি দ্বিতীয়ার্ধে নেমে হিগুয়াইন ২-৩টা সুযোগ মিস করছে। শেষমেশ পর্তূগাল এক গোলে জিতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটা।
কথায় বলে ম্যাচ শুরুর আগেই যেন ম্যাচ না হেরে যাই। আর্জেন্টিনার বর্তমান যে মানসিক দূর্বলতা তাতে শিরোপা জয় করাটাই হবে অস্বাভাবিক বিষয়। লিওনেল মেসি জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়ার কথা বললেও তার দায়িত্ব এড়াতে পারে না। যেভাবে এই ২০১৬র কোপার ফাইনালে টাই ব্রেকারের পেনাল্টি শটটা সে মিস করছে সহজে মেনে নেওয়া যায় না। এখন মেসি তার অবসর বাতিল করুক বা না করুক আর্জেন্টিনার প্লেয়ারদের নিজ দক্ষতা উন্নয়নের সাথে শক্ত নার্ভও গড়া চাই। এই ছাড়া দলের চূড়ান্ত সফলতা আসবে না। শক্ত নার্ভই ফাইনালে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের খেলা অনেক সুসংগঠিত করে দিবে। তখন আর শিরোপা অর্জনের দীর্ঘ খরা থাকবে না।
বিষয়: বিবিধ
১২৯৫ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
এভাবে হতাশ হয়ে বসে থাকলে সামনে সামনে কোন টুর্নামেন্টে খেলা তো দূরের কথা , কোয়ালিফাই করাও কঠিন হয়ে যাবে ।
ধন্যবাদ সবুজ ভাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন