ভারতের চাইতে দেড়ী কিন্তু হাসিনার অনুমতিতে কোন দেড়ী নাই!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলাদেশ_জিন্দাবাদ ১৫ আগস্ট, ২০১৪, ০৪:৪৩:৫৪ রাত
এবার জল-স্থল দুটোই চায় ভারত
b]
http://www.amadershomoys.com/newsite/2014/08/14/78608.htm#.U-zeAfldW2Y
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার আগে ১০ টাকা কেজি চাউল খাওয়ানো এবং বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বানানোর প্রতিশ্রুতি ইতিহাস না বরং হাসিনা এই কথা গুলো আদৌ বলেছিল কিনা সেটাই এখন অনেক আওয়ামী ও কথিত সুশীলদের সন্দেহ হয়। তথাকথিত কানেক্টিভিটির নামে যে আসলে ভারতকে একতরফা করিডোর সুবিধা দিবে এই কারণেই সিঙ্গাপুর বানানোর মূলা ঝুলানো হয়। এখন একটি স্বাধীন, সার্বভৌম দেশের রাজনৈতিক, পররাষ্ট্র সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণের মতামত নিয়েই তার সরকার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ভারতের সাথে গুরুত্বপূর্ণ কি কি বিষয়ে চুক্তি হয়েছে এবং আরো কি ভবিষ্যতে হবে তা দেশের জনগণতো দূর জাতীয় সংসদও তা জানে না। হাসিনা, এইচটি ইমাম, মসিউর, রিজভী এরাই পরামর্শ করে সিদ্ধান্তে আসে সেটাই কার্যকর হয়ে যায়। যে ভারত অভিন্ন নদ-নদীর পানি সুষ্ঠ বন্টনে(শুস্ক মৌসুমে) চরম ধোকাবাজী করে আসছে তাকে বিনা মাশুলে নৌ ও স্থল করিডোর দিতে হাসিনা যেন বদ্ধপরিকর। তাই সংসদের এমপিরাও কিছুই জানে না। দৈনিক আমাদের সময়ের রিপোর্টে দেখা যায় আসামের রাজ্য ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সবুজ সংকেতের বিষয়ে পুরো আশাবাদী। কারণ তারা জানে যে হাসিনা দেশের জনগণের ধার ধারে না। গত ১১ই আগষ্ট দৈনিক প্রথম আলোর এক জরিপে দেখা যায় যে শতকরা ৯২% পাঠকই ভারতকে বিনামাশুলে চাল পরিবহনের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ তারা মাশুল চায়;
কথায় বলে দুনিয়াটা শক্তরে ভক্ত নরমেরে যম! বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের মত ভারতের দালাল দল ও সমর্থক থাকলেও হিন্দু রাষ্ট্র নেপাল ভারতকে ছেড়ে কথা কয় না। ১৯৭৪ সালে ভারত যেমন বাংলাদেশকে মৈত্রী চুক্তির নামে গোলামী চুক্তি করিয়েছিল তেমনি নেপালকেও ১৯৫০ সালে এমন চুক্তিতে আনতে বাধ্য করে দিল্লী! কিন্তু নেপালী জনগণ দৃঢ় ঐক্যবদ্ধ বলেই ধীরে ধীরে ভারত থেকে সরে চীনের দারস্থ হয়। ফলে ভারতের অশুভ আধিপত্য হ্রাস পায়। সার্কে চীনের পর্যবেক্ষক হিসেবে অন্তর্ভূক্তির পিছনে পাকিস্তানের চেয়ে নেপালেরই ভূমিকা বেশী ছিল। নেপাল ভারতকে হুমকি পর্যন্ত দেয় যে "যদি চীনের সার্কে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে অন্তর্ভূক্তিতে ভারত ভেটো দিলে সেও আফগানিস্তানকে সদস্য হতে দিবে না"
The move for inclusion of China in SAARC as an observer came as a rude shock to India. On the eve of the summit, India was all set to grant membership to Afghanistan as SAARC's eighth member. However, Nepal's attempt to link Afghanistan's membership to China's quest for observer status was a corollary to India's move.
http://www.ipcs.org/article/south-asia/chinas-observer-status-implications-for-saarc-1891.html
এখন যেহেতু নেপাল ধীরে ধীরে ভারতের প্রভাব বলয় হতে সম্পূর্ণ বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম তখন নতুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী এটাকে সামলাতে উঠে পড়ে লাগে। এইবার সে কাঠমন্ডুতে গিয়ে বলে
"জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাণিজ্য অথবা ১৯৫০ সালের মৈত্রী চুক্তির বয়ানের পর্যালোচনা, পরিমার্জন অথবা বর্জন—সব দায়িত্ব নেপালকেই সঁপে তিনি জানালেন, ‘আপনারাই ঠিক করুন, কীভাবে আপনারা সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আগ্রহী। আমি শুধু চাই আমার পাঁচ বছরের রাজত্বেই এসব চূড়ান্ত হোক।"
মোদির ভালো, মোদির মন্দ
সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/289282
কোন গোয়াল যেমন তার দইকে টক বলে না এই ভারতীয় সাংবাদিক সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়ও খুবই ভদ্র বচনে দিল্লীর অশুভ আধিপত্যবাদ, দাদাগিড়ি-মাস্তানী ও মনিব সুলভ আচরণ সুকৌশলে পাশ কাটিয়ে গেল;
দীর্ঘ দুই দশকের ভারতীয় অবহেলায় (দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কটা আমলাশাহির ওপরেই ছেড়ে দিয়েছিল ভারতীয় শীর্ষ নেতৃত্ব) পুঞ্জীভূত নেপালি অভিমান ও অবিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে চীন যেভাবে নেপালে তার উপস্থিতি ও প্রভাব বাড়িয়েছে, মোদির এই একটা সফর তা ঠেকানোর পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
একেই বলে ঠেলার নামা বাবাজী! ভারতের অসভ্য-বর্বর ও কৃপণ মানসিকতার কারণেই নেপাল চীনের কাছে ধর্ণা দেয়। চীনও ন্যায়সঙ্গত ভাবে নেপালকে অনেক সহায়তা করে। ফলে ভারত চরম অবহেলা করলেও নেপালের কোন ক্ষতিই হবে না।
এখন পরিশেষে বলতেই হয় নেপাল থেকে কি বাংলাদেশের জনগণ শিখবে? নাকি হাসিনার স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তে ভারতের গোলামী করে যাবে? এই বিষয়ে যদি তাড়াতাড়ি না বুঝে ভবিষ্যতে গোটা দেশ ও জাতির আরো র্দূভোগে পড়তে হবে!
বিষয়: রাজনীতি
১৩০২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন