যতই পোকা, কিরা থাকুক খাদ্য মন্ত্রীর সার্টিফিকেট মানেই গম ভাল
লিখেছেন লিখেছেন বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ ৩০ জুন, ২০১৫, ০১:২৮:১১ রাত
আমদানি করা গম দেখতে খারাপ হলেও খাওয়ার উপযোগী
সরকারী ভাবে প্রতি বছর বিদেশ থেকে প্রচুর গম আমদানী করা হয় যাতে দুস্থ অসহায় মানুষ সহ কাজের বিনিময়ে এটা বিতরণ করা যায়। এর জন্য বছরে কয়েকশ কোটি টাকা খাদ্য অধিদপ্তরকে বাজেট দিয়ে থাকে অর্থ মন্ত্রণালয়। এখন অষ্ট্রেলিয়া, বৃটেন, ইউরোপ যে দেশ থেকেই আমদানী করা হউক না কেন সরকারের মন্ত্রী, আমলা এরা ঘুষ কমিশন পায় সেটা রপ্তানীকারক থেকেই হৌক আর কন্সালটেন্সী ফার্ম থেকেই হৌক। তবে উন্নত দেশ অষ্ট্রেলিয়া, বৃটেন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এদের থেকে গম আমদানীতে বেশী কমিশন পাওয়া যায় না। কারণ তাদের রপ্তানীকৃত গম উন্নত মানের। তাই আমদানীকারক চাইলেও কমিশনের পরিমাণ বেশী হয় না। আর সেই সকল দেশের সরকারের কঠোর নিয়মনীতির ফলেও নিম্ন মানের গম বিদেশে বিক্রি করা সম্ভব না রপ্তানীকারকদের পক্ষে। কিন্তু দরিদ্রপিড়ীত ও র্দূনীতিগ্রস্থ ব্রাজিলের কথা ভিন্ন। এখন বেশী কমিশনের আশায় বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রণালয় কোন বাছ বিচার না করেই পোকা, কিরা যূক্ত গম আমদানী করে বসছে। এখানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের বক্তব্য;
যদিও খাদ্যমন্ত্রী নিজেদের অজ্ঞতার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘দুবারের পরীক্ষার পরও এখানে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। আমাদের আসলে পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না, ফলে নিম্নমানের কোটেশন দেয়ার পরও আমরা ঠিক বুঝতে পারি নাই। তবে আমরা এতো গুরুত্ব দেইনি কারণ যখন অস্ট্রেলিয়া, ইউকে থেকে গম আনতাম তখন সেগুলোর মান নিয়ে কোনো কথা ওঠেনি।
http://www.banglamail24.com/news/2015/06/20/id/227621/
সারা বিশ্বে যখন কোন ব্যাবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে কোন কিছু আমদানী করে তখন তাকে সংশ্ল দেশের(যেখান থেকে রপ্তানী হয়) Pre Shipment Inspection (PSI) সংস্থা ক্লিয়ারেন্স তথা ছাড়পত্র দেয় যে পণ্যের মান ও পরিমাণ উল্লেখ করে দেয়। তাতে প্রাক জাহাজীকরণ দেশের এবং গন্তব্য দেশের কাষ্টমস দ্বয় ও শুল্ক বিভাগ সমূহ প্রাথমিক ধারণা নেয়। আর এখানে মন্ত্রী কামরুল বলতাছেন নিম্ন মানের কোটেশন দেওয়ার পরও নাকি তার মন্ত্রণালয় বুঝতে পারে নাই। এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? বিগত সেই ৪০ বছরের বেশী সময় ধরে আমরা গম আমদানী করছি কি সরকারী কি বেসরকারী ভাবে। তারপরেও কিভাবে নিম্নমানের কোটেশন উপেক্ষিত হয়? অবশ্যই অষ্ট্রেলিয়া, বৃটেনের কোটেশনের সাথে ব্রাজিলেরটার পার্থক্য আছে। কিন্তু যেহেতু বেশী ঘুষ ও কমিশনের বিষয়টা জড়িত তাই কামরুল এখন গোবেচারা সাজছেন। এমনকি মন্ত্রী কামরুল এখন এটাকে রীতিমত ভালমানের সার্টিফিকেট দিচ্ছেন;
গম নিয়ে স্যাটিসফাইড খাদ্যমন্ত্রী
http://www.amadershomoys.com/newsite/2015/06/28/333314.htm
এখন যে যাই বলুক গমে পোকা, কিরা তাতে কি! মন্ত্রী যখন সন্তুষ্ট তাতে যতই খারাপ হউক সেই গম কাগজে কলমে ভাল হয়ে যাবে। কারণ এই গমতো কামরুলের নিজের পকেটের টাকা হতে কেনা হয়নি তাই তার কোন মাথা ব্যাথা না। তাই বলা যায়;
সরকারী মাল,
মন্ত্রী, আমলাদের পকেটে ঢাল!
বিষয়: রাজনীতি
১১৭৮ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
http://epaper.prothom-alo.com/view/dhaka/2015-06-30/1
এই গম বরং ফুটবলারদের খাওয়ানো উচিত । তাহলে ২০১৮ তে না হোক ২০২২/২০২৬ এ বাংলাদেশ ফুটবল দলকে বিশ্বকাপের মূল পর্বে দেখা যেতে পারে।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন