ভারতীয় নৌবাহিনী কর্মকর্তা ও দৈনিক প্রথম আলোর সম বৈরী সুরঃ BNS এর সাবমেরিন কেনা প্রসঙ্গে!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৪:৪৫:২৩ রাত
১৫০০ কোটি টাকায় দুটি সাবমেরিন আসছে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/324946/
গত বছর ৪ঠা ডিসেম্বর একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম;
BNS সাবমেরিন কেনার উদ্যোগে ভারতীয় নৌবাহিনীর গত্রদাহ!
টাইমস অব ইন্ডিয়ায় ভারতীয় নৌবাহিনী কর্মকর্তার প্রশ্ন
বাংলাদেশের সাবমেরিন কেনার দরকারটা কী
http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/7528/Bangladesh_Zindabad/32773
এখন যখন বাংলাদেশ সরকার চীনের সাথে "০৩৫জি" মডেলের ২ টি সাবমেরিন কেনার চুক্তি করেছে তখন দৈনিক প্রথম আলো অনেকটাই উক্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মতই নাক সিটকাচ্ছে! যদিও এটা পুরোনো তাই বলে অকার্যকর নয় এবং এর মেয়াদও তাড়াতাড়ি শেষ হবে না। এরশাদের শাসনামলের শেষের দিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যাবহৃত পুরোনো মার্কিন সাবমেরিন যেখানে কিছু সংস্কার করে আধুনিকায়ন করা হয় এমন একটি সাবমেরিন কেনার কথা হয়েছিল। কিন্তু পরে সেটা অগ্রসর হয় নাই। আর চীনের এই মডেল১৯৮৫ সালে তৈরী। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষার জন্য জাহাজ, ট্যাঙ্ক, বিমান সিংহভাগই চীনের তৈরি। এগুলোর সবই দীর্ঘ মেয়াদ পর্যন্ত সার্ভিস দিয়েছে এবং এখনও দিচ্ছে। তাই এই পুরোনো সাবমেরিন কিনলে রাতারাতি এর ক্ষমতা শেষ হয়ে অকেজো হয়ে বসে থাকবে এমন ভাবার কোন কারণ নাই। তবুও প্রঅলো লিখছে;
"পুরোনো এই সাবমেরিন দুটির আয়ুষ্কাল আর কত সময় আছে, বছরে এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচই বা কত হবে, সাবমেরিন সংযোজনের ফলে নৌবাহিনীর শক্তিই বা কত বাড়বে—এসব জিজ্ঞাসার কোনো জবাব আপাতত মেলেনি নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে।"
আমাদের প্রতিরক্ষার বাৎসরিক বাজেট মাত্র ২ বিলিয়ন ডলার। যা ১৬ কোটি মানুষের জন্য খুব বেশী নয়। এই সাবমেরিন দুটি কিনলে এর জন্য বেশী খরচ পড়বে সেটা ঠিক না। বরং বঙ্গোপসাগরের তলদেশে আমাদের নৌবাহিনীর নজরে থাকবে।
এই নিয়ে এক সুশীলও কম যান না;
"ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কোনো প্রতিরক্ষানীতি নেই। ফলে কিসের ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের বড় কেনাকাটা করা হচ্ছে, তা পরিষ্কার করা দরকার। এসব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা খুবই জরুরি।’"
আরে ব্যাটা আমার দেশে পাহারাদার বসাবো যাতে কোন অনুপ্রবেশকারী অথবা বৈরী কোন পক্ষ হতে ক্ষতি না হয় তার জন্য আবার কিসের ভিত্তি লাগবে? নাকি আমার দেশের বেড়া ও সীমার উপর কোন নজর থাকবে না যাতে চোর, ডাকাত ও দুশমনদের সুবিধা হয়!
এরপর লিখছে;
"জেনস ডিফেন্স উইকলির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চীনে এ ধরনের একটি সাবমেরিনের ভেতরে ২০০৩ সালের এপ্রিলে বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এতে আক্রান্ত হয়ে ৭০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী মারা যান। এক বছর পর সেটি মেরামত করে আবার চালু করা হয়।"
কোন দেশের প্রতিরক্ষার কোন জাহাজ ও বিমানে র্দূঘটনা নতুন কিছু নয়। চীনের ০৩৫জি মডেলের সাবমেরিন অনেক গুলো আছে। এখন একটাতে কোন সমস্যার কারণে র্দূঘটনা ঘটছে তাই বলে কি বাকী সবগুলাতেও কি এমন হইছে? চীনা সাবমেরিনে র্দূঘটনার হার কত? ভারত সহ অনেক দেশের সাবমেরিনে র্দূঘটনায় অনেক নাবিকের মৃত্যু হয়েছে তাই বলে তারা কি সাবমেরিন চালানো বন্ধ করে দেবে?
যেহেতু দরিদ্র দেশ হিসেবে আমাদের প্রতিরক্ষা বাজেট বড় নয় তাই একশ কোটি ডলারের নতুন সাবমেরিনের চেয়ে পুরোনো সাবমেরিন যদি ২০ কোটি ডলারে পাওয়া যায় ক্ষতি কি? অন্তত সাবমেরিন চালানোয় পারদর্শীতা অর্জন সহ নিজেদের সুমুদ্র তলদেশ সমন্ধে অভিজ্ঞাতা অর্জন সহ প্রতিরক্ষা সুদৃঢ় হওয়ার পথে অগ্রসর হওয়া যাবে।
৪০ বছরের বেশী হয়ে গেল অথচ নিজ দেশের নৌবাহিনীর জন্য একটা সাবমেরিন কেনা হল না সেটা অবশ্যই প্রতিরক্ষার জন্য অন্তরায়। যেখানে বঙ্গোপসাগরে তেল, গ্যাস সহ বিভিন্ন মূল্যবান খনিজ সম্পদ আছে তাতে সাবমেরিনের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু ভারত, প্রথম আলো গং চায় না যে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা আত্ননির্ভরশীল হৌক। ভারতের মাতবরী ও মাস্তানী বঙ্গোপসাগরে যেন নির্বিঘ্নে চলতে পারে এটাই চায় মতির প্রথম আলো গং। কোন দেশপ্রেমিক মানুষ ও গোষ্ঠী প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এই ধরণের সংযোজনে যেমন খুশী হয় প্রথম আলো তার উল্টো। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী সমূহ প্রআলোর গত্রদাহ ও আতংকের কারণ!
বিষয়: বিবিধ
১৪৮২ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ।
,
আওয়ামীলীগ বাংলার বড় জঙ্গিবাদ, তাই আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক
আওয়ামীলীগ বাংলার বড় জঙ্গিবাদ, তাই আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক
আওয়ামীলীগ বাংলার বড় জঙ্গিবাদ, তাই আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক
মন্তব্য করতে লগইন করুন