বৃটেনে ILR স্থায়ী ভাবে থকার Permanent Residency পেলাম!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ ১৮ এপ্রিল, ২০১৬, ০৮:৫৮:২৯ রাত
গত ডিসেম্বর ২০১৫র ২৯ তারিখেই আমার ওয়ার্ক ও রেসিডেন্স পারমিটের মেয়াদ শেষ ছিল। একে লক্ষ্য করেই নভেম্বরের শেষ দশ দিন থেকেই বৃটেনে স্থায়ী ভাবে থাকার জন্য Indefinite Leave To Remain এর SET(O) ক্যাটাগরির ফরম পূরণ করা শুরু করি। যদিও ডিসেম্বররের শুরুতেই ফরম পূরণ শেষ হয় তথাপি বেশ কয়েকদিন রিভাইস দেই। নিয়ম হল ইউরোপের EU ভূক্ত নাগরিক ছাড়া বাকী অন্য যারা ওয়ার্ক, বিজনেস, হাইস্কিল্ড সহ সংশ্লিষ্ট পেশার সবাইকে ভিসার মেয়াদ থাকার শেষ ২৮ দিনের মধ্যেই ILR এর আবেদন হোম অফিসে পৌছাতে হবে। ৯২ পেইজের মধ্যে আমি সিঙ্গেল হওয়াতে মাত্র ২৬ কি ২৮ পেইজ পূরণ করতে হইছে। আর ডিসেম্বরের শুরুতেই নিয়োগকারী অফিস হতে সার্টিফিকেট, HM Revenue & Customs হতে ট্যাক্সের সার্টিফিকেট ও চিঠি, ইউটিলিটি বিল ও ব্যাংক ষ্টেটমেন্ট, ইংরেজী ও লাইফ ইনদা ইউকে টেষ্টের রেজাল্ট, বাংলাদেশী পাসপোর্ট, বর্তমান ওয়ার্ক-রেসিডেন্স পারমিটের মূল ভিসা, তারপর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি দিয়ে ১০ই ডিসেম্বর রেজিষ্টার্ড ডাকযোগে হোম অফিসের সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টে পাঠালাম। SET(O)র ডিপার্টমেন্ট Durham কাউন্টিতে অবস্থিত যার কিছু উত্তর পূর্বেই সান্ডারল্যান্ড শহড় অবস্থিত। এর পরের দিন ১১ই ডিসেম্বর সকাল ১০টায় রয়াল মেইলের ওয়েব সাইটে গিয়ে পার্সেল ট্র্যাকিং অপশনে চেক করে দেখি সকাল ৯:১০তে আমার আবেদন তাদের লোক গ্রহণ করছে এবার প্রথম অপেক্ষার পালা ও একটু চিন্তা এই যে এত পেইজের ফরম পূরণ তা ঠিকঠাক মত পূরণ হয়েছে কিনা সেই সমন্ধে যদি কোন চিঠি আসে। মানুষ মুখে শুনছি কোন ত্রুটি থাকলে তারা ৩-৪ দিনের মধ্যেই আবেদন ফেরত পাঠিয়ে দেয়। একেতো এতদিনের পরিশ্রম তার উপর প্রায় ১৯০০ পাউন্ড আবেদন ফি :P সে যাই হৌক প্রায় দশ দিন অপেক্ষার পর ২১শে ডিসেম্বর দুফুরে ইমেইল পেলাম হোম অফিসের পারমানেন্ট ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট হতে;
Dear MR XXXX,
Case ID: ********
Thank you for your application to the Home Office. Your application has been received and is being considered.
It may take up to six months to make a decision on your case. If we are unable to process your application within six months we will tell you as soon as possible.
Our web page contains further information on our service standards and other information which may relate to your application.
Please note that this is an automated response confirming receipt of your application and does not accept responses. Please do not reply to this email.
If there is a change in your circumstances, we kindly ask that you only contact us using this link: https://www.gov.uk/change-circumstances-visa-brp
Permanent migration team
এখানে প্রাথমিক স্বঃস্তি হল যে আমার পূরণ করা আবেদন ফরম ঠিক আছে। এর পরের দিন ২২ তারিখে ডাকযোগে চিঠি পাই। এটা অস্থায়ী ভাবে বৃটেনে আমার ইমিগ্রেশন ষ্ট্যাটাস সহ ILR আবেদনপত্র প্রাপ্তির স্বীকার। এতে শুধু নতুন এটুকুই বলছে যে কোন পোষ্ট অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক(আঙ্গুলের ছাপ/স্ক্যান) ও ফটো তুলে আস যার রেফারেন্স নাম্বারের একটি পত্র এই ডাকেই যূক্ত করছে। তো ঐ দিন দুফুর ও কাজে থাকাতে যাই নাই। পরের দিন সকালে ক্লিন শেভ হয়ে চলে গেলাম রয়াল মেইলের নির্দিষ্ট পোষ্ট অফিসে। কারণ সব অফিসে এই বায়োমেট্রিক ও ফটোতোলার ব্যাবস্থা নাই। প্রায় ১৯ পাউন্ড খরচে এই বায়োমেট্রিক ও ফটোতোলার কাজ সারলাম। এটাই তৎক্ষনাৎ পোষ্ট অফিসের কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে হোম অফিসে পৌছে যাবে। এখানে উল্লেখ ছিল আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এটা না করলে আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হতে পারে :( একেতো ক্রিসমাস তার উপর থার্টিফাষ্ট ও নতুন বছরের শুরু তাই অফিস থেকে ছুটি নিয়েই এগুলো সম্পন্ন করছি।
এবার দীর্ঘ অপেক্ষার পালা। কারণ এতে হোম অফিস ৬ মাসের সময় নেয়। যদিও তারা ৩-৪ মাসের মধ্যেই বেশীর ভাগ সিদ্ধান্ত দিয়ে দেয়। এভাবে করে ২১শে জানুয়ারী হোম অফিসের Permanent migration team হতে ইমেইল আসে;
Dear MR XXXX,
Case ID: ********
We are emailing you to confirm that your recent Home Office application is still under consideration and we expect to make a decision within 6 months of the date of your application, which is our service standard. If we are unable to process your application within 6 months we will tell you as soon as possible. Our web page contains further information about our service standards and other information that you may find helpful with regard to your application. If there is a change in your circumstances, please contact us using this link: https://www.gov.uk/change-circumstances-visa-brp
You will be notified of the outcome of your application in writing.
Please note that this is an automated mailbox and does not accept responses. Please do not reply to this email.
Permanent migration team
এভাবে করে ফেব্রুয়ারী মাসের ২২ তারিখে এই জানুয়ারীর মতই ইমেইল আসে। অপেক্ষার পালা যেন শেষ হয় না। কয়েকজন বলছে দূঃশ্চিন্তা করো না কারণ ভুল বা সমস্যা থাকলে তারা ডাকযোগেই জানাবে। আর তুমি ডিসেম্বরে আবেদন করছ যেখানে সরকারের প্রতিটা অফিসের বেশীর ভাগ ষ্টাফরা লম্বা ছুটি কাটায়। তাই বাকীদের কাজের চাপ বেশী ও গতি মন্থর হয়ে যায়। তো এরপরে আল্লাহর রহমতে আর দূঃশ্চিন্তা হয় নাই। মার্চের ২২ তারিখেও একই মেইল এল। তিন মাসের বেশী চলছে। আমি ধরেই নিছিলাম যে আমারটা ৫ মাসের আগে আশা করাটা ঠিক হবে না।
এপ্রিল মাস চলে আসল। এভাবে করেই ১লা বৈশাখের দিন ১৪ই এপ্রিল মন না চাইলেও কেন যেন ভাল খাওয়া রান্না করলাম :-# তো যাই হৌক পরের দিন শুক্রবার হঠাৎই ডোরবেলের শব্দ। স্ক্রীণে দেখি পোষ্টম্যান দাড়িয়ে আছে রেজিষ্টার্ড পার্সেল ডকুমেন্ট দেওয়ার জন্য। হাতে একটা মাত্র পাতলা খাম। তো দৌড়ে উপরতলা থেকে নেমে তার ইলেকট্রনিক সাইন তথা রিসিভ প্যাডে সাইন করার আগেই পত্রটা ধরলাম শক্ত একটা ভিজিটিং কার্ডের মত কিছু একটা অনুভব করলাম। তখনই আমার মন খুশীতে ভরে উঠল আর মনে মনেই বললাম আলহামদুলিল্লাহ! এরপর পোষ্টম্যানের ডিভাইসে সাইন করলাম। এরপর ফ্ল্যাটে এসে দেখি উপরে লেখা RESIDENCE PERMIT আমার ছবি, নাম, বয়স, জাতীয়তা বাংলাদেশী যেখানে Remarks তথা ষ্ট্যাটাসে লিখা INDEFINITE LEAVE TO REMAIN এটা দেখেই মনে হয় পাহাড়ের সমান বোঝ আল্লাহ আমার উপর থেকে তুলে নিলেন। সত্যিই আমি তখন পূর্ণ স্বঃস্তি অনুভব করছিলাম। তারপর সাথে সাথে বাংলাদেশে আম্মা, ছোট ভাই ও ঘনিষ্ঠ কিছু আত্নীয়দেরকে জানালাম ও দোয়া নিলাম। দুঃখ একটাই আব্বা বেচে নেই। গত বছর উনি ইন্তেকাল করছেন। উনি বেচে থাকলে নিশ্চয়ই খুব খুশী হতেন। আল্লাহর কাছে উনার রুহের মাগফিরাত কামনা করি, আমিন!
বিদেশে গিয়ে স্থায়ী হওয়া বহু বাংলাদেশীর স্বপ্ন। কিন্তু বিদেশে না আসলে সঠিক ভাবে টেরই পাওয়া যায় না যে লাইফ কত কঠিন ও সংগ্রামের। তবে নিজ যোগ্যতা, কঠিন মনমানসিকতা, পরিশ্রম, সময়ানুবর্তিতা, দৃঢ়চেতা হলেই বিদেশে সাফল্য লাভ করা যায়। তবে বেশীর ভাগের মতই আমারও শুরুতে অনেক ষ্ট্রাগল করতে হইছে। ২০০৯এ বৃটেন আসার পর ব্লগ লিখার একটা স্মৃতি শেয়ার করি। সেটাই ছিল বাংলাদেশের বাইরে থেকে সামুতে আমার প্রথম পোষ্ট;
চলে এলাম লন্ডনে!
http://www.somewhereinblog.net/blog/Bangladesh_Zindabad/29036556
বেশীর ভাগ সেখানে দোয়া ও শুভ কামনা করলেও দুইজন মন্তব্যকারী বললেন ভিন্ন কথা;
পড়াশোনা, কাজের জন্য বেশ অনেক জায়গা বদল করতে হইছে। তারপরেও আল্লাহর রহমতে নিজ লক্ষ্য হতে বিচ্যুত হইনি। সবুরে মেওয়া ফলে। এখন আল্লাহর রহমতে বৃটেনে থাকতে কোন প্রকার সরকারী অনুমতি লাগবে না। শুধু একটাই যে টানা দুই বছরের বেশী বৃটেনের বাইরে থাকা যাবে না। আল্লাহ বাচাইলে আগামী এক কিংবা দেড় বছরের মধ্যে বৃটিশ সিটিজেনশীপ তথা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারব।
আবারও আপনাদের সবার দোয়া ও শুভ কামনা করি!
বিষয়: বিবিধ
১৬৭৪ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উপরের ফুলগুলো আপনার আর নীচের কেকটা ব্লগের সবাইকে ভাগ করে দেন ভাইয়া ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এবং আমার জন্য দোয়া করবেন।
যা হোক , আপনার নাম এখন বাংলাদেশ _জিন্দাবাদ পরিবর্তন করে বৃটেন_জিন্দাবাদ রাখতে পারেন ।
রাগের মাথায় অনেক দেশপ্রেম দেখানো যায়। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় আপনের অনুভূতি হয়ত লোপ পাইছে। কিন্তু বাংলাদেশে থাকতে র্দূবিষহ অবস্থা কি জিনিস সেই অবস্থা ভাবলে এখনও গা শিউরে উঠে। আমাকে কিছু বলার আগে এই গুলা চিন্তা করেন।
এদেরকে ভন্ড বলে
দেশের জন্য কিছু করতে পারি না পারি দেশে থাকছি এটাই বা কম কিসে ? এরকম কোটি কোটি লোক ৭১ এ প্রবল দুঃসময়ের সময়েও কিছু করতে পারুক না পারুক, দেশে ছিল ।
সেরকম করারও সামর্থ্য আপনাদের মত ভন্ডদের কোনকালেই ছিল না ।
যে দেশ বাংলাদেশকে শোষন করেছে প্রায় ২ শ বছর , একটা সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা দেশকে ফুটো করে দিয়ে নিজেদেরকে উন্নত করেছে - একজন বাংলাদেশী হয়ে কোথায় সে দেশকে ঘৃনা করবে , না বরং উল্টো সে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে আবার গর্ব করে জানান দিচ্ছে !!
আমি সরাসরি আপনার পোস্টে কমেন্ট করেছি - গীবত কোনটাকে বলে ? ভন্ডের মুখোশ খুলে দেওয়াকে ?
দেশের খেয়ে , দেশের পড়ে , দেশের আলো বাতাসে বেড়ে উঠে যখন দেশকে দেবার সময় এসেছে তখন দেশপ্রেমিকের মুখোশের আড়ালে ঠিকই দেশের নাগরিকত্বের আগে বিদেশী নাগরিকত্বকে প্রাধান্য দিলেন ------- এরকম আচরণকে কি বলে ?
০ একমত । তবে আপনার মত বাংলাদেশ _ জিন্দাবাদ নাম দিয়ে বৃটেনে বসতি গড়ে না , বৃটেনের নাগরিকত্ব নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করে না ।
০ আপনার মত ভন্ডের কাছে আমি ইডিয়ট হতে পারি কারণ আপনি আপনার মুখোশ সবার সামনেই খুলে দিয়েছি । যারা বোঝার তারা ঠিকই বুঝে গেছে যে কত বড় ভন্ড এতদিন আমাদের মাঝে ছিল বাংলাদেশ _ জিন্দাবাদ নিক নিয়ে ।
০ বৃটেন বাংলাদেশে লুটপাট করেছে , এখন সেই বৃটেন হল হালাল রুজির জায়গা !! শুধু বাংলাদেশ কেন , সারা বিশ্ব থেকেই তো এরা চুরি ডাকাতি করে নিজেদের ঐশ্বর্যশালী করেছে , সেই বৃটেন এখন হালাল রুজির দেশ !!!! এদেশের প্রতিটা কোনায় কোনায় রয়েছে শোষিত মানুষের রক্তের দাগ । সেটাতে আপনি হালাল রুজি খুঁজে পেয়েছেন !!! সেই বৃটেনেরই নাগরিকত্ব নিতে হবে , রুটি রুজির জন্য যেতে হবে ? পৃথিবীতে মনে হয় আর কোন হালাল রুজির + সৎভাবে থাকার দেশ ছিল না ।
একজন চোর+ডাকাতকে (বৃটেন)ভাল কারা বলতে পারে ?
বাংলাদেশ এতদিন আপনাকে আগলে রেখেছে আর যখন বাংলাদেশকে সেবা করার সময় এসেছে তখন পগার পাড় !! এটা তো নিজের বাবা মায়ের সেবা পাবার পর তাদের সেবা না করে অন্যের সেবা করতে চলে যাওয়া - আল্লাহ কি এরকম মানসিকতার লোকদের পছন্দ করেন ?
আমার কোনই গাত্রদাহ হচ্ছে না আপনার এই সাফল্যে(!) ।
এখন শুধু এটাই দেখার পালা আপনি আপনার নিক নেম পরিবর্তন করেন কি না
আপনেই একটা অথর্ব ও ভন্ড। কারণ বার বার বলতাছি যে আমি সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। ব্লগ লিখি শখে কারোটা খেয়ে বা অর্থ নিয়ে লিখি না। তাইলে আপনে কোন ঘোড়ার ডিমের মুখোশ খুললেন?
আমাদের দেশের মীর জাফরদের মত বেঈমান থাকার জন্য বৃটেন, ফ্রান্স, স্পেন এরা সারা পৃথিবীতে উপনিবেশ করতে পারছে। আর এখন যে বেঈমান গুলো বাংলাদেশে গরীব ও সাধারণ মানুষকে লুটে ও রক্ত চুষে খাচ্ছে আপনে কি তাদের প্রতিরোধ করতে পারতাছেন? বৃটেন ও অন্যান্য উপনিবেশ কায়েমকারী দেশ গুলোর নেতা ও অন্যরা কে কি করছে তাদের জবাব তারা আল্লাহকে দিবে আর আমি আমারটা দিব। আমি এতটুকু বলতে পারি বৃটেনে চাকুরী করে এখানে কাষ্টমার বা গ্রাহকের সাথে আমাকে মিথ্যা বলতে হয় না। পাওনা টাকা নিয়ে কাউকে ঘুরানো সুযোগ এখানে নাই। আমার তরফ থেতে হালাল রুজি করি। এখন আপনে বৃটেন বা ফ্রান্সের সমালোচনা করেন সেটা নিয়ে আমি কোন আপত্তি করব না। আপনে আমার বিরুদ্ধে বেওকুফের মত লাগছেন যদিও আমি আপনাকে কখনই আগে ব্যাক্তিগত ভাবে কিছু বলিনি।
আপনের ভাবখানা এমন যে বাংলাদেশের সরকার বা অন্য কেউ আমাকে বিনা শ্রমে ও বিনা পয়সায় আগলে রাখছে! এই দেশে যে অফিসেই কাজ করছি খালি মিথ্যা, প্রতারণার মধ্যেই বহু ঘটনা দেখছি। এখন ব্যাক্তিগত ভাবে এগুলোর ভাগীদার না। আমি অতীতেও দেশের জন্য কোন ওয়াদা বা দায়িত্ব নিয়ে কিছু করিনি। কাজেই দেশের সেবা আমাকেই করতে হবে এমন কোন মূচলেকা কোন সালারে দেইনি। আপনে দেশের র্দূনীতি, অনিয়ম, গরীব মানুষের কষ্ট কতটা লাঘব করছে সেটা আগে দেখান পরে আমার দোষ ধইরেন। আমাকে ব্যাক্তিগত ভাবে সমালোচনা করার কোন নৈতিক অধিকার আপনের নাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন